মজার মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আপনাদের সাথে মজার মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব । খাবারের ছবি দেখলে অনেক লোভ লাগে । অন্যরা যখন মজার মজার খাবারের ছবি শেয়ার করে তখন নিজের কাছেই ভালো লাগে এবং দেখলেও খেতে ইচ্ছা করে । আজকে আমি যে মজার খাবারের ছবিগুলা শেয়ার করছি সেগুলো আমি ঢাকা থাকতে কিছু তুলেছি এবং বাবার বাসায় এসে খেয়েছি সেখান থেকে কিছু তুলেছি । এখানে সবগুলো খাবারই অনেক লোভনীয় ছিল এবং এসব খাবার গুলো আমি অনেক বেশি পছন্দ করি । বিভিন্ন অকেশনালি আমরা এই খাবারের আয়োজনগুলো করে থাকি এবং এমনি সময়ও মন চাইলে নিজেরা আয়োজন করি । সব সময় তো বাইরে খাবার খেতে ভালো লাগে না নিজেরা যদি বাসায় কিছু রান্না করে খাওয়া হয় সেই খাবারটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত হয় এবং টেস্টিও লাগে । আবার বাইরের খাবারও অন্য ধরনের একটা মজা থাকে যেটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে ।
প্রথমে একটি পিজ্জার ছবি দিয়ে শুরু করলাম । পিজ্জা খেতে আমি অনেক পছন্দ করি । আমার কাছে খুব ভালো লাগে । আমি আমার ছেলে এবং ছেলের বাবা আমরা তিনজনেই পিজ্জা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি । ছেলে তো সবসময় পিজ্জা খাওয়ার জন্য বায়না ধরে । তবে সব সময় তো আর বাইরে গিয়ে খাওয়া সম্ভব হয়না । তবে পিজ্জা হাটের পিজ্জাটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে খেতে । তাছাড়া আমরা বাসায় বসে অনেক সময় অর্ডার করে খেয়ে থাকি । তবে এই পিজাটা ডমিনোজ এর পিজ্জা । সেদিন আমার বোন ও বোনের ফ্যামিলি ও আমরা দুজন মিলে গিয়েছিলাম পিজ্জা খেতে সেখান থেকে ছবিটা তুলে রেখেছি ।
এটা দেখতে পাচ্ছেন ছোট্ট কিউট একটি কেক । সেদিন আমার বার্থডে উপলক্ষে আমার হাসবেন্ড ব হঠাৎ করে এই কেকটা কিনে এনে আমাদেরকে সারপ্রাইজ দিয়েছিল । কেকটা ছোট ছিল তবে দেখতে খুবই কিউট ছিল এবং খেতে খুব মজা । এটা বেকার থেকে ছেলের বাবা এনেছিল এখানকার কেক আমি অনেক বেশি পছন্দ করি । এজন্য এখান থেকেই আমরা সবসময় অর্ডার করে থাকি ।
মজার মজার খাবার খাওয়ার ভেতরে কোলড্রিংস না খেলে কি হয় নাকি । এই কোলড্রিংস যে ছেলে কি পরিমানে পছন্দ করে তা আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না ।একটা সময় আমিও খুব পছন্দ করতাম এবং পছন্দ করি । ইদানিং খাওয়াটা একটু কমিয়ে দিয়েছি তবে সামনে পেলে তখন আর কোন কিছু মনে থাকেনা খাওয়া হয়েই যায় ।
এখন শুরু করলাম মায়ের হাতের মজার মজার কিছু খাবারের ছবি । চিংড়ি মাছ পোলাও দিয়ে খেতে অসাধারণ টেস্ট । তাছাড়া ভাত দিয়ে খেতেও খুব ভালো লাগে । চিংড়ি মাছ এমন একটি মাছ যে এটি ছোট বড় সবাই খুব মজা করে খায় এবং পছন্দ করে । এটা যেভাবে করে খাওয়া হোক না কোন সত্যিই অনেক ভালো লাগে । এই চিংড়ি মাছতা সত্যি অনেক মজার ছিল । আর নিচে দেখছেন রুই মাছের ভুনা তরকারি । রুই মাছের ভুনা ভাত দিয়ে এবং পোলাও দিয়ে খেতে ভালো লাগে । তবে আমি মাছ বেশিরভাগ সময় ভাত দিয়ে খেতেই বেশি পছন্দ করি ।
আর এখানে দেখছেন শসা । পোলা মাংস থাকবে শসা থাকবেনা তা কি হয় নাকি । শসা গুলো সব সময় আমি এভাবে করেই কেটে থাকি । যদি টমেটোর সাথে কুচি কুচি করে সালাত করা হয় সেটা খেতে ভালো লাগে । আর যদি শুধু শসা খাওয়া হয় তবে গোল গোল করি । একটা একটা করে নিয়ে খেতে ভালো লাগে । সেটা আমরা কমবেশি সবাই পছন্দ করি । আগে যখন বাসে করে ফরিদপুরে আসতাম তখন বাসের ভিতরে ওরা শসা কেটে সুন্দর ভেবে মশলা দিয়ে বিক্রি করত । ওখান থেকে মাঝে মাঝে পানির পরিবর্তে শসা খেতাম ।
আর নিচে দেখতে পাচ্ছেন পোলাও । এত কিছুর সাথে পোলাও না হলে কি চলে । তাই পোলাওটাও আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । পোলাও দিয়ে এই মজা মজার খাবার গুলো আমরা সেদিন খুব মজা করে খেয়েছিলাম । পোলাও হলো সবারই একটি পছন্দের খাবার । অনুষ্ঠানে গেলে কেউ যদি পোলাও খেতে না দেয় তখন মনে মনে একটু রাগ হয় । দাওয়াত খেতে গিয়েছি অথচ পোলাও ছাড়া কি চলে বলেন ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
সকাল বেলায় এরকম খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এখনই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। সবগুলো খাবারই আমার অনেক বেশি পরিমাণে প্রিয়৷ মাঝেমধ্যে এই খাবারগুলো খেয়ে থাকি৷ আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ঢাকা থেকে তোলা এবং আপনার মায়ের হাতে রান্না করার রেসিপি শেয়ার করেছেন৷
যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের খাবারের রেসিপি দেখলেই লোভ লাগে আর খেতে মন চায় । ধন্যবাদ আপনাকে ।
খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো নিজেকে কন্ট্রোল করা মুশকিল। চিংড়ি মাছ পোলাও দিয়ে খেতে ভীষণ টেস্ট লাগে একদম ঠিক বলেছেন। সব ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইল ❣️
এ ধরনের খাবারের ছবি দেখলে আসলেই নিজেকে কন্ট্রোল করা যায়না । ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।
আপু আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেলো। সব গুলো খাবারের ফটোগ্রাফি লোভনীয়। পিজ্জার ফটোগ্রাফি দেখে তো খেতে ইচ্ছে করতেছে। চিংড়ি মাছের ফটোগ্রাফি। বাহ্ দারুণ দারুণ ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আসলেই এখানে লোভনীয় খাবারের ছবিগুলি দেয়া হয়েছিল আর পিজ্জা দেখলে তো সত্যি আমারও খেতে খুব মন চায় ।
মজার মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে আপু।দারুন ভাবে প্রতিটি ফটোগ্রাফি আপনি উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য ।
মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে ভালই লাগে । ধন্যবাদ ভাইয়া ।
মজার মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি দেখিয়ে আপনি আমাদেরকে লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু। এই ধরনের লোভনীয় খাবার দেখলে লোভ সামলিয়ে থাকাই যায় না। এর আগে কোনদিন পিজ্জা খাইনি তাই এটা দেখে আমার সবথেকে বেশি লোভ লাগছে।
লোভ সামলিয়ে থাকার কোন দরকার নেই আপনার যেটা পছন্দ সেটা নিয়ে যান খেয়ে নিন ।
খুবই মজার মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এতগুলো খাবার একসাথে দেখেই তো জিভে জল চলে আসছে আপু। অসাধারণ ছিল খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো।
মজার মজার খাবার গুলো দেখলে সত্যিই জিভে পানি চলে আসে আমারও হয় ।
সকাল সকাল এরকম মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে অনেক বেশি লোভ লেগেছে। আপনি তো দেখছি আমার পছন্দের সব খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার মায়ের হাতের রান্না করা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এগুলো অনেক বেশি সুস্বাদু। আর আপনি অনেক সুন্দর করে ঢাকা থেকে তোলা এবং আপনার আম্মুর রান্না করা খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। এতসব মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে এখনই খেয়ে নিতে ইচ্ছে করতেছে।
এই খাবারগুলো শুধু আপনার পছন্দ না এগুলো সবারই পছন্দ । আর এসব খাবার আমরা সব সময় কমবেশি খেয়ে থাকি । আর মায়ের হাতের খাবারের কোন তুলনাই হয় না ।
লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার মায়ের হাতের রান্না গুলো দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজাদার হয়েছিলো খেতে।আপনি যে সকল খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন প্রত্যেকটি আমার প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে। ধন্যবাদ আপু ফটোগ্রাফি গুলা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খাবারগুলো সত্যি অনেক মজাদার ছিল এজন্য আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম ।
ওয়াও অসাধারণ আপনি খুব মজার মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যি বলতে আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। পিজ্জা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনার ফ্যামিলির তিনজন আপনারা পিজ্জা দেখে তো অনেক পছন্দ করেন। খুব সুন্দর করে মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পিজ্জা খেতে সবারই ভালো লাগে আর আমার ছেলেটা পিজ্জা একটু বেশিই পছন্দ করে খেতে ।