একটি নষ্ট ছেলের গল্প

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।



Picsart_23-11-18_00-41-24-149.png


আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করব । আমাদের আশেপাশে নানান রকম ঘটনা ঘটে থাকে । মানুষের জীবন কাহিনী তুলে ধরলে সুন্দর সুন্দর গল্প হয় । এই ধরনের ঘটনা গল্প আকারে লিখতে খুব ভালো লাগে বানিয়ে কোন কিছু লিখতে হয় না । সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখলেই ঘটনা সুন্দরভাবে গুছিয়ে লেখা যায় । আর সব ঘটনা তো আবার লিখলে হয় না । যেসব ঘটনা লিখার মত সেইসব কিছু লিখার চেষ্টা করি । আজকে আমি সেরকমই একটা গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।


রবিন নামের একটি ছেলে মধ্যবিত্ত ফ্যামিলিতে জন্মগ্রহণ করেছিল । রবিনরা দুই ভাই । বাবা একটি ভালো চাকুরী করে । চারজনের সংসার খুব ভালোভাবেই চলে যাচ্ছিল । বড় ছেলেটাকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করে বাবা-মা খুব শখ করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি করে প্রাইভেটে । বাবা-মার খুব শখ ছেলে পড়ালেখা শেষ করে ভালো একজন ইঞ্জিনিয়ার হবে । যখন পড়ালেখা করছে তখন থেকেই ছেলেকে নিয়ে তাদের অনেক গর্ব হতো। এদিকে ছেলে বড় হয়ে যাওয়ার কারণে ছেলের পড়ালেখার পেছনে তাদের তেমন একটা সময় দিতে হয় না । রবিন নিজেই তার পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল ।


মাঝে মাঝে রবিন এমন কিছু তার বাবা মার সামনে উপস্থাপন করতে যেটা দেখে তার বাবা মা খুশিতে আনন্দিত হতো । ভাবতো ছেলে আমার অনেক কিছুই শিখছে এবং অনেক ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে । সেটা দেখে বাবা-মার অনেক গর্ব হতো । বিশেষ করে রবিনের মায়ের গর্ভে বুকটা একেবারে ভরে যেত । এভাবে করে বেশ কিছুদিন চলে গেল । আর ছোট ভাইটা স্কুলে সুন্দরভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল । পড়াশোনায় তেমন একটা ভালো ছিল না দুটো ছেলের একটিও ।তারপরও তারা সুন্দরভাবেই পড়াশোনাটাকে চালিয়ে যাচ্ছিল । ছোট ছেলেটা ছোট হওয়ার কারণে মা সারাক্ষণ ছোট ছেলেটাকে নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে । তার স্কুলে দেওয়া আনা এবং তার বন্ধু-বান্ধবদের মায়েদের সাথে খুব ভালো একটা বন্ডিং হয়ে যায় মায়ের । সে সবসময় ওইসব নিয়ে ব্যস্ত থাকে । বড়ো টার দিকে তেমন একটা সময় দিতে হয় না ।


একদিন বড় ছেলেটা ঈদের সময় বাবার কাছ থেকে মোটা অংকের কিছু টাকা নেয় যে ঈদের ড্রেস কিনবে ।বাবা ও ছেলেটাকে টাকাগুলো দিয়ে দেয় । এদিকে বড় ছেলেটাকে পড়াতে তার বাবার অনেক বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে কারণ প্রাইভেটে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে প্রচুর পরিমাণে খরচ হয় । তারপরও বাবা সেদিকে না দেখে ছেলেটা বড় একজন ইঞ্জিনিয়ার হবে সেজন্য টাকা পয়সা ঢেলেই যাচ্ছিল ।নিজেরা একটু কষ্ট করে হলেও ।


রবিন যখন ঈদের সময় জামা কাপড় কেনার টাকা নিয়ে যায় অথচ কাপড় না নিয়ে খালি হাতে বাসায় ফিরে আসে তখন মা জিজ্ঞাসা করে তুমি যে টাকা নিলে কিছু যে কিনলে না । তখন রবিন বলে যে আমি আমার টাকাগুলো হারিয়ে ফেলেছি । আমাকে আবার কিছু টাকা দাও একথা শোনার পর মায়ের কেমন যেন একটু খটকা লাগে ।

চলবে.........

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Sort:  
 10 months ago 

আপনার গল্পটি পড়ে ভালই লাগলো। দুটো ছেলেকে মা-বাবা পড়ালেখা করাচ্ছে তাদের মনের আশা পূর্ণ করার জন্য। বড় ছেলে রবিন যেভাবে মা-বাবা বুকে আসা জাগাচ্ছে মনে হয় সে ভালো পড়ালেখা করতেছে। তবে আমার মতে মনে হয় ঈদের সময় টাকাগুলো নিয়ে কাপড় না কিনে অন্য কোন কাজে খরচ করেছে। এবং মা বাবার কাছে মনে হয় সন্দেহ লাগলো। দেখা যাক পরের পর্বে কি ঘটে সেই অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।

 9 months ago 

ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ।

 10 months ago 

আপনি বাস্তবিক ঘটনাকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন যেটা খুব ভালো লেগেছে। নষ্ট ছেলের গল্পটার প্রথম পর্বের শুরুর দিকে পড়তে বেশ ভালোই লাগছিল তবে শেষে অন্যরকম লাগলো। মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেলেটা কি করেছিল আমি তো এটাই ভাবছি। আবার সে তার মায়ের কাছে এসে বলেছে টাকাগুলো হারিয়ে গিয়েছে। ওই ছেলেটা কি তাহলে কোন খারাপ কাজের সাথে যুক্ত হয়েছে? সত্যি কথা বলতে আমার মাথায় অনেক প্রশ্ন আসছে। আশা করছি পরবর্তী পর্ব পড়ে সবকিছু ক্লিয়ার হবো।

 9 months ago 

গল্পটা পড়তে থাকবেন আপনার মাথায় আসা প্রশ্নের উত্তর গুলো পেয়ে যাবেন ।

 10 months ago 

জি আপু যেগুলো লেখার মত সেগুলো আমরাও লেখার চেষ্টা করি এবং গল্পগুলি পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। এমন অনেক গল্প আমাদের চোখের সামনে ঘুরে বেড়ায়। প্রতিটা বাবা-মায়ের গর্ব হয় যেন কোন সন্তান কিছু একটা করতে পারে। প্রতিটা বাপ-মাই চাই আমার সন্তান যেন মানুষের মতো মানুষ হোক।বাবা মারা নিজেরা কষ্ট করে আমাদের পিছে টাকা খরচ করে কিন্তু আমরা যদি সামান্য একটু দায়িত্ব নিয়ে পড়াশোনাটা করি তাহলে কিন্তু আর এই কষ্টটা দূর হয়ে যায। বাবা আমার কাছে কোন কিছু মনে হয় না হাজারো খরচ।সত্যি বলতে ছেলেরা অতিরিক্ত পেলে নষ্ট হয়ে যায়। বাবা-মা কিছু না ভেবেই রবিনের হাতে টাকাগুলো দিয়ে দিল কিন্তু আসলেই অনেক ঘটকা লাগলো আমার কাছেও আশা করব পরবর্তী পর্বে এগুলো বিস্তারিত তুলে ধরার

 9 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য ।

 10 months ago 

আপু আপনার গল্পটি পড়ে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে মা বাবা অনেক স্বপ্ন দেখে তাদের সন্তানকে নিয়ে। যার কারণে সন্তানরা যেটা বলে সেটাই মা-বাবা বিশ্বাস করে। তবে এই ছেলেটি খারাপ পথে চলে যাবে কিনা পরের পর্বে দেখা যাবে। সেই অপেক্ষায় রইলাম ।ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 months ago 

আজকালকার ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে আসলে ভয়ই থাকে কখন কোন অবস্থায় পড়তে হয় কে জানে ।

 10 months ago 

গল্পটা তো আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন। এরকম বাস্তবিক গল্প গুলো আমার অনেক ভালো লাগে। আসলে সন্তানদেরকে নিয়ে বাবা মায়ের অনেক স্বপ্ন থাকে। তেমনি এই ছেলেটাকে নিয়ে ও তার বাবা মায়ের স্বপ্ন রয়েছে। রবিন তার বাবার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছিল, তবে জামা কাপড় কিছুই কেনেনি দেখছি। আর সে তার মাকে বলেছিল টাকা হারিয়ে গিয়েছে। এই টাকার পেছনের আসার কারণ জানার জন্য পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

 9 months ago 

ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 54118.47
ETH 2272.31
USDT 1.00
SBD 2.34