আলু দিয়ে ডিম রান্না রেসিপি
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালোই আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ডিম রান্না রেসিপি।আমি এখানে আলু দিয়ে ডিম রান্না করবো। আলু আর ডিম দুটিই পুষ্টি গুনে ভরা ।এই দুটি খাবারই আমার খুবই পছন্দের। তাই ভাবলাম আমার এই রান্নাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডিম | ৪টা |
আলু | ৩পিছ |
কাটা পেঁয়াজ | ১/২কাপ |
মরিচ | ৩পিছ |
আদা বাটা | ১/২চা চামচ |
পেঁয়াজ বাটা | ৪টেবিল চামচ |
রসুন বাটা | ১/২ চা চামচ |
লবণ | স্বাদ মতো |
তেল | পরিমাণ মত |
মরিচের গুঁড়া | ১চা চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ১/২চা চামচ |
ধোনিয়ার গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
জিরার গুঁড়া | ১/২চা চামচ |
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে ৪টা ডিম সিদ্ধ করে হলুদ ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।
চুলায় একটি করাই বসিয়ে ভালোমত গরম করে তাতে প্রয়োজন মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়ে তাতে ডিমগুলো দিয়ে বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।
ডিমগুলো ভাজা হয়ে গেলে একটা বাটিতে তুলে রেখেছি।
ওই তেলের ভিতরে আলুগুলো দিয়ে বাদামি করে ভেজে তার ভিতরে কাটা পেঁয়াজ ও মরিচ দিয়ে ভেজে একটু নরম করে নিয়েছি।
তারপর ওই আলুর ভিতরে আদা বাটা, রসুন বাটা ও পেঁয়াজ বাটা দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে তার ভিতরে সব শুকনা মশলা গুলো দিয়ে একটু ভুনে নিয়েছি।
মশলা ভুনা হয়ে গেলে তার ভিতরে হালকা একটু পানি দিয়ে আরো একটু ভুনে নিয়েছি।
তারপর ওই ভুনা আলুর ভিতরে ডিমগুলো দিয়ে দিয়েছি।
ডিমগুলো মশলার সাথে ভালোমত মিশিয়ে তার ভিতরে রান্না করার জন্য প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে দিয়েছি।
তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে আরো কিছু সময় জাল করে পানি একটু টেনে আসলে তার ভিতরে জিরার গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি।
তারপর আর একটু জাল করে এ পর্যায়ে চুলাটা সময় বন্ধ করে দিয়েছি। আমার রান্নাটা এখন হয়ে গেছে।
এখন আমি আমার তরকারিটা একটা বাটিতে ঢেলে নিয়েছি। এখন গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
আশা করছি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | অপ্পো এফ1 |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলা আমার মাতৃভূমি।বাংলাতে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতে ভালোবেশি।
খুবই কমন একটি খাদ্য। আমার আম্মু প্রায়ই এই সময়ই রেসিপিটি তৈরি করে
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্য এর জন্য।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি। আপনার রেসিপি দেখে আমার জিবেই জল চলে আসচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে
খুব সুন্দর হয়েছে আপু।দেখেই লোভ লেগে গেল।ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
রেসিপি এবং ছবি দেখেই ক্ষুধা লেগে গেলো। কারণ এটি আমার পছন্দের খাবারগুলোর মাঝে একটি। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
ব্যাচেলর জীবনের কথা মনে করিয়ে দিলেন, ডিম রান্না দেখলেই সেটা মনে পরে যায়। আসলে সহজ এবং ঝামেলাহীন চিন্তা করে ডিমটা বেশী খাওয়া হয়েছে তখন। ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
অসাধারণ হয়েছে আপনার ডিমের রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ।
এই ধরণের রেসিপি পোস্ট মেনে নেওয়া যায় না, খিদে বাড়ে শুধুই , আর জিব্বা দিয়ে জল ঝরে । আলু-ডিমের ঝোল আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য :)
স্বপরিবারে দাওয়াত রইলো দাদা।যেটা যেটা পছন্দ সেটাই রান্না করে খাওয়াবো । আপনার সুন্দর মন্তব্য এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।