হঠাৎ পিজ্জা খেতে চাওয়া আমার মন,10%shy-fox
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ অনেকদিন হলো বাইরে যাওয়া হয় না হঠাৎ করে করোনা বেড়ে যাওয়ার কারণে বাইরে খুব একটা যাওয়াই হচ্ছে না ।কিন্তু বাসায় বসেও ভালো লাগছে না মনে হচ্ছে বাইরে একটু গিয়ে ঘুরে আসি বিশেষ করে কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে কিছু খেতে খুব মন চাইছিল। বেশ কিছুদিন ধরে পিজ্জা খেতে খুব ইচ্ছা করছিল কিন্তু ঘরে বসে অর্ডার দিয়ে খেতে ইচ্ছা করছিল না, মনে হচ্ছিল কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসে খাই।হঠাৎ করে দুপুরবেলা শুয়ে শুয়ে ফোন দেখছিলাম ফেসবুকে হঠাৎ করে চোখ গেল ফুটপাণ্ডার দিকে দেখলাম যে ফুড পান্ডায় পিজ্জা হাটে একটার সাথে একটা পিজ্জা ফ্রি দিচ্ছে সেটা দেখে মনে হল যে তাহলে তো পিজ্জা খেতে যেতে হবে। কারণ কোন কিছুতে আমার কাছে ফ্রি একটা জিনিস থাকলে সেটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তাই মনে মনে চিন্তা করলাম যে বাইরে গেলে কেমন হয় আবার এটাও ভাবলাম যে করোনা কালীন সময়ে বাইরে যাওয়াটা ঠিক হবে না তখন আর কি করার শুয়েই থাকলাম। হঠাৎ করে বিকেল বেলা যখন মাগরিবের নামাজ পড়ে বসে গল্প করছিলাম হাজবেন্ডের সাথে তখন ওকে বললাম যে আজকে পিজ্জা হাটে বাই ওয়ান গেট গেট ওয়ান ফ্রি চলো খেয়ে আসি। সে শোনার সাথে সাথে না করে দিলে যাবে না, কিন্তু তারপরেও বারবার আমি বলতেই থাকলাম এদিকে আমার বাচ্চাতো রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য এক পায়ে রাজি ।বারবার বলার পরে সে রাজি হল তখন বাচ্চা আমি খুশিতে লাফ দিয়ে রেডি হয়ে গেলাম ।তো বাইরে চলে গেলাম পিজ্জা খেতে। আমাদের এখানে বেইলি রোডে একটি নাম করা রেস্টুরেন্ট হলো পিজ্জা হাট এখানে অনেক ভালো পিজ্জা পাওয়া যায় যেটা খুবই টেস্টি একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করবে। কিন্তু দামটা আমার মনে হয় একটু বেশি তারপরও টেস্টি খাবার বলে কথা দাম বেশি হলেও খাওয়া যায়। এখন আমি আমার কাটানো সময়টুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। |
---|
উপরে যে ছবি চারটি দেখতে পাচ্ছেন তার ভিতরে একেবারে সর্বপ্রথম যে ছবিটি আছে সেটি হল লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে তুলেছি। তারপরে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় এটা রেস্টুরেন্টের ওঠার সিঁড়ি আর রেস্টুরেন্টের সামনে এরকম বড় করে পিজ্জা হাট লেখা এবং দরজা দিয়ে ভিতরে ঢোকার সময় হাতের ডান সাইডে উপরে এরকম একটি ঘন্টা আছে আমরা যতবারই যাই ততবারই এই ঘন্টাটা বাজাই এবার অবশ্য বাজাতে ভুলে গিয়েছিলাম ছবি তুলতে তুলতে। ঢং ঢং করে খুব ভালো লাগে আমার কাছে। এটা নরমালি শোপিস হিসেবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কিন্তু এখানে গেলে সবাই এটা একবার বাজায় বিশেষ করে বাচ্চারা এক ঘন্টাটা বাজাবেই। |
---|
আমরা একেবারে প্রথমে ঢুকে গিয়ে দেখি রেস্টুরেন্ট এর ভিতরে কোন জায়গা নেই তারপরে শেষের দিকে একটা টেবিল চেয়ার পেলাম কিন্তু সেখানে বসে আমাদের ভালো লাগছিল না তাই আমরা কিছু সময় অপেক্ষা করার পরে রাস্তার পাশে একটি জায়গা খালি হলো সেখানে সেই টেবিলটাতে বসলাম। সেই টেবিলটাতে বসে বাইরের দৃশ্যটা খুব সুন্দর দেখা যায় সেখানে বসে আমরা খাবারের জন্য অপেক্ষা করছি ও বসে বসে বাইরের কিছু ছবি তুললাম। |
---|
তারপরে আমরা মেনু দেখে খাবারের অর্ডার দিলাম এখানে আমরা বাই গেট ওয়ান ফ্রি দেখে যে খাবারগুলো দেখে গিয়েছিলাম সেগুলো সবগুলো নেই কিছু কিছু আছে অন্যগুলো শেষ হয়ে গিয়েছে, তাই আমরা নরমাল একটি অর্ডার দিলাম আমরা মানুষ দুজন আর বাচ্চা ।বাচ্চা তো কোন রকমে খায় তাই আমরা মিডিয়াম একটা অর্ডার দিলাম কিন্তু অর্ডার দেওয়ার পরে দেখলাম যে খাবারটা আমাদের জন্য কম হয়ে যাবে তখন আমরা সাথে আরো চিকেন উইন্স অর্ডার দিয়ে দিলাম সাথে ছিল কোল ড্রিঙ্কস একটা পিজ্জা ।অর্ডার ছিল ১০৬০ টাকা আর ছোট ছোট ছয়টা উইন্স ৫০০ টাকা আর এখানে এক একটা কোল্ড ড্রিংকস ছিল ১১০ টাকা করে যা আমার কাছে অতিরিক্ত লেগেছে। তারপরও গিয়েছি যখন খেয়ে আসলাম এখানে পিজ্জা টার দাম একটু বেশি হলেও খাবারটা খুবই মজার। |
---|
খাবারে অর্ডার দিয়ে ভিতরে আরো কয়েকটা ছবি তুললাম অবশেষে খাবার গুলো আসলো খাবারগুলোর দাম একটু বেশি হলেও খেতে খুবই ভালো লাগছিল। আমরা মোট ১৮৩০ টাকা খাবার খেয়েছিলাম এবং সবশেষে খাবার দাবার শেষ হয়ে গেলে বিল টা দিয়ে আমরা বাসায় চলে এলাম। |
---|
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়ার মজাই থাকে আলাদা। আসলে মাঝে মাঝে এভাবে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে মন্দ হয় না। আপনি আজকে রেস্টুরেন্টে গিয়ে যে খাবারগুলো খেয়েছেন দেখে তো আমার খেতে ইচ্ছে করছে। পিজ্জা আসলে আমার খুবই পছন্দের। ধন্যবাদ আপনাকে এই মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে যেতে ইচ্ছা করার যে রেস্টুরেন্টের খাবার গিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা ধন্যবাদ।
আসলেই হঠাৎ করে করোনাটা কেন জানি বেড়ে যাচ্ছে। আসলে হাঠাৎ বাহিরে খেতে ভালোই লাগে,আর যদি বাই ওয়ান গেট ওয়ান হয় তাহলে তো কোন কথাই নাই। যাই হোক ভালো ছিলো আপু ধন্যবাদ
একে তো বাইরে গিয়ে খেতে ভালো লাগে তারপরে আবার যদি বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
পিজ্জা হাট থেকে আপনি পিজ্জা খেয়েছেন। আমিও বেইলী রোডের পিজ্জা হাট থেকে পিজ্জা খেয়েছিলাম একবার। ১০৬০ টাকায় অনেক ভালো মানের পিজ্জা এখানে পাওয়া যায়।
হ্যাঁ ভাইয়া এখানের পিজ্জা গুলা খুবই টেস্টি অল্প খেলেও যেন তৃপ্তি মেটে না বারবার খেতে ইচ্ছা করে ধন্যবাদ আপনাকে।
এসব দেখে মন আমার কেমন কেমন করে🥺খুব খেতে ইচ্ছে করতেছে।আপনারা যে কেন বোঝেন না,এমন পোস্ট দেখলে যে নিজেকে ঠিকঠাক রাখতে পারিনা।
সম্পূর্ণ সময়টুকুই খুব ভালো কাটয়েছেন আর ফটোগ্রাফিও ছিল চমৎকার। শুভ কামনা রইলো
খেতে ইচ্ছা করলে আশেপাশের রেস্টুরেন্ট থাকলে দৌড় দিয়ে চলে যান পেট ভরে খেয়ে আসুন ধন্যবাদ।
আপু আমারও রেস্টুরেন্টে গেলে সুন্দর একটি যায়গায় না বসতে পারলে ভালো লাগে না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে হলেও বসি। ঘন্টা বাজানোর বিষয়টি দেখে বোশ ভালো লাগলো। যাইহোক খুব সুন্দর একটি সন্ধ্যা উপভোগ করেছেন।
ঠিকই আপু এক জায়গায় যাব আর সুন্দর একটি বসার পরিবেশ না হলে খাওয়ার মজাটাই নষ্ট হয়ে যায় অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
পিচ্চিটা খুব কিউট। হঠাৎ পিজ্জা খেতে গিয়ে অনেক কছুই খেয়ে ফেলেছেন, হাহা। রেস্টুরেন্ট এর ভিতর খুব সুন্দর ভাবে সজ্জিত। সুন্দর একটি সময় কাটিয়ে এসেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমার বাচ্চাটার জন্য দোয়া করবেন ।আসলেই রেস্টুরেন্টটি অনেক ভালো ছিল।