নিজ গন্তব্যে ফিরে আসা
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । অনেকদিন পরে আজকে নিজ গন্তব্যে ফিরে এসেছি সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।সব সময় তো ইচ্ছা করে ঈদে বাবার বাড়িতে গিয়ে ঈদ করব কিন্তু এখন তো আর আমি একা না আমার সাথে আরও কিছু লোকজন জড়িয়ে আছে । এজন্য ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কোথাও যাওয়া যায় না নিজ বাসাতে ঈদ করতে হয় । ঈদের আগে মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলাম ঈদ যেহেতু ছেলের বাবা বাইরে করতে চায় না সেহেতু বাসায় নিজের মতো করে ঈদের একদিন পরেই বাসা থেকে বের হয়ে নিজের বাড়ির দিকে রওনা দিব । সেটা আমি তাকে বলেও রাখলাম যে আমি কিন্তু ঈদের একদিন পরে বাসায় যাবো সে তখন আর কিছু বলল না । শুধু বলল যে আমি তো যাবো না তোমরা একাই যেও । কারণ সে বাসা থেকে কোথাও যেতে চায় না যার কারণে এখন আমাকে একাই চলাফেরা করতে হয় ছেলেকে নিয়ে ।
এখন তো রাস্তাটা অনেকটাই কমে গিয়েছে মাত্র গাড়িতে ওঠার পরে দুই ঘন্টা লাগে এবং যদিও ট্রেনে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু আমি একা ট্রেনে যাওয়ার সাহস করলাম না । এসি গাড়িতে আমি আর আমার ছেলে দুজনে আরাম করে চলে গেলাম । আমি নরমালি বাবার বাড়িতে গেলে একসাথে ১৫-২০ দিন থেকে আসি কিন্তু এবার ছেলের স্কুল থাকার কারণে এক সপ্তাহ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি । ১৫-২০ দিন যখন থাকি তখনই সময়টা কোথা দিয়ে চলে যায় টেরই পাওয়া যায়না । এক সপ্তাহ তো যেতে যেতেই চলে গেল । তারপর যে প্রচন্ড পরিমাণে গরম এই গরমের ভিতরে কোথাও বাইরে বের হয়নি । সারাদিন এসির ভিতরে বসে থেকে সময়টা কাটাতে হয়েছে ।
দেখতে দেখতে আমার সাতটা দিন এর ভিতর দিয়েই পার হয়ে গিয়েছে । আরো কতদিন থাকার ইচ্ছা ছিল তবে স্কুল খোলার পরপরই ছেলের পরীক্ষা দিয়ে দিয়েছে যার কারণে আসার সিদ্ধান্ত নিতে হল । যদি পরীক্ষা না থেকে শুধু স্কুল থাকতো তাহলে আমি আরো কিছুদিন থেকে আসতাম । এই সাত দিন বাবার বাড়িতে থেকে আমার কখনো পোষায় না । মন খারাপ করে তারপরও বাসের জন্য টিকিট নিয়ে আসলাম । যাওয়ার সময় যে টিকিট 450 টাকা দিয়ে গিয়েছি সেটা আসার সময় ৬০০ টাকা করে কাটতে হলো । তারপরও এই গরমের ভিতরে এসি গাড়ির সিট পেয়েছি এটাই বড় কথা । আগের দিন টিকিট কেটে রেখেছিলাম ।
আমি নরমালি কখনো সকাল বেলা জার্নি করতে পছন্দ করি না কারণ ঘুম থেকে উঠতে আমি কখনোই পারি না । আর কেউ যদি বলে যে সকালে কোথাও যেতে হবে তাহলে আমি সেখানে যেতেও চাই না । দুইটার সময় একটা গাড়ির টিকিট পেলাম কিন্তু সেটা না নিয়ে আমি চারটায় যেটা পেলাম সেটা নিলাম ।আরাম করে আস্তে আস্তে বিকেলের দিকে রওনা দেব এটাই আমার জন্য ভালো । তারপর দুপুরবেলা বাসা থেকে কোনরকমে খাওয়া দাওয়া করে ভাইয়ের সাথে রওনা দিয়ে দিলাম বাস স্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে । আমরা গিয়ে দশ মিনিট বসার পরপরই আমাদের গাড়ি চলে আসলো এবং যথা টাইমে গাড়িটা ছেড়ে দিল । ভাই তখন আমাদেরকে বিদায় দিয়ে চলে গেল । আমি সবসময় গাড়ির ভিতরে বসে ঘুমিয়ে পড়ি কিন্তু আজকে আর ঘুমাতে পারিনি । কারণ বাসা থেকে বারবার বলে দিয়েছে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে যাচ্ছি সাথে ব্যাগ ট্যাগ রয়েছে ঘুমিয়ে পড়লে যদি কোন অঘটন ঘটে এই এই কারণে বাসা থেকে নিষেধ করার কারণে আমি অনেক কষ্ট করে জেগে বসে ছিলাম । আর ইদানিং জানালার সাইডে ছেলের কারণে বসতে পারি না কারণ ছেলে ওখানে বসার জন্য বায়না ধরে যার কারণে ওকে বসতে দিতে হয় ।
তারপরও কিছুদূর আসার পরে কখন যে আমরা দুজনে মিলে ঘুমিয়ে পড়েছি টেরই পেলাম না । ঘুম থেকে যখন উঠেছি তখন বুঝতে পারছি না কোথায় এসেছি পাশে একজনের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম পদ্মা ব্রিজ কি পার হয়ে গিয়েছে । সে বলল যে ১৫ মিনিট আগেই আমরা পদ্মা ব্রিজ পার করে এসেছি । আমার হাজব্যান্ড বলেছিল পদ্মা ব্রিজ উঠলে যেন তাকে ফোন দেয়া হয় । তাহলে সে বাসা থেকে বের হবে কিন্তু আমি তো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তারপর তাড়াতাড়ি তাকে ফোন দিলাম সে অলরেডি বাসা থেকে বের হয়ে অনেকদিন পর্যন্ত এসে গিয়েছে । আজকের রাস্তা এতটাই পরিমাণ ফাঁকা ছিল যে আমরা খুব সুন্দর ভাবে ঢাকার ভিতরে পৌঁছে গিয়েছি মাত্র 2 ঘন্টা তে । বাস থেকে যখন নামি তারপর দেখি আমার হাজব্যান্ড এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে । তারপর একটা সিএনজি ডেকে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম । আসতে মাত্র আধা ঘন্টা সময় লেগেছিল সুন্দরভাবে বাসায় এসে পৌঁছাতে পেরেছি ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
তবে আপু যাই বলেন এই গরমের আবহাওয়া কষ্ট করে একটু সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি জার্নি করা যায় তাহলে অনেকটা স্বস্তির জার্নি উপভোগ করা যায়। আপনি যেহেতু সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারেন না তাই এই স্বস্তির জার্নিটা উপভোগ করতে পারেননি হয়তো। তবে মজার বিষয় দুই ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় চলে গিয়েছেন।
সে যে যাই বলুক না কেন সকালে আমি কখনো ঘুম থেকে উঠতে পারি না । সে যত আরামই হোক না কেন আমি দেরি করেই জার্নি করতে পছন্দ করি ।
আপনিতো চাইলে ঈদের পরদিন যেতে পারেন আমার তো তাও যাওয়া হয়না। তারপর তো ঈদের পরদিন টিকিটের দাম নরমালই নিয়েছিল। এজন্য ফেরার সময় দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ঈদের সময় টিকিটের দাম এমনিতেই বাড়তি থাকে। আপনি এসি গাড়িতে এসেছেন শুনে অবাক হলাম। অবশ্য এই গরমের মধ্যে এসি গাড়ি ছাড়া উপায় কি। সুস্থ মতো পৌঁছতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।
এইজন্যই তো ঈদের পরপরই চলে গেলাম । টিকিটের দাম বেশি নিলেও এসি গাড়িতে আসার চেষ্টা করেছি ভালো লেগেছে ।
সত্যি আপু এতো কম সময় বাবার বাড়ি থাকলে আমার ও ভালো লাগে না। তবে স্কুল তো আরো সাতদিন বন্ধ দিয়ে দিয়েছে।আপনি গাড়িতে উঠলে ঘুমিয়ে পরেন। আর আমার জার্নি পথে একদমই ঘুম হয় না।যাক ভালো মতো পৌঁছে গেলেন জেনে ভালো লাগলো।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আগে যদি জানতাম সাত দিন বন্ধ দিবে তাহলে কি আর আসতে আরও সাত দিন থেকেই আসতাম । বাসে উঠলেই ঘুম চলে আসে কারণ আমি যে বমির ওষুধ খাই এজন্য আরও বেশি ঘুম আসে ।
মনে হল যেন সেদিন এলেন। দেখতে দেখতে সাত দিন চলে গেল ।আর আপনার যাওয়ার সময়ও হয়ে এলো । তারপরেও নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো । আপনি তো বেশ কম সময়ের মধ্যে বাসায় পৌঁছে গিয়েছেন দেখছি। আবার সময় করে দ্রুত চলে আসবেন ভাল লাগবে।ধন্যবাদ।
আসলেই অল্প সময়ের জন্য গেলে দেখতে দেখতে কোথা দিয়ে সময় চলে যায় টেরই পাওয়া যায় না ।