ছেলের স্কুলে ২১শে ফেব্রুয়ারিতে অংশগ্রহণ ও বাইরে খাওয়া দাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ছেলের স্কুলে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আনন্দ এবং বাইরে গিয়ে কিছু খাওয়া দাওয়া । একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে স্কুলে একটি প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছিল । সেখানে ছোট ছোট বাচ্চারা কবিতা আবৃতি গান পরিবেশন করেছে । আবার প্রত্যেকটা বাচ্চার চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল । বাচ্চারা সেদিন খুব ইনজয় করেছিল । প্রথমে আমি ভেবেছিলাম যে ঐদিন স্কুলে যাব না । আগের দিন যখন ছেলেকে স্কুল থেকে নিয়ে আসছি তখন প্রিন্সিপাল মিস বলে দিয়েছে যে একুশে ফেব্রুয়ারির দিন কিন্তু মিস করবেন না । ঐ দিন বাচ্চাকে নিয়ে অবশ্যই স্কুলে আসবেন চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণ করা হয়েছে । এখানে সব বাচ্চারা অংশগ্রহণ করবে এতে বাচ্চারা আনন্দ পায় । এজন্য ওইদিন কোনভাবে মিস করা যাবে না আসতেই হবে । তারপর আবার সাথে করে ফুল নিয়ে আসতে বলেছে ।
স্কুলে বারান্দায় বড় একটি শহীদ মিনার বানানো হয়েছে সেখানে সব বাচ্চারা ফুল দিবে । এজন্য স্কুলে যাওয়ার জন্য আমি মনে মনে একটু প্রস্তুতি নিয়েছিলাম । ছেলেকে যখন বললাম যে স্কুলে চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে ও তো অনেক খুশি । যাওয়ার জন্য একেবারে অস্থির হয়ে গিয়েছে যে আমি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করব । সে সবাই কে বলছে আমি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবো । সেই মাইকে কবিতা আবৃত্তি করতে চেয়েছিল কিন্তু আগে থেকে প্রস্তুতি না নেওয়ার কারণে সেটা দিতে পারেনি ।
সকাল সকাল আমরা উঠে রেডি হয়ে নিজের বাগান থেকে ফুল নিয়ে স্কুলে চলে গেলাম । আমরা সবাই কালো ড্রেস পরে সেদিন স্কুলে উপস্থিত হয়েছিলাম । আমরা কয়েকজন ভাবি মিলে একই ড্রেস বানিয়েছিলাম সেটা পরে গিয়ে অনেক ছবি তুলেছি ও খুব মজা করেছি । আমরা স্কুলে গিয়ে দেখলাম স্কুল খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে । সারা স্কুলে আলপনা এঁকেছে
এবং বেলুন দিয়ে সাজিয়েছে দেখতে খু সুন্দর লাগছিল । ছেলে তো ওই দিন স্কুলে গিয়ে মহা খুশি শহীদ মিনারে গিয়ে সে ফুল দিল এবং প্রতিযোগিতার জন্য ক্লাসে গিয়ে বসল । নিজের মতো করে একটি জাতীয় পতাকা এঁকে দিয়ে আসলো ।
তারপর স্কুলে তার বন্ধু-বান্ধব পেয়ে সে খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো । অন্যদিন স্কুলে গিয়ে তার তেমন একটা ভালো লাগে না সে আমাকে ছাড়া থাকতে চায় না স্কুলে । কিন্তু ওই দিন সে একা একাই স্কুলে দৌড়াদৌড়ি করেছে এবং খুব এনজয় করেছে । একটা সময় তাকে আর পাইনা পরে দেখি সে ফ্লোরে বসে ইচ্ছামত তার বন্ধুদের সাথে খেলছে । সেটা দেখে আসলে অনেক ভালো লেগেছিল কারণ অনেক দিন পর সবাই খুব মজা করতে পারলো । এরপর আমরা স্কুলে বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে সেখান থেকে কয়েকজন মিলে চলে গেলাম বেইলিরোডে কিছু খাওয়া দাওয়া করার জন্য ।
সেখানে গিয়ে আমরা একটা কেকের বেকারি তে ঢুকে সেখানে গিয়ে কেক পিজ্জা খেলাম । যেটা বাচ্চারা পছন্দ করেছিল সেই খাবারগুলোই অর্ডার করা হলো । তারপর সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা খাওয়া দাওয়া করে আরো কিছু সময় আড্ডা দিয়ে যযে যার মত বাসায় ফিরে আসলাম । ওই দিনটা আসলেই অনেক ভালো কেটেছিল বিশেষ করে বাচ্চারা অনেক আনন্দ করেছে সেটা দেখেই ভালো লেগেছে । আমার ছেলে এবারই প্রথম শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়েছে এবং তার কাছে অনেক ভালো লেগেছে সে খুব এনজয় করেছে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার ছেলের স্কুলে ২১শে ফেব্রুয়ারিতে অংশগ্রহণ ও বাইরে খাওয়া দাওয়ার কিছু মুহূর্ত। আসলে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি দিন ছোট ছেলে মেয়েদের স্কুলে নিয়ে গিয়ে সেখানে বেশ সুন্দরভাবে শহীদদের স্মরণ করা হয়। খাবার সময় আপনারা পিজ্জা খেয়েছেন যেন বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ।
একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাচ্চার সাথে স্কুলে গিয়েছিলেন এবং অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। এবং কি বাহিরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন অনেক মজা করে। কেক এবং পিজ্জা খেয়েছিলেন, নিশ্চয়ই দুটোই অনেক বেশি মজাদার ছিল। আপনারা কয়েকজন ভাবীরা মিলে কালো কালারের ড্রেস পড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এবং সবাই একসাথে সেম কালারের ড্রেস পড়ে গিয়েছিলেন শুনে ভালো লেগেছে। আর বাবুকে দেখতে সত্যি অনেক কিউট লাগতেছে ।
সবকিছু মিলিয়ে সময়টা অনেক ভালো কেটেছিল । ধন্যবাদ আপু আপনাকে ।
একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আর উক্ত দিনের অনুষ্ঠানে আপনি এবং আপনার ছেলের অংশগ্রহণ দেখে এবং আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এজন্য ছেলেটাকে নিয়ে গেলাম যাতে ও আস্তে আস্তে সব কিছু জানতে পারে ও শিখতে পারে ।
একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের সকলের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। যখন আমরা স্কুলের ছাত্র ছিলাম তখন আমরা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতাম এবং অনেক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম৷ আজকে আপনার ছেলেকে নিয়ে আপনি স্কুলে গিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো৷ একইসাথে বাইরে গিয়ে পিজ্জা খেয়েছেন শুনে অনেক খুশি হলাম৷ আমরাও বন্ধু-বান্ধব মিলে অনেক জায়গায় ঘুরতে যেতাম এবং বাইরে খাওয়া দাওয়া করতাম৷ আপনার কাছ থেকে এরকম পোস্ট দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
সবকিছু মিলিয়ে আমার পোস্ট আপনার কাছে ভালো লেগেছে আর আপনি খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন দেখে খুশি হলাম ।
একদম। অনেক ভালো লেগেছে আপনার এই পোস্ট দেখে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
বাহ একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটি আপনারা বেশ ভালোভাবে উদযাপন করেছেন দেখেই বুঝতে পারছি ।স্কুলে বেশ বড় প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছিল মনে হচ্ছে ।আলপনা গুলো চমৎকার ছিল। বাচ্চারা বেশ ইনজয় করেছে বোঝা যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে দারুন একটি দিন কাটিয়েছেন ।বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।