আজ আমি খুবই মজাদার একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজকে আমি যে রেসিপিটি শেয়ার করছি সেটি পছন্দ করেনা এমন মানুষ মনে হয় নেই বললেই চলে আর সেই রেসিপিটি হল মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্নার রেসিপি ।খিচুড়ি এমনিতেই খুবই ভালো লাগে খেতে আর সাথে যদি এভাবে মাংস অ্যাড করা হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। আবার আমি পোলাওয়ের চাল দিয়ে খিচুড়িটি রান্না করেছিলাম খিচুড়িটি খেতে খুবই মজা হয়েছিল। এখন আমি আমার এই মজাদার রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। |
- পোলাও এর চাল―১কিলো
- আলু―৪টি
- পেঁয়াজ―২কাপ
- আদা বাটা―২টেবিল চামচ
- হলুদের গুঁড়া―১চা চামচ
- তেল ―পরিমাণমতো
- ঘি―২টেবিল চামচ
- গরম মশলার গুঁড়া―১চা চামচ
প্রথমে মাংসগুলো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি, তারপর আলু কেটে নিয়েছি এবং চাল ও ডাল একসাথে ধুয়ে নিয়েছি। তারপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে দিয়ে তার ভিতরে তেল দিয়ে দিয়েছি ।তেল গরম হয়ে গেলে তার ভিতরে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে দিয়েছি ।আলু গুলো কিছু সময় নেড়ে চেড়ে ভেজে নিয়েছি। এখানে আলুটা খুব বেশি ভাজিনি। তারপর সেই আলুর ভিতরে কেটে রাখা পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে দিয়েছি। |
পেয়াজ ও মরিচ কিছুটা নরম হয়ে আসলে তার ভেতরে কিছু আস্ত গরম মসলা দিয়ে দিয়েছি তারপর গরম মশলা দিয়ে আরো কিছু সময় নেড়েচেড়ে তার ভিতরে আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে নেড়েচেড়ে কিছু সময় মসলাটাকে কষিয়ে নিয়েছি। তারপর মসলা কষানো হয়ে গেলে তার ভেতরে আমি মাংসগুলো দিয়ে দিয়েছি। মাংসগুলো দিয়ে আরো কিছু সময় কষিয়ে নিয়েছি। এখানে কোন পানি ব্যবহার করিনি মাংস থেকেই অনেকটা পানি উঠে এসেছে সেই পানিটা দিয়েই মাংসটাকে সিদ্ধ করে নিয়েছি। |
মাংসটা মোটামুটি সিদ্ধ হয়ে আসলে তার ভিতরে জিরার গুড়া ও গরম মসলার গুড়া দিয়ে আরও কিছু সময় নেড়ে চেড়ে মাংসটাকে কষিয়ে নিয়েছি। তারপর চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে তার ভিতরে তেল দিয়ে দিয়েছি এবং তেলের ভিতরে কিছু গরম মশলা দিয়ে নেড়েচেড়ে তারপর কিছু পেঁয়াজ দিয়ে দিয়েছি। পেঁয়াজ দিয়ে আরো কিছু সময় নেড়েচেড়ে বাদামি করে ভেজে তার ভেতরে আমি চাল ও ডাল গুলো দিয়ে দিয়েছি। চাল ডাল গুলো দিয়ে তার ভিতরে লবণ ও আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে দিয়েছি। |
আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে কিছু সময় নেড়ে চেড়ে চালটাকে ভালোমতো ভুনে নিয়েছি। চাল ভুনা হয়ে গেলে তার ভেতরে খিচুড়ি রান্নার জন্য আমি মেপে পানি দিয়ে দিয়েছি। তারপর নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। |
এ পর্যায়ে ঢাকনা খোলার পর দেখব যে আমার পানিটা অনেকটাই টেনে এসেছে ।তখন আমি পাতিলটা ধরে চুলার জাল কমিয়ে একটি তাওয়ার ওপর বসিয়ে দমে দিয়ে দিয়েছি। তারপর উপর দিয়ে ঘি দিয়ে দিয়েছি এবং চারটা কাঁচামরিচ দিয়ে আবার একটু নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। তারপর যখন ঢাকনাটা খুলবো তখন নাড়াচাড়া দিয়ে আবার অল্প কিছু সময়ের জন্য দমে বসিয়ে রেখেছি। |
এ পর্যায়ে আমি চুলাটা বন্ধ করে দিয়েছি আমার রান্নাটা হয়ে গিয়েছে ।দেখুন খিচুড়িটা দেখতে কতটা মজাদার ও লোভনীয় হয়েছে এবং খেতে এতটাই মজা হয়েছিল যে তা আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। |
|
এখন আমি গরম গরম একটা প্লেটে নিয়ে শসা ও লেবু দিয়ে খাওয়ার জন্য রেডি করেছি, অসম্ভব টেস্টি হয়েছে কিন্তু। |
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
ইউনিক একটা আইডিয়াm মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ি রেসিপি । একবার ট্রাই করতে হবে খুবই সুন্দর লাগবে আশা করি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন এটা বেশ ভালো লাগলো।
এভাবে করে খিচুড়ি রান্না করে খেতে খুবই মজা লাগে আমিতো মাঝে মাঝে তৈরি করি আপনিও একদিন তৈরি করে দেখবেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আমার এমটি পেটে খিদা লাগে বেশি। তার উপর আবার যদি এত মজার মজার রেসিপি দেখি তখন তো রকেট গতিতে সেই খিদা বেড়ে যায়।অনেক মজার একটি মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্ন রেসিপি দিলেন। খুব ভাল লাগলো ধন্যবাদ।
ক্ষুধার সময় এ ধরনের খাবার দেখলে আরো বেশি ক্ষুধা লাগে আপনি ঝটপট রান্না করে খেয়ে ফেলেন তখন আপনার ক্ষুধাও চলে যাবে ধন্যবাদ।
আমি এমনিতে খিচুড়ি রান্না খেতে বেশ পছন্দ করি, আর সেখানে যদি মুরগির মাংস দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে তো অনেক টেস্ট হবে। আমি অবশ্যই ইতপূর্বে মুরগির মাংসের খিচুড়ির রান্না করে দিয়েছিলাম। ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
খিচুড়ির খাবারটা মনে হয় সবাই পছন্দ করে আর এরকম করে রান্না করলে তো কথাই নেই ধন্যবাদ আপনাকে।
মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্নার রেসিপি দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে আমার।অনেক সুন্দর ছিল এখন আর মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্নার রেসিপিটা অনেকদিন খাওয়া হয়নি। এভাবে রেসিপি তৈরি করে খেতে অসাধারণ হয়ে থাকে। কিন্তু আপনার রেসিপিটা দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অনেকদিন খাওয়া হয়নি তবে ঝটপট রান্না করুন আর চটপট করে খেয়ে ফেলুন তখন ভালো লাগবে ধন্যবাদ।
মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্নার রেসিপি দেখেই অনেক লোকনীয় লাগছে। খিচুড়ি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপি টা দেখে অনেক সুস্বাদু মানে হচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা শুভকামনা রইল।
খিচুড়ি খেতে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে আমি তো মাঝে মাঝে এরকম করে রান্না করে খাই খুব ভালো লাগে খেতে ধন্যবাদ আপনাকে।
মুরগির মাংস দিয়ে এরকম খিচুড়ি দেখলে কি আর লোভ সামলানো যায়। খিচুড়ি আমার অনেক পছন্দ। তার সাথে মুরগির মাংস দিয়ে রান্না করলে বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দরভাবে খিচুড়ি রান্নার পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
একদম ঠিক বলেছেন আপু এমনি খিচুড়ি খেতেই ভালো লাগে তারপর এরকম মুরগির মাংস দিয়ে রান্না করলে আরো বেশি ভালো লাগে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
অনেক সুন্দর রেসিপি। লোভ লাগার মতো। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে বেশি মজা লাগে। খিচুড়ি তৈরি প্রত্যেকটি কাজ ধাপে ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তা দেখে অনেক ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনার পোস্টের জন্য।
আসলেই তাই খিচুড়ি দেখলে সবারই লোভ লাগারই কথা আমারও দেখলে অনেক লোভ লাগে খেতে ইচ্ছা করে ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার তো জিভে জল চলে এসেছে আপনার মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি করা খিচুড়ি রেসিপি দেখে। আপনি খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে। খেতে মনে হচ্ছে ভীষণ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এ ধরনের রেসিপি দেখলে আমারও মাঝে মাঝে লোভ লাগে জিভে পানি চলে আসে ধন্যবাদ আপনাকে আমার খিচুড়ি আসলেই অনেক সুস্বাদু ও ইয়ামি হয়েছিল।
বৃষ্টির দিনে উপযুক্ত একটি রেসিপি।দেখেই জীভে জল আসতেছে।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য আপু।
ঠিকই বলেছেন বৃষ্টির দিনে এ ধরনের খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে আর দেখলেই জিভে জল চলে আসারই কথা ধন্যবাদ আপনাকে।