ঝিঙে ও আলু দিয়ে পাবদা মাছের রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে অনেকদিন পরে একটি মাছের রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করব । আসলে এই গরমে রেসিপি তৈরি করার সময় ফটো তোলা খুবই কষ্টদায়ক ব্যাপার। এই কারণে রেসিপি পোস্টগুলো খুব একটা দেওয়া হচ্ছিল না । তাই আজকে ভাবলাম যে ঝটপট করে কিছু ছবি তুলে ফেলি । আর খুবই সহজ একটি রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি । আর সেটি হচ্ছে ঝিঙ্গা ও আলু দিয়ে পাবদা মাছের ঝোল । আর এই গরমের ভেতরে ভুনা জাতীয় তরকারি যত পারা যায় এড়িয়ে চলা উচিত । এমনিতে আমি ঝোল তরকারি খেতে পছন্দ করি তবে পাবদা মাছ ঝিঙে ও আলু দিয়ে রান্না খুবই ভালো লাগে । এজন্য ঝটপট গরমের পারফেক্ট একটি রেসিপি তৈরি করে ফেললাম ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
আলু
পেঁয়াজ
মরিচ
পেঁয়াজ বাটা
আদা বাটা
রসুন বাটা
ধনিয়া পাতা
জিরার গুড়া
মরিচের গুঁড়া
হলুদের গুঁড়া
লবণ
তেল
কার্যপ্রণালী
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে সবজি ও মাছ ভালোভাবে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি । তারপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরে তেল দিয়ে দিয়েছি এবং তেল গরম হয়ে গেলে তার ভিতরে কেটে রাখা পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে হালকা নরম করে ভেজে নিয়েছি ।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এরপর তার ভেতরে সব বাটা মসলা ও গুড়া মশলা গুলো দিয়ে দিয়েছি । তারপর মসলাটাকে সুন্দরভাবে কষিয়ে নিয়েছি ।এরপর কেটে রাখা সবজিগুলো দিয়ে মসলার সাথে ভালো মতো নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি । তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি ।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
ঢাকনা খোলার পর দেখবো যে সবজি থেকে বেশ খানিকটা পানি উঠে এসেছে। এই পানিটা দিয়েই আমি সবজিটাকে সিদ্ধ করে নেব । সবজি সিদ্ধ হতে এক্সট্রা কোন পানি ব্যবহার করব না । সবজিগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে হালকা হাতে মাছগুলো সবজির উপরে আস্তে আস্তে করে ছেড়ে দিয়ে তারপর হালকা হাতে নেড়ে নিয়েছি। অল্প সময় মাছগুলোকে সবজির সাথে কষিয়ে নেব ।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এরপর একটু পানি দিয়ে মাছ গুলোকে ভালোমতো কষিয়ে নেব যাতে মাছের ভেতরে সব রকমের মসলা ঢুকে । এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে বেশ কয়েকটা সময় জ্বাল করে নিয়েছি । ঢাকনা খোলার পরে দেখুন পানিটা অনেকটাই টেনে এসেছে ।তখন মাছ রান্না করার জন্য আরেকটু পানি দিয়ে দেব। আমি যেহেতু এটার ভিতরে ঝোল রাখবো তাই পানিটা একটু বেশি দিয়েছি । তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি আরো কিছু সময় জ্বাল হওয়ার জন্য ।
![]() | ![]() |
---|
এরপর ঢাকনা খোলার পর দেখব যে পানিটা অনেকটাই টেনে এসেছে । সেই সময় উপর দিয়ে ভাজা জিরার গুড়া দিয়ে দিয়েছি এবং কিছু ধনিয়া পাতা দিয়ে দিয়েছি । এরপর আরো কিছু সময় জ্বাল করে নিয়েছি । তারপর রান্না হয়ে গেলে পানিটা অনেকটাই টেনে এসেছে । তখন চুলাটা বন্ধ করে দিয়ে গরম গরম একটা বাটিতে ঢেলে পরিবেশন করেছি । গরমের ভিতরে এ ধরনের সবজি দিয়ে পাবদা মাছ রান্না খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
পাবদা মাছ আমার খুব প্রিয় একটি মাছ। এই মাছটা আমি সাধারণত টমেটো দিয়ে ভুনা করে খেয়ে থাকি। আজকে আপনাকে দেখলাম ঝিঙ্গে ও আলু দিয়ে পাবদা মাছ রান্না করেছেন। আপনার রেসিপিটা দেখে ভালই লাগছে। রেসিপির বর্ণনা এবং প্রত্যেকটা ধাপ অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
টমেটো দিয়ে আমি খেয়ে থাকি তবে মাঝে মাঝে এভাবে করে থাকি।
ঝিঙে ও আলু দিয়ে পাবদা মাছের চমৎকার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। এই গরমে সবজির পাতলা ঝোল আমাদের সকলেরই খাওয়া উচিত। গরমের উপযুক্ত একটি রেসিপি তৈরি করেছেন।অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
আলু আর জিঙ্গা দিয়ে পাবদা মাছের তরকারি এভাবে রান্না করলে খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে আমি প্রায়ই খাই ।
পাবদা মাছ আমার খুব পছন্দের একটি মাছ। আর এই মাছ ঝোল করে খেতে বেশি ভালো লাগে।আপনি তো সাথে সবজি ব্যবহার করেছেন দেখছি। এতে করে আরও মজার হবে।তবে এটা ঠিক গরমের মধ্যে ভুনা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
এই ঝিঙ্গা সবজিটা পাবদা মাছের সাথে দিলে কিন্তু ভালো লাগে একদিন ট্রাই করে দেখতে পারেন ।
চেষ্টা করব আপু,দেখি কেমন লাগে।
আপু ঠিক বলেছেন এই গরমে রেসিপির ফটো তোলা খুবই কষ্টকর। আমি মাঝে মাঝে একসাথে অনেক গুলো তুলে রাখি যাতে পরবর্তীতে সমস্যা না হয়। একদম ঠিক এই গরমে ভুনা না খাওয়াই ভালো। যত বেশি ঝোলের তরকারি খাওয়া যায় ততই ভালো। আপনি আজ ঝিঙে ও আলু দিয়ে পাবদা মাছের খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। ঝিঙে খেতে আমি খুব পছন্দ করি আর ঝিঙে দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমি এমনিতেও ভুনা জাতীয় তরকারি একটু কম খাই সবজি দিয়ে রান্না করে বেশি খেয়ে থাকি আর যে গরম পড়ছে ভুনা প্রশ্নই আসে না ।
গরমের মধ্যে এমনিতেই তো ভালো লাগেন। তার উপরে আবার রান্নাবাড়া করার সময় বারবার ফটোগ্রাফি করা আসলেই কেমন যেন একটি বিরক্তি কর বিরক্তিকর মনে হয়। যাইহোক আজ আপনি পাবদা মাছের লোভনীয় রেসিপি প্রস্তুত করেছেন।ঝিঙে আলু দিয়ে। রেসিপি'র প্রস্তুত প্রণালীর ফটোগ্রাফি দেখেই জিভে জল চলে আসলো।
নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছিল খেতে।
রান্না করাটাই আমার কাছে কষ্টকর লাগে এই গরমের ভিতরে কষ্ট করে করি আবার ছবি তোলা ।
আমার কাছে পাবদা মাছ অনেক বেশি ভালো লাগে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিজের হাতে রান্না করে এই মাছ কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে ঝিঙে ও আলু দিয়ে পাবদা মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি পাবদা মাছের রেসিপি টি অসাধারণ হয়েছে। আসলে নিজের হাতে রান্না করে খেতে পারলে অনেক বেশি ভালো লাগে।
পাবদা মাছ অনেক মানুষের কাছে অনেক পছন্দ তবে পাবদা মাছ এরকম ঝিঙে ও আলু দিয়ে ঝোল করে খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে ।
পাবদা মাছ সুস্বাদু একটি মাছ। আমার পছন্দের একটি মাছ। আপু আপনি ঝোল খেতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। আমি আবার সম্পুর্ন আলাদা ভুনা খেতে পছন্দ করি। পাবদা মাছের রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। এভাবে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। সুন্দর করে পরিবেশন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
পাবদা মাছ খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে এরকম ঝিল ঝোল করে খেতেও কিন্তু ভালোই লাগে আমার কাছে ।
পাবদা মাছ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমার খুবই পছন্দের একটি মাছ। এইভাবে সবজি দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলে খেতে খুবই মজাদার হয়। ঝিঙে ও আলু দিয়ে পাবদা মাছের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখতে ভীষণ লোভনীয় লাগছে। খুবই আকর্ষণীয় একটি কালার হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
রেসিপিটি যেমন লোভনীয় লাগছে খেতেও কিন্তু অনেক টেস্টি হয়েছিল।
আপু আপনি আজ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করেছেন।ঝিঙে ও আলু দিয়ে পাবদা মাছের রেসিপি, রেসিপির প্রতিটি ধাপ আপনি অনেক চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এ ধরনের রেসিপি খেতে আসলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে।আমার প্রিয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
আমার পাবদা মাছের রেসিপি টা আপনার কাছে অনেক চমৎকার লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।