পায়েস রান্নার রেসিপি
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালোই আছি।
আজ আমি এসেছি আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর বন্ধুদেরকে মিস্টি মুখ করাতে। গতকাল আমি স্পেশাল পুরস্কার পেয়েছি তাই সবার জন্য স্পেশাল মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আমি আপনাদের কে আজ আমার স্পেশাল পায়েস রান্না করে দেখাবে। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে রান্নাটা শুরু করা যাক।
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
দুধ | ২লিটার |
চাল | ৩মুঠ |
চিনি | ৪টেবিল চামচ |
গুঁড়া দুধ | ৫টেবিল চামচ |
কনডেন্সড মিল্ক | হাপ কৌটা |
এলাচ | ৩টি |
লবন | ২চিমটি |
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে একটি বাটিতে আমি চাল নিয়েছি।চালটা ভালোমত ধুয়ে তার ভিতরে একটু পানি দিয়ে ২০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রেখেছি। যাতে আমার চালগুলো তাড়াতাড়ি ফুটে যায়।
তারপর চুলাই একটা পাতিল বসিয়ে তার ভিতরে দুধ দিয়ে দিয়েছি। দুধটা এভাবে ভালোমত একটা বলক উঠিয়ে নিয়েছি।
এখানে আমি চালগুলো আরো একটু ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়েছি।
তারপর ওই বলক উঠা দুধের ভিতরে চালগুলো দিয়ে দিয়েছি।চালগুলো সাথে সাথে ভালোমতো নাড়তে হবে তানাহলে চাল দলা পাকিয়ে যেতে পারে।
এই পর্যায়ে আমি একটু লবন ও এলাচ গুলো দিয়ে দিয়েছি।
তারপর আর কিছু সময় জাল করে চালগুলোকে আধা সিদ্ধ করে নিয়েছি।
চালগুলো আধা সিদ্ধ হয়ে গেলে তার মধ্যে গুঁড়া দুধগুলো দিয়ে দিয়েছি।
গুঁড়া দুধগুলো দিয়ে ভালোমত নেড়েচেড়ে চাল ও দুধের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি যাতে দুধগুলো দলা পাকিয়ে না থাকে।
এই পর্যায়ে আমি কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে দিয়েছি।
কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। চাল দেওয়ার পর থেকে আমার চুলার জাল আমি মিডিয়ামে রেখেছি।তানাহলে বেশি জালে দুধ শুকিয়ে যাবে কিন্তু চাল সিদ্ধ হবে না।
এভাবে মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া দিয়ে দিতে হবে যাতে নীচে ধরে না যায়।আর দেখবেন আপনার দুধের উপর একটা সর পড়েছে ওই সরটা হালকা হাতে পাশে সরিয়ে রাখবেন পরে উপর দিয়ে জমে থাকলে খেতে খুবই মজা লাগে। একটা ক্রিমি ক্রিমি ভাব আসে। এভাবে যতবার সর জমবে ততবার পাশে সরিয়ে রাখতে হবে।
চালগুলো ১০০% সিদ্ধ হয়ে গেলে তার ভিতরে চিনিটা দিয়ে দিয়েছি।
চিনি দেওয়ার পর আর একটু নাড়াচাড়া দেওয়ার পর যখন দেখবো এভাবে মোটা মোটা বলক আসবে তখন বুঝতে হবে আমার পায়েস রান্না হয়ে গিয়েছে।
এই পর্যায়ে আমি চুলটা বন্ধ করে দিয়েছি। এমস্র পায়েস রান্না করতে ৫০ মিনিট সময় লেগেছে।
আমার পায়েসটা আমি একটা বাটিতে ঢেলে নিয়েছি। এখন আমার পায়েসটা খাওয়ার জন্য একদম তৈরি। আপনি ইচ্ছা করলে উপর দিয়ে কিশমিশ ও কিছু বাদাম ছড়িয়ে দিতে পারেন আমার খেতে বসলো লাগে না তাই আমি দেই না।
আশা করছি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | অপ্পো এফ1 |
Cc-
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলা আমার মাতৃভূমি।বাংলাতে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতে ভালোবেশি।
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলা আমার মাতৃভূমি।বাংলাতে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতে ভালোবেশি।
আমরা যখন ছোট বেলায় শহর এলাকায় বাসায় ভাড়া থাকতাম,তখন সেই ভাড়া বাসার মালিক আমাকে প্রথম পায়েস খাইয়েছিল। যদিও পায়েস এর প্রতি খুব একটা আগ্রহ ছিল না ।পরবর্তীতে তারপর থেকে মা বাড়িতে বানালে আমি খেতাম যাইহোক সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে ভাল বানিয়েছেন রেসিপিটা।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্য এর জন্য।
সত্যি আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি ঠিক এই মেথডে তনুজা পায়েস করে । দারুন লাগে, আপনার পায়েসটাও দেখেই বোঝা যাচ্ছে দারুন মিষ্টি হয়েছে । স্যালুট ম্যাডাম :)
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।