মিক্সড সবজি দিয়ে ট্যাংরা মাছের রেসিপি,10%shy-fox
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে আবার মজাদার একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি রেসিপিটি হল টেংরা মাছ এর রেসিপি। টেংরা মাছ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বেশ কিছুদিন ধরে বড় বড় টেংরা মাছ খুঁজছিলাম কিন্তু পাওয়া যাচ্ছিল না তাই আমি যখন আমার বাসায় গিয়েছিলাম তখন আমার হাজবেন্ড নিচে হাঁটতে গিয়ে অনেক বড় বড় কিছু টেংরা মাছ পেয়েছিল যতগুলো ছিল ততগুলো সে কিনে নিয়ে এসেছিল আমার জন্য ।আমি বাসায় আসার পরে যখন টেংরা মাছগুলো দেখলাম তখন তো আমি অবাকই হয়ে গেলাম যে এত বড় বড় টেংরা মাছ কোথায় পেলে। পরে বলে যে রাস্তার পাশ থেকে কিনেছি। আমাদের এইদিকে সন্ধ্যার পরে রাস্তায় নামলে বিভিন্ন ধরনের মাছ নিয়ে লোকজনরা বসে থাকে সেখান থেকে যদি মাছগুলো কেনা যায় তাহলে একটু কম দামে এবং ভালো মাছ পাওয়া যায় ।এখন এই মাছগুলো আমি রান্না করেছি যেভাবে সেটাই আপনাদের সামনে শেয়ার করব। |
---|
প্রয়োজনীয় উপকরণ
আলু―২টি
বেগুন―২টি
ঝিঙে―২টি
পেঁয়াজ―২টি
মরিচ―৫টি
পেঁয়াজ বাটা―৩টেবিল চামচ
আদা বাটা―১চা চামচ
রসুন বাটা―১চা চামচ
হলুদের গুঁড়া―১/২চা চামচ
মরিচের গুঁড়া―১চা চামচ
জিরার গুঁড়া―১/২চা চামচ
তেল―পরিমাণমতো
লবণ―পরিমাণমতো
কার্যপ্রণালী
প্রথমে মাছ গুলো ভালো করে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে মাছের ভেতরে হলুদ ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে রেখেছি। তারপর চুলায় একটি প্যান বসিয়ে প্যানে তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে আসলে তার ভিতরে মাছগুলো দিয়ে উল্টেপাল্টে বাদামি করে ভেজে নিয়েছি। |
---|
মাছগুলো বাদামি করে ভাজা হয়ে গেলে তুলে রেখে সেই প্যানের ভিতরে পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে দিয়েছি। পেঁয়াজ মরিচ হালকা বাদামি করে ভেজে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা ও রসুন বাটা তারপর হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে মসলাটাকে মিশিয়ে নিয়েছি। |
---|
তারপর মসলাটাকে কিছু সময় রান্না করে কষিয়ে নিয়েছি। মসলা কষানো হয়ে গেলে তার ভিতরে কেটে রাখা সবজিগুলো দিয়ে দিয়েছি। সবজিগুলো দিয়ে নেড়ে চেড়ে মসলার সাথে মিশিয়ে তারপর পানি দিয়ে দিয়েছি। |
---|
পানি দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে দিয়ে তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি ।কিছু সময় জাল হওয়ার পরে ঢাকনা খুলে পানিটা যখন অনেকটাই কমে গিয়ে সবজিগুলো সিদ্ধ হয়ে আসবে তখন সবজির ভিতরে মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি। মাছগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে মাছ রান্নার জন্য পানি দিয়ে দিয়েছি। আমি এখানে ঝোল ঝোল রাখবো এজন্য একটু পানিটা বেশি করে দিয়েছি। |
---|
তারপর ঢাকনা দিয়ে আরো কিছু সময় রান্না করার পরে পানিটা অনেকটাই যখন টেনে আসবে তখন জিরার গুঁড়া দিয়ে আরও কিছু সময় জাল করে নিয়ে পানিটাকে কমিয়ে নিয়েছি। রান্নাটা হয়ে গিয়েছে আমি চুলাটা বন্ধ করে দিয়েছি। |
---|
এখন গরম গরম ঢেলে একটা বাটিতে পরিবেশন করেছি। মাছের তরকারিটা কিন্তু খেতে মজাই হয়েছিল। |
---|
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
ঠিক বলেছেন আপু রাস্তার ধারে মাছ বিক্রেতাদের কাছ থেকে মাছ কিনলে কম দামে ভালোই মাছ পাওয়া যায়। আমার আব্বুও মাঝে মাঝে এভাবে মাছ কিনে। বিশেষ করে ছোট মাছ গুলো এভাবে কিনা হয় আমাদের। আপনার টেংরা মাছগুলো দেখে তো আমারও লোভ লাগছে। রেসিপিটি নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
আমরাও যখন রাস্তায় বের হয়ে সামনে পড়লে কিনে নিয়ে আসি ভালই লাগে এই মাছগুলো। ধন্যবাদ আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো অনেক সুস্বাদু হয়েছিল রেসিপিটি।
আমার কাছে এই বড় টেংরা গুলোর থেকে বিলের ছোট ছোট দেশি টেংরা গুলোই বেশি ভালো লাগে খেতে। যদিও এখনকার সময় দেশি টেংরা খুব কম পাওয়া যায়, এগুলোই বেশি পাওয়া যায়। তবে আপনার রেসিপির মেনু গুলো দেখে মনে হচ্ছে খুব সুন্দর রান্না হয়েছে। তরকারির রংও অসাধারণ সুন্দর লাগছে। তবে আলুগুলো একটু সুন্দর করে কাটতে পারতেন। তাহলে দেখতে মনে হয় আরেকটু ভালো লাগতো।
ছোট ছোট টেংরা মাছ গুলো চচ্চড়ি করে খেতে বেশি ভালো লাগার এই ধরনের বড় টেংরা গুলো ঝোল করে খেলে ভালো লাগে। আর আলু আমি এভাবেই কাটি আমার কাছে এভাবেই সুন্দর লাগে।
এই বছর বর্ষাকালেও বৃষ্টিপাত হলো না তাহলে কিভাবে পাবেন এই ধরনের টেংরা মাছ খুঁজে।
বিভিন্ন ধরনের সবজি একত্রিত করে টেংরা মাছ রান্নার খুবই চমৎকার একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। অনেকদিন পরে টেংরা মাছের রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো ,খেতে ইচ্ছা করছে খুব এটা।
আসলেই ট্যাংরা মাছ সব সময় পাওয়া যায় না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
আসলেই আমাদের গ্রাম অঞ্চলেও এরকম রাস্তার ধারে মাছ নিয়ে অনেকে বসে থাকে।টেংরা মাছ দিয়ে আলু বেগুন ঝিঙ্গে রান্না করেছেন আজ। আসলে এই ধরনের টেংরা মাছগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। বড় টেংরা মাছি কাঁটা কম থাকে খেতেও সুস্বাদু হয়। আর এতগুলো সবজির সমন্বয়ে রান্না করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগছে।
রাস্তার পাশে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের মাছ বিক্রি করে সেই মাছগুলো ভালই হয় খেতে ।আর আজকের তরকারিটা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
মিক্সড সবজি দিয়ে টেংরা মাছের সুস্বাদু এবং লোভনীয় একটি রেসিপি প্রস্তুত করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে।। এমন বড় টেংরা রেসিপি অনেক দিনই খাওয়া হয়না অনেকদিন পর এত বড় বড় টেংরা রেসিপি আপনার মাধ্যমে দেখতে পেলাম।। বিশেষ করে মাছগুলা ভাজি করেছেন দেখতে বেশী লোভনীয় লাগছে ইচ্ছে করছে তুলে খেতে শুরু করি।। প্রস্তুত প্রণালী খুব সুন্দর ভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমাদের মাঝে উপস্থাপন।। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।।
আপনি বেশ কিছুদিন ধরে বড় বড় টেংরা মাছ খুঁজেছিলেন আর ভাইয়া আপনার জন্য অনেকগুলো টেংরা মাছ নিয়ে এসেছে দেখে ভালো লাগলো। এরকম বড় বড় টেংরা মাছ খেতে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু টেংরা মাছ কখনো এভাবে ভেজে আমি রান্না করিনি ।আপনার থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম ।বেশ কিছু সবজির মিশ্রনে দারুণ একটি তরকারি রান্না করেছেন আপনি ।দেখেই বুঝতে পারছি খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।আমার আবার পছন্দ টেংরা মাছ বেশি করে পিয়াজ দিয়ে ভুনা খেতে।কিন্তু আপনার রান্না দেখে মনে হচ্ছে এভাবেও রান্না করলেও বেশ ভাল লাগবে।
আপনার মত আমার কাছে বড় বড় টেংরা মাছগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুস্বাদু মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপির কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। টেংরা মাছ তৈরির রেসিপি ধাপ গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মন মতো টেংরা মাছ সবসময় বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না। এই ধরনের বড় বড় টেংরা গুলো মাঝে মাঝে বাজারে দেখতে পাওয়া যায়। টেংরা মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে আমি খুবই পছন্দ করি। মিক্সড সবজি দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রেসিপি টি অনেক সুন্দর হয়েছে। খুব লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই আপু।
কয়েকটি সবজি ব্যবহার করে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে টেংরা মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। যেটা দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছে তার থেকে বেশি লোভনীয় হয়েছে। সুন্দরভাবে তৈরি করা পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল