ছেলেকে নিয়ে চোখের ডাক্তারের কাছে যাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করতে চলে এলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ছেলেকে নিয়ে চোখের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার অভিজ্ঞতা । এখনকার বাচ্চারা একেবারে যখন থেকে একটু একটু করে বড় হতে থাকে তখন থেকে মোবাইলের প্রতি অতিরিক্ত আসক্ত হয়ে পড়ে মোবাইল ছাড়া তাদের কোন কাজই যেন সম্পন্ন হয় না । কোন কিছু খেতে গেলে মোবাইল দেখতে হয় আমার বাচ্চাটা ছিল এই রকমের । ছোটখাট কিছু খেতে হলেও ফোন দিতে হতো মানা করেও তাকে ঠেকাতে পারতাম না । ফোন না দিলে সে কিছুই খেত না অতিরিক্ত ফোনের প্রতি ঝুঁকে পড়েছিল আজ তার ফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি ।
গত দুই মাস আগে হঠাৎ করে ছেলের চোখের প্রবলেম হওয়ার কারণে ছেলেকে নিয়ে চোখের ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছিল । সেখানে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছিল ওর চোখে কিছুটা এলার্জি জনিত সমস্যা হয়েছে । তারপরে আমি আবার ওর চোখের কিছু সমস্যার কথা বললাম তারপর ডাক্তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করল এরপর ছেলেকে ছোট-বড় অনেকগুলো অক্ষর দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করল দূর থেকে সে বলতে পারে কিনা । সে বড় বড় কিছু অক্ষর অনায়াসে বলতে পেরেছি কিন্তু ছোট গুলো দূর থেকে কিছুই দেখছিল না এজন্য ডাক্তার বেশ খানিকটা সময় নিয়ে পরীক্ষা করল । তারপর ডাক্তার বলল যে চোখে একটু প্রবলেম রয়েছে চশমা দিয়ে দিচ্ছি দুই মাস পরে আবার যোগাযোগ করবেন । চোখের এলার্জির জন্য তিনটা ড্রপ দিয়েছে ড্রপগুলো নিয়মিত লাগাতে হবে । কোনটা দুমাস নিতে হবে এবং কোনটা ১ মাস ১৫ দিন এভাবে করে দিয়েছিল । ড্রপগুলো লাগিয়ে শেষ করেছি এখন দুমাস পরে ডাক্তারের কাছে আবার যেতে হবে পরীক্ষার জন্য ।
এদিকে ছেলেও অস্থির হয়ে গিয়েছে মা কবে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে চলো আজকেই যাই । আমি পরে ওর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম সে কেন এত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়েছে তখন সে আমাকে বলল যে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার আমাকে ফোন দেখতে দিবে এজন্য যাচ্ছি । আমি বললাম ডাক্তারের কাছে গেলেই ডাক্তার ফোন দেখতে দিবে তখন বলে যে একটু একটু দেখতে দিবে এজন্য তার যাওয়ার প্রতি বেশি আগ্রহ । যথারীতি আজকে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম । যেহেতু ডাক্তার আমাদের বিল্ডিং এর নিচে দুই একটা বিল্ডিং পরে বসে আর ডাক্তার থাকেও আমাদের বিল্ডিংয়ে সেই কারণে আমাদের ডাক্তারকে পেতে অসুবিধা হয় না । ডক্টর আজকে বসবে বলে আমাদেরকে যেতে বলেছে ।
আমরা সন্ধ্যার পরে তিনজনে মিলে রেডি হয়ে চলে গেলাম । যদিও আমার যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না কারণ সারাদিন আমার শরীরটা অনেক খারাপ ছিল তারপরও ছেলেকে ডাক্তার দেখাবো ডাক্তার কি বলে সেজন্য আমি গেলাম সাথে । কিন্তু ডাক্তার দেখানোর পরে আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলো যে চোখে আগের থেকে কোন উন্নতি হয়নি একই জায়গায় রয়েছে । আগে যেরকম দেখতে এখনো ঠিক সেরকম ভাবেই দেখতে । ডঃ তখন অন্য আরেকজন ভাল ডাক্তারের সাজেস্ট করলো যে শিশুদের চোখের ডাক্তার তার কাছে যেতে বলল । বললো তাকে দেখিয়ে নিলে ভালো হবে । ছেলেটা আমার একেবারে কম ওয়েট নিয়ে জন্ম নিয়েছিল যার কারণে জন্মের পরপরই তাকে সব ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছিল । এর ভিতর ওর চোখের পরীক্ষাটাও সেই ৫-৬ দিন বয়সের সময় করতে হয়েছিল । তখন অনেক সময় নিয়ে একটা রুমের ভিতর একা একা ছেলেটার অনেক পরীক্ষা করেছিল তখন কোন সমস্যা পায়নি । কিন্তু এখন বড় হওয়ার পরে চোখে প্রবলেম হয়েছে দেখে আমার আর ভালো লাগছে না । আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন ছেলেটার চোখ তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যায় । গরম টা একটু কমলেই ওকে নিয়ে ওই ডাক্তারের কাছে যাব ইনশাআল্লাহ ।
আসার পথে আমি আমার পরিচিত চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে এক কাপ চা খেয়ে নিলাম । যতই গরম পরুক না কেন চা না খেলে ভালো লাগে না । চায়ের দোকানে ওরা এখন আবার লেবুর শরবতের ব্যবস্থা রেখেছে যার কারনে দোকানে প্রচুর পরিমাণে ভিড় । চায়ের থেকে শরবতের কাস্টমাররাই বেশি । এ কারণে দোকানের একটা ছবি তুলতে পারিনি । রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খেয়েছি । এরপর ওষুধ কেনার জন্য ওষুধের দোকানে ঢুকলাম এবং সেখানে ওষুধ কেনার পরে ভাবলাম যে আমার শরীরটা যেহেতু ঠিক যাচ্ছে না প্রেশারটা একটু মেপে দেখি । প্রেশার মাপার পরে দেখলাম যে প্রেশার একেবারে লো হয়ে গিয়েছে । এ কারণে সারাদিন মাথাটা ঘুরছে এবং শরীরটাও খুব খারাপ লাগছে । জানিনা হঠাৎ করে প্রেশার কেন লো হয়ে গেল । আমি এমনি হাই প্রেসারের রোগী এরকম প্রেসার লো হওয়ার কারণে একটু ভয় লাগছে । বাসায় এসে স্যালাইন ডিম এগুলো খেয়েছি এখন রেস্ট নিতে হবে বাকি সব আল্লার ইচ্ছা ।আপনারা সবাই আমাদের জন্য একটু দোয়া করবেন ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
ছোট অবস্থায় চোখের ট্রিটমেন্ট করলে অবশ্যই দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। দোয়া করি আপনার বাবুর জন্য যেন সে দ্রুত সুস্থ হয় এবং চোখের সমস্যা সমাধান হয়। তবে আপনি কোন টেনশনে যাবেন না। এটা নরমালি অনেক বাচ্চাদের হয়ে থাকে তবে দ্রুত সুস্থ হয়।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার ছেলেটার জন্য দোয়া করবেন ।
আপনার বাবুর চোখে সমস্যা হয়েছে জেনে খুব খারাপ লাগলো। আপনার বাবুর জন্য দোয়া করি আপু যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গুলো মেনে চলবেন আপনি। তাহলে দ্রুত বাবুকে সুস্থ করতে পারবেন।
অবশ্যই আপু ।ধন্যবাদ আপনাকে ।
এতদিন ওষুধ দেওয়ার পরও চোখের কোন উন্নতি হয়নি জেনে খুব খারাপ লাগলো আপু। বাচ্চাটা অনেকদিন মোবাইল দেখেনা জন্যই ডাক্তারের কাছে অনুমতি নিতে চাচ্ছিল। যেহেতু মোবাইল দেখা ছেড়ে দিয়েছে তাহলে আর দেওয়ার দরকার নেই। অন্য ডাক্তারের কাছে যেতে বলেছে দ্রুত গিয়ে চেকআপ করিয়ে নিয়েন। আশা করি ভালো ডাক্তারের হাতে পড়লে উন্নতি হবে। দোয়া রইল।
আহারে ফানা অস্থির হয়েছিল ডক্টর এর কাছে গেলে তার চোখে প্রবলেম ভালো হয়েছে বলবে এবং তাকে আবার আগের মত মোবাইল দেখতে দিবে এই আশায় ।কিন্তু কিছুই হলো না ।বাচ্চাটার মনটাই খারাপ হয়ে গেল ।যাইহোক আশা করছি খুব দ্রুতই আপনি অন্য ডাক্তার দেখাবেন এবং ভালো কিছু সল্যুশন নিশ্চয়ই পেয়ে যাবেন ।আর আপনার শরীরের ও যত্ন নেবেন ।মাঝে মাঝে শরীর খারাপ লাগলে প্রেসার মেপে নেওয়াই ভালো ।কম বেশি হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যায়। যাই হোক আপনার জন্য শুভকামনা রইল ।ধন্যবাদ।