★অনেক দিন পর রিকশায় চড়ার আনন্দ★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আপনাদের সামনে এলোমেলো ঘোরাঘুরি কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব । অনেকদিন হলো ইচ্ছা যে রিকশায় করে বেশ খানিকটা সময় ঘুরবো , কিন্তু বৃষ্টির কারণে হয়ে উঠছিল না । বিশেষ করে ঈদের সময় ঘুরতে বের হওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল কিন্তু বৃষ্টি সেই ইচ্ছা গুলোকে একেবারে নষ্ট করে দিয়েছিল । যার কারণে আর বাইরে যাওয়ার তেমন একটা ইচ্ছাই ছিল না । তবে হুট করে একটা প্রয়োজনে বাইরে যেতে হয়েছে ।
হাসপাতালের জানালা দিয়ে ছবিগুলো তোলা হয়েছে । দূরে আবার ট্রেন যাচ্ছিল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমরা দেখলাম ।
ছোট বোনের ছেলের সুন্নতে খাতনা দিবে সেটা আমাদের বাসা থেকে বেশ খানিকটা দূরেই যেতে হবে । আমরা থাকি শান্তিনগর আর হসপিটাল ছিল আগারগায় । আমরা যাওয়ার জন্য বের হয়েছি আর ওদিকে ওরা আগেই চলে গিয়েছে ওখানে । আমরা আমাদের বাসা থেকে চারটার দিকে বের হয়েছি । যেতে প্রায় ঘন্টাখানেক সময় লেগে যাবে সেই কারণে একটু আগে আগেই বের হয়েছি । কারণ পাঁচটা সাড়ে পাঁচটার দিকে ওকে ওটিতে নিয়ে যাবে । আর আমি এতটা পরিমাণ ভয় পেয়েছি যার কারণে ছেলেকে না নিয়ে আমরা একাই গিয়েছি । আমরা একটা সিএনজি নিয়ে চলে গিয়েছি । আমি উবারে খুব সহজে উঠি না কারণ আমার গাড়িতে উঠলেই বমি আসে এজন্য আমি খোলা মেলা কিছুতে চলতে বেশি পছন্দ করি । বিশেষ করে রিক্সা হলে তো কোন কথাই নেই । সিএনজি নিয়ে আমরা ৪০ মিনিটের ভিতরে সেখানে চলে গিয়েছি । গিয়ে দেখি ওরা আগেই চলে গিয়েছে এবং অতীতে ঢোকার জন্য রেডি হচ্ছে ।আমার তো সুন্নতে খাতনা দিবে শুনে ভয় ভয় লাগছে তারপরও গিয়েছি ওদের সাথে থাকার জন্য ।
কিছুক্ষণ পরে ওকে ভিতরে নিয়ে গেল । ও কিছুতেই যেতে চায় না তার পরে জোরাজোরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । আধা ঘন্টা ৪০ মিনিট ওরা ওটির ভেতরে ছিল । তার ভিতরেই কাজ কমপ্লিট হয়ে গিয়েছে । পরে দেখলাম যে আমার ভাগনে একা একাই হেঁটে বাইরে আসছে সেটা দেখে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি । আমি যতটা ভয় পেয়েছিলাম ততটা ওকে দেখে আর মনে হলো না । তারপরে ওরা একটা গাড়ি নিয়ে আগেই চলে গেল । আমি আর আমার হাজবেন্ড বাইরে বের হয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে দু কাপ চা খেলাম ।
তারপর দেখলাম যে আমার হাজব্যান্ড রিক্সা ঠিক করছে বাসায় আসার জন্য । কারণ আমার রিক্সায় চড়তে খুব ভালো লাগে এই কারণে সে অতদূর থেকে রিক্সায় আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাকে না জানিয়েই। আমার কাছে তো খুব ভালো লেগেছে আবহাওয়াটাও ছিল অসম্ভব সুন্দর । বাইরে অনেক বাতাস ছিল এবং বিকেলের আবহাওয়াটা সত্যি দুর্দান্ত সুন্দর ছিল । আমরা রিক্সায় করে প্রথমে কিছুদূর আসছি তারপর আরো কিছুদিন আসার পরে সেই রিক্সাটা চেঞ্জ করে অন্য আরও একটা রিক্সা নেই । কারণ একটা রিকশা সরাসরি আগারগাঁও থেকে শান্তিনগর আসে না ভেঙে ভেঙে আসতে হয় ।
রাস্তায় আসতে আসতে আমি কয়েকটা ছবিও তুলে নিয়েছি । সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল দেখে ভালো করে ছবিগুলো তুলতে পারিনি । দুই-একটা তুলে নিয়েছি । অনেকদিন পরে বেশ খানিকটা পথ রিক্সায় করে বাসায় ফিরেছি এবং শান্তিমত একটু ঘুরতেও পেরেছি। ঢাকা শহরে যত দূরের রাস্তায় হোক না কেন আমি আগে সবসময় চেষ্টা করি রিকশায় কোতে ফেরার জন্য । অনেক চেষ্টার পরে যখন ব্যর্থ হই তখন অন্য কিছুতে আসি । আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে । রিকশায় ঘুরতে আমি যতটা মজা পাই তা অন্য কোন কিছুতে পাই না । যেকোনো সময় যে কোন মুহূর্তে আমার রিক্সায় করে ঘুরতে ভালোই লাগে । আমি পছন্দ করি দেখে আমার হাজব্যান্ড অতটা পথ রিক্সায় নিজে নিজেই আসতে রাজি হয়েছে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
তানিয়া আপুর ছেলের সুন্নতে খাতনা হয়েছে এবং ভালোভাবেই হয়েছে জেনে ভালো লাগলো আপু। আপনার লেখা গুলো পড়ে প্রথমে আমিও ভয় পেয়েছিলাম। এরপর যখন জানলাম বাবু নিজে নিজেই হেঁটে বের হয়ে এসেছে জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। যাইহোক আপু রিক্সায় ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। পড়ন্ত বিকেল কিংবা সন্ধ্যারাতে রিক্সায় ঘুরতে আরো বেশি ভালো লাগে। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
আসলেই আপু বিকেল বেলায় সন্ধ্যার আগ দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া ঘুরতে ভালোই লেগেছিল । ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।
খোলামেলা রিক্সায় চড়ার আনন্দ কিন্তু এমনিতেই সবথেকে বেশি আনন্দের হয়। আসলে ওটিতে নিয়ে যাওয়ার সময় যে কেউ ই ভয় পাবে। তেমনি আপনারও ভয় লেগেছিল অনেক বেশি। তবে আপনার ভাগ্নি নিজে নিজেই বেরিয়ে আসছিল হেঁটে এটা জেনে আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে। আসার সময় আপনি এবং ভাইয়া রিক্সায় করে এসেছিলেন এটা জেনে ভালো লেগেছে। অনেক ভালো সময় কাটিয়েছিলেন আসার সময় দেখে বুঝতে পারছি।
হ্যাঁ আপু ওটির নাম শুনলে আমারও ভয় করে । আর ভাগ্নি না ভাগ্নের সুন্নতে খাৎনা ছিল। রিকশায় ঘুরতে আসলেই অনেক ভালো লেগেছিল ।
রিকশায় করে ঘুরোঘুরি করলে একটু শান্তি শান্তি লাগে। আপু আপনি শান্তিমত একটু ঘুরতেও পেরেছেন যেনে খুশি হলাম। একদমই ঠিক বলেছেন ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই বৃষ্টি। এবার অনেকেই কোথাও ঘুরতে পারেনি। আমিও তেমন একটা ঘুরতে পারিনি। ছবি গুলো বেশ সুন্দর ক্যামেরা বন্দি করেছেন।
অনেকদিন পরে ঘোরার ইচ্ছাটা পূরণ হয়েছে এজন্য সত্যি একটু শান্তি লেগেছিল ।
আপু আপনি তো দেখছি রিক্সায় চড়তে অনেক বেশি পছন্দ করে। দূরের রাস্তায় এভাবে রিক্সায় করে চড়ার মধ্যে কিন্তু অন্যরকম অনুভূতি রয়েছে। আপনার হাজব্যান্ড আপনাকে না জানিয়ে রিকশা ঠিক করে নিয়েছিল বাসায় আসার জন্য। আর আপনার কাছেও ভালো লেগেছিল রিক্সায় করে বাসায় আসতে। যেহেতু অনেকটা পথ তার জন্য আরও বেশি ভালো লেগেছিল বুঝতে পারলাম। দুজনে দুই কাপ চা খেয়েছিলেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে, এটা জেনে তো আরো বেশি ভালো লেগেছে।
আমি যত দূরের রাস্তাই হোক না কেন আগে রিক্সায় আসার চিন্তা-ভাবনা করি পরে যদি রিক্সা না পাওয়া যায় তখন অন্য ব্যবস্থা করি । আমার কাছে খুবই ভালো লাগে রিকশায় করে ঘুরতে । আবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে টং দোকানে চা খেতেও ভালো লাগে ।
আসলে ছোট বাচ্চা ছেলেদের সুন্নতে খাতনা দেওয়ার সময় তাদের আপনজন পাশে থাকাটা খুবই জরুরী। যাহোক ,আপনার হাজবেন্ডের সাথে রিকশায় চড়ার মুহূর্তটুকু নিশ্চয়ই খুবই আনন্দের ছিল। আসলে রিক্সায় চড়ার মধ্যে বেশ আনন্দ রয়েছে। আর ভালো লাগলো যে, আপনার পছন্দকে আপনার হাজব্যান্ড যথার্থভাবে মূল্যায়ন করেছে। রিকশায় চড়ার দারুন মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।