হঠাৎ বার্গার খেতে যাওয়া,10%shy-fox

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।



Picsart_22-08-16_00-26-42-137.jpg

আজ আমি এসেছি হঠাৎ করে বার্গার খেতে যাওয়ার মুহূর্তটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। আজ আমাদের কোন ইচ্ছায় ছিল না বাইরে যাওয়ার ।দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে দুজনে মিলে একটু শুয়েছি রেস্ট নেওয়ার জন্য আর বাচ্চা গিয়েছে পাশের বাসায় আমার বাচ্চা তো সব সময় পাশের বাসায়ই থাকে। বাচ্চা পাশের বাসা থেকে হঠাৎ করে এসে কান্না শুরু করেছে মা বাইরে যাব বাইরে যাব কিছুতেই তাকে বোঝানো যাচ্ছে না যে এখন বাইরে যাওয়ার দরকার নেই।
এমনিতেই বাচ্চাটার শরীরটা তেমন একটা ভালো নয় আজ কদিন আগে জ্বর থেকে উঠেছে এবং আজ দু তিন দিন ধরে খুব ঠান্ডা কাশি তারপরও বাচ্চা বায়না ধরেছে বাইরে যাব থামতে বলে দেখি সে কান্না শুরু করে দিয়েছে। বাচ্চার কান্না দেখে বাচ্চার বাবা বলল চলো তাহলে বাইরে থেকে ঘুরে আসি বাচ্চা কে নিয়ে যেতে চাইলে বাচ্চা কোনমতেই আমাকে ছাড়া বাইরে যাবে না আমার সাথে যেতে হবে। কিন্তু আমার মোটেও ইচ্ছা করছে না বাইরে যেতে তখন কি আর করার বাধ্য হয়ে বাচ্চার কান্না থামাতে বাইরে গেলাম।
ও বারবারই বলছে যে মার্কেটে যাব কিছু কেনাকাটা করতে ।আমাদের বাসার নিচতলাতে বড় শপিং মল আছে সেখান থেকেই বাচ্চা খেলনা কিনে। আজকে ১৫ই আগস্ট দেখে শপিংমল বন্ধ তখন বাচ্চাকে বললাম যে আজ তো কিছু কেনাকাটা হবে না চলো পার্কে থেকে ঘুরে আসি, কিন্তু বাচ্চা কিছুতেই পার্কে যেতে রাজি হচ্ছে না ।তার পরেও বলে কয়ে নিয়ে গেলাম নিচে। নিচে যাওয়ার পরও বারবার জিজ্ঞেস করছে আমরা কোথায় যাচ্ছি ।তারপর রিক্সায় উঠতেই তার মনটা কিছুটা ভালো হলো। কিন্তু যখনই পার্কের ভিতরে ঢুকেছি তখন আর তার ভালো লাগছে না দাঁড়িয়ে আছে ।রমনা পার্ক আমাদের বাসার পাশেই হাঁটাহাঁটি করার জন্য পারফেক্ট একটি জায়গা। বাচ্চা তো আর হাঁটবে না তখন তাকে বললাম যে ঠিক আছে আমরা এখান থেকে যাওয়ার পথে রেস্টুরেন্টে যাব। সেই থেকে তার বায়না কখন যাব রেস্টুরেন্টে । তারপর অনেক ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যার পরে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে চলে এলাম রেস্টুরেন্টে। এখন আমরা রেস্টুরেন্টে কাটানো মুহূর্তটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

20220816_002504.jpg

রেস্টুরেন্টের নাম বার্গার এক্সপ্রেস এটা আমাদের বেইলিরোড এর নাম করা একটি রেস্টুরেন্ট। এখান থেকে আমরা ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের বার্গার অনলাইনে ফুডপান্ডের মাধ্যমে অর্ডার করে খেয়ে থাকি। বিশেষ করে এখানের নাচোস আমার কাছে অসাধারণ টেস্ট লাগে। আমি তো দুই এক দিন পরপরই বাসায় বসেই খাই। কিন্তু এখানে ঢোকার পরে আমার একটা জিনিস দেখে খুবই অবাক লেগেছে রেস্টুরেন্টে যেমন নামকরা সে আন্দাজে ভেতরে একেবারে জায়গায় নেই একেবারে ছোট্ট জায়গা বসার জন্য ।লোকজন এসে দাঁড়িয়ে থাকে কিন্তু বসার সিট দিতে ওরা পারে না। রেস্টুরেন্টে অনেক ভিড় লেগেই থাকে একজনের উপরে আর একজন দাঁড়িয়ে থাকে কখন একজন উঠবে আর একজন বসবে।

20220816_002431.jpg

20220816_002251.jpg

উপরের ছবি দুটো আমি খাবার অর্ডার দিয়ে যখন ফ্রি বসে ছিলাম তখন তুলেছি। কিছুটা দেখতেই পাচ্ছেন লোকজনের কতটা ভীড় ।আর দেয়ালে সুন্দর সুন্দর ছবি টানানো আছে যেগুলো দেখতে ভালই লাগছিল।

20220816_002418.jpg

20220816_002203.jpg

20220816_002145.jpg

20220816_002133.jpg

20220816_002051.jpg

আমরা অর্ডার করেছিলাম চিকেন নাচোস, বিফ কেরামেল মাসরুম বার্গার, ফ্রেন্স ফ্রাই ও কোল্ড ড্রিংকস।

20220816_002452.jpg

এখানে চিকেন নাচোস এর প্রাইস ছিল ১৭৮ টাকা,ফ্রেন্স ফ্রাই ১০৩ টাকা, বার্গার ৩৭৮ টাকা, কোল্ড ড্রিংকস ৪২ টাকা। সর্বমোট বিল এসেছিল ১১৬৪ টাকা ।এখানে খাবারের দাম গুলো ভালই মোটামুটি রিজেনেবল ছিল। কিন্তু আগেই বলেছিলাম রেস্টুরেন্টটা প্রচন্ড পরিমাণে ভিড় ছিল ।একজনের ঘাড়ের উপরে আর একজন দাঁড়িয়ে থাকে তাই যখন বিলটা দিল তখন আমরা চেক না করে টাকাটা দিয়ে বাসায় চলে এসেছি। বাসায় আসার পরে দেখলাম যে বিলে ৪২ টাকা আমাদেরকে বেশি ধরা হয়েছে যেটা আমরা খাইনি ।কিন্তু কি আর করার আমরা বিল না দেখেই দিয়ে দিয়েছি এখন আর কিছু করার ছিল না।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus
ছবির লিঙ্ক

Link

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Sort:  
 2 years ago 

রমনা পার্ক আসলে হাঁটার জন্য একদম উপযুক্ত একটি জায়গা আপু । এর ভিতরে এরিয়া অনেক বড় । বেইলিরোডের পাশে রেস্টুরেন্টে অনেক ভালো ‌। মনে হয় দেখেছি আমি একবার , খাবারের মান ও ভালো । আপনার বাচ্চা তাহলে খুশি হয়েছে । এখন আশা করি ভালই আছে ।

 2 years ago 

আসলে মাঝে মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়া দরকার।আর রেস্টুরেন্টে খেতে তো মোটামুটি সবার পছন্দের তালিকায় আছে।আমরাও গতকাল রমনা পার্কে ঘোরাঘুরি শেষ করে বেইলি রোড একটা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করি। বার্গার এক্সপ্রেস রেস্টুরেন্টে টাও আমার কাছে ভালো লাগে। মাঝে মধ্যে গিয়ে বার্গার খাওয়া হয়। রেস্টুরেন্টে ছোট হলেও পরিবেশ টা আমার কাছে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু মূহূর্ত ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

বাচ্চাদেরকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া আসলেই ভালো তবে সে তো প্রতিদিনই বায়না ধরে। আর বেইলিরোড এর রেস্টুরেন্টএর কথা নাইবা বললাম এখানকার যেকোনো রেস্টুরেন্ট এর খাবারই দারুন মজাদার।

 2 years ago 

মাঝে মাঝে আসলে বাচ্চারা বেশ বায়না ধরে,কোন কিছুতেই মানানো যায় না।বেলিরোডের ফাস্টফুডের স্বাদই আলাদা। আমার কাছেও নাচস খেতে ভালোই লাগে।যাই হোক অবশেষে ৪২ টাকা বেশি দিয়ে আসলেন।মাঝে মাঝে এমন ভুল হয় আসলেই।

 2 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন আপু মাঝে মাঝে বাচ্চারা এমন বায়না বায়না ধরে যে বাধ্য হয়েই বাইরে যেতে হয় ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 
আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে খাবারগুলো খুবই ফ্রেশ। খেতেও নিশ্চয়ই ভাল ছিল। নাচোস আমার খুব পছন্দ। আপনার ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে রেস্তোরাঁর পরিবেশও ভাল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
 2 years ago 

বাচ্চারা জীদ ধরলে আর কিছু করারই থাকে না। তবে মাঝে মাঝে ওদেরও বাইরে নিয়ে যাওয়া লাগে। দারুণ ছিল আপু আপনাদের সময় টা। মাসরুম বার্গার নাচোস ফ্রেন্স ফ্রাই সবমিলিয়ে দারুণ ছিল খাবারগুলো।।

 2 years ago 

হঠাৎ বার্গার খাওয়া মুহূর্ত টাই আলাদা আপনি রেস্টুরেন্টে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আমার। বার্গার খাওয়ার ইচ্ছাটা জেগে উঠলো আমার অনেকদিন বার্গার খেতে যাওয়া হয়নি রেস্টুরেন্টে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আপু প্রথমে বলবো রেস্টুরেন্টের পরিবেশ টা বেশ সুন্দর ছিল ৷যদিও আপু এখনো আমি বার্গার খাই নি ৷কারন আমাদের এই দিক তেমন বড় কোনো রেস্টুরেন্টে নেই ৷আসলে গ্রামের পরিবেশ বুঝে নি ৷তবে আপনার বার্গার খাওয়ার মূহুর্ত টা বেশ সুন্দর ছিল ৷ইচ্ছে আমরা কোনো একদিন শহরে গিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে বার্গার খাওয়ার

 2 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া রেস্টুরেন্ট এর পরিবেশটা আসলেই অনেক ভাল ছিল। আপনি এখন পর্যন্ত কোন বার্গার খাননি তাহলে অবশ্যই একদিন খেয়ে দেখবেন বার্গার খেতে দারুন মজার ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

যে কোন কাজই হঠাৎ করে করতে অনেক বেশি ভালো লাগে এই যেমন ধরুন আপনি হঠাৎ করেই বার্গার খেতে গিয়েছিলেন। ঠিক তেমনি ভাবে কোন কিছু হঠাৎ করে হয়ে যাওয়া বা করতে যাওয়ার মধ্যে অন্যরকম একটি আনন্দ আছে। সুন্দর এই মুহূর্তে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

দেখে তো মনে হচ্ছে বার্গার খেতে গিয়ে দারুন একটি মুহূর্ত অনুভব করেছেন। আমার কাছে তো অসাধারণ লেগেছে আপনার আজকের এই বার্গার খাওয়ার মুহূর্ত পোস্ট দেখে। খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এই পোস্ট। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59452.12
ETH 2603.11
USDT 1.00
SBD 2.39