আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করতে হাজির হয়ে গিয়েছি । প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু শেয়ার করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে । তবে প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু শেয়ারের চক্করে কোথায় কি আছে সেটা দেখতে দেখতে সারাদিন চলে যায় ।কিভাবে কি করা যায় সেটা ভাবতে ভাবতে সময়টা কোথা দিয়ে যে চলে যায় টেরই পাওয়া যায় না । শীতের দিন চলে এসেছে ইদানিং চোখের নিমিষে দিন টা কোথা দিয়ে চলে যায় বোঝাই যায় না ।তারপরও আমরা চেষ্টা করি যাচ্ছি নিয়মিত নতুন নতুন ব্লগ শেয়ার করার জন্য ।

আজকে আমি প্রকৃতির অপরূপ কিছু সৌন্দর্য আশেপাশ থেকে তোলা সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব । বেশ কিছুদিন আগে কিশোরগঞ্জ ঘুরতে গিয়েছিলাম । কিশোরগঞ্জ এরিয়াটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে । আশেপাশে অনেক সবুজ প্রকৃতি যা আমাদের চোখে পড়েছিল যেটা আসলে চোখে লেগে থাকার মত । আমাদের বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি এত সুন্দর যা অন্যান্য দেশের সৌন্দর্যকে যেন হার মানায় ।এরকম সবুজ প্রকৃতি শুধু বাংলাদেশেই মনে হয় রয়েছে । আমাদের বাংলাদেশে ঘোরার মত অসংখ্য সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে । আমরা যদি সময় সুযোগ করে সেখানে ঘুরতে পারি তাহলে সুন্দর সুন্দর জায়গা গুলো আমরা দেশের ভিতরেই দেখে নিতে পারি । সবুজ প্রকৃতির ছবিগুলো আসলে ক্যামেরাবন্দি করে দেখানো যায়না চোখে যেটা দেখা যায় সেটার কোন তুলনা হয় না ।তারপরও আমি চেষ্টা করেছি অল্প কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করার ।

প্রথম যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন দুটো নারিকেল গাছ একেবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ফাঁকা মাঠের ভিতরে । এরকম দুটো নারকেল গাছ দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল । ছবিটা ঠিক একেবারে বিকেলবেলা তোলা হয়েছে । মনে হচ্ছে মা ও বাচ্চা দুটো গাছ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ।

এখানে কিছু কলা গাছের ছবি দেখা যাচ্ছে । তার পেছনে পুকুরে কচুরিপানা ফুল দিয়ে ভরা ছিল । আমরা যখন কিশোরগঞ্জে যাই তখন ট্রেনে করে এরকম আশেপাশে অনেক পুকুর দেখেছি যেখানে পুকুর ভর্তি কচুরিপানা ফুল দিয়ে ভরা রয়েছে । মনে হয়েছিল ট্রেনটা যদি থামত তাহলে কিছু ছবি তোলা যেত এবং কাছ থেকেও দেখতে পারতাম । তারপরও আমি চলন্ত ট্রেন থেকে কিছুটা হলেও তোলার চেষ্টা করেছি ।

কিশোরগঞ্জ আমরা যে গ্রামে গিয়েছিলাম সেই গ্রামটার ভেতরে মসজিদ মাদ্রাসা ছিল এগুলো খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়েছে । এটি একটি মাদ্রাসার ছবি দেখুন কত সুন্দর ভাবে মাদ্রাসা তৈরি করা হয়েছে । এখানে অনেক এতিম বাচ্চারা থাকার সুযোগ পায় যেটা আসলে অনেক ভালো লেগেছে ।

গ্রামের ভিতরে রাস্তার পাশে খুব সুন্দর একটি সিঁড়ি বাঁধানো বড় একটি পুকুর ছিল সেই পুকুরের পানি একেবারে দেখুন কতটা স্বচ্ছ এবং ঝকঝকে ছিল । যেটা দেখে আমারই মনে হচ্ছিল পুকুরের পানিতে নেমে পড়ি ।উপরে আকাশ নিচে পানি পানির ভিতরে আকাশ ও গাছপালার ছবি পড়েছে দেখতে খুবই ভালো লেগেছিল ।আমার ছেলেটা তো এরকম বাঁধানো পুকুর দেখে খুবই খুশি হয়েছে সে একেবারে পারলে নেমেই পরে পানিতে ।ওর বাবার সাথে যতটুকু পেরেছিল নেমে পানি ধরার চেষ্টা করেছিল ।

এখানেও দেখতে পাচ্ছেন পুকুরের ভিতরে কত কচুরিপানা ফুল ফুটে রয়েছে । দূর থেকে তেমন একটা বোঝা যাচ্ছে না তবে সারা পুকুরটা একেবারে ফুলে সাদা হয়েছিল ।

কিশোরগঞ্জ থেকে নিকলীতে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে এরকম কতগুলো রেস্টুরেন্ট দেখতে পেয়েছিলাম ।একেবারে পানির মাঝখানে দূরে কত সুন্দর করে রেস্টুরেন্ট গুলো তৈরি করা হয়েছে আমার কাছে দেখে খুবই ভালো লেগেছে । এরকম একটা রেস্টুরেন্ট আমরা খেয়েওছিলাম ।

এই ছবিটা আমি চলন্ত ট্রেন থেকে তোলার চেষ্টা করেছি সবুজ প্রকৃতি দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে । তার যতটুকু পেরেছি ছবির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ।