আজকে আমি আবার আপনাদের সময় নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে অনেকদিন পরে আপনাদের সাথে এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব । এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে । সবাই যখন সুন্দর সুন্দর ছবি শেয়ার করে তখন সেই ছবিগুলো দেখতে খুব ভালো লাগে । আমার নিজেরও এ ধরনের ছবিগুলো শেয়ার করতে খুব ভাল লাগে । আর সবার ছবি দেখে অনেকটা আইডিয়া নেওয়া যায় কি ধরনের ছবি শেয়ার করা যায় । আর এরকম এলোমেলো ফটোগ্রাফি মাধ্যমে একসাথে অনেক ধরনের ফটো দেখা যায় । কিছু কিছু ফটো আছে গ্রামগঞ্জের প্রাকৃতিক দৃশ্য নিয়ে তোলা সেই ছবিগুলো দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে । আমরা যারা শহরে বাস করি তারা তো গ্রামের সবুজ প্রকৃতি খুব মিস করি এজন্য অন্যের ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সেই ছবিগুলো আমরা উপভোগ করার চেষ্টা করি । আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো ছবি শেয়ার করছি ।

প্রথম ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফুল ও গাছপালার ছবি । এই ছবিটি অনেকদিন আগে রমনা পার্কে গিয়ে তুলেছিলাম । তখন শীতকাল ছিল শীতকালে রমনা পার্কে গেলে অনেক ভালো লাগে । চারিদিক দিয়ে ফুলের ছড়াছড়ি বিভিন্ন ধরনের ফুল তখন দেখতে পাওয়া যায় । কিছু কিছু ফুল রয়েছে যেগুলোর নাম আমরা জানি না কিন্তু সুন্দরভাবে ফুটে থাকে চারদিকে একেবারে রঙিন করে রাখে দেখতে খুব ভালো লাগে । এখানে দেখতে পাচ্ছেন লাল কালারের কিছু ফুল নিচে চারিদিক দিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আবার মাঝখানে একটি সবুজ গাছ এবং সেই গাছ ভর্তি সাদা ফুল ফুটেছে । এ ফুল গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে তবে এ ফুলের নাম আমি জানিনা । দূর থেকে দেখতে খুবই ভালো লেগেছিল আমার কাছে । রমনা পার্কে এ ধরনের গাছগুলো অনেক রয়েছে ।

এই ছবিটা রমনা পার্কের গেটের সামনে থেকে তুলেছি । আমরা যখন পার্কে ঢুকি তখন এই গেটটা দিয়ে আমরা ঢুকি । অন্যান্য সময় এই গেটটা বন্ধই থাকে । আর যখন মানুষের চলাচল হয় তখনই রমনা পার্কে গেটের সামনে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার দাবার এবং খেলনার দোকান বসে । মানুষ জন পার্কের ভিতরে অনেক হাঁটাহাঁটি করে ব্যায়াম করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং বাইরে যখন বের হয় তখন এখানে ডাব বিক্রি করে এবং বিভিন্ন পানীয় জাতীয় জিনিস বিক্রি করতে থাকে । মানুষজন এখানে দাঁড়িয়ে খেয়েদেয়ে একটু আরাম পায় । ভালোই লাগে এই জায়গাটা আমার কাছে ।

অনেকদিন আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছিলাম । রাতের বেলা সেখানে দেখলাম যে লম্বা লম্বা অনেক ধরনের গাছ রয়েছে । এই গাছগুলো দেখতে ভালই লাগছিল । এই গাছের ভিতর দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে যার কারণে লোকজন এখান দিয়ে হাটাহাটি করতে পারে এবং দেখলাম অনেক লোকজন গাছের গোড়ায় গোড়ায় বসে বসে আড্ডা দিচ্ছে । দূর থেকে অন্ধকারে দেখতে ভালোই লাগছিল । মাঝে মাঝে অনেক আলো পড়েছে যার কারণে জায়গাটা অনেক ভালো লাগছিল দেখতে ।

এখানে দেখতে পাচ্ছেন অনেক ধরনের পাথর রয়েছে এবং এ পাথরের ভিতর দিয়ে পানি থাকে সবসময় । আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন যদিও পানি ছিল না শুকনা ছিল । তবে রাতের বেলা লাইটের আলোতে পাথরগুলো চকচক করছিল পানি আছে কিনা দূর থেকে বোঝা যাচ্ছিল না । দেখতে খুব ভাল লাগছিল । এইজন্য ছবিটা তুলে নিয়েছি। এটাও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে তুলেছি ।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় দেখলাম যে এরকম একটা ভ্যানে করে বেগুনি পেঁয়াজু ও বিভিন্ন ধরনের ভাজা জাতীয় আইটেম বিক্রি করছে । লোকজন রাতের বেলাও এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এগুলো খাচ্ছে । এগুলো এমন একটা খাবার যে দেখলেই খেতে মন চায় । আর চার দিক দিয়ে ভাজার গন্ধ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে যার কারণে খাওয়ার প্রতি আরো বেশি আগ্রহ জাগে ।

এ আকাশের ছবি দুটি সেদিন বসুন্ধরা মার্কেটে যাওয়ার সময় জ্যামে বসে তুলেছিলাম । সূর্যটা ঠিক মাথার উপরে ছিল ব্যাগের ভিতর থেকে ফোন বের করে ছবি তুলতে তুলতে সুর্যটা মেঘের আড়ালে লুকিয়ে গেল । আবার কিছু সময় অপেক্ষা করার পরে দেখলাম যে সূর্যটা আবার একটু মেঘের ভিতর থেকে উকি দিচ্ছে সেই সুযোগে ছবি দুটো তুলে নিয়েছি ।

এই ছবিটা অনেকদিন আগে তোলা । শীতের সময় বই মেলায় গিয়েছিলাম যেতে যেতে প্রায় সন্ধ্যা পার হয়ে গিয়েছিল আকাশে দেখলাম চাঁদ উঠেছে । গাছের ফাঁকা দিয়ে চাঁদটা কোনরকমে দেখা যাচ্ছিল রাস্তার জ্যামে বসে এই ছবিটা তুলে নিয়েছিলাম ।