সন্তান আল্লাহর বড় নিয়ামত পর্ব:২
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করতে চলে এসেছি । আজকে আমি আবার একটি গল্প শেয়ার করতে চলে এসেছি । বেশ কয়েকদিন আগে আমি একটি গল্পর প্রথম অংশ শেয়ার করেছিলাম সেটির দ্বিতীয় অংশ নিয়ে আজকে হাজির হয়েছি । আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ঘটনা আমরা দেখে থাকি । এর ভেতরে কিছু কিছু ঘটনা আমাদের হৃদয়কে নাড়া দিয়ে যায় তার ভিতর থেকে কিছু যদি আমরা গল্প আকারে লিখি তাহলে সেটা ছোটখাটো একটা গল্পই হয় । আমিও সেভাবে চেষ্টা করেছি একজনের জীবন কাহিনীর কিছু অংশ সংক্ষিপ্ত পরিসরে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে ।গত পর্বে শেষ করেছিলাম পিংকির অনেক কষ্ট হচ্ছিল এবং সেটা দেখে তার জা তাকে রেস্ট নিতে বলে আজকে তার পরের থেকে শুরু করছি ।
কিছুক্ষণ রেস্ট নেওয়ার পর একটু ঠিক হলে আবার সে চলে আসে রান্না করতে । কারণ রান্না সবাই খাবে সেই কথা ভেবেই সে আবার কষ্ট করে যায় কিন্তু সে কোন রকমে সবকিছু রেডি করে দিয়ে অন্যদের দেখতে বলে চলে আসে । এমনিতেই শরীরটা বেশি ভালো ছিল না । পিংকি ভেবেছিল যে ঈদের পরে ঢাকাতে গিয়ে ডাক্তার দেখাবে কিন্তু শরীরটা সেখানে অনেকটাই খারাপ হয়ে যায় । এর ভিতর গ্রামের এক চাচি তাকে দেখে বলে যে তুমি তো প্রেগন্যান্ট । পিংকি কিছুতেই সেটা মানে না কারণ বলে যে আমি তো অসুস্থ প্রচুর পরিমানে ওষুধ খাচ্ছি আর প্রেগন্যান্ট হলে এতদিনে আমি তো বুঝতাম ।কিন্তু সেই গ্রামের চাচি বারবারই বলছিল তুমি প্রেগন্যান্ট । তার আশেপাশে অন্যরা সবাই বলছিল চাচি যখন বলছে তাহলে তুমিই টেস্ট করে দেখতে পারো । কারণ চাচি অনেক সময় একজনের মুখ দেখেই বলে দিতে পারে অনেক কিছুই ।
তখন পিংকি বাধ্য হয়ে একটা কিট এনে পরীক্ষা করে দেখে এবং সেখানে নেগেটিভ আসে । কিন্তু তারপরও তার শরীরটা অনেকটাই খারাপ হতে থাকে এবং সে অনেক বেশি অসুস্থ বোধ করে । এরপর সে তার মাকে ফোন করে সবকিছু জানায় তার মা তাকে বলে যে তুমি তাড়াতাড়ি চলে এসো ডাক্তার দেখাতে হবে । পিংকি তাড়াতাড়ি করে পরের দিনে চলে আসে এবং এখানে এসে ডাক্তারের কাছে চলে যায় । ডাক্তার তাকে ভালো করে পরীক্ষা করে দেখে এবং তার সেলাইয়ের জায়গাটা দেখে বলে যে ভারি কিছু উঁচু হওয়ার কারণে তো সেলাইটা ছিড়ে যাওয়ার কথা কিন্তু কিছু তো হয়নি । আমার কাছে তো মনে হচ্ছে অন্য সমস্যা আছে । তুমি তাড়াতাড়ি গিয়ে একটা টেস্ট করে আসো ।
আলট্রাসনোগ্রাম করে এবং দেখতে পারে যে সে পাঁচ মাসের প্রেগনেন্ট অথচ সে এই কদিনে একটুও বুঝতে পারেনি । তার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকার কারণে সে নানা ধরনের এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়েছে যার কারণে সে আমলে নেয়নি । তার প্রেগনেন্ট জনিত কোন সমস্যা হয়নি তাই সে বুঝতেই বুঝতেই পারেনি ।
এ কথা শোনার সাথে সাথে সে একেবারে ওখানেই কান্না করে দেয় কারণ এতদিন হয়ে গিয়েছে অথচ আমি টেরই পাইনি ।কিন্তু আমি এর ভিতরে অনেক পাওয়ারফুল ওষুধ খেয়ে ফেলেছি ।এখন আমার কি হবে । তখন সে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে এবং ডাক্তার সব কিছু পরীক্ষা নিক্ষেপ করে বলে যে আপনার বাচ্চা ভালো আছে । কিন্তু সে কিছুতেই এই বাচ্চা রাখতে রাজি হয় না ।
চলবে.......
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
সন্তান আল্লাহতালার যে কত বড় নেয়ামত যে দম্পতি সন্তান আজও হয়নি সে বুঝতে পারে এর বিষয়। আমার জানাশোনা একজন আর প্রায় ৩০ বছর পর একটা সন্তান হয়েছিল। গ্রামের মানুষ বিভিন্ন সময় কাজের চাপে নিজের অনেক কিছুই খেয়াল করতে পারে না। তবে যেহেতু পিংকির পাঁচ মাসের বাচ্চা অথচ সে সেটা কখনো বুঝতেই পারে নাই। আবার যখন সে বুঝতে পারলো ডাক্তার যখন বলল তার সন্তান ভালো আছে, তখন সে সন্তান রাখবে না। নিয়তির খেলা বোঝাটা বড় দায় কেউ পায় না কেউ পেয়ে রাখতে চাই না।
অনেক সময় এমন হয় যে মানুষজন বুঝতেই পারে না যে তার বাচ্চা হবে অনেক পরে যেয়ে বুঝতে পারে তখন আর কিছুই করার থাকে না ।