কোনো এক বিকালের কিছু মুহূর্ত,10shy-fox
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
এখন প্রচন্ড পরিমাণে গরম পরছে এই গরমে বাইরে যাওয়া একেবারে দুরূহ ব্যাপার। একেবারে প্রয়োজন না পড়লে বাইরে না যাওয়াই ভালো। আজ কদিন ধরে একেবারে গরমের জন্য ঘরে বন্দি হয়ে আছি বাইরে যাওয়াই হচ্ছেনা টুকিটাকি কাজও জমে গিয়েছে, তাই ভাবলাম কি যাই বাড়ি থেকে একটু কাজ সেরে আসি। আবার একটু বৃষ্টি বৃষ্টি ভাব হয়েছে একটু ঠাণ্ডাও হয়েছে ।
বাচ্চাকে নিয়ে তিনজন মিলে চলে গেলাম বাইরে কাজগুলো সারতে। নিচে গিয়ে কিছুটা কাজ সেরে পড়ে মনে হল গরম একটু কম আছে বেইলি রোড থেকে একটু ঘুরে আসা যাক। অনেক দিন হলো বেইলি রোডে যাওয়া হয় না তাই চলে গেলাম বেইলি রোডে।বেইলি রোডটা আমাদের বাসার পাশে এখানে ঘোরাঘুরি করার জন্য এবং শপিং করার জন্য কিংবা ভালো কোন রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার জন্য একেবারে পারফেক্ট জায়গা। আমাদের দূরে কোথাও যেতে হয় না বাসা থেকে শুধু কয়েক কদম হাঁটলেই চলে যাওয়া যায়। তারপরে রাস্তার পাশে বসে ফুচকা খাওয়ার কথা নাইবা বললাম। এখানে হরেক রকমের ফুচকার দোকান আছে বেশ কিছুদিন হল ফুচকা খাওয়া হয়না কিন্তু এই গরমের ভেতরে ফুচকা খাওয়ার কথা চিন্তাই করলাম না। তারপরও বেইলি রোডে গিয়ে কিছু না খেলে কি হয় বলেন। সেখানে গিয়ে টুকিটাকি কিছু কেনাকাটা করলাম গেঞ্জি প্যান্ট এগুলোই কেনার ছিল সব সময় বাসায় পড়ার জন্য।
কেনা হয়ে যাবার পরে বাচ্চাটার একটা রেস্টুরেন্ট দেখালো।বেইলি রোডে বাচ্চা রেস্টুরেন্টে যাবে না এটা তো কখনো চিন্তাই করা যায় না। তারপরে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে তাকে বলার পরে সে ছোট্ট একটা রেস্টুরেন্টে এর মত নাম কফি লাইম ওখানে যাবে পরে দেখলাম যে যাক ভালই হয়েছে এই গরমে ভিতরে ওটাই একদম পারফেক্ট ।সেখানে বিভিন্ন অনেক কিছু পাওয়া যায় মনে ঠান্ডা জাতীয় জিনিস সেটা দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। কারণ এই গরমে ভিতরে ওখানে বসে জুস খেতে কার না ভালো লাগবে বলুন। ঠান্ডা জাতীয় কিছু গরমের ভিতর খেতে ভালো লাগে। তার পর ওই দোকানটাও অনেক নামকরা ফুডপান্ডা সব সময় দেখি ওখান থেকে একবার ঘরে বসে ভেবেছিলাম কিছু খাবার অর্ডার দেই পরে আর দেওয়া হয়নি ।আজ সামনা সামনি বসে খেয়ে আসলাম এখন কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।এত ভিড় ছিল যে ছবি তোলার মতো অবস্থায় ছিলো না কোনো রকমের একটু জায়গা পেয়েছিলাম আমি আমার বাচ্চা বসেছিলাম আর বাচ্চার বাবা দাঁড়িয়ে ছিল ।
এখন যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এই ছবিটি ক্যাফের বাইরে দাঁড়িয়ে তুলেছি। ক্যাফেতে নাম টাও তুলতে পারিনি এতটা ভিড় ছিল। ক্যাফের নাম ছিল কফিলাইম। এখানে বিভিন্ন ধরনের পানীয় জাতীয় জিনিস পাওয়া যায় এখানে কিছু কিছু নাম রয়েছে তাছাড়া আরও অনেক কিছু রয়েছে যেগুলো তোলা বাকি রয়ে গেছে।
এখন যে ছবিটা দেখছেন এ তিনটি খাবার অর্ডার দিয়ে আমরা অপেক্ষা করছিলাম তখন ছবিটি তোলা হয়েছে। এখানে খাবারের প্রিপারেশন করা হচ্ছে ছোট্ট একটা ক্যাফের ভিতর তিন চারজন লোক কাজ করছে তারপরও দিয়ে কূল পাচ্ছে না।
আমরা দুইটা মিন্ট লেমন ও একটা ওরিও মিল্কশেক অর্ডার দিয়েছিলাম খেতে খুবই মজার ছিল বিশেষ করে মিন্ট লেমন খেতে খুব ভালো লাগে আমার কাছেএই গরমের ভিতর। তিনটা মিলে মোট মূল্য হয়েছিল ২৪০ টাকা।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।
240 টাকা ব্যয় করে আপনি মিল্কশে, মেন্ট লেমন জুস খেয়ে আপনার যে অনুভূতি আমাদের মাঝখানে শেয়ার করেছেন তা পড়ে সত্যিই খুব অভিভূত হলাম। আপনি আপনার দিনটি খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছেন আপনার সঙ্গীদের সাথে। এরকম দিন আপনার জীবনে বার বার আসুক দোয়া করি আপু
এখানে খাবারের দাম গুলো একটু রিজেনেবল আছে জুস জাতীয় জিনিস তো এজন্য একটু কম দামেই পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত গরমে সবাই অস্থিরতা বোধ করে। কার কাছেই বা ভালো লাগে কাজ জমে থাকলে। তবুও নিজের কাজগুলো নিজেকে করে নিতে হয়। শেষ পর্যন্ত তিনজনে মিলে বেরিয়ে পড়লেন এবং নিজের প্রয়োজনমতো মার্কেটিং করলেন। শেষ পর্যন্ত কপি লাইম, ড্রিংকস পান্ডাতে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং নিজের পছন্দের খাবারটি খেয়েছেন। এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আসলেই অতিরিক্ত গরমে আমাদের সত্যিই অস্থির লাগে আর বাইরে গিয়ে এরকম ঠান্ডা জাতীয় কিছু শেষ পর্যন্ত খেতে পারলে আসলে অনেক ভালো।
আপনার এই ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে বিকেলে অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন। কিছু কিছু বিকেল আমাদের জীবনে সত্যিই অনেক সৌন্দর্য মন্ডিত করে তোলে আমিও মাঝে মাঝে এরকম বন্ধুদের সঙ্গে সুন্দর বিকেল অতিবাহিত করি। আপনার মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ছবিগুলো তো ভিড়ের কারণে তেমন একটা ভালো তুলতে পারেনি তবে সময়টা আসলেই অনেক ভালো ছিল।
গরমের মধ্যে ঠান্ডা জাতীয় ড্রিংক্স খেতে অনেক শান্তি লাগে। ভালই ঘুরাঘুরি করেছেন সেই সাথে কেনাকাটাও করেছেন। ছবিগুলো দেখে ভাল লাগল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
ঠিকই বলেছেন ভাই এই গরমে এই রকম ঠান্ডা জাতীয় জিনিস খেতে সত্যি ভালো লাগে। কেনাকাটা করে ক্লান্ত হয়ে গেলে এরকম কিছু খেলে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।