কৈ মাছ ভুনা রেসিপি,10% beneficiary to @shy-fox
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে এখন ভালোই আছি। কয়েকটি দিন আমরা অনেক টেনশনে ছিলাম কারন আমার ছোট বোন খুবই অসুস্থ ছিল এখন আল্লাহর রহমতে ও সবার দোয়ায় আগের থেকে একটু ভালো আছে। আর অতিরিক্ত টেনশনে আমার এমন অবস্থা হয় যে তখন আমি কিছুই করতে পারি না। তাই আমি কয়েকটা দিন কোনো পোস্ট দিতে পারি নাই।
আজ আমি আপনাদের সাথে আবার আরো একটি রান্না শেয়ার করতে চলে এলাম।আর সেটি হলো কৈ মাছ ভুনা রেসিপি। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| কৈ মাছ | ৪পিছ |
| কাটা পেঁয়াজ | ১/২কাপ |
| মরিচ | ৩পিছ |
| আদা বাটা | ১/২চা চামচ |
| পেঁয়াজ বাটা | ৪টেবিল চামচ |
| রসুন বাটা | ১/২ চা চামচ |
| লবণ | স্বাদ মতো |
| তেল | পরিমাণ মত |
| মরিচের গুঁড়া | ১চা চামচ |
| হলুদের গুঁড়া | ১/২চা চামচ |
| ধোনিয়ার গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
| জিরার গুঁড়া | ১/২চা চামচ |
| ধোনিয়ার পাতা | আন্দাজমত |
প্রস্তুত প্রণালী
১ম ধাপ
প্রথমে আমি মাছগুলো হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
২য় ধাপ
ধুয়ে রাখা মাছগুলোর মধ্যে হলুদ ও লবণ দিয়ে দিয়েছি।
৩য় ধাপ
হলুদ ও লবণ দিয়ে মাছগুলোকে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছি।
৪র্থ ধাপ
তারপর আমি চুলায় একটি করাই বসিয়ে গরম করে তাতে প্রয়োজন মতো তেল দিয়ে ভালো করে গরম করে নিয়েছি।
৫ম ধাপ
তেল ভালোমত গরম হয়ে আসলে তার মধ্যে হলুদ লবন মাখিয়ে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি।
৬ষ্ঠ ধাপ
৭ম ধাপ
মাছগুলো কয়েকবার উল্টিয়ে পাল্টিয়ে একেবারে বাদামি করে ভেজে নিয়েছি। আমি মাছগুলো একটু করা করে ভাজি এটা খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে।
৮ম ধাপ
মাছগুলো বাদামি করে ভাজা হয়ে গেলে একটা বাটিতে তুলে নিয়েছি।
৯ম ধাপ
তারপর ওই তেলের মধ্যে কেটে রাখা মরিচ ও পেয়াজগুল দিয়ে দিয়েছি।
১০ম ধাপ
পেঁয়াজ ও মরিচ এভাবে বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।
১১তম ধাপ
পেঁয়াজ ও মরিচ বাদামি করে ভাজা হয়ে গেলে তার ভিতরে আদা বাটা , রসুন বাটা ও পেঁয়াজ বাটা দিয়ে দিয়েছি।
১২তম ধাপ
সব বাটা মশলাগুলো একটু নড়েচেড়ে তার ভিতরে হলুদ, লবণ, মরিচ ও ধোনিয়ার গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি।
১৩তম ধাপ
সবকিছু নেড়েচেড়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
১৪তম ধাপ
এভাবে নেড়েচেড়ে মশলাটার উপর দিয়ে তেল উঠে আসা পর্যন্ত ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।
১৫তম ধাপ
মশলা কষানো হয়ে গেলে তার ভিতরে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি।
১৬তম ধাপ
মাছগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে মশলার সাথে এভাবে ভালোমত মিশিয়ে নিয়েছি।
১৭তম ধাপ
তারপর ওই মাছের মধ্যে একটু গরম পানি দিয়ে দিয়েছি মাছটা রান্না হওয়ার জন্য।তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
১৮তম ধাপ
১৯তম ধাপ
এভাবে কিছু সময় জাল করে পানিটা একটু টেনে আসলে তার ভিতরে ভেজে রাখা জিরার গুঁড়া ও ধনিয়া পাতা দিয়ে দিয়েছি।
২০তম ধাপ
২১তম ধাপ
তারপর আরও একটা বলক আসলে আমি আমার চুলাটা বন্ধ করে দিয়েছি। আমার রান্নাটা এ পর্যায়ে হয়ে গিয়েছে।
২২তম ধাপ
এখন আমি আমার তরকারিটা একটা বাটিতে ঢেলে নিয়েছি। এখন গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
আশা করছি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
| ফটোগ্রাফার | @tauhida |
|---|---|
| ডিভাইস | অপ্পো এফ1 |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলা আমার মাতৃভূমি।বাংলাতে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতে ভালোবেশি।
২২ ধাপ দেখেই তো মাথা ঘুড়ছে আপু, হি হি হি
কৈ মাছ ভাজা খেতে বেশী পছন্দ করি আমি, তবে আপনার রান্নাটি সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ
আপনাকেও কোটি কোটি ধন্যবাদ ভাইয়া।
দুইদিন আগেও আমি ভাজা কৈ মাছ খেয়েছিলাম, এখন দেশী কৈ মাছ পাওয়া যায় বাজারে। রেসিপিটি অনেক ভালো হয়েছে আপনার।
আপু রেসিপি টা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। কই মাছ আমার খুব প্রিয় মাছ। আপনি দারুন উপস্থাপনার সাথে অনেক গুলি ধাপ অতিক্রম করে রেসিপি বানিয়েছেন। এটা আমাদের কাছে অনেক বেশি সহজ বোধ্যও হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
আপনার সুন্দর মন্তব্য এর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনি এত বড় পোস্ট করেন যে পড়তে ৫ থেকে ১০ মিনিট লেগে যায়, সত্যিই আপনি অনেক সময় দেন একটি পোস্টের পেছনে। ধন্যবাদ আশা করছি এরকম ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটা সময় নিয়ে পড়ার জন্য। আমি চেষ্টা করি একটু সময় নিয়ে পোস্ট তৈরি করার ।
আপনার রান্নার রেসিপি গুলো খুবই ভালো হয়। আপনি এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যে রান্না না পারা আমিও এটা খুব ভালো করে তৈরি করতে পারব বলে মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ এরকম রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ যে আমার রেসিপি টা আপনার ভালো লেগেছে।
🙂
অনেক মজাদার একটি রেসিপি দেখেই মনে হচ্ছে খুব টেস্টি হয়েছে, ধন্যবাদ তোমাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।
কৈ মাছ ভুনা কিংবা ভাজা দুটোই খেতে অনেক মজা। তবে হ্যাঁ অবশ্যই সেটা দেশি কই হতে হবে। বাজারে আজকাল দেশি কই পাওয়া খুব কষ্টকর একটি ব্যাপার।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ওহ,আপু আমি কৈ মাছ তেমন পছন্দ করি না কিন্তু আপনার রান্না দেখে খেতে মন চাইছে।আর একটা চুপি চুপি কথা, আমি কিন্তু জলের ভিতরে হাত চাওয়া করে কৈ মাছ ধরতে বেশ পটু।গ্রামের মেয়ে বলে কথা।ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু তোমার সুন্দর মন্তব্য এর জন্য।