লাইফ স্টাইল :- এক কাছের বড় ভাইয়ের বিয়ের দিনে কাটানো মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার, তাই জন্য আমি আমার দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করি। তেমনি আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয়ে শেয়ার করতে আসলাম । এর আগে আমি আপনাদের মাঝে হলুদের দিন কাটানোর মুহূর্ত শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে বিয়ের দিন কাটানোর মুহূর্ত শেয়ার করব । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আসলে বিয়ের দিন আমি খুব সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলাম। কারন আমার মূলত একটা দায়িত্ব ছিল। বৌয়ের সাথে পার্লারে যাওয়ার দায়িত্বটা আমাকে দেওয়া হয়েছিল। তাই জন্য আমি সকাল আটটায় রেডি হয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। তিন ঘন্টার মতো পার্লারে থাকতে হয়েছে। কাজ শেষ হলে এগারোটার মধ্যেই আমার সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। আমাদের এখানে অনেক বড় একটা স্কুল মাঠে রয়েছে। আর স্কুল মাঠের পাশেই একটা বাগান ও রয়েছে । বউকে মূলত একটু তাড়াতাড়ি সাজানোর কাজটা শেষ করেছে কারণ এখানে ফটোগ্রাফি করা হবে কিছুক্ষণ।
কারণ একটু সময় দিয়ে ফটোগ্রাফি করলে ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হবে। তাই জন্য কমিউনিটি সেন্টারে যাওয়ার আগেই ফটোকপি করার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম বউকে নিয়ে। বউয়ের আলাদা কিছু ফটোগ্রাফি করা হয়েছিল। আবার বর কনে দুইজনের অনেক ফটোগ্রাফি করা হয়েছিল সেখানে। আমরাও কিন্তু সেখানে সাথে কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম । তবে আমাদের আবার আলাদা কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম যেগুলো আপনাদের মাঝে পরবর্তীতে শেয়ার করব। আসলে ফটোগ্রাফারের সাথে ফটোগ্রাফি করতে চাই অনেক বেশি সময় লেগেছে।
বলতে গেলে ১১ঃ০০ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত ফটোগ্রাফির কাজ চলেছে। যদিও আমি যদি শেয়ার করলাম। ফটোগ্রাফির কাজ শেষ হলেই আমরা চলে গেলাম কমিউনিটি সেন্টারে। সেখানে মূলত বিয়ের অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়ার কাজ গুলো চলবে। সেন্টারে গিয়ে দেখি প্রায় অনেক আত্মীয়-স্বজন চলে এসেছে। মনে মূলত বরের বাড়ির লোকজন এবং বোনের বাড়ির লোকজন সবাই চলে এসেছে। সেখানে আবার কিছু ফটোগ্রাফি করা যায়। স্টেজে বসেও আমরা কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম বর কনের সাথে।
এরপরে খাওয়া দাওয়ার জন্য ডেকেছিল , আমরা খাওয়া দাওয়ার পর্ব টা শেষ করে নিলাম। আমি মূলত কনের সাথে একসাথে বসে ছিলাম খাওয়ার জন্য। খাওয়া দাওয়া শেষ করে এরপর বিয়ের কাজটা সম্পন্ন করা হল। বিয়ের কাজটা শেষ হয়ে গেলে এরপর আবার ও স্টেজে বসে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করা হলো। ওনারা তাদেরকে লোকজনের সাথে বসে অনেকগুলো করেছে। তার সাথে আবার আমরাও কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। বিয়ের অনুষ্ঠান আসলে অনেক লোকজনের সাথে দেখা হয়।
আমাকে সবাই ভীষণ আনন্দ করে, এই বিষয়টাই সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আমার নিজেরও নতুন নতুন অনেক আত্মীয়-স্বজনের সাথে পরিচিত হয়েছিল। ভীষণ সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছিলাম। তাছাড়া সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করতে পেরে। অনুষ্ঠানের কাজ শেষ হয়ে গেল। কনের বাবা তুলে দিল বরের হাতে। বিদায় পর্ব টা শেষ হয়ে গেলে তারা চলে গেল তাদের বাড়িতে। এরপরে আমরাও কমিউনিটি সেন্টার থেকে আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সুন্দরভাবে বাড়িতে এসে পৌঁছলাম। আজকে আপনাদের মাঝে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারো আসবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
( অনুমতি সাপেক্ষে বর কনের ছবি গুলো ব্যবহার করেছি। )
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1731298179273089107?s=20
অনেকদিন হলো বিয়ের দাওয়াত খাওয়া হয়না আপু। আপনি বিয়েতে ভালো সময় কাটিয়েছেন। নূয়াইশাকে কিউট লাগছে, মাশাআল্লাহ! বর ও কনে দুজনকে বেশ মানিয়েছে। আশা করছি তাদের পরবর্তী জীবন যেন সুন্দর হয়।
ভাইয়া আমার মেয়ের নাম নাশিয়া। হ্যাঁ বিয়েতে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম।
এত চমৎকার একটি মুহূর্ত শেয়ার করলেন আপনি। বিশেষ করে বর কনের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। তাছাড়া বর্ণনা ও আপনি অসাধারণ দিলেন। সবাই মিলে খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করলেন। আমাদের সাথে শেয়ার করলেন বেশ ভালো লাগলো। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
বর এবং কোনের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
হলুদের দিনে কাটানো মুহূর্তের পর্বটা আমার দেখা হয়নি আপু । তবে বিয়ের দিনের কাটানো মুহূর্তটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনারা দেখছি অনেক ফটোগ্রাফি করেছেন আর অনেক মজা করেছেন। কনে কে দেখতে সত্যিই খুব সুন্দর লাগছে । আপনাকে দেখছি কনে কে পার্লারে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে আপনি সকাল আটটা তেই বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। ফটোগ্রাফি আসলে অনেক সময় নিয়ে করলে অনেক সুন্দর হয় যেমন আপনাদের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
হ্যাঁ আপু সকাল ৮ টায় বের হতে হয়েছে। কারণ পার্লারে তো সময় লাগবেই। অনেক ভালো সময় কাটিয়েছিলাম এবং মজা করেছিলাম।
এক কাছের বড় ভাইয়ের হলুদের পর্বটা পড়েছিলাম।আজ বিয়ের দিনের পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। আপনি বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। বর ও কনে কে খুব সুন্দর লাগলো।আপনারা খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর মূহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনি হলুদ পর্ব টাও পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো। হ্যাঁ আপু খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম।