লাইফ স্টাইল :- হঠাৎ প্ল্যান ছাড়া ঘুরতে যাওয়া এবং খাওয়া দাওয়া।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে ঘুরতে যেতে আমরা সবাই কম বেশি পছন্দ করি। আর বেশিরভাগ সময় যদি আমাদের মন খারাপ থাকে তাহলে কিন্তু ঘুরতে গেলে ভালই লাগে। তেমনি গত পরশুদিন আমার হাজবেন্ডের খুবই মন খারাপ। আর সেই জন্য একেবারে বসেছিল। আমি অনেক বার বোঝাতে চাইলাম কিন্তু তারপরেও দেখছি ঠিক হচ্ছে না। আসলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিল। তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল।
সুন্দর পরেও আমাদের কিন্তু কোন রকমের প্ল্যান ছিল না বাইরে যাওয়ার। তখন সন্ধ্যার পরে হঠাৎ করেই আমাকে বলছিল চলো আমরা আজকে বাহিরে খেতে যাব। বাইরে ঘুরতে গেলে হয়তবা কিছুটা ভালো লাগবে তাই জন্য। তখন আমিও রাজি হয়ে গেলাম যাওয়ার জন্য। এমনকি সাথে নাশিয়াকেও নিয়ে গেলাম। আসলে আমাদের এখানে মনপুরা কাবাব হাউজ এবং বিনোদন পার্ক নামে একটা রয়েছে। যেখানে বাচ্চাদের জন্য খেলার বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। অনেকগুলো খেলনা রাইড রয়েছে। তাই জন্যই মূলত নাশিয়াকে নিয়ে গিয়েছে, কারণ ও খুবই আনন্দ করবে সেখানে।
device : Redme note 9
যেহেতু আমরা রাতে গিয়েছি তখন কিন্তু দেখলাম মানুষজন ছিল। মোটামুটি মানুষজন ছিল একেবারে কম নয়। যদিও নাশিয়া বিভিন্ন রাইড এ উঠতে চাইছিল। কিন্তু ও খুব ছোট এখনো তাই উঠতে দেই নাই। কিন্তু যেগুলো বন্ধ ছিল এগুলো তো এমনি উঠিয়ে ছিলাম । তারপরেও কিন্তু কয়েকটাতে এমনিতে উঠেও ভীষণ আনন্দ পেয়েছিল। আসলে এই ধরনের জায়গায় বাচ্চাদের আনন্দটা একটু বেশি। সেখানে আমরা প্রায় কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর চলে গেলাম খাওয়ার জন্য। এখানে অনেক বড় একটা পুকুর রয়েছে। পুকুরের মধ্যেই একপাশে ছোট ছোট ঘরের মতো করে বসার ব্যবস্থা করেছে। ওই ছোট্ট ঘর গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে।
আমরা সেখানেই একটাতে বসি। তারপর আমরা সেখানকার একটা ওয়েটারকে অর্ডার করি। অর্ডার করার পর আমরা নিজেরাই এমনিতে বসে সেলফি তুললাম। কারণ খাবারটা এসেছিল প্রায় অনেকক্ষণ পরে। আমরাও মূলত চিকেন কাবাব এবং পরোটা অর্ডার করেছিলাম। কারণ এখনকার কাবাবটাই সবথেকে জনপ্রিয়। তারপর সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া শুরু করলাম। খাওয়াটা বেশ ভালই ছিল। যদিও এখানে প্রায় কয়েকদিন পরে আসলাম কিন্তু ভীষণ ভালো সময় কাটিয়েছি। আসলে এখানে সময়টা ভীষণ ভালোই কেটেছে। তারপর কিছুক্ষণ খাওয়া-দাওয়া করার পর। আমরা বসেছিলাম বিল দেওয়ার জন্য।
পরবর্তীতে ওয়েটার বিল নিয়ে আসলে তাকে বিল দিয়ে দিলাম। আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আবারও নাসিয়া খেলনা রাইডগুলোতে ওঠার জন্য আবারও বায়না ধরেছে। কিন্তু কি করার সেজন্য আবারো একবার সেখান থেকে ঘুরে আসলাম। এখানে আবার এক সাইডে দেখলাম কয়েকটা তিমি মাছের মত তৈরি করেছে। যেগুলো দেখতে খুবই সুন্দর ছিল। পরবর্তীতে সেখানে অনেকক্ষণ সময় কাটানোর পর আমরা বেরিয়ে আসলাম। আসলে হঠাৎ করে প্ল্যান ছাড়া গেলেও কিন্তু বেশ ভালো একটা মুহূর্ত কাটিয়েছি। আর বিশেষ করে নাশিয়া সব থেকে বেশি ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছে। আর যার জন্য যাওয়া সেও দেখলাম কিছুটা ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ ভালোই লেগেছিল।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
মাঝে মাঝে মনটা বিভিন্ন কারণে অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায় । এখন যেটা পৃথিবীর কাউকে সঠিক ধারণা দিতে পারে না। মাঝে মাঝে মনটা কেন খারাপ হয় তাও বুঝতে পারি না। কিন্তু এই সময়টার মতো মন খারাপ হলে ঘুরতে যেতে হবে এবং ভালো কিছু খেতে হবে। ওদিন খুবই ভালো লেগেছিল আসলে মেয়েটা সহ সময় কাটাতে পেরে।
আসলেই ঐদিন খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলাম।
আসলেই বাচ্চারা থাকলে প্ল্যান করে যেতে হয় না অনেক সময় বাধ্য হয়ে যেতে হয় বাচ্চাদের যন্ত্রণায়। এছাড়াও মাঝে মাঝে মনটা অনেক বেশি উড়াল হয়ে যায় তাই ঘুরে আসতে বেশ ভালো লাগে। হঠাৎ প্ল্যান ছাড়া ঘুরতে গেলেন অনেক সুন্দর খেলাধুলা করালেন বাচ্চাকে। এবং খাওয়া দাওয়া করলেন অনেক সুন্দর একটি সময় পার করেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু অনেক সুন্দর খেলাধুলা করল।
প্লান ছাড়াই বেশ সুন্দর একটি পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন আপনারা। সন্ধ্যা বেলায় পার্কের পরিবেশটা দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। আর এরকম পার্কে বেড়াতে গেলে বাচ্চারা খুবই আনন্দ অনুভব করে। একই সাথে বাহিরের সুস্বাদু খাবার খাওয়ার মধ্যে রয়েছে এক অনাবিল আনন্দ। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই খাওয়া দাওয়ার সাথে ঘুরাঘুরি সময়টা ভালোই কাটিয়েছিলাম।
প্ল্যান ছাড়া ঘুরতে যাওয়া এ যেন এক দারুণ সারপ্রাইজ আমার কিন্তু ভালোই লাগে এই ধরনের সারপ্রাইজ।আর বাচ্চাদের নিয়ে হুটহাট করে কোথাও ঘুরতে গেলে তাদের মনেরও একটু চেঞ্জ হয়। বাচ্চাকে খেলাধুলা করালেন বাইরে খাওয়া-দাওয়া করলেন অনেক সুন্দর একটি সময় পার করলেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন বাচ্চাদের নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে ভীষণ খুশি হয়।