লাইফ স্টাইল : ঈদের দিন কাটানোর মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। প্রথমেই আপনাদের কে জানাই ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আসলে আমরা একটা কথা বলে থাকি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাই জন্য আমি মনে করি উৎসবের দিনগুলো আমরা সবাই আনন্দ করে কাটাতে পছন্দ করি। বছরে আমাদের দুইটা ঈদ উৎসব। তার মধ্যে ঈদুল আযহা ও অনেক অন্যতম।
আর এই বছর ঈদের দিন বেশ ভালোই কাটিয়েছি। আসলে সব সময়ই ঈদের দিনটা বেশ ভালোভাবে কাটানোর চেষ্টা করি । আমরা অন্যান্য দিনের চেয়ে ঈদের দিনটা বেশ হাসিখুশি ভাবে কাটাতে চাই। সেই সূত্রে সকালবেলা ঈদের দিন ব্যস্ত সময় কাটিয়েছি। কারণ সকালবেলা উঠেই ঈদের দিন উপলক্ষে অনেক রান্নাবান্নার কাজ ছিল। তারমধ্যে আবার নাশিয়া ঘুম থেকে উঠার পর, ওকে গোসল করিয়ে, জামা কাপড় পরিয়ে রেডি করে দিয়েছিলাম। আসলে ঈদের দিনটা ছোটদের জন্যই বেশি আনন্দ বয়ে আনে।
নাশিয়াকে জামা কাপড় পড়ে বাইরে বের হওয়ার জন্য বলতেছিল। আসলে সব সময় তো কোথাও গেলে নতুন জামা পড়ে। তাছাড়া পরবর্তীতে সকালে অনেক গুলো রুটি তৈরি করেছি। মাংস রেডি হতেই অনেক বেশি সময় লেগে গিয়েছিল। এই বিষয়টা হয়তোবা আপনারা অনেকেই বুঝতে পারবেন। এরপরে আবার মাংস রান্না ও করেছিলাম। আবার আমরা সবাই মিলে একসাথে বসে খেয়েছিলাম। আসলে কোরবানির ঈদের দিন সবাই মিলে একসাথে বসে খাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। আমরা সব সময় চেষ্টা করি পরিবারের সবাই একসাথে বসে খাওয়ার জন্য।
ওই মুহূর্তটাও বেশি ভালো অনুভব করি। এছাড়াও আরো অনেক কাজ ছিল সেগুলো করতে হয়েছে। সকালের সময়টা মোটামুটি ব্যস্ততার মধ্যেই কেটেছে। দুপুরের পরে অনেকটা কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তখন ভাবলাম আমরা একটু বাইরে ঘুরতে বের হই। তারপর আমরা তিনজন মিলে বাইকে করে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। যদিও এমনিতে অন্য কোথাও যাই নাই। নাশিয়া ওর নানুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করছিল। সেজন্য ভাবলাম তাহলে আমাদের বাড়ি থেকে ঘুরে আসি। সেখানে গেলে আসলে নাশিয়া ভীষণ খুশি হয়। পরবর্তীতে আমরা বিকেলের দিকে আমাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম।
যাওয়ার পথেও ভীষণ এনজয় করেছি। নাশিয়াতো নানুর বাড়িতে গিয়ে সবাইকে দেখে খুবই খুশি হয়ে গেছে। সেখানে আবার আমার বড় আপুর ছেলে- মেয়েরা ছিল। তাদের সাথে বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছে। ওদেরকে দেখে ভীষণ খুশি হয়েছে। ওরা সবাই মিলে একসাথে বসে খেলেছিল। আমাদের ও বাড়ির সবার সাথে কথা বলে ভীষণ ভালো লেগেছিল। বিকেলের সময়টা এভাবেই কেটে গিয়েছিল। যদিও সন্ধ্যা বেলা আমরা আবারো বাড়িতে ফিরে আসি। অবশ্য আমার ফিরে আসার পর রাতেও আমরা বেশ মজা করেছিলাম। কয়েকটা খাবার তৈরি করেছিলাম যেগুলো আমরা বেশ মজা করে খেয়েছি। এভাবেই ঈদের পুরো দিনটা কাটিয়েছিলাম। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://twitter.com/TASonya5/status/1675010151399718912?t=pUahryDq_jH5pcUfrVapMA&s=19
ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদের দিন কাটানোর সুন্দর মূহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।ঈদুল আযহা আমাদের অন্যতম ঈদ উৎসব। আর ঈদে আমাদের নারীদের রান্না বান্নায় বেশ ব্যস্ত থাকতে হয়। সবকিছু সামলিয়ে আপনারা ঘোরাঘোরি ও নাশিয়ার নানু বাড়ী মানে আপনার বাবা-মায়ের বাড়ীতে গিয়েছেন। ঈদ আনন্দ ডাবল হয়েছে। ছবিগুলো বেশ ভালো হয়েছে। আপনাদের সবার জন্য শুভ কামনা।
ঠিক বলেছেন আনন্দ অনেক মজা করেছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ দারুন সময় কাটালেন তাহলে আমিও ঈদের দিন অনেক ব্যস্ত সময় গেছিল কারণ রুটি গুলো তৈরি করতে। এছাড়া মাংস গুলো আনতে অনেক সময় লেট করে ফেলছিল সেই জন্য হঠাৎ করে যখন আনছিল খুব তাড়াহুড়ো করে রান্না করেছিলাম। সবাই মিলে বেশ মজার করে খাওয়া দাওয়া হল। আপনারাও তো অনেক মজার করে খাওয়া দাওয়া করলেন ঈদের দিন। ঈদের দিন একসাথে খাওয়া দাওয়া করলে বেশ ভালোই লাগে। অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছিলেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আমরা সবাই অনেক মজা করে খাওয়া দাওয়া করেছি।
ঠিক বলেছেন আপু,যে ধর্মের উৎসবই হোক না কেন তা সকলের জন্য ভীষণ আনন্দের।উৎসবের দিনগুলোতে বাড়ির মহিলাদের একটু বেশি কষ্ট হয়ে যায়।আপনার মেয়ে নাশিয়া খুবই কিউট এবং বেশ আনন্দ করেছে মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে।পরিবারের সবাই মিলে আপনারা বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।দারুণ ঈদ উপভোগ করেছেন আশা করি, ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আসলে সবাই উৎসবের দিনে বেশ আনন্দ করি।
ঈদুল আযহায় আমাদের প্রত্যেকেরই ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। আসলে রুটি খাওয়ার প্রচলন আমাদের দেশে নেই। তাই হয়তো আমরা ঈদের দিন সকালে রুটি বানাই না। তারপরও সকালবেলা বেশ ব্যস্ত থাকতে হয়। আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝা গেল আপনারা একত্রে সবাই খাওয়া দাওয়া করেন আনন্দঘন পরিবেশের তৈরি করে। আবার নাকি এত ব্যস্ততার মাঝে আপনি আপনার মার বাসায় গিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে আমি অনেক বেশি ব্যস্ত সময় পার করেছি।