নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৩৪ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৩৪ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই নাটকের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই চান্দু রতন ফকিরকে দৌড়াচ্ছে তার টাকা দেওয়ার জন্য। কিন্তু সে অস্বীকার করছে। আর তখনই ডাক্তার আপার সাথে তাদের দেখা হয়। আর রতন ডাক্তার আপার পিছে গিয়ে লুকিয়ে পড়ে। তারপরে চন্দু ডাক্তার আপাকে বলে। আর ডাক্তার আপা চান্দুকে তখন নিজের বাকি ১০ টাকা সহ বিশ টাকা চান্দুকে দিয়ে দেয়। কিন্তু তখন রতন সেই ২০ টাকা নিয়ে দৌড়ে চলে যায়। আর চান্দু তাকে আবারও দৌড়াতে থাকে। এরপর সায়েম এবং তার বউকে দেখা যায় ভিক্ষা করতে করতে আসছিল। আর চান্দু ও আসছিল ওখান দিয়ে। তারপর চান্দু সায়েমের কাছে তার বাকি ১০ টাকা চায়। আর চান্দু লাঠি দিয়ে মারার কথা বলার পর সায়েম তো অনেক রেগে যায়। এরপর সে পরে টাকা দিবে বলে তারা চলে যায়।
এরপর চান্দু আরেক জনের কাছে চলে যায় টাকার জন্য। তারপর মানিক রতনকে দেখা যায় ভিক্ষা করতে করতে আসছিল। আর তখন সেখান দিয়ে ডাক্তার আপা আসছে দেখে রতন মানিক ফকিরকে একপাশে পাঠিয়ে দেয়, ডাক্তার আপার সাথে একটু কথা বলার জন্য। এরপর লেখাপড়া শিখানোর বিষয়ে তারা কথা বলে। আবার তারা চাকরির কথাও বলে। এরপর ডাক্তার আপা কালকে পড়ালেখা শেখানোর কথা বলে, আর মানিক ফকিরকে ১০ টাকা দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর দেখা যায় প্রিন্সের বন্ধু গাছ তলায় বসে রয়েছে। আর ঝুমা তার কাছে আসে। এরপর ঝুমা তাকে বলে ফুলিকে পিটানোর কথা। প্রথমে একটু সে ঘাবড়ে গিয়েছিল, কারণ মেয়ের গায়ে হাত তোলা তো যায় না তেমনভাবে। তবুও সে তাকে কথা দেয় সুযোগ পেলে মারবে।
এরপর তারা কিছুক্ষণ কথা বলে, আর ঝুমা চলে যায়। এরপর দেখা যায় কাদের ফকিরের বাড়িতে চান্দু আসে লাঠি নিয়ে। আর বাকি 20 টাকার কথা জিজ্ঞেস করে। এরপর মর্জিনা জিজ্ঞেস করে কার জন্য বাকি কিনেছে। তারপর চান্দু বলে দেয় সুন্দরী খালার জন্য চকলেট কিনেছিল। এরপর কাদের ফকির রাতের বেলায় দিবে বলে টাকা। এরপর চান্দু চলে যায় সেখান থেকে। আর মর্জিনা এবং কাদের ফকিরও ভিক্ষা করার জন্য বের হয়। এরপর দেখা যায় রবি রাগ করে ঘরের বাহিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর তখন সেখানে সুন্দরী খালা আসে। আর রবি তাকে বলে আমাকে বিয়ে করিয়ে দাও মর্জিনার সাথে। কিন্তু সুন্দরী খালা বলে ওই মেয়েটা ঝগড়াটে। এরকম ভাবে তারা অনেক কথা বলতে থাকে। এবার রবি সেখান থেকে রাগ করে চলে যায়।
এরপর দেখা যায় চেয়ারম্যানের এক চামচা এসেছে তার বাড়িতে। তারপর সে চেয়ারম্যানকে ডাকতে থাকে। তখনই ফুলে বেরিয়ে আসে। আর বলে চেয়ারম্যান বাড়িতে নেই। তারপর ফুলি তাকে একটা কাজ দেয়। সে কাজটা হচ্ছে, যেখানেই রতন ফকিরকে দেখুক না কেন তাকে যেন ফোন দেয় সে। এরপর ওই ছেলেটা তার কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে যায়। তারপর তারা কিছুক্ষণ কথা বলে। আর ফুলি ঘরে চলে যায়। ছেলেটাও সেখান থেকে চলে আসে। তারপর দেখা যায় প্রিন্স সকালবেলায় ঘর থেকে বাহির হচ্ছিল। আর মেম্বার প্রিন্স কে জিজ্ঞেস করে জোনাকির বিষয়ে। কিন্তু প্রিন্স এই কথাগুলো এড়িয়ে যায়। আর বলে এরকম কিছু না। সবকিছু মানুষ তার নামে বদনাম ছুটাচ্ছে। এরপর তার বাবা-মা তাকে বিদেশ যাওয়ার বিষয় নিয়ে জিজ্ঞেস করে।
কিন্তু সে বলে এখন বিদেশ যাবে না। তারপর সে বাহিরে চলে যায়। আর তার বাবা এ কথাগুলো শুনে অনেক রাগ করে। এরপর মেম্বার ও বাহিরে চলে যায়। আর প্রিন্সের মা ঘরে চলে যায়। এরপর সুতা ফকির এবং ঐ নতুন ফকির দুইটাকে দেখা যায়। তারপর চান্দু সেখানে দৌড়ে আসে আর তাদের কাছে। এরপর তার দোকানের বাকি টাকার কথা বলে। এরপর তারাও বলে রাতে টাকা দিবে। তারপর চন্দু বলে টাকা যদি না দেয় তাহলে সর্দারের কাছে বিচার দিবে। এটা বলে চান্দু সেখান থেকে চলে যায়। এরপর তারা আবারো ভিক্ষা করা শুরু করে। তারপর সায়েম এবং তার বউকে দেখা যায়। সায়েমের বউ পুকুর পাড়ে এসে বসে। কারণ ভিক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। তারপর তারা ওখানে বসে কিছু মুহূর্ত কাটায়।
আর তখনই সেখানে আকাশের বোন আসে। আর তারা কিছুক্ষণ বিয়ের বিষয় নিয়ে কথা বলে। আর তখন আকাশের বোন বলে বাড়িতে যেন যায়। সেখানে গেলে টাকা দিয়ে দেবে। তারপর আকাশের বোন চলে যায়। সায়েম এবং তার বউও আবার ভিক্ষা করার জন্য চলে যায়। এরপর দেখা যায় জোনাকি তার ঘরে বসে পড়তেছে। আর তখনই সেখানে ফুলি আসে। জোনাকি তো তার সাথে অনেক রাগ করে। কারণ ফুলি তার বিষয়ে তার বাবাকে বলেছে প্রিন্সের কথাগুলো। তারপর সেখানে চেয়ারম্যান আসে। আর জোনাকিকে বিভিন্ন কথা বলে চলে যায়। তারপরে দেখা যায় সায়েম এবং তার বউ কাউকে ১০ টাকা দিচ্ছে। যে লোকটার মুখ ডাকা ছিল। আর দশ টাকা দেওয়ার পর সে মুখ খুলে। আর তখনই আমরা দেখতে পাই সেটা হচ্ছে চান্দু। তার বাকি টাকা প্ল্যান করেই নিয়েছে। তখনই সায়েম অনেক বেশি রেগে যায়। আর তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়। এখন দেখতে হবে এরপরে কি হয়। আশা করছি আপনারা সবাই সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবেন।
ব্যক্তিগত মতামত
এই নাটকের আজকের পর্ব টা সত্যি অনেক বেশি সুন্দর হয়েছিল। আমার কাছে তো অসম্ভব ভালো লেগেছে আজকের পর্ব। এই নাটকে আমরা এটা দেখতে পেয়েছি যে চান্দু লাঠি নিয়ে বের হয়েছে সবার কাছ থেকে টাকা আদায় করার জন্য। কিন্তু কেউই তাকে টাকা দেয়নি। রাতে অথবা পরে দিবে বলে রেখে দিয়েছে। আর এর কারনে সে অনেক বেশি রেগেও গিয়েছে। তার অভিনয়টা বেশি দারুণ হয়। কারণ যতই সিরিয়াস মুহূর্ত থাকুক না কেন তার মুখে হাসি থাকে। আর অন্যদিকে ডাক্তার আপা যখন তাকে টাকা দিচ্ছিল, তখন আবার রতন সেই টাকা নিয়ে দৌড়ে চলে গিয়েছিল। আর এবার আমরা এটাও দেখেছি যে, প্রিন্সকে তার বাবা আর জোনাকিকে তার বাবা সাবধান করে দিয়েছে। তারা একসাথে মেলামেশা করছে বলে। আর শেষে দেখেছি চান্দু অন্যভাবে সায়েমের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। এটার মূল কাহিনী কি এটাই দেখতে হবে পরবর্তী পর্বে। আপনাদের মাঝে পরবর্তী পর্ব তাড়াতাড়ি শেয়ার করার চেষ্টা করবো।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1817541826120962446?t=eX03hKSibtu7LUa8XYY2dA&s=19
লাঠি নিয়ে বের হলে কি কেউ আর টাকা দিতে চায়। সবাই তো উল্টো আরো ভয় পাবে। চান্দু সবাইকে ভয় দেখিয়ে টাকা নিতে যাচ্ছিল নাকি। যাইহোক আপু এই নাটকের অনেকগুলো পর্ব আছে দেখছি। সবগুলো পর্ব কি আপনি দেখেছেন নাকি? বেশ ভালোই মনে হল। যদিও নাটক দেখার খুব একটা সময় হয় না। যাই হোক ভালো লাগল আপনার রিভিউ পড়ে।
হ্যাঁ আপু আমি সব পর্বই দেখেছি। আর একে একে সব পর্বের রিভিউ শেয়ার করার জন্য চেষ্টা করতেছি। নাটকটা অনেক সুন্দর চাইলে দেখতে পারেন। রিভিউ পড়ে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
দেখতে দেখতে এই নাটকের ৩৪ টা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। এই নাটকটা কিন্তু আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। চান্দুর অভিনয় আমার নিজের কাছেও অনেক বেশি ভালো লাগে। চান্দু শেষমেষ কিরকম ভাবে সবার কাছ থেকে টাকা নেয় এটাই দেখার জন্য কিন্তু অপেক্ষায় থাকলাম। নাটকের পর্ব গুলোর রিভিউ তুমি প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করে যাচ্ছো। এই নাটকের পরবর্তী পর্বের রিভিউ পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবে না
হ্যাঁ এখন তো এটাই দেখতে হবে যে চান্দু কি করে। তার অভিনয় সত্যি অনেক সুন্দর। পরবর্তী পর্বের রিভিউ তাড়াতাড়ি শেয়ার করার জন্য চেষ্টা করবো।
ফকির গ্রাম নাটকটির বেশ কয়েকটি পর্ব আমিও দেখেছি। বেশ ভালো একটি নাটক। আজকে আপনি সেই নাটকের ৩৪ তম পর্ব শেয়ার করেছেন। যার রিভিউ পরে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
আপনি এই নাটকটার কয়েকটা পর্ব দেখেছেন শুনে খুশি হলাম। এই নাটকটা আসলেই সুন্দর।
এই নাটকটি আমি কয়েক পর্ব দেখেছিলাম। তবে নাটকটি কাহিনী খুব সুন্দর লাগে। ফকির গ্রাম নাটকের ৩৪ পর্ব খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে লাঠি দিয়ে কারো থেকে টাকা আদায় করা মনে হয় সম্ভব না। আর নাটকের এই পর্বে মনে হয় একটু দৌড়াদৌড়ি বেশি হয়েছে। যাইহোক খুব সুন্দর করে ফকির গ্রাম নাটকের পর্বটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ লাঠি দিয়ে টাকা আদায় করাটাও এখন সম্ভব হলো না। এখন দেখা যাক তার নতুন বুদ্ধি কি হয়। সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকুন।
খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার নাটক রিভিউ টা পড়ার মাধ্যমে এ নাটক সম্পর্কে বেশ ধারণা পেলাম। এই পর্বটা বেশ দারুন ছিল কিন্তু। আশা করব এভাবেই আপনি সম্পূর্ণ নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করে দেখাবেন।
রিভিউ পড়ে নাটকটার সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়েছেন শুনে খুশি হলাম। চেষ্টা করবো পুরোটার রিভিউ শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।