ডাই : নকশী পিঠার ডিজাইন।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি অনেক সুন্দর একটি নকশী পিঠার ডিজাইন নিয়ে এসেছি । নকশি পিঠা আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী একটি পিঠা। যদিও এখন আমাদের সময় এবং সুযোগের কারণে আমরা এখন নকশি পিঠা খুব একটা তৈরি করি না। কিন্তু নকশি পিঠা খেতে খুবই মজাদার একটি পিঠা।
বিশেষ করে গ্রামে এই পিঠার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আর শীতকালে নকশি পিঠা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। সে নকশী পিঠার একটি ডিজাইন করেছি আমি। সাধারণত পিঠা সাদা রংয়ের হয়ে থাকে। আমি আজকে এই পিঠার ডিজাইনটা কে একটু কালারফুল তৈরি করেছি। যেন দেখতে সুন্দর দেখায়। আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে এটি তৈরি করতে।
যে ভাবনা সেইভাবে কাজ শুরু করলাম। আজকের এই নকশী পিঠার ডিজাইন তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং কিভাবে আমি এই নকশী পিঠার ডিজাইন তৈরি করলাম তার ধাপে ধাপে বর্ণনা করে আপনাদের সাথে এই সম্প্রদায়ে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের ডাই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
• আটা
• কাঁচি
• ফুড কালার
• ছুরি
• তেল
প্রয়োজনীয় বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি বাটিতে আটা নিলাম। এরপর এর মধ্যে সামান্য পরিমাণে তেল এবং পানি দিয়ে একটু একটু করে মেখে একটা ডো তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর এর মধ্যে গোলাপি কালারের ফুড কালার দিয়ে মেখে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর আমি আটার মধ্যে সামান্য পরিমাণে তেল দিয়ে একটু একটু করে গোল করে বেলা শুরু করি। আমি সুন্দর করে একটু মোটা করে বেলে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর মাঝখান বরাবর করে ছোট একটা গোল দাগ দিয়ে দিলাম। এমনকি মাঝখানের অংশ একটা বিন্দু দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপরে গোল্ড রাউন্ড অংশটায় ছুরি দিয়ে চিকন চিকন করে একটু উপরের দিকে উঠিয়ে পাতার মতো ডিজাইন করে নিব।
ধাপ - ৬ :
এরপরে নিচের অংশটায় একই রকম ভাবে ছুরি দিয়ে চিকন চিকন করে অর্ধেকটা অংশ ডিজাইন করে নিব।
ধাপ - ৭ :
এরপর সম্পূর্ণ গোল অংশটায় চিকন চিকন দিবেন করে ফুলের মত তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপর পাতাগুলোর বাহিরের অংশে কাছে দিয়ে কিছুটা অংশ চিকন চিকন করে কেটে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
এরপর হাত দিয়ে একটু একটু করে কোনা করে পাতার মতো করে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবে আমি পুরো ডিজাইন তৈরি করা শেষ করি। আশা করি আমার আজকের নকশি পিঠার ডিজাইন আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ডাই |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
শীত আসলে পিঠাপুলে ধুম পড়ে যায়। এই সময় প্রায় প্রতিটা বাড়িতে কোনো না কোনো পিঠাপুলি তৈরি করে। আপনার তৈরির নকশী পিঠ দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ডিজাইন করে নকশি পিঠা তৈরি করেছেন। এই পিঠা কিভাবে তৈরি করা হয় আপনি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।আপনাকে ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন শীতে আসলে পিঠাপুলির ঘুম পড়ে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম নকশি পিঠা আগে কখনো দেখিনি। ঠিকই বলেছেন এইরকম পিঠাগুলো বানাতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। এজন্যই মনে হয় এখন এই পিঠা লোকজন তেমন একটা বানায় না। কিন্তু আপনার নকশি পিঠার কালারটি খুবই সুন্দর হয়েছে। এইভাবে পিঠা বানানোর পরে কি এই পিঠা তেলে ভাজতে হয়? খেতেও নিশ্চয়ই অনেক মজাদার হয় এই পিঠা। খুব সুন্দর লাগছে দেখতে।
জ্বী আপু এই পিঠাগুলো তৈরি করার পর তেলে ভাজতে হয়। এরপর আবার চিনির শিরায় দেওয়া হয়।
আপু আপনার নকশি পিঠা ডিজাইনটা চমৎকার হয়েছে। বর্তমান সময়ে নকশি পিঠা উঠে গেছে , আসলে এগুলো তৈরি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। আপনার পিঠার কালারটা দারুণ হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে সুন্দর একটি নকশি পিঠার ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন বর্তমানে আসলে নকশি পিঠার প্রচলন নেই বললেই চলে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে এই পিঠাগুলো বানানো খুবই কঠিন কাজ এই জন্যই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নিদারুণ!
আপনাকে নিয়ে কিছু বললেই সেটা কম হয়ে যাবে।সবদিকেই পারদর্শী বলা চলে।এমন মানুষগুলোর মাঝে থাকতে আসলেই ভালো লাগে।
এখন যেই ডাই টপিকটা দেখলাম আসলেই এর আগে দেখিনি।থাম্বনেইলটাই নজর কেড়েছিল।শুভ কামনা জানাই আপুমণি❤️
সব কাজ করার চেষ্টা করি। আপনার এতটা ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।
বাহ্ কই সুন্দর ব্রাইট হয়েছে। আমি ভাবলাম এটা হয়তো আপনি ভাজবেন। তাই বানাচ্ছেন। তারপর বুঝলাম এটা একটা DIY. এটা আপনি DIY ক্লে দিয়ে বানাতে পারতেন তো আটার বদলে। তাহলে ঘরে সাজিয়ে রাখতে পারতেন অনেকদিন। এত সুন্দর হাতের কাজ নষ্ট হয়ে গেলেও খারাপ লাগে।
ঠিক বলেছেন আসলে এটা আমি ক্লে দিয়ে বানাতে পারতাম। আসলে ঘরে ক্লে ছিল না এজন্য আটা দিয়ে তৈরি করে দেখিয়েছি।
বাহ অনেক সুন্দর করে আপনি নকশী পিঠার ডিজাইন করেছেন। গ্রাম অঞ্চলে পিঠাগুলো মানুষের খুব প্রিয়। সকালবেলা বিভিন্ন ধরনের পিঠা এবং অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানিয়ে থাকে। তবে আপনার পিঠা কালার দেওয়াতে খুব দারুণ দেখাচ্ছে। আমার তো মন চাইতেছে পিঠাটি খেয়ে ফেলবে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
সত্যিই পিঠাটি খেতে ভীষণ দারুন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতকাল মানেই পিঠে খাওয়ার ধুম।নকশি পিঠা কখনও খাওয়া হয়নি। আর কখনও তৈরি করি নি।তবে নকশি পিঠা দেখতে খুব সুন্দর লাগে।বপনি আবার নকশি পিঠাতে কালার দিয়ে ডিজাইন করেছেন। এতে করে ডিজাইন গুলো আরও সুন্দর হয়ে ফুটে উঠেছে। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটা পিঠা বানানোর পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য।
কালার দেওয়ার কারণে সত্যি সুন্দর দেখাচ্ছিল।