জীবনে প্রথম দিন স্কুলে যাওয়ার মজার অনুভূতি
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এখন আমার কাছে লিখতে বেশ ভালোই লাগে। এইজন্য আজকে আপনাদের সামনে অনেক মজার একটি স্মৃতি নিয়ে হাজির হলাম। জীবনে প্রথম দিন স্কুলে যাওয়া সত্যি সবার জীবনে আমি মনে করি একটা বড় স্মৃতি। এরকম আমিও জীবনে প্রথম যেদিন স্কুলে গিয়েছিলাম সেদিনের একটা মজার ঘটনা আপনাদেরকে বলছি।
আসলে আমাকে স্কুলে ভর্তি করার জন্য প্রায় কয়েকদিন ধরেই তোড়জোড় চলছিল। যেহেতু আমি তখন ছোট এবং প্রথম স্কুলে যাব। আমার নিজের কাছেও প্রথম স্কুলে যাওয়ার একটা আনন্দ কাজ করছিল। আমার বড় আপু ছিলেন একজন টেইলার্স। উনি সেলাইয়ের কাজ করতে জানতেন। সেই সুবাদে আমার স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য আপু নিজেই আমার জন্য অনেক সুন্দর ভাবে একটা স্কুল ড্রেস সেলাই করেছেন। বলতে গেলে স্কুলের সম্পূর্ণ ড্রেসের যা যা প্রয়োজন সবকিছুই তৈরি করে ফেলেছে।
এরপর একদিন গিয়ে আমাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিল। কিন্তু প্রথম যেদিন আমি স্কুলে ক্লাশ করার জন্য স্কুলে যাব সেদিন। আমাকে বাড়ি থেকে সম্পূর্ণ সুন্দরভাবে স্কুল ড্রেস পরিয়ে আমার বড় আপু সাথে করে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিল। যদিও আমাদের স্কুলটা একেবারেই আমাদের বাড়ির সামনে। বেশি দূরে নয় যে আমি একা একা যেতে পারবো না। কিন্তু যেহেতু স্কুলের প্রথম দিন এজন্য আপু নিয়ে যাচ্ছিল। আমি তো বেশ আনন্দ নিয়ে যাচ্ছিলাম প্রথম জিনিস স্কুলে।
কিন্তু যখনই আমি স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করলাম, আমাদের একজন প্রিয় স্যার ছিলেন যার নাম রহমান স্যার। যদিও স্যার ভীষণ ভালো এমন কি আমাদের ভীষণ আদর করতেন। কিন্তু তখন তো আমি আর স্যারকে এর আগে কখনো দেখিনি। প্রথম দিন ক্লাসে গিয়েই স্যার কে দেখেই আমি এত বেশি ভয় পেয়ে গেলাম তখনই কান্না শুরু করে দিলাম। এমনকি আমি এত বেশি কান্না করলাম যে আমি শুধু বলছিলাম আমি স্কুলে পড়বো না বাড়িতে চলে যাব। আমি প্রায় অনেকক্ষণ এই ভাবেই কান্না করলাম এবং বাড়িতে যাওয়ার জন্য বায়না করলাম।
এইজন্য প্রথম দিন আর আমার স্কুলে ক্লাস করা হলো না। আমার কান্নার জন্য আপু আবার আমাকে বাড়িতে নিয়ে গেল। স্যার বললেন পরের দিন আবার স্কুলে নিয়ে আসতে। প্রথম দিনে কিরকম একটা বাজে অনুভূতি হল। আমি স্যারকে দেখেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এত সুন্দর করে স্কুল ড্রেস পরে সেজেগুজে স্কুলে গিয়ে কি লাভ হল। হ্যাঁ এটা ছিল শুধুমাত্র প্রথম দিনের কথা। পরের দিন থেকে কিন্তু আমি খুব সুন্দরভাবে স্কুলে গিয়েছি এমনকি ক্লাস করেছি। জানিনা কেন প্রথম দিন এরকম হয়েছিল।
কিন্তু সেই প্রথম দিন স্কুলে যাওয়ার অনুভূতিটা এখনো যেন আমার চোখের সামনে ভাসছে। সবাই দেখছি নিজেদের অনেক সুন্দর সুন্দর অনুভূতিগুলো প্রকাশ করছে। সেই জন্য আমিও ভাবলাম আমার জীবনেও অনেক সুন্দর অনুভূতি এবং কি মজার অনুভূতি আছে। তা আপনাদের মাঝে একটু একটু করে শেয়ার করি। নিশ্চয়ই প্রথম দিন স্কুলের অনুভূতিটা শুনে আপনারা অনেক মজা পেয়েছেন। আজকে এ পর্যন্তই পরবর্তীতে আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
খুব মজা পেলাম আপনার প্রথম দিন স্কুলে যাওয়ার অনুভূতির শুনে। আসলে বেশির ভাগ বাচ্চারাই স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রথমে খুব এক্সাইটেড থাকে ।পরে কান্নাকাটি শুরু করে। আমারও মনে পড়ে গিয়েছে আমার প্রথম দিনের কথা । আমি কিন্তু কান্না করিনি খুব খুশি মনেই ছিলাম নতুন নতুন বন্ধু পেয়ে, নতুন নতুন স্কুল ড্রেস, নতুন ব্যাগ পেয়ে সব মিলিয়ে আমার দিনটি খুব ভালো কেটেছিল।
আসলেই ঠিক বলেছেন প্রথমে স্কুলে যাওয়ার জন্য ভীষণ এক্সাইটেড থাকলেও পরে স্কুলে গেলে বোঝা যায় কে কি রকম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার স্কুলে প্রথম দিন যার অনুভূতির কথাগুলো জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। কেননা আমিও প্রথম দিন স্কুলে আমার আব্বার সাথে গিয়েছিলাম এবং স্কুলে গিয়ে কান্না শুরু করেছিলাম। ছোটবেলায় স্কুলে যাওয়ার অনুভূতি গুলো অতি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনিও আমার মত কান্নাকাটি করেছেন এটা শুনে ভালো লাগলো, আমার সাথে মিলে গেল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এ স্মৃতিগুলো যেন ভোলার নয় আপু।আমার এখনো মনে আছে,আমি তো শুধু কাদিইনি-যিনি ক্লাস নিতে এসেছিলেন তাকে মেরেও ছিলাম😐।
বাইরে আম্মু ছিল অথচ আমায় যেতে দিচ্ছিলোনা আম্মুর কাছে।
আপনার স্মৃতি জেনে খুব ভালো লাগলো আপু।শুভ কামনা রইলো ❤️
আসলে ঠিক বলেছেন এই স্মৃতিগুলো যেন ভোলার নয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার জীবনের প্রথম স্কুল যাওয়ার অনুভূতি গুলো জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আসলে প্রথম প্রথম বাচ্চারা অনেক আনন্দের সাথে স্কুলে যায়। কিন্তু একের পর এক স্কুলে যাওয়ার কারণে অনেক কান্নাকাটি করে। এই ঘটনাটি আমাদের জীবনের সকল এই কোনরকম ভাবে জড়িত। আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আসলেই ঠিক বলেছেন স্কুলে যাওয়ার প্রথম দিন একটু বেশি আনন্দ হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।