লাইফ স্টাইল :- মাইসুনের জন্য রূপার চুড়ি কেনার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার, তাই জন্য আমি আমার দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করি। তেমনি আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয়ে শেয়ার করতে আসলাম । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আসলে ছোট বাবুদের হাতে রুপার চুড়ি পড়ালে দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। কিছুদিন ধরেই আমার বোন ভাবছিল মাইসুনের জন্য চুড়ি কিনবে। আর এই জন্য আমাকে ফোন করেছিল যেন আমি সহ যাই ওর সাথে চুড়ি কেনার জন্য। আসলে আমরা বেশিরভাগ সময় একসাথে কেনাকাটা করে থাকি। যদিও কয়েকদিন ধরে খুবই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তাই জন্য এই কয়েকদিন আর যেতে পারি নাই। গত দুই-তিন দিন আগে একটু ফ্রি হয়ে মার্কেটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। পরবর্তীতে আমরা দুই বোন একসাথেই মূলত মার্কেটে গিয়েছিলাম।
আমি মার্কেটে যাওয়ার সময় নাশিয়াকে বাড়িতেই রেখে গিয়েছিলাম। আসলে ওকে নিয়ে গেলে এটা ওটা কিনে দেওয়ার জন্য শুধু বায়না করে আর কান্নাকাটি করে। তাই জন্য ওকে সাথে করে নিলাম না। কিন্তু মাইসুনতো ছোট তাই জন্য ওকে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের মূলত একজন পরিচিত গোল্ডের দোকান রয়েছে। এই দোকান থেকে আমরা প্রতিনিয়ত কিছু প্রয়োজন হলে কিনে থাকি। কিছুদিন আগে গিফট করার জন্য একটা আংটিও কিনেছিলাম। আমি গিয়ে দোকানদারকে বললাম আমাদেরকে চুড়ি দেখানোর জন্য।
উনি আমাদেরকে প্রায় বিভিন্ন ডিজাইনের চুড়ি দেখিয়েছে। আমাদেরকে বলেছে কোন ডিজাইনটা পছন্দ হয় সেটা দেখতে। তখন আমরা সেখান থেকে কিছুক্ষণ ধরে চুড়ি পছন্দ করার চেষ্টা করলাম। একটা ছবি আমাদের পছন্দ হলে সেটা আমরা , মাইসুনকে হাতে পড়িয়ে দেখলাম আসলে দেখতে কি রকম লাগে। এমনকি ওর হাতে ঠিকঠাক হয়েছে কিনা। পরবর্তীতে দেখলাম ঠিকভাবে হয়েছে। আর আমরা সেই চুড়িগুলো দোকানদারকে দেখিয়ে বললাম এগুলো পছন্দ হয়েছে।
পছন্দ অনুসারে দোকানদারকে বললাম প্রাইজ বলতে। পরবর্তীতে প্রাইজ বললে আমরা টাকা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপরে আমাদেরকে চুড়িগুলো প্যাকেট করে দিল। কেনা শেষ করে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম। যদিও সেদিন আরো কিছু কেনাকাটা করেছিলাম। সবকিছু আসলে ফটোগ্রাফি করা হয়নি। কেনাকাটা শেষ করে আবার আমরা হালকা কিছু নাস্তা করেছিলাম। আসলে নাস্তা করার সময় ও আমরা আর কোন ফটোগ্রাফি করিনি। তার জন্য আপনাদের সাথে সেগুলো শেয়ার করতে পারিনি।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এরপর আমরা আবারও বাড়িতে ফিরে আসলাম। ভীষণ ভালোই লেগেছিল আসলে চুড়িগুলো কিনতে পেরে। বাড়িতে এসে মাইসুনের হাতে চুড়িগুলো পরিয়ে দিলাম। আমার কাছেও ভীষণ ভালো লেগেছিল দেখতে। আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
ছোট বাবুদের হাতে রুপার চুড়ি পরালে দেখতে সত্যিই অনেক কিউট লাগে। কিছু কেনাকাটা করার জন্য আপনারা একসাথে বের হন জেনে ভালো লাগলো আপু। আর মাইসুনের জন্য খুব সুন্দর এক জোড়া চুড়ি কিনেছেন। দেখতে খুবই চমৎকার লাগছে। নিশ্চয়ই চুড়ি দুইটা মাইসুন বাবুর হাতে পড়লে দেখতে খুবই কিউট লাগবে।
হ্যাঁ অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল মাইসুনের হাতে পড়ানোর পরে।
https://twitter.com/TASonya5/status/1738746795784806662?t=VVq6gPhi3NLZ_qFudgBBjg&s=19
জী আপু ছোট বাচ্ছাদের রুপার চুড়ি পড়ালে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। আপনারা যে চুড়ি গুলো নিয়েছেন সে গুলো মাইসুনের হাতে খুবই সুন্দর লাগবে। চুড়ি গুলো আমারও পছন্দ হয়েছে। প্রাইজটা বললে ভালো হতো। ধন্যবাদ।
আপনারও পছন্দ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। ভাইয়া প্রাইস ২৫০০ টাকা। আপনাকেও ধন্যবাদ।
মাইসুনের জন্য খুব সুন্দর রূপার চুড়ি কিনেছেন। দুই বোন একসাথে গিয়ে কেনাকাটা করেছেন। চুড়িগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। ছোট বাচ্চাদের হাতে এরকম চুড়ি গুলো বেশ ভালো লাগে দেখতে। আপনাদের কেনাকাটা মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
সবার পছন্দ হয়েছিল তার চুড়িগুলো। মুহূর্তটা ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
মাইসুন যখন খুব ছোট ছিল তখনই আমি সোনিয়া আপুকে বলেছিলাম আমি আমার নিজের টাকা দিয়ে মাইসুন জন্য এক জোড়া ছুড়ি কিনবো। আসলে প্রত্যেক মা-বাবারে স্বপ্ন থাকে অল্প হলেও নিজের সন্তানের জন্য কোন স্বপ্ন পূরণ করা। কারণ মেয়ে বাবুদের ছোটবেলায় চুড়ি লাগালে একটু সুন্দর দেখায়। আমি নিজেও অনেক খুশি যে আমি আমার মেয়ের জন্য এই চুড়ি জোড়া কিনতে পেরেছি। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন একটু একটু করে আমার মেয়ের ইচ্ছে গুলো পূরণ করতে পারি।
আসলে মাইসুন ছোট থাকা অবস্থায় আমাকে বলেছিলে চুড়ি কেনার কথা। সব সময় দোয়া করি যেন নিজের মেয়ের ইচ্ছাগুলো পূরণ করতে পারেন।
ছোট বাচ্চাদের হাতে চুড়ি পড়লে খুব সুন্দর লাগে দেখতে।আপনাদের পরিচিত জুয়েলার্সে গিয়ে চুড়ি পছন্দমত কিনতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।আসলে কেনাকাটা করার সময় ফটোগ্রাফি করতে ভুলে যেতে হয়।ধন্যবাদ সুন্দর চুড়ি কেনার মূহুর্তের ফটোগ্রাফি ও বর্ননা দেয়ার জন্য।