নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৭)
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের সপ্তম পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
গত পর্বের শেষে আমরা দেখেছিলাম একটা লোক এসেছিল মেম্বারের ছেলেকে দেখতে বরিশাল থেকে। আর এই পর্বে দেখব এর পরবর্তী থেকে। বরিশাল থেকে লোকটা আসার পরে যখন ডাকাডাকি করছিল তাদেরকে, তখন মেম্বার এবং তার বউ বের হয়েছিল। আর তখন লোকটা বলছিল বরিশাল থেকে এসেছে। তাও আবার ছাগল বিক্রি করে। মেম্বার তো এগুলো শুনে অনেক বেশি রেগে গিয়েছিল। আর তখন মেম্বার তার বউকে বলল ঘর থেকে যেন একটা লাঠি নিয়ে আসে। এরপর লাঠি নিয়ে আসার পরে মেম্বার লোকটাকে লাঠি দিয়ে তাড়া করে। আর তখন মেম্বারের বউ তাকে থামায়। আর লোকটা সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর তারা বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছিল।
এরপর দেখা যায় রতন ফকির মর্জিনাদের বাড়িতে এসেছে। আর মর্জিনার সাথে কথা বলছিল। সেখানে কাদের ফকির চলে এসেছিল। তারপরে রতন ফকিরকে জিজ্ঞেস করেছিল কেন তাদের বাড়িতে এসেছে। তখন রতন ফকির বলে রবি নাকি কাদের ফকিরের অভিশাপ বিশ্বাস করে না। তখন কাদের ফকির রবির উপর রেগে যায়, আর সঙ্গে সঙ্গে রবিকে অভিশাপ দিয়ে দেয়। তারপরে রতন ফকির বলে অভিশাপ লেগেছে কিনা। এরপর রতন ফকিরকে কাদের ফকির বলে অবশ্যই লেগেছে। তারপরে রতন ফকির রবিকে দেখার জন্য চলে যায়। আর মর্জিনা যখন বলছিল সেও যাবে, তখন কাদের ফকির তাকে যেতে মানা করে। এরপর কাদের ফকির চলে যায় ঘরে।
এরপর রবিকে দেখা যায় তার পেট ধরে জোরে জোরে তার মাকে ডাকছিল। তার পেট ব্যাথা করছিল নাকি প্রচুর পরিমানে। আর সেখানে তখন রতন আসে। আর রবির মা রবিকে বলে কাদের ফকিরের কাছে যাওয়ার জন্য এবং মাফ চাওয়ার জন্য। কিন্তু সে বলে কখনোই সে চাইবে না। তখন রতন ফকির বলে তাহলে তুই মারা যা। আর আমি সবাইকে গিয়ে বলি তোর এই ব্যাপারটা। তখন রতন সেখান থেকে চলে যায়। এরপর ফকিরদের সরদার কে দেখা যায় বাচ্চা দুটোর সাথে কথা বলছে। বাচ্চা দুইটা চলে যাওয়ার পরে সেখানে ভন্ড সাজা সেই ফকিরটা আসে। আর কাদের ফকিরের উপর নজর রাখার বিষয়ে সর্দারের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে চলে যায়।
এরপর দেখা যায় রতন ফকির সায়েম ফকিরের বাড়িতে এসে, তার বউকে ভাবি জান বলে ডাকতেছে। আর তখন তারা দুজন ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। সায়েম অনেক বেশি রেগে যায় এবং রতনের সাথে তর্ক করতে থাকে কেন তার বউকে ভাবি জান বলে ডাকতেছে। এভাবে কিছুক্ষণ পর্যন্ত তারা তর্ক করছিল। তখন রতন বলে তোমার সাথে একটা কথা বলতে এসেছি। আর এটা বলে সে রবির বিষয়টা তাদেরকে জানায়। আর এটা জানানোর পরে তারা তাদেরকে বলে এখানে তারা কি করবে। এরপর রতন ফকিরকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। তারপরে সায়েম ফকির কিছুক্ষণ পর তার বউকে নিয়ে বাইরে যায় দেখার জন্য। তারপরে দেখা যায় রবির মা তাকে নিয়ে কাদের ফকিরের বাড়িতে এসেছে।
এরপর সেখানে দেখা যায় সকল ফকিরও এসেছে। তারপরে তারা বলে কাদের ফকিরের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য। রবি প্রথম দিকে যদিও চাচ্ছিল না ক্ষমা চাইতে, পরবর্তীতে সবার জরাজুরিতে চাইল। তারপর কাদের ফকির অনেকক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা করার পর পারল অভিশপ্ত দূর করতে। এরপর রবি নিজের মন থেকে কাদের ফকিরের কাছে ক্ষমা চায়। তারপরে সবাই কাদের ফকিরের নামের মিছিল করতে করতে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর দেখা যায় সায়েম ফকির তার বউকে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ির পথে। তারা কথা বলতে বলতে আসছিল, আর তখন দেখা যায় মানিক ফকির এবং রতন ফকিরকে। তাদের দুজনকে দেখা যায় সায়েম ফকিরের শ্বশুরবাড়ি থেকে আসতেছে।
এরপর সায়েম ফকির তাদের দুজনকে জিজ্ঞেস করে তার শ্বশুরবাড়িতে কেন গিয়েছিল। তখন তারা বলে এমনিতেই গিয়েছিল। এরপর রতন ফকির মানিক ফকির এবং সায়েম ফকির বেশ কিছুক্ষণ তর্ক করছিল। তারপর সায়েম ফকির বলে তার স্বামীর সাথে এদের দুজনের কখনো বিয়ে দেবে না। তারপরে তারা সেখান থেকে যে যার পথে চলে যায়। তারপরে সকালবেলায় দেখা যায় মেম্বার চেয়ারম্যানের বাড়িতে এসেছে। আর কিছুক্ষণ ডাকার পরে চেয়ারম্যান ঘর দেখে বেরিয়ে এসেছিল। সেই সাথে তার মেয়েও এসেছিল। এরপর মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে বলছিল ফকিরদের যেন কোনো না কোনো বিচার করে। এসব কিছু আর মানতে পারতেছে না কেউ।
প্রিন্সের সাথে যা হল এটা নিয়ে প্রিন্স আর ঘর থেকেও বের হতে পারছে না। তখন চেয়ারম্যানের মেয়ে মেম্বারের কাছে প্রিন্সের কথা জিজ্ঞেস করে। তখন চাঁদনী বলে প্রিন্স ফকিরদের সাথে অনেক খারাপ আচরণ করেছিল তাই তো এরকম অভিশাপ দিয়েছিল। অনেকক্ষণ ধরে কথা বলার পর মেম্বার সেখান থেকে চলে যায়। আর চাঁদনী মনে মনে প্রিন্সের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের কথা বলছিল। তার বাবা জিজ্ঞেস করাতে সে বলে প্রিন্স কে দেখে আসবে। তখন তার বাবাও তার কথায় সহমত জানায়। এরপর তারা ঘরে চলে যায়। এরপর দেখা যায় সায়েম ফকির তার বউকে নিয়ে ভিক্ষা করতে করতে তার শ্বশুরবাড়িতে চলে গেছে। তারপরে তার শশুরের সাথে ঝগড়া হয়। আর এই সময় নাটকটার এই পর্ব শেষ হয়ে যায়। এখন দেখা যাক এর পরবর্তীতে কি হয়।
ব্যক্তিগত মতামত
এই নাটকটা সত্যি বেশ অসাধারণ হাসির নাটক। নাটকটা যত পর্ব দেখছি আমি তো ভীষণ এনজয় করছি।। এই পর্বেতো দেখলাম কাদের ফকির মূলত ভুয়া কামেল হয়েছে। আসলে এই জিনিসগুলো গ্রামের থেকে বেশিরভাগ দেখা যায়। আর সহজ সরল মানুষেরা এসব কিছু বিশ্বাস করে থাকে। আমি বলবো আমাদের এই সব মিথ্যা আলোচনা থেকে দূরে থাকা উচিত। আর আমি মনে করি কেউ যদি বোঝার চেষ্টা করে তাহলে এই নাটকটির থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। তাছাড়া কেউ কখনো এরকম কামেল হতে পারে না। এই জিনিসটা থেকে আমরা দূরে থাকা উচিত। এমনিতে নাটকের অভিনয় এবং চরিত্র সবকিছুই আমার ভীষণ ভালো লেগেছে আশা করি আপনাদের ভালো লাগলেও আপনারা নাটকটি দেখতে পারেন।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/TASonya5/status/1744945553870565526?t=nQPIw2QihlZ3ej7E152vzA&s=19
এই নাটকের এই পর্বে তো দেখছি বরিশাল থেকে একটা লোক ছাগল বিক্রি করে প্রিন্স কে দেখার জন্য চলে এসেছে। আর দেখছি কাদের ফকির রবিকেও অভিশাপ দিয়ে দিল। তবে অনেক চেষ্টা করার পর রবির অভিশাপ দূর করতে পেরেছে এটা জেনেই ভালো লাগলো। সায়েম তার শশুর বাড়িতে গিয়েছিল। তারপরে তার শ্বশুরের সাথে ঝগড়া হয়। এরপর কি হলো এটাই জানার অপেক্ষায় থাকলাম। রিভিউটা কিন্তু সত্যি খুবই সুন্দর করে লিখেছ। যার কারণে পুরো পর্বের সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নিলাম।
আমার তো এটাতে বেশি অবাক লেগেছে লোকটা বরিশাল থেকে চলে এসেছিল। চেষ্টা করব খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব শেয়ার করার।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ সুন্দর একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। ঠিক বলেছেন আপু আপনি আসলে গ্রামের সহজ সরল মানুষ এই সব কিছুই বিশ্বাস করে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা আবারও আস্তে আস্তে সব কিছু বুঝতে পারে। তবে এই নাটক থেকে আমাদের সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত আমিও একই মত পোষণ করছি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি শিক্ষানীয় নাটক শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ শিক্ষাটা নেওয়া উচিত। অনেকেই অনেক কিছু বিশ্বাস করে এগুলোর থেকে দূরে থাকা বেশি প্রয়োজন।
আপনি তো খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করলেন আজকে ফকির গ্রাম নাটকটি আসলেই বেশ সুন্দর। আমিও এই নাটকটি দেখি। কিন্তু আজকে দুই পর্ব নাটকটি দেখা হয়নি। কাজের চাপে দেখতে পারলাম না। ভাবতেছি একদিনে বসে ওই দুই পর্ব দেখে ফেলব। যাই হোক আপনি বেশ সুন্দরভাবে নাটকের রিভিউটি শেয়ার করলেন। আশা করব পরবর্তী পর্ব নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে হাজির হবেন।
আপনিও এই নাটকটা দেখেন এটা জেনে ভালো লাগলো। যেহেতু কাজের চাপের কারণে দুই পর্ব দেখতে পারেননি অবশ্যই দেখে নেবেন। খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
আপু আপনি আজকে খুব চমৎকার একটি নাটক রিভিউ করেছেন। যদিও এই নাটকটি আমি এর আগে কখনো দেখি নাই। তবে নাটকের রিভিউ করে বুঝতে পারলাম নাটকটি বেশ ভালো। আশা করবো পরবর্তী অংশ আপনি আমাদের মাঝেও শীঘ্রই শেয়ার করবেন।
অবশ্যই চেষ্টা করব শীঘ্রই পরবর্তী অংশ শেয়ার করার।
দেখতে দেখতে ফকের গ্রামের নাটকটি সপ্তম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করে ফেলেছেন। এই নাটকটা বেশি জনপ্রিয় অনেকেই পছন্দ করে থাকে সুন্দর কথার ভঙ্গের মধ্যে রয়েছে আনন্দঘন মুহূর্ত আর ভালোলাগার অভিনয়। সব মিলে দারুন একটি নাটক। আর আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে রিভিউ করে তুলেছেন প্রতিনিয়ত, খুবই ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন সব মিলিয়ে এই নাটকটা অনেক দারুন। প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করা নাটকের রিভিউ আপনার কাছে ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম।