রেসিপি :- কাঁচ কলার কোপ্তা রেসিপি।steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কাঁচকলার কোপ্তা রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।

আমি অনেক আগে কাঁচ কলার কোপ্তা রেসিপিটি দেখেছিলাম। কিন্তু ওই রেসিপিটা দেখেই আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এমনিতে আমার কাছে কাঁচকলা রান্না করলে খেতে ভালোই লাগে না। তাই ভাবলাম যদি এইভাবে তৈরি করি মনে হয় ভালো লাগবে। সত্যি এই রেসিপিটি তৈরি করতে অনেক বেশি সময় লেগেছিল। কিন্তু রান্নাটা এত বেশি মজাদার হবে সেটা আশা করিনি। পরবর্তীতে রান্নাটা এতো ভালো লেগেছে আমরা সবাই মিলে খেয়েছি। আসলে কোন রেসিপি যদি প্রথমবার তৈরি করি, সেটা ভালো লাগলে বারবার তৈরি করতে ইচ্ছে করে।

তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।

1689071422980.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণ :

উপকরণপরিমাণ
কাঁচকলা৬ টা
বুটের ডাল২ কাপ
পেঁয়াজ কুচি১ কাপ
রোসন বাটা১ টেবিল চামচ
কাঁচামরিচ কুচি২ টেবিল চামচ
হলুদের গুঁড়া২ টেবিল চামচ
মরিচের গুঁড়া২ টেবিল চামচ
মসলা গুড়া১ টেবিল চামচ
লবনপরিমাণমতো
তেলপরিমাণমতো

1689066324281.jpg

রান্নার বিবরণ :

ধাপ - ১ :

প্রথমে আমি কাঁচকলা গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিলাম। এরপরে একটি পাতিল এর মধ্যে কাঁচকলা এবং লবণ আর হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করতে দিয়ে দিলাম। এভাবে আমি কাঁচকলা গুলো সিদ্ধ করে নিলাম।

1689066623222.jpg

ধাপ - ২ :

এরপরে আমি আগে থেকে বুটের ডাল ভিজিয়ে নিলাম। এরপর বুটের ডালগুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিলাম।

1689066645396.jpg

ধাপ - ৩ :

এরপর আমি একটি বাটিতে খুব ব্লেন্ড করা বুটের ডাল নিয়ে নিলাম।

1689066661947.jpg

ধাপ - ৪ :

এরপর আমি কাঁচকলা সিদ্ধগুলোকে হাত দিয়ে ভালোভাবে কচলে নিলাম।

1689066718213.jpg

ধাপ - ৫ :

এরপরে কাঁচকলা গুলো কচলে বুটের ডালের মধ্যে দিয়ে দিলাম। তারপর পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।

1689066737844.jpg

ধাপ - ৬ :

এরপর আমি সবগুলো মসলা একসাথে দিয়ে দিলাম।

1689066829914.jpg

ধাপ - ৭ :

মসলাগুলো দিয়ে তারপর হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম।

1689066855654.jpg

ধাপ - ৮ :

এরপরে আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। কড়াই এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম।

1689066872204.jpg

ধাপ - ৯ :

এরপরে তেল গরম হয়ে গেলে হাত দিয়ে পড়ার মতো তৈরি করে তেলের মধ্যে দিয়ে দিলাম।

1689066891226.jpg

ধাপ - ১০ :

তারপর উল্টাপাল্টা ভালোভাবে ভেজে নিব। এভাবে আমি সবগুলো একসাথে ভেজে নিব।

1689066908881.jpg

ধাপ - ১১ :

সবগুলো একসাথে ভেজে নেওয়ার পর একটা প্লেটের মধ্যে নিয়ে নিলাম।

1689066919405.jpg

ধাপ - ১২ :

এরপরে আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। এর মধ্যে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা এবং কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।

1689066933221.jpg

ধাপ - ১৩ :

এরপরে আমি সবগুলো মসলা একসাথে দিয়ে দিলাম। এরপরে মসলাগুলো দিয়ে কিছুটা পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে কষাতে হবে।

1689066949195.jpg

ধাপ - ১৪ :

এরপরে কিছুটা কষানো হলে এর মধ্যে তৈরি করা বড়াগুলো দিয়ে দিলাম।

1689067069225.jpg

ধাপ - ১৫ :

এভাবে চুলায় কিছুক্ষণ রেখে ভালোভাবে রান্না করে নিবো।

1689067082379.jpg

শেষ ধাপ :

এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।

1689071093322.jpg

1689071093295.jpg

1689071093447.jpg

1689071093351.jpg

1689071093381.jpg

1689071093270.jpg

1689071093477.jpg

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসRedmi note 9
ফটোগ্রাফার@tasonya
লোকেশনফেনী

আমার পরিচয়

1635518106012.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  
 last year 

কাঁচা কলা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা কলা রান্না এবং ভর্তা খেয়েছি। তবে কাঁচা কলার কোপ্তা রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তৈরি করার ধাপ গুলো দেখে শিখে নিলাম। এভাবে একদিন তৈরি করে দেখব। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 last year 

হ্যাঁ আপু এটা অনেক বেশি সুস্বাদু একটা রেসিপি, এবং কি এটা অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি যদি এই রেসিপিটা আগে কখনো না খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই তৈরি করবেন।

 last year 

ঠিক বলছেন আপু আমারও আপনার মত কাঁচা কলা তরকারি করে খেতে তেমন ভালো লাগেনা। কিন্তু আপনি যেভাবে কোপ্তা তৈরি করলেন কাঁচা কলার এভাবে তো খেতে অনেক ভালো লাগবে। চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করলেন আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো। আপনার রেসিপিটি দেখে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখতে হবে।

 last year 

আসলে ভিন্নভাবে যে কোন কিছু রান্না করলে খেতে এমনিতে ভালোই লাগে। তাই এই রেসিপিটা ভিন্ন ভাবে করার চেষ্টা করলাম। তৈরি করার পরে খেতে ভীষণ ভালো লেগেছিল।

 last year 

কাঁচা কলা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা কলা খেলে আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। তবে কাঁচা কলার কোপ্তা করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি আমার কাছে খুবই আনকমন মনে হয়েছে। এভাবে কোপ্তা করে খেলে সবাই খেতে পছন্দ করবে।

 last year 

আসলে ঠিক বলেছেন, কাঁচকলা খেলে আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। আসলে সবাই অনেক বেশি পছন্দ করেছিল যখন আমি রেসিপিটা তৈরি করি। খুব মজা করে খেয়েছিল।

 last year 

কাঁচ কলা সাধারণত রান্না করে খাওয়া হয়। দেখে মনে হচ্ছে কাঁচ কলার কোপ্তা খুব মজা হবে। রেসিপিটি ধাপে ধাপে শিখে নিলাম। রেসিপিটি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি আমাদের সাথে।

 last year 

যেহেতু রেসিপিটা শিখে নিয়েছেন তাই অবশ্যই তৈরি করে দেখবেন আশা করছি।

 last year 

কাঁচ কলার কোপ্তা রেসিপি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আসলে কাঁচ কলার যেকোনো কিছু বানিয়ে খেলে খুব মজায় লাগে। আর আপনার আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাই হয়েছে। খুব সুন্দর করে রেসিপিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

কাঁচ কলার কোপ্তা রেসিপি খেতে আপনার কাছে ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম। আমার কাছেও কাঁচকলার যে কোন কিছু তৈরি করে খেতে ভালো লাগে।

 last year 

কাঁচ কলার কোপ্তা রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এই রেসিপিটি আমার কাছে একদম নতুন মনে হয়েছে। রেসিপির পরিবেশনে অসাধারণ হয়েছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

আসলে নতুন মনে হওয়ার কথা। এই রেসিপিটা একেবারে আনকমন এবং খুব কম জায়গায় রেসিপি তৈরি করা দেখা যায়।

 last year 

কাঁচা কলার কোপ্তা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখতে অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। রেসিপির কালারটাও খুব সুন্দর এসেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

 last year 

আপনাকে ও ধন্যবাদ আমার সম্পূর্ণ রেসিপি পোস্ট দেখে এবং পড়ে সুন্দর একটা গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

 last year 

বাহ্! কাঁচা কলার কোপ্তা রেসিপি দেখেই তো জিভে পানি চলে এলো আপু। এই রেসিপিটা কখনো খাওয়া হয়নি আমার। সেই হিসেবে এই রেসিপিটা আমার কাছে খুব ইউনিক লেগেছে। রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। গরম গরম ভাতের সাথে এই রেসিপিটা খেতে দারুণ লাগবে। রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনাও এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। যাইহোক রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

যেহেতু আগে কখনো খাওয়া হয়নি, অবশ্যই তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আসলে গরম ভাতের সাথে রেসিপিটা একেবারে অসাধারণ ছিল খেতে। আর আমরাও খুব মজা করে খেয়েছিলাম গরম ভাতের সাথে রেসিপিটা।

 last year 

নতুন একটি রেসিপি আপনার মাধ্যমে দেখার সুযোগ হলো এবং তা তৈরি করার সম্পর্কে ধারণা পেলাম। এভাবে কখনো আমাদের পরিবারে কেউ রেসিপি করে দেখায়নি। নতুন এই ইউনিক রেসিপি সম্পর্কে জানতে পেরে ভালো লাগলো।

 last year 

আপনাদেরকেও নতুন একটা রেসিপি দেখাতে পেরে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62427.05
ETH 2464.11
USDT 1.00
SBD 2.65