ভ্রমণ :- প্রতাপপুর রাজবাড়ীতে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
আজ কয়েকদিন যাবত ভাবছি কোথাও যাওয়ার কথা। কিন্তু সময়ের ব্যস্ততা যেন পিছু ছাড়ছে না। সময় চাইলেও যেন ব্যস্ততা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু ঘরে তো আর সব সময় বসে থাকা যায় না। যার কারণে এত ব্যস্ততার মাঝেও কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবলাম। কিন্তু বেশ দূরে কোথাও যাব তা ভাবার শক্তি যেন পাচ্ছি না। মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছি। কিন্তু কোথায় যাবো তা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমাদের আশেপাশে সব জায়গা আমাদের ঘোরা।
পরবর্তীতে চিন্তা করলাম পুরনো কিছু দেখা যাক। তার মধ্যে অন্যতম হলো এই রাজবাড়ী। ফেনী জেলার মধ্যে খুবই ঐতিহাসিক প্রতাপপুর রাজবাড়ি অনেক বিখ্যাত। অনেক দূর দূর জায়গা থেকে মানুষ এই রাজবাড়ী দেখার জন্য আসে। পরে চিন্তা করলাম আমরাও যাই। অথচ আমি এর আগে দুই একবার গিয়েছিলাম। বেশ ভালো লেগেছিল।
দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে বের হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ১৫-20 কিলোমিটার দূরে এই রাজবাড়ীটি অবস্থিত। মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল প্রথমে। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে বাড়িতে রেখে গেলাম। তাকে বাড়িতে রেখে লুকিয়ে বের হয়ে গেলাম রাজবাড়ির উদ্দেশ্যে। মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। যার কারণে প্রায় সময় বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া হয়।
মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া আমার অনেক পছন্দের। অবশেষে রাজবাড়ী এসে পৌছালাম। প্রথমে ভেবেছিলাম সেখানে কোন মানুষ নেই। বাড়িটি খুবই নিরিবিলি একটি বাড়ি। যার কারণে একা যাওয়া একেবারে ঠিক না। ছিনতাই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ এর আগের বার আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন একটি মানুষের মোবাইল ছিনতাই হয়েছিল। যার কারনে আমরা দুপুরের পর একটু বের হয়েছিলাম। কারণ তখন সেখানে অনেক ছেলেরা খেলাধুলা করে। বিভিন্ন মানুষ আসলেও তখন আসে।
আমাদের ভাগ্য ভালো যে সেখানে অনেক কম মানুষ ছিল। কারণ অতিরিক্ত মানুষ থাকলে তখন ছবি তুললে অনেক খারাপ লাগে। ভালোভাবে দেখা যায় না। যার কারনে চেষ্টা করেছি মানুষ বিহীন ছবি তোলার জন্য। বাড়িতে ভিতরে আসলে পুরো ই ভেঙেচুরে যাচ্ছিল। সবগুলো বাড়িই নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। আসলে অনেক পুরানো রাজবাড়ি। রাজা থাকতো এ বাড়িতে
তখন এ বাড়িগুলো অনেক শক্ত করে বানানো হয়েছিল। যার কারণে এখনো টিকে আছে। কিন্তু আমার মনে হয় আর বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। কারণ সবকিছু যেন নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। এ বিষয়টা আমার খুবই খারাপ লেগেছে। আমি যদি ভালো কোন পর্যায়ে থাকতাম তাহলে এই বাড়ি সংস্কার করতে বলতাম। কারণ পুরনো বাড়িগুলো আগামী দিনে দেখা যাবে না। বাড়িগুলো বিলপ্ত হয়ে গেলে আমাদের দেশের ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে। । যা কখনোই আমাদের কাম্য নয়।
খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়ে আমরা ফিরে এলাম বাড়িতে। দুপুরের পর বের হয়েছিলাম। আস্তে আস্তে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। আসলে এ ধরনের ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তগুলো আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। পুরনো স্থাপনা গুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। এই ঐতিহাসিক বাড়িগুলো এবং ঐতিহাসিক জায়গাগুলো দেখতে আমাদের সবারই খুব ভালো লাগে। আমি আশা করি আপনাদের সবার আজকের এই মুহূর্তগুলো অনেক বেশি ভালো লাগবে। আমার নিজেরও অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। পরবর্তীতে অন্য কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকুন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1797271249330282732?t=LOdnVaj98iWLQtsaV2wp4g&s=19
বাইরের পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে যেতে আমারও খুবই ভালো লাগে। ঠিক তেমনি একটি অচেনা জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে গেছেন এবং আমাদের মাঝে সে ঘোরাঘুরি মুহূর্তটা উপস্থাপন করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার। আপনার আজকের এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে অনেক কিছু কিন্তু জানার সুযোগ মিলেছে।
বাইরে ঘোরাঘুরি করতে ভীষণ ভালোই লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝে মধ্যে ঘুরোঘুরি করা দরকার। ঘুরতে গেলে বিভিন্ন ধরণের অভিজ্ঞতা হয় এবং নতুন কিছু জানা যায়। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেলে মন অটোমেটিক ভালো হয়ে যায়। পুরানো দিনের রাজবাড়ী গুলো দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় লাগে। তবে বাড়ি গুলো অনেক শক্তিশালী হয়ে থাকে। আপনার লেখা গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আশাকরি চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ঠিক বলেছেন, পুরাতন রাজবাড়ী গুলো দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় লাগে। অনেক ধন্যবাদ।
পুরনো রাজবাড়ি গুলোতে ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। আপনি এর আগেও কয়েকবার এই জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন শুনে ভালো লাগলো আপু। পুরনো এই রাজবাড়ীর চিত্র দেখেও ভালো লাগলো। এরকম জায়গা গুলোতে সময় কাটাতে ভালো লাগে। আর পুরনো অনেক কিছুই দেখা যায়। আপনার ভ্রমণের সুন্দর মুহূর্ত গুলো সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ঠিক বলেছেন এর আগে ও কয়েকবার গিয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঐতিহাসিক প্রতাপপুর রাজবাড়িতে ঘুরতে গিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। রাজবাড়িতে আমিও কয়েকবার ঘুরতে গিয়েছি।রাজ বাড়িতে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। রাজবাড়ীর ঘরগুলোর কাঠাম সত্যি বেশ দারুন। বিভিন্ন নকশা দেখতে এখনো সুন্দর লাগে। প্রতাপপুর রাজবাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঠিক বলেছেন পুরাতন বাড়িগুলোর নকশা অনেক সুন্দর হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা ঠিক বলেছেন ঘরে বসে থাকতে থাকতে ও মাঝে মাঝে মাথার মধ্যে অন্যরকম এক চাপ সৃষ্টি হয়ে যায়। আর তখন যদি বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসা যায় তাহলে অনেক ভালোলাগা কাজ করে। যাইহোক আপনারা পুরনো রাজবাড়ী ভ্রমন করতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আশা করি নিরিবিলিতে জায়গাটিকে দেখার মাধ্যমে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। তবে হ্যাঁ এটা ঠিক বলেছেন এই বাড়িগুলোর একটু পরিচর্যা না করলে সময়ের সাথে সাথে এগুলো ভেঙে যাবে। আর বিলুপ্ত হয়ে যাবে এই পুরনো দিনের বাড়িগুলো। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক বেশি উপভোগ করেছিলাম জায়গাটা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ফেনী জেলার মধ্যে আমার খুব প্রিয় একটি জায়গা প্রতাপপুর রাজবাড়ি। এক সময় মন খারাপ হলে সেখানে গিয়ে বসে থাকতাম। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সেখান থেকে ফিরতাম। খুবই ভালো লেগেছে আমার স্মৃতিময় জায়গার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে।
ঠিক বলেছেন সত্যিই অনেক সুন্দর একটি জায়গা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।