নিজেদের সবজি বাগানের মনমুগ্ধকর দৃশ্য।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে শীতকালের সবজিগুলো খেতে ভীষণই ভালো লাগে। বিশেষ করে শীতকালে বিভিন্ন ধরনের সবজি পাওয়া যায়। আর এখন তো বাজারে কোন জিনিসই আপনি সঠিক পাবেন না। ফল কিংবা সবজি বলুন সবকিছুই ফরমালিনযুক্ত। এজন্য আমি মনে করি যদি নিজেরা কিছু সবজি ফলানো যায় তাহলে সেটা একদমই স্বাস্থ্যসম্মত হবে। নিজেদের ক্ষেতের সবজির থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। বিশেষ করে সেটা অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনযুক্ত হবে। এইজন্য আজকে আসলাম আপনাদের সাথে আমাদের নিজেদের সবজি ক্ষেতের দৃশ্য শেয়ার করতে।
device : Redme note 9
এখানে দেখতে পাচ্ছেন খুব সুন্দর টমেটো গাছ। আমাদের টমেটো গাছে অনেকগুলো টমেটো ধরেছে। যদিও এখনো টমেটোগুলো কাঁচা। টমেটো গাছগুলো কিন্তু অনেকটা বড় হয়েছে। আমাদের বাড়ির পাশেই ছোট্ট একটা জায়গা রয়েছে। সেখানে চেষ্টা করা হয়েছে কয়েকটা সবজি গাছ লাগানোর। আর এটা যেহেতু স্বাস্থ্যকর এইজন্যই চেষ্টা করা হয়েছে। আমার কাছে তো বেশ দারুন লাগে দেখতে। আমি যখন টমেটোগুলোর ফটোগ্রাফি করছিলাম দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। আসলে সবজি ক্ষেত করাটা কিন্তু অনেক কষ্টকর। কিন্তু করার পরে যখন ফল দেখি তখন কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। এটা কিন্তু সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। আমরা প্রায় কয়েকটা টমেটো গাছ লাগিয়েছিলাম। যত্ন সহকারে টমেটো গাছ গুলো ভীষণ সুন্দর হয়েছে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন শিম গাছ। শিম আসলে শীতকালীন সবজির মধ্যে খুবই অন্যতম। আমার কাছে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে গাছের সবজি রান্না করলে খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। গত কয়েকদিন ধরে আমরা সিম রান্না করে খেয়েছি ভীষণই ভালো লেগেছে। এই গাছটা আমাদের ছাদের উপরে করা হয়েছে। আমি যখন ছাদে যাই তখন শিম গাছ দেখতে ভীষণই ভালো লাগে। বিশেষ করে শিম গেছে অনেক সিম ধরেছে। সবুজ প্রকৃতি আর সবজি ভীষণই ভালো একটা অনুভূতি হয়। কালকে যখন ছাদে গেলাম তখনই কয়েকটা ফটোগ্রাফি করলাম। ভাবলাম ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব এই জন্য। নিজেদের শিম গাছ থেকে শিম খাওয়ার মজাই আলাদা। আশা করি সিম গাছের ছবিও আপনাদের ভালো লাগবে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন কুমড়ো গাছের ছবি। আসলে আমাদের কুমড়ো গাছটা ভীষণই বড় হয়ে গেছে। কুমড়ো গাছের পাতাগুলো দেখতেও ভীষণ সুন্দর লাগছে। তাছাড়া কুমড়োর শাক রান্না করলেও কিন্তু ভীষণ সুস্বাদু হয়। আমাদের কুমড়ো গাছে ছোট ছোট কয়েকটা কুমড়ো ধরেছে। যদিও আমি দূর থেকে এই ফটোগ্রাফি করেছি। কিন্তু নিজেদের গাছ দেখতে ভীষণই ভালো লাগে। কুমড়োতে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য কিন্তু কুমড়ো সবজিটা ভীষণ ভালো। যদিও গাছের কুমড়ো এখনো খাওয়া হয়নি কিন্তু, শাক রান্না করে খাওয়া হয়েছে। এমনকি আমার কাছে ভীষণই ভালো লেগেছে।
এটা হচ্ছে বেগুন গাছের ছবি। আমার কাছে কিন্তু বেগুন ভর্তা খেতে ভীষণই ভালো লাগে। আমরা প্রায় কয়েকটা বেগুন গাছ লাগিয়েছি। বেগুন গাছে বেগুনো ধরতে শুরু করে দিয়েছে। কয়েকটা বেগুন অনেক বড় বড় হয়েছে। ভাবছি বড় দেখে বেগুনগুলো নিয়ে বেগুনের ভর্তা করব। তাহলে মনে হয় খেতে বেশি ভালো লাগবে। বিশেষ করে রমজান মাসে কিন্তু বেগুন দিয়ে বেগুনি করে খেতে ভালো লাগে। আর যদি নিজেদের ক্ষেতে থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই। আমার কাছে ভালো লেগেছিল নিজেদের সবজি ক্ষেতের ছবি তুলতে। বিশেষ করে বেগুনের ছবি টা তুলতেই ভালো লেগেছে। যদিও অনেকেই এলার্জি জনিত কারণে বেগুন খেতে চায় না। কিন্তু আমার কাছে ভালই লাগে।
এগুলো হচ্ছে মরিচ গাছ। আমাদের বাড়ির পাশে কয়েকটা মরিচ গাছ লাগিয়েছি। এগুলো হচ্ছে সেখানকার ছবি। আবার ছাদেও কিছু মরিচ গাছ লাগিয়েছি। যদিও ছাদের মরিচ গাছগুলোর ছবি তোলা হয়নি। এই কাজগুলোতে এখন ফুল ধরেছে, ছোট ছোট মরিচ ধরছে। এখন তো কাঁচা মরিচ ছাড়া তরকারি রান্না করলে খেতে ভালই লাগে না। তবে আমাদের ছাদের মরিচ গাছের প্রায় অনেকগুলো মরিচ ধরেছে। এখন তো আমাদের সেখান থেকেই খাওয়া হয়ে যায়। বাইরে থেকে কিনে আনতে হয় না। আসলে নিজেরা যদি একটু কষ্ট করে পরিচর্যা করি, তাহলে কিন্তু বাইরে থেকে কিনে খেতে হয় না। আমাদের মরিচ গাছগুলো কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে।
আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারো ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে হাজির হব। এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আপু আপনি অনেক সুন্দর একটি টপিকস নিয়ে এসেছেন আজকে অনেক ভালো লেগেছে।কারণ বাজারে অনেক কিছু আছে যেগুলো খাবার যোগ্য না ফরমালিনযুক্ত।আপনি ঠিক বলছেন ফল শাকসবজি সব কিছুতে এখন ফরমালিন।অনেক লোভনীয় এবং তাজা সবজির ফটোগ্রাফি নিয়েছেন বাগান থেকে সত্যিই ফটোগ্রাফি থেকে নিয়ে খেতে ইচ্ছা করতেছে সবজি গুলো অনেক ধন্যবাদ আপু।
সত্যি বাজারের ফরমালিনযুক্ত খাবার গুলো আমার একদমই ভালো লাগেনা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/TASonya5/status/1625409511933763584?t=RaqPRwY2UnubEkkbip7ETA&s=19
শীতকালে চারিদিকে সবজির সমারোহ।
আপনি তো দেখছি নিজ বাড়িতেই সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
শীতকালীন সবজির মধ্যে টমেটো এবং গাজর সালাত হিসেবে খেতে আমার কাছে ও সবথেকে বেশি ভালো লাগে।।
সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন আপনার সবজি বাগান সম্পর্কে শুভেচ্ছা রইল।
টমেটো সালাদ কিংবা সস হিসেবে খেতে আমার কাছেও ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ আপু আপনারা দেখি খুব সুন্দর করে একটি সবজি বাগান করেছেন এবং সবজি বাগানে সিম বেগুন মরিচ সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি গাছ লাগিয়েছেন যা দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনাদের সবজি বাগানের ছবি আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার কাছে সবজি বাগান ভালো লেগেছে এটা দেখে খুবই খুশি হলাম।
শীতকালীন সবজিগুলো খেতে দারুন মজা যেটা সবাই খেতে পছন্দ করে। কিন্তু বাজারে বেশিরভাগ সবজিগুলো ফরমালিনযুক্ত সেজন্য এইভাবে বাড়ির পাশে সবজি বাগান করলে ফরমালিনের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আপনার সবজি বাগানের দৃশ্যপট দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
সত্যি এই বাগানটা আসলে এই জন্যই করা। বাজারের সবজিগুলো খেতে একদমই ভালো লাগেনা।
বাহ্,আপু বেশ ভালোই তো সবজির গাছ লাগিয়েছেন।ভালোই তো ফসল হয়েছে। কি সুন্দর লাগছে দেখতে।আমাদের বাসার ছাদেও লাগিয়েছি।টমেটো গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে।আসলে এমন সবজি গাছে সবজি দেখতে ভালোই লাগে,খেতে ও বেশ ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে
জ্বী আপু আমিও ছাদে এবং বাহিরে দুই জায়গায় লাগিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সবজি বাগানের ছবিগুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে সবজি লাগানো এবং পরিচর্যা করা বেশ কঠিন। আমার বারান্দায় বেশ কিছু সবজি গাছ লাগিয়েছি, গাছগুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছে।
আপনার পুরো বাগান এবং চমৎকার সবজিগুলোর ছবি দেখে ভালো লাগলো আপু।
সত্যিই সবজি বাগান পরিচর্যা করা খুবই কঠিন। তবে ফসল দেখা দিলে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার সবজির বাগান একেবারে ফসলে ভরে উঠেছে। সত্যি আপু রকম ভাবে যদি সবজির বাগান করা হয় তাহলে টাটকা সবজি খাওয়া যায়। আর নিজের বাগানের গাছ থেকে তোলা সবজিগুলো রান্না করতে ভীষণ ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো আপু।
জ্বী আপু নিজের সবজি বাগানের সব যেগুলো তুলতে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সবজি বাগানের পোস্ট দেখে খুব ভাল লাগলো। বাজারের সবজি আর নিজের হাতে লাগানো সবজি আকাশ পাতাল ব্যবধান।আপনার বাগানের সবজির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভাল লাগলো আমার। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন সত্যি আকাশ পাতাল ব্যবধান। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি তো খুবই সুন্দর করে সবজি গাছ লাগিয়েছেন। নিজের হাতের শাকসবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। এর স্বাদ ও দ্বিগুণ হয়। তাছাড়া ফরমালিন মুক্ত শাকসবজি পাওয়া যায়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কাছেও সত্যি নিজের সবজিগুলোর স্বাদ বেশি লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।