লাইফ স্টাইল :- ক্যামেরা বন্দি করা নিজেদের কিছু মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার, তাই জন্য আমি আমার দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করি। তেমনি আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয়ে শেয়ার করতে আসলাম । আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমাদের নিজেদের কিছু ক্যামেরা বন্দি মুহূর্ত। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আসলে কিছুদিন আগে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম, তখনই বলেছিলাম আমরা নিজেরা কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম সেদিন ফটোগ্রাফারের হাতে , সেগুলো আপনাদের মাঝে আজকে শেয়ার করব। আসলে এখনো নিজেদের ফটোগ্রাফি একদমই করা হয় না। আমরা তো সারাদিন অন্য কিছুর ফটোগ্রাফি করতেই ব্যস্ত থাকি। আর আপনাদের মাঝে শেয়ার করি সুন্দর সুন্দর বিষয়গুলো। তাই জন্য ভাবলাম যখন একটা সুযোগ পেয়েছি তখন নিজেদের সুন্দর কিছু মুহূর্ত ক্যাপচার করি। আসলে ফটোগ্রাফারেরা বরকনের অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করা হয়েছিল।
তখন আপনাদের ভাইয়া ক্যামেরাম্যানকে বলে রেখেছিল তাদের ফটোগ্রাফি করা শেষ হলে , আমরাও কিছু ফটোগ্রাফি করব। তখনই তাদের ফটোগ্রাফি করা শেষ হলে আমাদেরকে বলেছিল আসার জন্য। আসলে আমরা সেখানে প্রায় অনেকগুলো মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। আর তার জন্য মূলত , আমরা যখন ফটোগ্রাফি করতে গেলাম তখনই নাশিয়ার কান্নাকাটি করা শুরু হয়ে গেল। তখন তো ভেবেছিলাম হয়তোবা আর ফটোগ্রাফি করা হবে না।অন্যদিকে দেরি হয়ে যাচ্ছিল সময় চলে যাচ্ছিল। তখন নাশিয়াকে একটু বুঝিয়ে শুনিয়ে দুই তিনটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম তার সাথে।
পরবর্তীতে তার আর কোনভাবেই ধৈর্য ধরা সম্ভবত ছিল না। এমনকি সেখানে আর কোনভাবেই বসতে চাইছিল না। আর দোকানে সে কিছু কিনে দেওয়ার জন্য কান্নাকাটি করা শুরু করে দিল। আমরা যেখানে ফটোগ্রাফি করছিলাম সেখানে আর কেউ ছিলও না, যে তাদেরকে বলব নাশিয়া একটু নিতে। আসলে সবাই সেখান থেকে কমিউনিকেশন হয়ে চলে গিয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে বুঝিয়ে সাজিয়ে একটু বসালাম। আর তখনই কয়েকটা ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম। আমাদের দুইজনের কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তার সাথে আবার আমি একা কয়েকটা ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছি।
আসলে অতিরিক্ত ফটোগ্রাফি করতে পারবে কয়েক টা ফটোগ্রাফি করতে পেরেছি এটাই ভীষণ ভালো লাগলো। ওই মুহূর্তটা খুবই সুন্দর কাটিয়েছিলাম। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে ওই জায়গাটা। জায়গাটা এত বেশি সুন্দর ছিল যে আমার কাছে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে। আরো বেশি সুবিধা হয়েছিল জায়গাটাতে খুব একটা মানুষজন ছিল না। তাই জন্য বিয়ের সবগুলো ফটোগ্রাফি করতে ও অনেক বেশি সুবিধা হয়েছিল। সাথে সাথে আমরাও কিন্তু ফটোগ্রাফি করে অনেক ভালো অনুভব করেছি । তার সাথে জায়গাটাতে ছিল অনেকগুলো গাছপালা। গাছ থাকার কারণে ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর এসেছিল।
ফটোগ্রাফি শেষ হলে আমরাও সেখান থেকে রওনা দিলাম। আসলে নাশিয়া যেহেতু কান্নাকাটি করছিল তাই জন্য প্রথমে খাওয়ার জন্য কিছু কিনে দিলাম। আসলে ফটোগ্রাফি গুলো ফটোগ্রাফার করেছিল, তাই জন্য সেগুলো ফটোগ্রাফারের কাছ থেকে নিতে কয়েকদিন সময় লেগে গিয়েছিল । এখন যখন ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের হাতে আসলো , আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছে। মুহূর্তটা বেশ ভালোই কাটিয়েছিলাম। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভীষণ ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
নিজের জীবনের যে ক্যামেরা বন্দি করেছেন এটাও খুবই প্রয়োজন। প্রতিটা মানুষের জীবনে এরকম স্মৃতি থাকা উচিত। খুবই ভালো লাগলো দুজন কে একসাথে দেখতে পেয়ে। দুজনকেই অনেক ভালোভাবে চিনি আপু এবং ভাই একসাথে অনেক সুন্দর লাগছে। বিশেষ করে আপনার মেয়েকে অনেক কিউট লাগছে। ছোট বাচ্চাদের ছবি তুললে অনেক কিউট লাগে দারুন একটা দিন ছিল।
আসলেই ভাইয়া অনেক দারুন একটা দিন ছিল। স্মৃতি হিসেবে থাকবে আজীবন এগুলো।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আপনারা ভর করে পরে নিজেরাও ক্যামেরাম্যানকে বলে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। নাশিয়াকে দেখেই মনে হচ্ছে ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে ছবি উঠাতে। যাইহোক রাজি করে কয়েকটা ছবি উঠিয়েছেন ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে নাশিয়াকে। আমাদের মাঝে আপনাদের ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য। আমরাও আপনাদের কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পারলাম।
হ্যাঁ ওতো ঠিকমত দাড়াচ্ছিল না ছবি তোলার জন্য। অনেক কষ্ট করে ওর কয়েকটা ছবি তুলেছে ক্যামেরা ম্যান।
আপনারা তো দারুন একটি কাজ করেছেন। বরকনের ফটোগ্রাফি শেষ হওয়ার পর সেই ক্যামেরা ম্যান আপনাদের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করে দিয়েছেন। মাঝে মাঝে নিজেদের ও একটু একাকীত্ব সময়ের প্রয়োজন। আমার তো মনে হচ্ছে আপনারা দু'জনই বরকনে। আপনার মেয়েকে দেখতে মাশাআল্লাহ অনেক কিউট লাগছে। যাক আপনার মেয়ে কান্নাকাটি করছে এর মধ্যেও কিছু ফটোগ্রাফি করতে পেরেছেন। আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ওর এসব কাহিনীর কারণে তো পারছিলাম না ছবি তুলতে। অনেক কষ্ট করে এগুলো তুলেছি।
পরিবারের সবাইকে নতুন লুকে দেখে খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে নাশিয়াকে দেখেই ভীষণ ভালো লাগছে। পরিবারের সকলকে নিয়ে এত সুন্দর মধুর মুহূর্ত কাটানো অনুভূতি সত্যি বেশ অসাধারণ হয়ে থাকে। আপনাদের মাঝে এমন সুন্দর মুহূর্ত জীবনে বারবার ফিরে আসুক এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকবেন থাকবেন এটাই প্রার্থনা রইলো।
দোয়া করবেন সব সময় এভাবে। নাশিয়াকে দেখে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
https://x.com/TASonya5/status/1733866690809864296?s=20
আপু এটা ঠিকই বলেছেন আজকাল আর নিজেদের ফটোগ্রাফি করাই হয় না। আপনারা বর কনের ফটোগ্রাফি শেষ হওয়ার পর ক্যামেরা ম্যানকে দিয়ে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছেন।ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। মেয়েকে তো মাশাল্লাহ অনেক কিউট লাগছে। অনেকক্ষন থাকাতে মেয়ে খুব কান্নাকাটি করলো। তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ফটোগ্রাফি করলেন।সবাইকে মাশাল্লাহ সুন্দর লাগছে।খুব সুন্দর মূহুর্তে সবাই ক্যামেরায় বন্দী হয়ে রইলেন।ধন্যবাদ আপু মূহুর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে ফটোগ্রাফি করেছি। অনেক বেশি কান্নাকাটি করছিল। হ্যাঁ, ওই মুহূর্তটা ক্যামেরাবন্দি হয়ে রয়েছে।
সব গুলো ফটোগ্রাফি অসম্ভব রকমের সুন্দর হয়েছে। আসলে বাচ্চাদের কাজই এমন আনন্দের সময় কান্না করা😟ছোট মানুষ বুঝতে পারে না আনন্দ মনে যখন যা আসে তাই করতে চায়।আর বাচ্চা রাখার মতো কেউ না থাকলে এমন সমস্যা একটু হয় তবে মামনিও আপনাদের ছবি গুলো সত্যি সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ সুন্দর ছবি গুলো ও ছবি তোলার গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন তাদের কাজটা এমনই। ঠিক বলেছেন তাদের মনে যখন যা আসে তারা ওইটাই করে।
বাহ দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন দেখছি। ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের কাজ। আপনাদের পিচ্চিটা মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর তার জন্য অনেক দোয়া রইল।
হ্যাঁ ভাইয়া খুব ভালো সময় কাটিয়েছি এই ফটোগ্রাফি গুলো করার সময়।
অনেক হাসি খুশি এবং সুন্দর একটি পরিবার। আর আপু আপনার মেয়ে তো মাশাল্লাহ। মামনি টাকে অনেক কিউট লাগছে। ক্যামেরাম্যানকে দিয়ে আপনাদের নিজেদের কিছু সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করে খুব ভালো করেছেন। চমৎকার এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এরকম ভাবে ছবি তুলতে পেরে। আমার মেয়েটার জন্য দোয়া করবেন সব সময়।