স্বরচিত কবিতা : " হ্যাংআউট কত স্পেশাল "
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই সুস্থ এবং ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি সব সময় প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পোস্ট করার চেষ্টা করছি। কারণ ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পোস্ট করলে সবার দেখতেও ভীষণ ভালো লাগে। সে অনুসারে আজকে একটি কবিতা লিখতে বেশ ইচ্ছে করছিল। আসলে কবিতা তো লেখা আমার কাছে ভীষণ কঠিন। কারণ আমি মনে করি কবিতা লেখাটা অনেক সময় এবং অনুভূতির প্রয়োজন। যেহেতু আজকে ইচ্ছে করছিল কবিতা লেখার, এইজন্য একটা কবিতা লেখার চেষ্টা করলাম। আশা করি আমার আজকের কবিতাটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকের কবিতাটি আমার আমাদের হ্যাংআউট নিয়ে লিখেছি। কারণ আমরা জানি আমার বাংলা ব্লগের সবার জন্য প্রতি সপ্তাহে হ্যাংআউট কতটা স্পেশাল। পুরো সপ্তাহ শেষে আমরা সবাই অপেক্ষা করে বসে থাকি। হ্যাঁ তোর সাথে আমাদের স্নেহ মায়া সবকিছুই জড়িয়ে আছে। আর গান আড্ডায় সবকিছুই এই দিনটা আমাদেরকে মাতিয়ে রাখে। পুরো সপ্তাহে আমরা যে কাজ করি তার ফলাফলটা সেদিনই জানতে পারি। এছাড়াও আমাদের প্রিয় এডমিন মোডারেটরদের থেকে বিভিন্ন ধরনের উপদেশ পেয়ে থাকি যেগুলো আমাদের অনেক কাজে লাগে। আমরা সকল ভাই-বোনরা মিলে ভীষণ আনন্দ মজা করে থাকি। পুরো সপ্তাহ জুড়ে কাজ করার পর হ্যাংআউটের দিন মনে হয় যেন আমরা ক্লান্তি দূর করছি। আমরা কিন্তু আমি বাস্তবিকভাবে চোখে না দেখলেও অনুভূতিটা যেন বাস্তবিক। তাছাড়া যখন বিভিন্ন প্রতিযোগিতার এনাউন্সমেন্ট এমনকি ফলাফল শোনানো হয় তখনও কিন্তু আমাদের ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে বিনোদন আর আনন্দ উল্লাসে আমরা বেশ ভালো মুহূর্ত কাটাই।
" হ্যাংআউট কত স্পেশাল "
কত স্নেহের কত মায়ায়,
জড়িয়ে রাখে আলতো ছোঁয়ায়।
জানো কার কথা বলছে,
কত আড্ডায় আর গানে মাতিয়ে রাখছে।
কত শত উপদেশ,
আর প্রশংসার পাহাড়
এক জায়গায় আসলেই,
সবাই আনন্দে উজাড়।
হ্যাংআউট মানে,
পুরো সপ্তাহের কাজের হিসাব।
হ্যাংআউট মানে,
ভাই বোনেদের আনন্দের উল্লাস।
হ্যাংআউট মানে,
সবার আনন্দ আর প্রশংসা,
হ্যাংআউট মানে,
সপ্তাহ শেষে ক্লান্তি দূর করার আশা।
হ্যাংআউট মানে,
চোখে না দেখলেও অসাধারণ অনুভূতি।
হ্যাংআউট মানে,
কত আড্ডা আর গানের স্মৃতি।
হ্যাংআউট মানে,
নতুন নতুন কাজ আর প্রতিযোগিতা।
হ্যাংআউট মানে,
সবার ভালোবাসা আর, মাধুর্যতা।
হ্যাংআউট মানে,
বিনোদন, আড্ডা, উল্লাসে ভরা।
হ্যাংআউট মানে,
আমরা সবাই আনন্দে অধরা।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | কবিতা |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
লেখক | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/TASonya5/status/1671740326279794688?t=BrFPscVsznRtHksR5w2XJA&s=19
কবিতা লিখতে কিন্তু সত্যি একটি অনুভূতির প্রয়োজন হয়। অনুভূতি না থাকলে কিন্তু সেটা কবিতা হয় না। আর আজ আপনি আপনার সকল অনুভূতি দিয়ে হ্যাং আউট নিয়ে বেশ সুন্দর একটি কবিতা তৈরি কর আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। সত্যি বলতে আপু সারা সপ্তাহ অফিস করে আবার প্রিয় কমিউনিটির কাজ। সব মিলিয়ে বেশ ব্যাস্তময় সময় পার করতে হয়। আর বৃহস্পতিবার আসরে এনাউন্সমেন্টের দিকে হ্যাং আউটে চোখ কান পেতে রাখি। নিজের অবস্থান জানার জন্য। অসাধারন আপু আজকের কবিতাটি।
আসলে সবাই অনেক বেশি ব্যস্তত থাকে, তবুও হ্যাংআউটে উপস্থিত হয় নিজের অবস্থানটা জানার জন্য এবং কাজের হিসাব গ্রহণ করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু, পুরো এক সপ্তাহ আমরা এই হ্যাংআউটের অপেক্ষায় থাকি। আমাদের পুরো সপ্তাহের একটিভিটি সম্পর্কে জানতে পারি। তার সাথে বিনোদন পর্ব তো রয়েছেই। সবাই মিলে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত পার করি এই সময়। আপনার কবিতার লাইন গুলো আসলেই আমাদের জীবনের সাথে মিলে যায়। কবিতাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু।
জীবনের সাথে মিলে যাওয়া সবকিছুই কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। অনুভূতিটা প্রকাশ করার চেষ্টা করলাম এই কবিতার মাধ্যমে।