ডাই : কচুরিপানার পাতা দিয়ে পুতুল তৈরি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি অনেক সুন্দর একটি কচুরিপানার পাতা দিয়ে পুতুল তৈরি করলাম।
আমি সব সময় খুঁজতে থাকি নতুন কি তৈরি করা যায়। তেমনি আজকেও একটি নতুন বিষয় নিয়ে হাজির হলাম। ছোটবেলায় আমরা এরকম ভাবে কচুরিপানার পাতা দিয়ে পুতুল তৈরি করতাম। কিছুদিন আগে যখন আমাদের বাড়িতে যাচ্ছিলাম দেখি অনেক বড় বড় কচুরিপানার পাতা। তখনই আমার আগের কথাগুলো মনে পড়ছিল। তাই ভাবলাম আমি আবারও একটি পুতুল তৈরি করব। এজন্য আমি অনেক বড় একটা পাতা বেছে নিলাম। আমি যখন পুতুলটা তৈরি করছিলাম আমার মেয়ে পুতুলটা নেওয়ার জন্য একেবারে টানা হেঁচড়া শুরু করেছে। এরপরে আমি অনেক কষ্টে পুতুলটা তৈরি করা শেষ করি। পরবর্তীতে ছবি তোলার সময় পুতুলটা একেবারে টেনে নিয়ে গেল। অনেক কষ্টে ওর হাত থেকে বাঁচিয়ে ছবিগুলো তুললাম।
যাই হোক, যে ভাবনা সেইভাবে কাজ শুরু করলাম। আজকের এই ডাই করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং কিভাবে আমি এই ডাই তৈরি করলাম তার ধাপে ধাপে বর্ণনা করে আপনাদের সাথে এই সম্প্রদায়ে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের ডাই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
• কচুরিপানার পাতা
• কাঁচি
• কলম
• কাপড়
প্রয়োজনীয় বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি বড় কচুরিপানার পাতা নিলাম। এরপর এরপর আমি পাতাটার উপরের অংশ থেকে চিকন চিকন করে হাত দিয়ে কাটতে শুরু করি।
ধাপ - ২ :
এভাবে আমি শুধুমাত্র মুখের কিছুটা অংশ রেখে, আর বাকি অংশটুকু কে চিকন চিকন করে হাত দিয়ে কেটে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপরে আমি উপরের চিকন চিকন চুলগুলোকে দুই ভাবে ভাগ করলাম। এক ভাগের অংশ থেকে বেনী তৈরি করা শুরু করি।
ধাপ - ৪ :
এভাবে আমি পুরো একটা বেনি তৈরি করে কাপড় দিয়ে বেঁধে নিলাম। চুল যেরকম ভাদে ওই রকম করে।
ধাপ - ৫ :
এরপরে আমি এক রকম ভাবে পরবর্তী অর্ধেক চুল দিয়ে আরো একটি বেনি তৈরি করে নিলাম। চুলের মধ্যে যেরকম দুই বেনী করে ওই রকম ভাবে।
ধাপ - ৬ :
এরপর আমি একটি কালো কলম দিয়ে মুখের অংশে কলম দিয়ে চোখ মুখ আঁকা শুরু করি।
ধাপ - ৭ :
এভাবে পুরো মুখের মধ্যে চোখ নাক এঁকে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপরে আমি একটা কাপড় দিয়ে এর গায়ের মধ্যে একটা জামার মতো করে আটকে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এরপর আমি দুইটা হাত একটা কাপড় দিয়ে আটকে নিলাম। এভাবে আমি পুরো পুতুল করা শেষ করি। আশা করি আমার আজকের পুতুল আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ডাই |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
ছোট বাচ্চাদের সামনে এরকম ডাইগুলো একদমই বানানো যায় না । কারণ ওরা বানানোর আগে নেয়ার জন্য অস্থির হয়ে যায়। কচুরিপানার পাতা দিয়ে পুতুল আগে কখনো দেখিনি। আপনি ছোটবেলার কথা মনে করে কচুরিপাতা দিয়ে খুব সুন্দর একটি পুতুল তৈরি করেছেন। এত সুন্দর পুতুল দেখলে মেয়ে বাচ্চা তো নিতে চাইবে। ধাপগুলো ভালো দেখিয়েছেন। বিশেষ করে পুতুলটিকে জামা পরানোর কারণে আরো বেশি সুন্দর লাগছে দেখতে।
ঠিক বলেছেন ছোটদের সামনে এগুলো তৈরি করা ভীষণ কষ্টকর। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই পুতুল তৈরি করেছেন। এই পুতুল তৈরি করার পদ্ধতিটি আমার কাছে খুবই পছন্দ হয়েছে। আপনি যখন এটিকে কাপড় পরিয়েছিলেন ওই ধাপটাই আমার বেশি ভালো লেগেছে।
কাপড় পরিয়েছি বলে সত্যিই সুন্দর দেখাচ্ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকে আপনার ডাই পোস্ট দেখতে পেয়ে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কচু পাতা দিয়ে খুবই সুন্দর পুতুল তৈরি করেছেন। ধাপে ধাপে উপস্থাপন ছিল অসাধারণ। আমার খুবই ভালো লেগেছে।
আপনি মুগ্ধ হয়ে গেছেন শুনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু আপনার দক্ষতা যত দেখি ততই মুগ্ধ হয়ে যায়। আজকে আপনি কচুর পাতা দিয়ে খুবই সুন্দর পুতুল তৈরি করেছেন। পুতুল তৈরি করার ধাপগুলো ছিল অসাধারণ ভালো লাগলো।
দক্ষতা কেন জানিনা এসব কিছু করতে ভালো লাগে।
আপনার এই নতুন কিছু করার চিন্তাভাবনা সবসময় আপনাকে সৃজনশীল করে তুলে।আর আজকের এই শিল্পকর্মটি সত্যিই অনবদ্য ছিল।আর তৈরীর ধাপ গুলো দুর্দান্ত ছিল।
আপনার কাছে এত বেশি ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।
আমি আপনার মাঝে একটি বিষয় দেখেছি সব সময় নিজের ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ করার চেষ্টা করেন। যেটা প্রত্যেকটা মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকে কচুরিপানা ফুল দিয়ে দারুন পুতুল তৈরি করেছেন। সত্যি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আমি তো প্রথমে দেখে মনে করেছি ভূতের অবয়ব ফুটিয়ে তুলেছেন অনেক ভালো লাগলো।
সব সময় চেষ্টা করে নতুন কিছু করার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পুতুল দেখে সেই ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল।যখন এই কচুরি পানার পুতুল,নারিকেল পাতার ঘড়ি-চশমা,হেলেঞ্চার মালা ছিল অনেক দামী কিছু৷ অনেক সুন্দর হয়েছে পুতুল টি। আর বাচ্চারা কত পছন্দ করবে তা তো ভাগ্নীকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।ছোট বেলার স্মৃতি সম্বলিত সুন্দর একটি পুতুল তৈরি শেখানোর জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ছোটবেলায় আমরা অনেক কিছু দিয়ে জিনিসপত্র তৈরি করতাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোটবেলায় দেখতাম আমার বড় আপুরা কচুরিপানার পাতা দিয়ে এরকম ভাবে পুতুল তৈরি করত। আসলে মেয়েরা সব সময় পুতুল খেলতে অনেক বেশি ভালোবাসে আপনিও তাদের মধ্যে একজন দেখছি। বড় হওয়ার পরেও পুতুলের প্রতি সেই ভালোবাসাটা থেকেই গিয়েছে কচুরিপানা দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারেননি। খুবই চমৎকার ভাবে আপনি এটা তৈরি করেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই নিজেকে সামলাতে পারেনি। তাই জন্য ছোটবেলার মতো তৈরি করে ফেলেছি।
আপু আপনি তো দেখি চমক লাগিয়ে দিলেন। কচুরিপানার পাতা দিয়ে পুতুল তৈরি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ইউনিক আইডিয়া ছিলো। আপনি ঠিকই বলেছেন আপনি সব সময়ই নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
সব সময় ইউনিক কিছু করার চেষ্টা করি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার ইউনিক আইডিয়া গুলো দেখে বেশ ভালো লাগে। মাঝে মধ্যে সুন্দর সুন্দর আইডিয়া শেয়ার করে থাকেন। আসলে এগুলো দিয়ে ছোট বেলায় অনেক খেলাধুলা করতাম। এগুলো বাচ্চারা পেলে ভিশন খুশি হবে।জামা পড়ানোর জন্য বেশি সুন্দর লাগছে। ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপনার এত সুন্দর প্রশংসা পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।