ডাই : ককশিট দিয়ে ফটোফ্রেম তৈরি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি ককশিট দিয়ে অনেক সুন্দর একটি ফটোফ্রেম তৈরি করেছি। কিছুদিন আগে নিভলু ভাইয়ার একটা ছবির স্কেচ করেছিলাম। সেই ছবিটাকে আবার আমি নিজের হাতে ফ্রেমে বানিয়েছি। এই ধরনের কাজগুলো করতে আমার বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে।
বিশেষ করে আমি যে কোন কাজ নিজের হাতে করতে পছন্দ করি। হয়তোবা এটা বাজার থেকে বাঁধিয়ে আনতে পারতাম। কিন্তু আমি চিন্তা করেছি নিজেই তৈরি করব। যেহেতু এটা গিফট হিসেবে দিয়েছি এই জন্য আমি নিজের হাতে তৈরি করে দিতে চেয়েছিলাম। আসলে আমি মনে করি গিফটের ক্ষেত্রে কিনে দেওয়া আছে নিজের হাতে তৈরি জিনিস একটু বেশি প্রাধান্য পায়। তারপরেও চেষ্টা করেছি সুন্দর ভাবে এটাকে ফ্রেমে ফুটিয়ে তোলার। অনেক সময় নিয়ে এটা তৈরি করেছিলাম। তৈরি করার পর অবশ্য বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে আমি যে রঙগুলো ব্যবহার করেছিলাম সেগুলো অনেকটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছিলাম। এমনকি আমার কাছে দেখতেও সত্যিকারের ফ্রেমের মতো লেগেছিল।
যে ভাবনা সেইভাবে কাজ শুরু করলাম। আজকের এই ফটো ফ্রেম তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং কিভাবে আমি এই ফটো ফ্রেম তৈরি করলাম তার ধাপে ধাপে বর্ণনা করে আপনাদের সাথে এই সম্প্রদায়ে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের ডাই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
• ককশীট
• ছবি
• কাঁচি
• গ্লু গাম
• পেন্সিল
• স্কেল
• কাটার
• রং
• রং করার তুলি
প্রয়োজনীয় বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি কক শীট নিলাম। এরপর ছবিটা মেপে এর মধ্যে পেন্সিল দিয়ে দাগ দিয়ে দিলাম। এরপরে একটা কাটারের সাহায্যে কাটতে শুরু করি। এরপর চারকোনা সমান করে একটা অংশ কেটে নিলাম।
ধাপ - ২ :
আমি ছবির উপরে, নিচের জন্য দুইটা অংশ এবং দুই পাশের জন্য দুইটা অংশ সমানভাবে কেটে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপরে চিকন অংশগুলোর দুই পাশে কোন করে কেটে সমান করে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপরে ককশিট এর উপরে গাম লাগিয়ে নিলাম। পুরোটা মধ্যে গাম লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর এর উপরে ছবিটা কে লাগিয়ে জোড়া লাগিয়ে দিলাম। ছবিটা আগে থেকে লেভেন্ডিং করে নিয়েছিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর চিকন অংশ গুলোর উপরে গ্লুগান দিয়ে গাম লাগিয়ে দুই পাশে দুইটা লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপরে উপরের নিচে সমান ভাবে অংশগুলো লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপর পেন্সিল দিয়ে ফ্রেমের উপরের অংশে একটা ডিজাইন করে দাগ দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৯ :
এরপর গ্লু গানের মেশিন দিয়ে চিকন চিকন করে পেন্সিলের দাগ অনুসারে গাম লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১০ :
এরপর আমি কালো এবং গোল্ডেন কালারের দুইটা রঙ নিলাম। প্রথমে আমি কালো রং দিয়ে রং করা শুরু করি।
ধাপ - ১১ :
এরপর আমি ছবির ফ্রেমের চারপাশে কালো রং দিয়ে রং করে নিলাম।
ধাপ - ১২ :
এরপরে গোল্ডেন কালারের রং দিয়ে উপরে উপরে খুব সুন্দর ভাবে রং করা শুরু করি। পুরোটার মধ্যে রং দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ১৩ :
এরপরে একটা উলের সুতা দিয়ে পেছনের অংশে ছবি লাগানোর জন্য
শেষ ধাপ :
এভাবে আমি পুরো ফটোফ্রেম তৈরি করা শেষ করি। আশা করি আমার আজকের ডাই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ডাই |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://twitter.com/TASonya5/status/1617003433193771008?t=FFGiVFda3TmCmAPvtaSSAQ&s=19
এক কথায় অসাধারণ 🧡।
আপনার কাজগুলো আসলেই প্রশংসার দাবিদার।
প্রতিটা ধাপ অনেক ভালোভাবে তুলে ধরেছেন।ভাইয়াকে ফ্রেমসহ ছবিটা দিলে নিশ্চয়ই খুশি হবেন।
অলরেডি ভাইয়াকে ফ্রেম সহ ছবিটা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ককশিট কেটে দারুন একটি ফটো ফ্রেম তৈরি করে ফটোটা টাঙিয়ে রেখেছে। চারি পাশ দিয়ে সুন্দর ডিজাইন করে ফ্রেমটি দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। সত্যি অতি চমৎকার মনে হচ্ছে।
আপনার কাছে এতটা চমৎকার লেগেছে শুনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কিনে যে কোন গিফট দেয়ার থেকে নিজের হাতে তৈরি করে গিফট দেয়ার প্রাধান্যই বেশি। এতে ভালোবাসা জড়িয়ে থাকে। প্রথমেই বলি যে ভাইয়ার স্কেচটি খুবই সুন্দর হয়েছে একদম ছবির মত হয়েছে। তাছাড়া ককশিট দিয়ে ফটো ফ্রেম তৈরি করার আইডিয়াটা খুব সুন্দর ছিল। বিশেষ করে গ্লু গান দিয়ে উপরে ফুলগুলো খুব সুন্দর ভাবে এঁকেছেন। বেশ সময় এবং ধৈর্য লেগেছে এই আর ডাইটি তৈরি করতে তার জন্য এত চমৎকার হয়েছে দেখতে। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন, গ্লুগান দিয়ে ডিজাইন করার পরে সুন্দর লেগেছিল।
জাস্ট অসাধারণ হয়েছে আপু কি বলবো বুঝতে পারছি না। আপনার হাতের কাজ দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। ফটো ফ্রেম দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম আপনি বাজার থেকে কিনে ভিতরে ছবি লাগিয়েছেন । পরে আপনার পোস্ট পড়ে অবাক হলাম। নিভলু ভাইয়া ছবি টি অনেক সুন্দর হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার কাছে এতটা ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু এটা ঠিক বলেছেন গিফট কিনে দেওয়ার চেয়ে নিজের হাতে করে দিলে যাকে দেওয়া হয় তার বেশি ভালো লাগে।আপনি অনেকটা সময় নিয়ে ককশিট বক্সের সাহায্যে ফটোফ্রেম তৈরি করেছেন,যেটা দেখে অনেক ভালো লাগলো।এতটা ধৈর্য্য নিয়ে নিজের হাতে তৈরি করেছেন আপনি ডাই টি। নিভলু ভাইয়া অনেক খুশি হবেন এই গিফট টি দেখে।ধন্যবাদ আপনি সুন্দর ডাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অনেক সময় নিয়ে এটা তৈরি করেছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি যখন আর্টটি পোস্ট করেছিলেন তখন দেখেছিলাম। বেশ ভালো লেগেছিল আমার কাছে। আজ আবার ফটো ফ্রেম তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। ঠিকই বলেছেন কিনে দেওয়ার চেয়ে কোন গিফট নিজের তৈরি করে দেওয়ার মজাটাই আলাদা। বিশেষ করে আমার কাছে চারপাশের ডিজাইনগুলো খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি ফটো ফ্রেম তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমিও হাতে তৈরি করা জিনিস গুলো বেশি পছন্দ করি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ককশিট দিয়ে ফটোফ্রেম তৈরি খুবই সুন্দর হয়েছে, অসাধারণ দক্ষতা আপনার। বিশেষ করে ভাইয়ের ছবিটি এই ফ্রেমে দেখতে পেয়ে আরো বেশি ভালো লাগলো।
ফটো ফ্রেম তৈরি করতে আমার কাছে ভালোই লেগেছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি তো নিভলু ভাইয়ার চমৎকার ছবির স্কেক তৈরি করেছিলেন। আমি হয়তো দেখিনি আজকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ককশিট দিয়ে ফটোফ্রেম তৈরি করে চমৎকার ভাবে সাজিয়েছেন। আপনার আইডিয়া গুলো সব সময়ই ভালো লাগে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
চেষ্টা করি ভালো আইডিয়াগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বাজার থেকে করে আনা আর নিজের হাতে করার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে আপু। আপনি নিজে হাতে করতে পছন্দ করেন বিষয়টা জেনে খুব ভালো লাগলো। এত সুন্দর করে ককশিট দিয়ে ফটোফ্রেম তৈরি দেখে আমি বেশ অবাক হয়ে গেলাম। অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। খুব সুন্দর গুছিয়ে উপস্থাপনও করেছেন যা দেখে বেশ ভালো লাগলো।
এজন্য আমি ও নিজের হাতে তৈরি করা জিনিস পছন্দ করি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।