তুর্কী সিরিজ রিভিউ : " জান্নাত " ( পর্ব ১২)
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি তুর্কী সিরিজ জান্নাত এর বারো পর্ব নিয়ে আসলাম। গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম মিলিসার মা মানে আরজু জান্নাতকে দিয়ে আসার নাম করে অনেক অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছে।
সিরিজটির সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
সিরিজটির নাম | " জান্নাত " |
---|---|
পর্ব | ১২ |
পরিচালনা | সাদুল্লাহ জেলেন |
বাংলা ডাবিং পরিচালনা | দীপক সুমন |
লাইন প্রডিউসার | মাহাবুব মারুফ |
নির্বাহী প্রযোজক | মুসফিকুর রহমান মন্জু। |
অভিনয়ে | আলমিলা আদা ( জান্নাত), বার্ক আমান (সেলিম), জেহরা ইলমা (মেলিসা), এসরা রোনাবার (আরজু), গুলার ওকতআন (বিলকিস), চিচেক আজার (শারমিন), হাকিম করমুকচু (মাহির), শেরচান গুলায়রিয়ুজ (মেহেদী), ইউসুফ আকগুন (ফারহান), এব্রু দেস্তান (শবনম), আলি ইপিন (রেজা), সুয়েদা চিল (রুনা)। |
স্টুডিও ডিরেক্টর | শুভ্রা, শম্পা, মারুফ, সঞ্জয়, এলিন। |
ভিডিও এডিটর | রাকিব হাসান এনি |
টাইটেল ও প্রমো | অনুপ কুমার বিশ্বাস। |
প্রধান উপদেষ্টা | নওয়াজাদ আলি খান |
মূল ভাষা | তুর্কী |
মূল কাহিনী
এ পর্বের শুরুতেই দেখতে পেয়েছি জান্নাত মন খারাপ করে ঘরে ফিরল। তাকে মন খারাপ করে তার দাদি দেখে ফেলল। পরবর্তীতে জান্নাত ওয়াশরুমে গিয়ে অনেক বেশি কান্নাকাটি করতে শুরু করল। আসলে সে কিছুতেই এই ধরনের অপমান সহ্য করতে পারছিল না। পরবর্তীতে সেখান থেকে বেরিয়ে সে তার দাদিকে আর ঘরে দেখতে পেল না। তখন সে তার দাদিকে খুঁজতে শুরু করলো। তখন জান্নাত তাদের পাশের বাসার প্রতিবেশী রুনা আপার কাছে গিয়ে দেখল খুঁজে পায় কিনা। কিন্তু সেখানেও যায়নি তার দাদি। কি হয়েছে এটা বলতেই জান্নাতের মনে পড়ল তার দাদিকে আর্য ম্যাডামের সাথে অপমান করার কথাটা বলে দিল।
তখনই সে ভাবলো তাড়াতাড়ি নিশ্চয়ই সেখানে গিয়েছে। তখন সে দৌড়ে সেখান থেকে বেরিয়ে গেল। অন্যদিকে মিলিস্যার পরিবারের সবাই সেদিন রাতে পার্টি করছিল। তখন দেখা গেল মিলি স্যার দাদা সব কিছুর জন্য আর যাকে ধন্যবাদ জানালো। এমন কি তাদের ব্যবসা এতটাই এগিয়ে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানালো। আবার তার সাথে আর্যকে সবার সামনে উদ্দেশ্য করে কিছু বলার জন্য বলল। অন্যদিকে সেলিম মেলিসাকে পার্টি থেকে নিয়ে আসছিল গাড়িতে করে। কিন্তু সে আসার সময় পুরো রাস্তায় শুধুমাত্র জান্নাতকে দায়ী করছিল।
বলছিল সেলিম আর আগের মতো থাকে পছন্দ করে না শুধুমাত্র জান্নাতের কারণে। অন্যদিকে পার্টি শেষ করে মিলি স্যার মা পার্টি থেকে বেরিয়ে তার ঘরে যাচ্ছিল। যেতে যেতে সে জান্নাতের কথাগুলো চিন্তা করছিল। তখনই জান্নাতের দাদি তাকে জাবেদা বলে ডেকে উঠলো। তখন জান্নাতের মা তাকে দেখে অবাক। এমন কি তখনই তাকে তাড়িয়ে দিতে চাইলো। তখন জান্নাতের দাদি বলতে লাগলো সেও তোমার নিজের মেয়ে কিন্তু তুমি তাকে কেন এরকম করছ। জান্নাত তো এখনো জানেও না যে তুমি ওর মা। তখনই আর্য বলতে লাগলো জান্নাত আমার কেউ নয়। জান্নাত আমার মেয়ে কিছুতেই হতে পারেনা।
এই কথাগুলো বলতেই জান্নাত চলে আসলো। জান্নাত এসে তার দাদিকে ডাকলো। তখন ওর কথা শুনে দুইজন ওর দিকে তাকালো। আর জান্নাত আর্য কে বলতে লাগলো যে তাকে অপমান করে শান্ত হয়নি এখন তার দাদিকেও অপমান করছে। তখনই আর্য বলতে লাগলো জান্নাতের দাদি তাকে অপমান করার জন্য তার বাড়িতে এসেছে। তখন জান্নাতে তার দাদিকে নিয়ে চলে যেতে চাইলে, তার দাদী আর্যকে বলে জান্নাতের কাছে ক্ষমা চাইতে। তখন সে বলতে লাগল কিছুতেই ক্ষমা চাইবে না। পরবর্তীতে জান্নাত তার দাদিকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। অন্যদিকে মেলিসা আর সেলিম গাড়িতে করে আসার সময় তাদের একটা এক্সিডেন্ট হয়।
কিন্তু ভাগ্য ভালো তাদের দুজনের কিছুই হয়নি। সেলিম যখন মেলিসাকে জিজ্ঞেস করল তার কিছু হয়েছে কিনা তখন সে বলতে লাগলো হয়েছে। জিজ্ঞেস করতে বলল তারা মনে ব্যথা পেয়েছে। সে আবারো আগের কথাগুলো বলতে শুরু করল। তখন বলল তার জন্য একেবারে পাগল হয়ে যাচ্ছে । ও কি সব কথাবার্তা গুলো বলছিল। অন্যদিকে জান্নাত আর তার দাদি গাড়ি করে তাদের বাসায় চলে গেল। আবার আর্য এর কাছে ছেলে মেয়ের মা এসে জিজ্ঞেস করল সেলিম আর মেলিসা কোথায় গেল, এখনো আসছে না কেন। এটা নিয়ে সেলিমের মায়ের চিন্তা করতে শুরু করে দিল। তখনই আর্য সেলিমের মাকে বোঝাতে শুরু করল কিছু হয়নি ওরা চলে আসবে।
এসব কথা বলতে বলতেই সেলিম আর মিলিশার গাড়ি চলে আসলো। অন্যদিকে গাড়িতে মেলিসা কথা বলতে বলতে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। তখন সেলিম বের হতেই তার মা জিজ্ঞেস করতে শুরু করল কি হয়েছে। সেলিম বলল ছোট্ট একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল কিছুই না। কিন্তু এক সেকেন্ডের কথা শুনেই সে একেবারে জিজ্ঞেস করতে শুরু করল। অন্যদিকে আর্য মিলিশাকে জাগাতে চাইলেও আর কি হয়েছে জিজ্ঞেস করতে শুরু করল। তখন সেলিম বলল মিলিসা আসলে অনেক বেশী ড্রাংক করে ফেলেছে। তখন তাকে ঘরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলল।
ব্যক্তিগত মতামত
এ পর্বে মূলত জান্নাত আর্য এর কাছ থেকে অপমানিত হয়ে খুবই কষ্ট পেয়েছিল। তাই জন্য অনেক বেশি কান্নাকাটি ও করেছে। কিন্তু জান্নাতের কষ্টটা সহ্য করতে না পেরে তার দাদি আর্য দের বাড়িতে চলে গেল। কিন্তু আসলে জান্নাতের মা কিছুতে ই জান্নাতকে মেয়ে হিসেবে স্বীকার করতে চায় না। সে শুধুমাত্র নিজের মেয়ে হিসেবে পরিচয় দেয়। এদিকে এই ব্যাপারে জান্নাত এখনো কিছুই জানেনা। অন্যদিকে মিলিসা সেলিমের জন্য পাগলামি করছে। কিন্তু সেলিম কিছুতেই মিলিস্যার এই পাগলামি সহ্য করতে পারছিল না হ্যাঁ। সবকিছু যেন কি রকম হযবরল হয়ে পড়েছে। জান্নাতের মায়ের পরিচয়টা পাবে কিনা সেটাও বুঝতে পারছিনা। নিশ্চয়ই পরবর্তী পর্বগুলোতে এই বিষয়টা জানতে পারবো।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
সিরিজটির ট্রেইলার ভিডিও লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/TASonya5/status/1689252169709690880?s=20
আপু দেখতে দেখতে আপনি তর্কী সিরিজ জান্নাতের ১২টি পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করে ফেলেছেন। আসলে এধরনের তর্কী সিরিজ গুলো কিন্তু আমার বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে যদি বাংলায় ডাবিং করা হয় তাহলে তো একটু ভালোই বুঝা যায়। তাহলে কি জান্নাতের মায়ের পরিচয় পাবে ? জানার অপেক্ষায় রইলাম।
এই ধরনের সিরিজ গুলো আপনার কাছে ভালো লাগে জেনে আমার কাছে ভালো লেগেছে। জান্নাত মায়ের পরিচয় পাবে নাকি পাবে না এটা পরবর্তী পর্ব গুলোতে জানতে পারবেন।
তুর্কি সিরিজ জান্নাত এর রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু।এর আগে আপনার করা কয়েকটি রিভিউ পড়েছিলাম এই সিরিজটির।ভালো লেগেছে গল্পটি।দেখার চেষ্টা করবো সময় করে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
তুর্কী সিরিজ এর অনেক বড় একজন ফ্যান আমি অনেক গুকো ঐতিহাসিক সিরিজ দেখেছি।আমার খুব ভাল লাগে আপনিও দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা রইলো।
আপনি তুর্কি সিরিজের এরকম বড় ফ্যান এটা জেনে ভালো লাগলো।
এখানে সব থেকে চ্যালেন্জিং বিষয় হলো জান্নাতের মায়ের কাছে তার মেয়ে হিসাবে স্বীকৃতি। আর আর্য যে জান্নাতকে অপমান করেছে সেটা আমার কাছেও খারাপ লেগেছে। যেটা তার দাদি সহ্য করতে পারে নাই। দেখি পরের পর্ব আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে।
আমার কাছেও খুব খারাপ লেগেছে আর্য জান্নাতকে অপমান করেছে এটা দেখে। পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করার চেষ্টা করব।