নাশিয়ার জন্য নুপুর কেনার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম নাশিয়ার জন্য পায়ের রুপার নুপুর কিনব। কিন্তু কিনবো কিনবো বলে হয়ে উঠছিল না। আমার কাছে ছোট মেয়েদের পায়ের নুপুর পরলে ভীষণ ভালো লাগে দেখতে। সেজন্য আমিও কেনার চিন্তাভাবনা করলাম। কিন্তু সময় করে মার্কেটে যেতে পারছিলাম না। যখন একটু সময় পেলাম ভাবলাম তাহলে চলে যাই কিনতে। আমাদের অবশ্য একটা জুয়েলারির দোকান রয়েছে পরিচিত।
দোকানের নাম হচ্ছে মা গোল্ড। আমরা যে কোন গোল্ডের জুয়েলারি অথবা রুপার জুয়েলারি এখান থেকেই কিনে থাকি। দোকানদার লোকটা কেউ আমার ভীষণ ভালো লাগে। খুব ভালোভাবে আমাদের সাথে কথা বলেন। এইজন্য দোকানে গিয়ে বললাম নাশিয়ার পায়ের মাপের নুপুর দেখাতে। তখনই দোকানদার তার দোকানের একটা ছেলেকে তাদের অন্য আরেকটা দোকানে পাঠালো নুপুর নিয়ে আসতে। আসলে অনেক সময় যদি দোকানে কালেকশন কম থাকে তাহলে তাদের অন্য একটা দোকান রয়েছে সেখান থেকে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে কয়েকটা ডিজাইনের নুপুর নিয়ে এসেছিল ছেলেটা।
আমার কাছে অবশ্য বেশি গর্জিয়াস ডিজাইন গুলো পছন্দ না। হালকা ডিজাইন টা দেখতেই বেশি ভালো লাগে। মেয়েটা দুষ্টামি করছিলাম বেশি ছবিও তুলতে পারি নাই। সেগুলো থেকে আমি একটা ডিজাইন নতুন পছন্দ করেছি। তারপর মেয়ের পায়ে পরিয়ে দেখলাম আসলে নুপুর টা পারফেক্ট হয়েছে কিনা। তখন দেখি একটু ছোট হয়েছে। তারপর দোকানদার বলল একটা এক্সট্রা কড়া লাগিয়ে দিলে তারপর একদম পারফেক্ট হবে। আমি বললাম তাহলে ঠিক আছে এটাই করেন। পরবর্তীতে লোকটি বলল একটু সময় লাগবে আপনি কিছুক্ষণ বসেন। পরবর্তীতে আমি বললাম ঠিক আছে আমার কোন অসুবিধা নাই।
তারপর লোকটা ঠিক করে দিলে আমি প্রাইস কত জিজ্ঞেস করলাম। তখন দোকানদার বলল ২৮০০ টাকা। আসলে এগুলো রেডিমেড তৈরি এজন্য এই দাম এসেছে। যদি অর্ডার করে বানানো হয় তাহলে হয়তোবা আরেকটু বেশি আসবে। কিন্তু আমি এরপর আর অর্ডার করার চিন্তা করিনি ওইগুলোই নিয়ে নিলাম। কারণ আমার কাছে ডিজাইন টা পছন্দ হয়েছিল। পরবর্তীতে কিনে নেওয়ার পর মেয়ের পায়ে পরিয়ে দিলাম। মেয়েটা কিন্তু ভীষণ খুশি ছিল। আর আমার কাছেও ছোট মেয়েদের পায়ে নুপুর থাকলে অনেক বেশি ভালো লাগে। পরবর্তীতে নুপুর কিনা শেষ হলে, আমি আমাদের এখানকার 99 প্লাস মার্কেটে গেলাম ।
আসলে সেখান থেকে টুকটাক কিছু জিনিসপত্র কেনার ছিল। আসলে এই নুপুরগুলো কিনেছিলাম যখন আমাদের জুসের কনটেস্ট চলছিল তখন। কিন্তু সময় করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারিনি। তো সেই জন্য আমার শরবতের জন্য স্ট্র কেনার ছিল। তারপর সেখান থেকেই আমি একটু ডিজাইনওয়ালা স্ট্র কিনে নিলাম। এছাড়াও আমার আরো কিছু ছোটখাটো জিনিস ছিল সেগুলো কিনলাম। মেয়ের জন্য আবার কয়েকটা খেলনা ও কিনেছি। যদিও মেয়ে সাথে ছিল বলে বেশি ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। সবকিছু কেনাকাটা করে ভীষণ ভালই লাগলো।
আসলে মেয়েকে নিয়ে খুব একটা মার্কেটে যাওয়া হয় না। কারণ মার্কেটে গেলেই এটা ওটা দেখিয়ে দেয় কেনার জন্য। আসলে যেটা কিনা একেবারে বিরক্তি কর। আসলে ওই দিন নুপুর কেনার ছিল তাই জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম। তারপরেও জিনিসপত্র গুলো কেনা শেষ হলে আবারো বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। পরবর্তীতে আবার আসবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://twitter.com/TASonya5/status/1661063994122338305?t=llmd2jXyvODmZu1prvQjZA&s=19
আমারও ভালো লাগে আপু ছোট ছোট বাচ্চারা যদি নুপুর পরে হাটে। আমিও গত বছর দুই মেয়ের জন্য দুই জোড়া নুপুর কিনেছিলাম। তারা নতুন কেনার পরে কয়েক দিন ব্যবহার করেছিল কিন্তু এখন আর দিতে বললেও দেয় না নুপুর গুলো পড়ে থাকছে। তবে এখন সব কিছুর দাম অনেক বাড়া আপু। সিম্পল হলেও দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। অনেক ভালো লেগেছে বিষয়টি শেয়ার করার জন্য।
আপনিও তাহলে আপনার দুই মেয়ের জন্য নুপুর কিনেছিলেন। আসলে তারা নুপুর পড়ে থাকতে অনেক বেশি পছন্দ করে তাই বললেও দেয় না।