পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গত সপ্তাহে আপনাদের সাথে একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট যাওয়া নিয়ে। সেদিন আমরা এয়ারপোর্ট যাওয়ার আগে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সীবিচ ঘুরতে গিয়েছিলাম। পতেঙ্গা সীবিচে কি রকম সময় কাটালাম তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

IMG-20221227-WA0043.jpg

device : Redme note 9
লোকেশন

IMG_20221218_084140.jpg

মূলত আমরা গিয়েছিলাম পরিবারের কয়েকজন মিলে। যেহেতু আমরা একদম ভোরে বেরিয়ে ছিলাম, এজন্য সকাল ৮:৩০ মধ্যে সীবিচ পৌঁছে গেলাম। সকালবেলা এইরকম একটা জায়গায় গিয়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। যেহেতু শীতকাল এই জন্য আসার সময় সূর্য উদয়ের মুহূর্ত টা উপভোগ করতে পেরেছিলাম। বিশেষ করে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের জায়গাটা সকালবেলা ভীষণ ভালো লেগেছিল। প্রথমেই আমরা সিড়ি দিয়ে নেমে কিছুক্ষণ জায়গাটা দেখছিলাম। আর ফটোগ্রাফি করাটা তো আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সেখানে গিয়েই আমি ফটোগ্রাফি করা শুরু করি। সমুদ্রের ফটোগ্রাফি গুলো করতে ভীষণ ভালো লেগেছে।

IMG_20221218_085107.jpg

IMG-20221227-WA0044.jpg

IMG-20221227-WA0046.jpg

তার সাথে সেখানে ছিল অনেক বড় বড় কিছু পাথর। আমরা সবাই পাথরের উপরে উঠে নিজেদের কিছু ছবি তুললাম। সকালে এরকম একটা জায়গায় দাঁড়াতে কিংবা সময় কাটাতে সত্যি অসাধারণ একটা অনুভূতি হয়। সমুদ্রের ফটোগ্রাফি করার সাথে সাথে পাথরগুলোর অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছি। বিশেষ করে আমার মেয়ে জায়গাটায় গিয়ে ভীষণ খুশি ছিল। ওতো একদমই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে চাইছিল না শুধু হাঁটছিল আর দৌড়াচ্ছিল। ওর অনেকগুলো ছবি তোলার চেষ্টা করলাম। কিন্তু দুষ্টামি করার জন্য ভালোভাবে ছবি তুলতে পারিনি। প্রায় অনেকক্ষণ ধরে সেখানে সময় কাটিয়েছি। যেহেতু আমরা অনেকজন মিলে গিয়েছিলাম এই জন্য আরো বেশি ভালো লাগছিল সময় কাটাতে।

IMG-20221227-WA0042.jpg

IMG-20221227-WA0041.jpg

আসলে পরিবারের সবাই মিলে কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক মজা হয়। কারন সবার সাথে আনন্দ উপভোগ করাটা অনেক বেশি ভাল লাগে। আমরা সমুদ্রের সামনে থেকে উপরের দিকে গিয়েছিলাম একটু হাঁটতে। উপরের দিকে যেতেই দেখলাম অনেকগুলো দোকান বসেছে। যেখানে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু জিনিস বিক্রি করতেছে। যদিও আমরা কোন কেনাকাটা করিনি। শুধুমাত্র ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। উপরের দিকে যেতেই দেখলাম কোনভাবে একটা ছেলে একটা ঘোড়া নিয়ে হাঁটছিল। ঘোড়ায় কেউ উঠতে চাইলে ৫০ টাকা করে লাগবে। আমার মেয়ে ঘোড়াটাকে হাত দিয়ে ধরে দেখছিল। ওতো ভীষণ খুশি ছিল। এই ফাঁকে ওর কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

IMG-20221227-WA0038.jpg

IMG-20221227-WA0035.jpg

উপরে দাঁড়িয়েও অনেকক্ষণ সময় কাটিয়েছি। উপরের জায়গাটায় কিছুক্ষণ হেঁটে সময় কাটিয়েছি। আমার কাছে মুহূর্তটা বেশ ভালো লেগেছে। এমনকি আমরা সবাই মিলে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করছিলাম। যেহেতু আমরা এয়ারপোর্টে যাবো দশটায়। সেজন্য এখানেই এর আগের সময়টুকু কাটাচ্ছিলাম। যেহেতু এটা একটা দর্শনীয় স্থান এই জন্য লোকজন আসছিল আস্তে আস্তে। যদিও আমরা যখন এসেছি তখনও দেখলাম প্রায় অনেক লোকজন ছিল। সব মিলিয়ে জায়গাটা আরো বেশি ভালো লেগেছে। এমনকি এখানে অনেকগুলো ফুচকা এবং চটপটির দোকান ছিল। দেখলাম আস্তে আস্তে একটা দুইটা দোকান খুলেছে। তখন আমরা কয়েকজন ফুচকা এবং চটপটি খেলাম। যদিও সবাই খায়নি কিন্তু যারা যারা খেয়েছে তারা তাদের পছন্দের মত খেয়েছি। সব মিলিয়ে ঘোরাঘুরি করতে ভীষণ ভালো লেগেছিল।

IMG-20221227-WA0032.jpg

IMG-20221227-WA0027.jpg

IMG-20221227-WA0026.jpg

আমার পরিচয়

1635518106012.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  
 2 years ago 

আপনাদের ফ্যামিলির সবাইকে একসাথে দেখে খুবই ভালো লাগলো।আর ভালো একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনার ভাইয়াকে যখন রিসিভ করতে গিয়েছিলেন তখন। সত্যি বলতেন নাশিয়াকে বেশি চমৎকার লাগছে এবং সে অনেক আনন্দিত ঘোড়া দেখে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

 2 years ago 

সত্যি বলেছেন ও কিন্তু ঘোড়া দেখে ভীষণ আনন্দিত হয়েছিল। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

সত্যি খুবই ভালো মুহূর্ত কেটেছিল ওই দিন। সবাই মিলে বেশ ভালোই মজা করেছিলাম। আমাদের সবার থেকে নাশিয়া একটু বেশি খুশি হয়েছিল। ওতো নিজের মতো করেই সব জায়গায় ঘুরেছে অনেক দুষ্টামি করেছিল সে।আমরা সবাই অনেকক্ষণ পর্যন্ত সময় কাটিয়ে ছিলাম। সত্যি সবাই খুবই ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিল। নাশিয়া মনি যখন ঘোড়াটিকে ধরছিল তখন তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল সে অনেক আনন্দ পেয়েছে ঘোড়াটিকে ধরে। তাকে এরকম আনন্দ দিতে পেরে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লেগেছে। তুমি আজকে খুবই সুন্দর ভাবে প্রত্যেকটি বিষয় তুলে ধরেছো। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

হ্যাঁ খুবই ভালো একটি মুহূর্ত কেটেছিল। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই তোমায়।

 2 years ago 

মাশাল্লাহ, খুব সুন্দর লাগছিলো তিনজনকে একসাথে।ভাইয়ার চুলগুলো তো দেখি আরো আকর্ষণীয় লাগছে😁।
সেদিন পড়েছিলাম এয়ারপোর্টে যাওয়ার মুহুর্তটা।আপনার ভাইকে আনতে যাচ্ছিলেন।
সমুদ্র সৈকতে দারুণ সময় কাটিয়েছেন। ভালো লাগলো পড়ে। ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

হ্যাঁ খুবই ভালো সময় কাটিয়েছি সবাই সমুদ্রে। আমার এই পোস্ট আপনার কাছে পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনিও ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

সকাল বেলা পতেঙ্গা বিচের দৃশ্যটা তো বেশ ভালোই লাগছে। আসলে ছোট মানুষ তো এই জন্য একটু দুষ্টামি বেশি করে তারপরেও ছবিগুলো অনেক সুন্দর এসেছে। তবে ঘোড়ায় ওঠার বিষয়টা বেশ ভালো লাগলো মাত্র ৫০ টাকায় ঘোরার পিঠে ওঠা যায় যদিও আমাদের এলাকায় একটু কম নেয়। সময়টা বেশ উপভোগ করেছেন তাছাড়া পরিবারের সবাই একসাথে কোথাও গেলে এমনি আনন্দ বেশি হয়।

 2 years ago 

সত্যি ও খুবই দুষ্টামি করেছিল এবং ঘোড়ার ওখানে গিয়ে একটু বেশি দুষ্টামি করেছিল। ঘোড়াটিকে ধরতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছিল তার। পরিবারের সবার সাথে একটু বেশি ভালো সময় কাটিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

আপনার এই পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে পরিবারের সকলের সঙ্গে খুবই চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। আপনি একদম সত্য বলেছেন সমুদ্র সৈকতে সকালবেলার দৃশ্যটি সত্যি মনমুগ্ধকর হয়ে থাকে। বিশেষ করে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পাথরের উপরে বসে বসে সমুদ্র উপভোগ করতে সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করবে আপনারা দেখছি সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেখানে। আপনাদের এই সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আপনি ঠিকই বলেছেন পরিবারের সকলের সঙ্গে খুবই চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে। আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই ছোট্ট মন্তব্যের সাহায্যে পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বেশ সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন ৷ আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ সকাল বেলা এমন পরিবেশে সময় কাটানো আসলেই বিষয়টা বেশ মজার ৷ দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ৷

 2 years ago 

আমাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। সকাল সকাল যাওয়ার কারণ একটু বেশি ভালো লেগেছিল ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত আমার ভীষণ পছন্দের একটি জায়গা। পুরো পরিবারকে একসাথে এই সৈকতে ঘুরতে দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। আর মামুনির ছবিগুলো তো অসাধারণ ছিল। আর পরিবার নিয়ে এভাবে ঘুরতে সত্যিই দারুন লাগে। পরিবারের সবার জন্য দোয়া রইল।

 2 years ago 

ও তো খুবই দুষ্টামি করছিল তাই এত বেশি ফটোগ্রাফি করতে পারিনি তার। কিন্তু যেগুলো তুলেছি সেগুলো ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার পরিবারের সবার জন্য ও দোয়া রইল।

 2 years ago 

আসলে আপনার ভাইয়াকে রিসিভ করতে গিয়ে অনেক ভালো একটি সময় কাটিয়ে ছিলেন সেদিন। সকাল-সকাল পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে খুব চমৎকার কিছু দৃশ্য তুলে ধরতে পেরেছেন এবং নাশিয়ার ফটো পজিশন গুলো খুব ভালো ছিল। আর সে অনেক খুশি হয়েছে যখন ঘোড়ার উপর হাত দিতে পেরেছে। অনেক ধন্যবাদ সেই অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

 2 years ago 

সত্যি বলেছেন নাশিয়া কিন্তু ভীষণ খুশি হয়েছিল ঘোড়ার উপর হাত দিতে পেরেছে তাই। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আসলে সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আর নাশিয়ার আনন্দ দেখলে এমনিতে সবারই মন ভালো হয়ে যাবে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 59838.11
ETH 2384.78
USDT 1.00
SBD 2.51