ভ্রমণ :- চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত ( পর্ব ২ )
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
device : Redme note 9
আজকে আবারো চলে আসলাম আপনাদের মাঝে চিড়িয়াখানায় আরো কি কি দেখলাম সেগুলো শেয়ার করার জন্য। আসলে চিড়িয়াখানা কিন্তু অনেক প্রাণী রয়েছে। সেগুলোকে আস্তে আস্তে ঘুরে ঘুরে দেখতে দেখতে অনেক বেশি সময় কাটিয়েছিলাম সেখানে। তার সাথে প্রায় অনেকগুলো প্রাণীর ফটোগ্রাফি করেছিলাম। ভেবেছি ফটোগ্রাফি গুলো যদি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি তাহলে ভালই লাগবে। আর আমরা যেহেতু অনেক জন মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম, এইজন্য সময়টা ভীষণ ভালো কেটেছিল। আসলে সবাই মিলে ঘুরতে গেলে ভীষণ ভালো লাগে। তো আমরা সেখানে গিয়ে আরো কি কি প্রাণী দেখেছি সেগুলো শেয়ার করব।
উপরে দেখতে পাচ্ছেন ম্যাকাও পাখি। এই পাখিগুলোকে নিশ্চয়ই আপনারা চিনতে পারবেন। আমার কাছে এই পাখিগুলো সব থেকে বেশি ভালো লাগে। কারণ পাখিগুলো বিভিন্ন কালারের হয়ে থাকে। আর এই পাখিগুলো কিন্তু সামনাসামনি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর। এত বেশি কেন ফুল এগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। আমি চেষ্টা করেছি এই পাখিগুলোর কয়েকটা ফটোগ্রাফি করার। আশা করি আপনাদের পাখিগুলোকে দেখে ভালো লাগবে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন জেব্রা। জেব্রা আমাদের অতি পরিচিত প্রাণী। আমার কাছে জেব্রা প্রাণীটার গায়ের ডোরাকাটা দাগ গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। যদিও আমি এর আগেও কয়েকবার জেব্রা দেখেছিলাম, তবে আমার কাছে দেখে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে। জেব্রার গায়ের ডোরাকাটা দাগ সবথেকে বেশি ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করেছি এই প্রাণীটার ফটোগ্রাফি করার।
এটা নিশ্চয়ই দেখে চিনতে পারছেন খরগোশ। খরগোশ দেখতে কিন্তু খুবই কিউট লাগে। এগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। আমি একবার খরগোশ হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখেছিলাম। তবে আমি খুব বেশি হাতে নিয়ে দেখিনি। কিন্তু খরগোশ থেকে বেশ ভালো লাগে। অনেকে আবার বাড়িতেও খরগোশ বসে পুশে থাকে। এখানেও কিন্তু খরগোশটাকে দেখতে ভীষণ ভালো লেগেছে। এজন্য আমি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।
এটাও কিন্তু ম্যাকাও পাখি। এই পাখিটা হচ্ছে অন্য আরেকটা রংয়ের। আসলে এই পাখিগুলো প্রায় বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। আর সেখানে কিন্তু অনেকগুলো কালারের পাখি ছিল। এর উপরের পাখিগুলো দেখতে খুব সুন্দর ছিল। এই কালারের কয়েকটা পাখি ছিল কিছু পাখি উপরের দিকে বসা ছিল। আমার কয়েকটা পাখি একটু সামনের দিকে এসেছিল। তখনই আমি ফটোগ্রাফি গুলো করার চেষ্টা করি। আশা করি আপনাদের পাখিটা ভালো লাগবে।
এটা হচ্ছে সাদা বাঘ। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় সাদা বাঘ জন্মানোর কথা নিশ্চয়ই আপনারা শুনে থাকবেন। এখানে মোট চারটা সাদা বাঘ জন্মেছিল। এখন কিন্তু এই বাঘগুলো অনেকটা বড় হয়ে গেছে। আমি কিন্তু এই সাদা বাঘের সামনে বসে ছবি এঁকেছিলাম। যেটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। হয়তোবা আপনারা দেখতে পারেন। তবে এই সাদা বাঘ গুলো দেখতে খুবই সুন্দর ছিল। সাদা বাঘ যখন একটু বসেছিল তখনই আমি ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
এটা হচ্ছে কালো ঈগল পাখি। ঈগল পাখি নিশ্চয়ই আমাদের সবার পরিচিত। তবে এই কালো ঈগল পাখিটা কিন্তু অনেক বেশি দেখা যায়। দূর থেকে কালো ঈগল পাখি দেখা গেলেও কিন্তু, সামনাসামনি কখনো দেখা হয়নি। তবে এর আগেও একবার যখন চিড়িয়াখানায় যখন গিয়েছিলাম তখন দেখেছি। এটা অনেকটা উঁচুতে ছিল। তাই জন্য ফটোগ্রাফি করতে একটু বেশি কষ্ট হয়েছে।
এটা দেখে ভয় পাবেন না কেউ। এটা হচ্ছে অজগর সাপ। কতটুকু বড় হতে পারে আন্দাজ করতে পারছেন। এইসবটা বিশাল বড় সাইজের। এটা কিন্তু পুরোটা একসাথে দেখা যাচ্ছিল না। কিছু অংশ ভেতরে এবং কিছু অংশ বাইরে ছিল। তাই জন্য পুরোটা ফটোগ্রাফিতে আসেনি। আর এই সাপটা মূলত গ্লাসের ভেতরে ছিল। তাই জন্য মূলত ফটোগ্রাফিটা একটু ঝাপসা হয়ে গেছিল। তবে এত বড় সাপ সামনাসামনি দেখে একটু ভয় পেয়েছিলাম। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবার ও নতুন কিছু নিয়ে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://twitter.com/TASonya5/status/1791446351064248523?t=k9Pvdds4DQ3I0zyA5ApEoQ&s=19
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে চিড়িয়াখানায় পশুপাখি গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর পাখির ফটোগ্রাফি করেছেন এবং জেব্রার ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম, বিশেষ করে পাখিগুলো আমার বেশি ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন পশু পাখি গুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অজগর সাপ টা দেখে একটু ভয় পেলাম আপু। যেকোনো ধরনের সাপ দেখলেই আসলে একটু ভয় লাগে। সাদা বাঘ এই প্রথমবার দেখলাম আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে দিয়ে। ম্যাকাও পাখি গুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগছে। এছাড়া খরগোশটিও বেশ কিউট ছিল। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়ে বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখছি আর যেহেতু আপনারা অনেকে মিলে সেখানে গিয়েছিলেন নিশ্চয়ই খুব মজাও হয়েছিল।
ঠিক বলেছেন খরগোশটিও খুব কিউট ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
চিড়িয়াখানায় গিয়ে সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। আর সাথে বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। অজগর সাপ অনেক দিন পরে দেখলাম। আর পাখির নামটি বেশ সুন্দর। জেব্রা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। খরগোশ দেখতে কিউট লাগতেছে। আপু আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে চমৎকার সব ফটোগ্রাফি দেখলাম ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
সত্যি অনেক চমৎকার সব ফটোগ্রাফি ছিল।
আপু আপনার চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আমি প্রথম পর্ব পড়িনি। তবে এই পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক গুলো পাখি সম্পর্কে জানতে পারলাম। অজগর সাপ দেখে ভয় পাওয়ার মতো।আপনি ঠিক বলেছেন আপু সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই অজগর সাপটি অনেক বেশি ভয় পাওয়ার মতো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলছেন আপু বাসায় থাকলে বিভিন্ন ধরনের চাপের মধ্যে থাকা হয়। আর মাঝে মধ্যে এতো চাপ ভালো লাগে না একটু ঘুরে আসতে ইচ্ছে করে। আপনারা সবাই মিলে চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি করলেন। চিড়িয়াখানা থেকে নেওয়া ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। সবাই মিলে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন। অনেক ধন্যবাদ আপু মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এজন্য একটু ঘুরে আসলে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
চিড়াখানায় আমার কখনো যাওয়া হয় নি।আপনি বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন সেখানে।সময়-সুযোগ হলে আমি ও একদিন যাব ঘুরতে।ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
তাহলে কখনো চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখতে পারেন, ভীষণ ভালো লাগবে।
চিড়িয়াখানায় অন্যান্য পশুপাখি গুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে সাপগুলো দেখলে আমার সত্যি অনেক ভয় লাগে আপু। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক পশু পাখি দেখতে পেলাম। বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে ধারণ করা কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা৷ আপনার এই চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাওয়ার প্রথম পর্বের মুহূর্ত আমি দেখেছিলাম৷ আজকে এর দ্বিতীয় পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি এখানে সবকিছু ফুটিয়ে তুলেছেন৷ এখানে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷