জেনারেল রাইটিং:- "অন্ধের দেশে আয়না বিক্রি করা, আর বিশ্বাস ঘাতককে বিশ্বাস করা একই ব্যাপার।"
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি সব সময় চেষ্টা আমি কিছু বিষয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার। তেমনি আজকেও আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটি বিষয়ের উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। আসলে এসব বিষয়গুলো থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পারি এবং শিখতে পারি। যেগুলা হয়তোবা বাস্তব জীবনে আমাদের কাজে লাগবে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে পোস্টটা পড়ে।
অন্ধের দেশে আয়না বিক্রি করা আমাদের সব থেকে বড় ভুল। আর ঠিক তেমনি একটা বড় ভুল হচ্ছে, বিশ্বাস ঘাতককে পরবর্তীতে আবারো বিশ্বাস করা। বিশ্বাস ঘাতককে বিশ্বাস করলে আমরা আগের সেই ফল টাই পাবো। মানে বিশ্বাস ঘাতকতা ছাড়া আর কিছুই তার কাছ থেকে আশা করা যায় না। যে একবার বিশ্বাস ঘাতকতা করতে পারে সে বারবার পারে। সব থেকে বড় বোকামি তো এইগুলোই। আমরা যদি জেনেশুনে অন্ধের দেশে আয়না বিক্রি করি, তাহলে এটা বড় বোকামি তো হবেই। আয়না অন্ধরা দেখতে পারে না। এটা আমরা জেনেও আয়না কেন বিক্রি করবো। প্রথমবার হয়তো আমরা সবাই ভুল করি আরেকটা মানুষকে বিশ্বাস করতে। কিন্তু একজনকে বিশ্বাস করার পর সে যদি বিশ্বাস ঘাতকতা করে, পরবর্তীতে থাকে বিশ্বাস করার কোনো প্রশ্নই আসে না।
আর আমরা যদি পরবর্তীতে তবুও সেই মানুষটাকে বিশ্বাস করি, তাহলে এটা বড় ভুল হিসেবে গণ্য করা হবে। আর দিনশেষে আবারো আমরা বিশ্বাস ঘাতকতার শিকার হবো। আমাদের সব থেকে বেশি কষ্ট ঠিক তখনই হয়, যখন কিনা আমাদের সব থেকে কাছের মানুষগুলো আমাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে। বিশ্বাসঘাতক মানুষগুলো অনেক ভয়ংকর হয়ে থাকে। আর তাদের রূপও বারবার পরিবর্তন হতে থাকে। প্রথমে তারা ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে থাকে। যার কারণে আমরা বুঝতে পারি না কে ভালো আর কে খারাপ। কিন্তু একবার যদি ওই মুখোশধারী মানুষটা বিশ্বাস ঘাতকতা করে, তাহলে আমরা তার আসল মুখটা চিনে ফেলতে পারবো।
পরবর্তীতে তবুও তাকে আবার বিশ্বাস করা আমাদের উচিত হবে না। বিশ্বাস এমন একটা জিনিস যেটা অনেকে ধরে রাখতে পারে না। আর এই ধরনের মানুষগুলো ঠিক এরকমই। তাদের বিশ্বাসঘাতকতা দেখলে সবথেকে বেশি কষ্ট লাগে। আর তখন আমরা আর কাউকেই বিশ্বাস করতে চাই না। কিন্তু আবার অনেকে রয়েছে সেই বিশ্বাস ঘাতক মানুষটাকেই পরবর্তীতে আবার বিশ্বাস করে ফেলে। অন্ধের দেশে আয় না বিক্রি করা, আর বিশ্বাস ঘাতককে বিশ্বাস করা সম্পূর্ণ একই। আর এটাই একেবারে ঠিক। তাই আমাদের সব থেকে বেশি এটাতেই সতর্ক থাকা, সেটা হচ্ছে বিশ্বাস ঘাতককে পরবর্তীতে আবারো বিশ্বাস করা। আমরা বুঝতেও পারবো না, কখন আমাদের প্রিয় মানুষগুলোই আমাদেরকে ঠকিয়ে চলে যাবে।
অনেক সময় দেখা যায় আমাদের ভালোবাসার মানুষটা আমাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে। তবুও আমরা অনেকেই চেষ্টা করি তাকে পরবর্তীতে আবার একটা সুযোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু এটা একেবারেই উচিত হবে না আমাদের কারো জন্যই। কারণ ওই মানুষটা যদি আসলে আমাদেরকে ভালোবাসতো, তাহলে আমাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করতো না। আমরা পরবর্তীতে আবারো সেই মানুষটাকে বিশ্বাস করলে, ওটা আমাদের জীবনে নেওয়া অনেক বড় একটা ভুল সিদ্ধান্ত হবে। একবার বিশ্বাস ঘাতকতা করলে তো আমরা অনেক কষ্ট পাবো ঠিক, কিন্তু দ্বিতীয় বার বিশ্বাস করলে আবার যদি বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে আমাদের জীবনটাই তো একেবারে শেষ। এজন্য দ্বিতীয়বার বিশ্বাস ঘাতকতা করার সুযোগ না দিলেই সব থেকে বেশি ভালো।
মনে করেন একজন ব্যক্তি একটা মানুষকে অনেক বেশি বিশ্বাস করে, আর বিশ্বাস করার কারণে তার সবকিছুই ওই মানুষটা জানে। কিন্তু দিনশেষে যদি ওই মানুষটা তার বিশ্বাসের মর্যাদা না দিতে পারে, তাহলে এতে করে দেখা যাবে তার সবকিছুই শেষ। বিশ্বাস এমন একটা জিনিস যেটা সব মানুষকে করা যায় না। কিন্তু এটার ক্ষেত্রেই আমরা সব থেকে বেশি ভুল করে থাকি। বেশিরভাগ মানুষ রয়েছে যারা ভুল মানুষকেই সব থেকে বেশি বিশ্বাস করে থাকে। আর ঠিক এরকম ওই ব্যক্তিটাও। সে যদি ওই বিশ্বাস ঘাতককে আবারো বিশ্বাস করে, তাহলে তার আরো বেশি ধ্বংস হয়ে যাবে সবকিছু। কারণ সে মানুষটা দেখা যাবে পরবর্তীতে তার আরো বেশি ক্ষতি করেছে। আর এরকম মানুষগুলো সব সময় প্রতারকই থাকে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
বিশ্বাসঘাতকে বিশ্বাস করলে আগের মতো কষ্ট নয় বরং তার থেকে হাজার গুণ বেশি আঘাত বা কষ্ট পেতে হয় আপু।তাইতো আমাদের উচিত এসব মানুষের থেকে দূরে থাকা এবং আমাদের আশেপাশে যেন তারা আসতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা। বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখাটা পড়ে।
https://x.com/TASonya5/status/1829862152540471555?t=nPVfgsmAiiOX_QHj1gvjZg&s=19
খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার এত সুন্দর লেখা দেখে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। একদম সত্যি কথা তুলে ধরেছেন এই পোস্টের মাঝে। এভাবে সুন্দর কিছু সচেতন বিষয়ে লেখালেখি করলে অনেক বিষয়ে ধারণা অর্জন হয় মানুষের। বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখা।
আসলে এরকম লেখাগুলো লিখলে অনেকে ধারণা অর্জন করে এই সব বিষয়ে।
তুমি একেবারে বাস্তবিক এবং সত্য একটা কথা নিয়ে আজকের লেখাটা লিখেছ। তোমার এই পোস্টটি পড়তে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে বিশ্বাসঘাতককে বিশ্বাস করা একেবারেই ভালো হবে না। তার কাছ থেকে আমরা বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া পরবর্তীতেও আর কিছু পাবো না এটা ঠিক। অন্ধের দেশে আয়না বিক্রি করা একটা বোকামি। আর বিশ্বাসঘাতককে বিশ্বাস করা তার চেয়ে আরো বড় বোকামি ।
হ্যাঁ এটা অনেক বড় একটা বোকামির কাজ। এমনকি এইটা আমাদেরকে পরবর্তীতে আবারও কষ্ট দেবে।
খুব সুন্দর একটি বিষয় চয়েজ করে আজ আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে আপু বিশ্বাসঘাতকতাকে আমরা বারবার বিশ্বাস করে ভূলের স্বীকার হই। আর কাছের মানুষগুলো থেকে যখন আমরা বেশী বিশ্বাসঘাতকতা দেখতে পাই তখন বেশী খারাপ লাগে। তবে বিশ্বারঘাতকরা হয় খুব ভংঙকন। আর কাছের মানুষগুলো বেশী বিশ্বাসঘাতকতা করে। এই ধরনের মানুষগুলো হয় মিরজাফর। যেমন এরা সেই প্রাচীন কাল থেকে চিহ্নিত। আর এই বিশ্বাসঘাতকার স্বীকার হয়েছিল আমাদের নবাব সিরাজউদ্দৌলাও।
ঠিক বলেছেন, কাছের মানুষগুলো সব থেকে বেশি বিশ্বাসঘাতকতা করে আমাদের সাথে।
একদম উপযুক্ত লেখাগুলো আপনি লিখে শেয়ার করলেন আপনি। কিছু কিছু মানুষকে বিশ্বাস করা খুবই কঠিন। আমরা গ্রামের মুরুব্বিদের কাছ থেকে এরকম কিছু কথা শুনতাম। যেমন একটি অন্ধকার রাতকে বিশ্বাস করা বিশ্বাসঘাতককে বিশ্বাস করা সেইম অবস্থা। কারণ একটি অন্ধকার রাত খুব ভয়ঙ্কর হয়। ঠিক তেমনি একজন বিশ্বাসঘাতক মানুষ অনেক জঘন্য হয়।
হ্যাঁ আপু, এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদেরকে বিশ্বাস করা একেবারে কঠিন।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট লিখেছেন। আপনার শেয়ার করা পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই পোষ্টের মাধ্যমে দারুণ কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তাছাড়া পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমার জেনারেল রাইটিং পোস্ট সুন্দরভাবে পড়ে, এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
শএুতা আমাদের খুব বেশি ক্ষতি করতে পারে না। আমাদের সবচাইতে বেশি ক্ষতি করে থাকে আমাদের একান্ত আপন জনেরা যাদের আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। তারা সেই বিশ্বাস ভেঙে আমাদের শিখিয়ে যায় সবাই কে বিশ্বাস করতে হয় না হা হা। চমৎকার লিখেছেন আপু। এটা একেবারে বাস্তব একটা কথা।
আসলেই সেই মানুষগুলোই আমাদেরকে শিখায় সবাইকে বিশ্বাস করতে হয় না।
বাহ আপু আপনি তো খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আসলে একজন লোক বিশ্বাসঘাতকতা করার পর তাকে আবার যদি বিশ্বাস করা হয় সেটি অনেক বড় বোকামি। আসলে কিছু কিছু মানুষ আছে কিছু মানুষকে বারবার বিশ্বাস করে বোকামি করে। অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিশ্বাসঘাতককে বিশ্বাস করাতো সত্যি বোকামি। যে একবার বিশ্বাসঘাতকতা করে সে বারবারও করতে পারে।