নাটক রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ২৮)
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ২৮ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই মর্জিনা হেঁটে যাচ্ছিল, আর তখনই চান্দু দৌড়ে আসার সময় মর্জিনার সাথে ধাক্কা লাগে। আর তারপর তারা কিছুক্ষণ কথা বলে। এরপর দেখা যায় সেখানে রবি এসেছে। আর চান্দুর সাথে কথা বলে। রবি তো চান্দুকে বলে তাকে এতগুলো মার দেওয়ার পরেও তার শিক্ষা হয়নি। তারপর মর্জিনাও তাকে বলে আপনাকেও মেম্বারের লোক পেলে আরও বেশি মারবে। এরপর রবি তো চান্দুকে বিভিন্ন রকম কথা বলে সেখান থেকে চলে যায়। আর চান্দু হাসতে থাকে। মর্জিনা বিভিন্ন কথা বলে আর তখন চান্দুকে বলে মেম্বারের ছেলেকে জেলে পাঠানোর কি দরকার ছিল। এখন তাকে নাকি মেম্বারের ছেলে খুজতেছে মারার জন্য। আর তখন চান্দু বলে সুতা ফকির মামলা করেছিল, এখানে আমি আবার কি করলাম। এরপর চান্দুও সেখান থেকে হাসতে হাসতে চলে গেলো।
এরপর দেখা যায় নতুন ফকির দুই জন সুতা ফকিরের সাথে ভিক্ষা করতে করতে আসছিল। আর তখন মেম্বারের ছেলেকে নিয়ে কিছুক্ষণ তাদের মধ্যে কথা হয়। তারপর তারা দেখে মেম্বারের ছেলে জেল থেকে বেরিয়ে আসতেছে। তখনই সুতা ফকির দৌড়ে চলে যায়। আর ফকির দুইটা ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর তাদের কাছে প্রিন্স আসে। আর ফকিরদের ব্যাপারে কথা বলতে থাকে। তারাও তাকে একটু ভিন্নভাবে বুঝায়। তারপর প্রিন্স সেখান থেকে চলে যায়। আর তারাও চলে যায়। তারপর দেখা যায় ফুলি এবং জোনাকি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। আর জোনাকি ফুলিকে প্রিন্সের কথা বলে। এভাবে তারা কথা বলতে বলতে যাচ্ছিল। এরপর দেখা যায় রতন ফকির যাচ্ছিল। আর তাদের দুজনকে দেখে রতন দৌড়ে জোনাকির কাছে আসে আর ভিক্ষা চায়। এটা দেখে তো ফুলি অনেক রেগে যায়।
আর তারা বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। এমনকি ব্রেকআপ করারও কথা বলে। তখন তো রতন ফুলিকে আরো রাগিয়ে দিয়ে চলে যায়। ফুলির তো মাথা অনেক গরম হয়ে যায়। কিন্তু জোনাকি তাকে নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। এরপর দেখা যায় গ্রামের ওই নতুন ছেলেটাকে, সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গান শুনছিল। ওখান দিয়ে চম্মন যাচ্ছিল, আর সে চম্মনের সাথে কথা বলতে থাকে। এভাবে ওই ছেলেটা চম্মনকে ডিস্টার্ব করতে থাকে। আর তখনই সেখানে মানিক আসে এবং ওই ছেলেটাকে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। তারপর তো তাদের মাঝে মারামারি শুরু হয়ে যায়। এরপর তারা একে অপরকে কিছু চ্যালেঞ্জও দিয়ে দেয় চম্মনকে বিয়ে করা নিয়ে। তারা যখন মারামারি করছিল তখন ওই ছেলেটার বোন এসে তাদেরকে ছাড়ায়। আর চম্মন মানিককে নিয়ে চলে যায়। ছেলেটা তার বোনকে বলে সে নাকি চম্মনকে বিয়ে করবে।
এসব কিছু বলে তারাও চলে যায় বাড়িতে। এরপর আবারও ওই নতুন ফকির দুজনকে দেখা যায়। তারপর তারা একজন লোককে দেখে, যে ছিল চেয়ারম্যানের চামচা। এরপর তারা কোন কিছু ব্যবসা করা নিয়ে ওই লোকটার সাথে কথা বলে। এরপর তারা ওই ব্যবসাটা সম্পর্কে বলে। আর লোকটা তাদের সাথে যায়। তারপর দেখা যায় ফকিরদের সরদার কে। এরপর প্রত্যেকটা ফকির বিভিন্ন রকম বিচার দিতে থাকে সরদার কে। এরপর তারা এভাবে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে। তারপর দেখা যায় ঝুমা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। আর ফুলি ঝুমাকে থামিয়ে ঝুমার সাথে বিভিন্ন কথা বলে। আর রতন ফকিরকে নিয়ে কথা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়। তারা দুজন তো একপ্রকার মারামারি করে। তারপর সেখানে রতন ফকির আসে। এরপর রতন বলে আমি তোমাদের দুজনেরই। এ কথা বলার সাথে সাথে ফুলি রতন কে দৌড়াতে থাকে।
এগুলো দেখে ঝুমা অনেক খুশি হয়ে যায়। আর সে খুশিতে চলে যায়। তারপর দেখা যায় প্রিন্স এবং প্রিন্সের লোক দুজনে কথা বলছিল জেলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে। তখন সেখান দিয়ে সুন্দরী খালা এবং রবি যাচ্ছিল। তাদের দুজনকে দেখে তো তারা রবিকে মারার কথা বলে। রবিকে যখন মারার কথা বলে তখন রবি তাদের হাত থেকে লাঠি নিয়ে যখনই প্রিন্সের গায়ে মারতে যাবে, তখনই সুন্দরী খালা ধরে ফেলে। এরপর তো প্রিন্সের বন্ধুরাই রবিকে মেরে চলে যায়। আর সুন্দরী খেলা বসে বসে সেখানে কান্না করতে থাকে রবিকে ধরে। এরপর রাতের বেলায় দেখা যায় রবি দা নিয়ে বেরিয়েছে প্রিন্স এবং তার লোকদেরকে মারার জন্য। এরপর সুন্দরী খালা তাকে থামায় বিভিন্ন কথা বলে। এভাবেই বিভিন্ন কথা বলে সুন্দরী খেলা রবিকে থামায়।
তখনই সুতা ফকির সেখানে আসে। আর রবিকে বিভিন্ন কথা বলে। এরপর সুতা চলে যায়। এরপর সুন্দরী খালা রবিকে কসম দেয় যেন মেম্বারের ছেলের গায়ে না হাত দেয়। তারপর সকালে দেখা যায় প্রিন্স বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর রবিকে মারার বিষয়টা নিয়ে সে ভাবতে থাকে। এভাবে সে ঘরের সামনে পায়চারি করতে থাকে। আর তখন প্রিন্সের মা এবং ঝুমা সেখানে আসে। আর তাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে তার কি হয়েছে। এরপর সে বলে ফকিরদের সাথে সে মারামারি করেছে, এজন্য ভালো লাগতেছে না। তারপর প্রিন্সের মা তাকে বলে আর যেন ফকিরদের সাথে মারামারি না করে। প্রিন্স তারপর বলে আমার অনেক খারাপ লাগতেছে তাদের কে মেরে। এরপর তার মাঝে জিজ্ঞেস করে কোন ফকিরকে মেরেছে । এরপর প্রিন্স বলে সুন্দরী খালার ছেলেকে মেরেছে। তারপর প্রিন্সের মা তাকে নিয়ে ঘরে চলে যায়।
এরপর ঝুমাও তাদের পেছন পেছন ঘরে চলে যায়। তারপর সুতা ফকির দৌড়ে দৌড়ে বলতে থাকে রবিকে মেম্বারের লোক মেরেছে। আর তখনই সেখানে চান্দুর সাথে তার দেখা হয়। আর সুতা চান্দুকে খবরটা দেয়। চান্দু তো এটা শুনে অনেক খুশি হয়। আর তাকে ২০ টাকা দেয়। এরপর সুতা দৌড়ে সেখান থেকে চলে যায়। আর চান্দু ও সেখান থেকে চলে যায়। তারপর দেখা যায় প্রিন্স লুকিয়ে লুকিয়ে সুন্দরী খালার বাড়িতে এসেছে, আর তাদেরকে দেখতেছে। সুন্দরী খালা রবিকে ভাত খাইয়ে দিচ্ছিল। আর সে লুকিয়ে লুকিয়ে এটা দেখছিল। ওখান দিয়ে যখন সুতা ফকির এবং তার বন্ধু যাচ্ছিল, তখন তাকে দেখে ফেলে। এরপর তারা প্রিন্স কে চোর ভেবে গিয়ে ধরে। আর তখনই পর্বটা শেষ হয়ে যায়। পরবর্তী পর্বে কি হয় এখন এটাই দেখতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি আমি পরবর্তী পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করবো। সেই পর্যন্ত আশা করছি পাশে থাকবে।
ব্যক্তিগত মতামত
এই নাটকটা সত্যি যত দেখতেছি ততই খুব ভালো লাগতেছে। এই নাটকটি যেমন অনেক হাস্যকর তেমনি শিক্ষনীয় কিছু বিষয়ও রয়েছে। এই নাটকের মধ্যে মেম্বারদের ছেলে এবং ফকিরদের মধ্যে একটু বেশি ঝামেলা হচ্ছে। তবে এই পর্বে প্রিন্স রবি ফকিরকে মেরে অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছে। সে এখন আফসোস করছে কেন রবি ফকিরকে মারতে গেলো। অন্যদিকে আবার ঝুমা ফুলি এবং রতনের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি করে দিয়েছে। ঝুমা রতন ফকিরকে আই লাভ ইউ বলে ঝামেলাটা সৃষ্টি করেছে। এখন ফুলি এর জন্য অনেক রেগে রয়েছে রতনের উপর। প্রিন্স রবি কে মারার পর রাতের বেলায় রবির বাড়িতে যায় লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে সবকিছু। তাদের এরকম সরলতা দেখে প্রিন্স মনে মনে আফসোস করে। আর প্রিন্স যখন তাদেরকে দেখছিল, তখন সুতা ফকির এবং তার বন্ধু দেখে চোর ভেবে মার দেওয়া শুরু করে। এখন দেখতে হবে এরপরে কি হয়।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1800469045021659307?t=8cJ1QpWrVUcAg6BBPVc-yg&s=19
দেখতে দেখতে ফকির গ্রাম নাটকটার 28 টি পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। বেশির ভাগ পর্বের রিভিউ আমার পড়া হয়েছে, আমার কাছে কিন্তু এ নাটকটা অনেক ভালোই লাগে। নাটকটা আসলেই অনেক বেশি হাস্যকর। রবিতে মারার পর দেখছি প্রিন্স অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছিল। যার কারণে লুকিয়ে লুকিয়ে তাদের বাড়িতেও গিয়েছিল। কিন্তু এরপর কি হলো এটা তো জানলাম না। আশা করছি পরবর্তী পর্বে এটা খুব তাড়াতাড়ি জানতে পারবো। অপেক্ষায় থাকবো পরবর্তী পর্বের রিভিউ পড়ার জন্য।
হ্যাঁ রবিকে মারার পর প্রিন্সের নিজেরই অনেক কষ্ট হয়েছে। এখন সে তাদের বাড়িতে এসেছে দেখা যাক কি হয়।
ফকির গ্রামের ২৮ তম পর্ব আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে কারণ আমি ঈগল টিমের নাটক বেশি দেখে থাকি। ইফতির নাটক গুলো আমার কাছে তার অভিনয় খুবই ন্যাচারাল। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ইফতির অভিনয় তো অনেক সুন্দর। এই নাটকে দারুন অভিনয় করেছে। ধন্যবাদ এই পর্বের রিভিউ পড়ার জন্য।
এর আগেও আমি ইফতির অনেক নাটক দেখেছি বেশ ভালো লাগে।
বেশ অনেকদিন ধরে আমি লক্ষ্য করছি আপনি এই সুন্দর নাটকটা রিভিউ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। আপনার এ নাটক রিভিউ দেখে আমার খুবই ভালো লাগে। বেশ ভালো লাগার মত এ ফকিরগ্রাম নাটকটা। অনেক সুন্দর ছিল আপনার নাটক রিভিউ করা।
আসলে এই নাটকটা একেবারে ভালো লাগার মতো। দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়।