নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( ৪ পর্ব )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের চতুর্থ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম রতন আর মানিককে চম্মনের বাবা তাদের বাড়ি থেকে তাড়া করেছিল। এ পর্বে দেখলাম চন্দন দাঁড়িয়ে বাবার জন্য অপেক্ষা করছে, আর ফকিরদের কি মেরে ফেললো নাকি চিন্তা করছিল। পরবর্তীতে তার বাবা বাড়িতে ফিরে আসলো আর বলছিল ধরতে পারলে তাদেরকে পিটিয়ে মারতো। বাবা মেয়ের কথা বলতে বলতেই এসে হাজির হলো চান্দু। চান্দু মূলত ভিক্ষা করতে এসেছে। চান্দু ভিক্ষা করতে দেখেই আবারো চান্দুকে তাড়া করল চম্মানের বাবা। সে আসলে ভিক্ষুকদেরকে একদমই পছন্দ করে না। এরপরে আবারো পরের দিন কাদের ফকির আর তার মেয়ে সহ একই বাড়িতে এসেছে ভিক্ষা করতে।
তারা অনেকবার ডাকতে ডাকতে কেউই বের হচ্ছিল না ঘর থেকে। পরবর্তীতে চম্মনের বাবা বেরিয়ে আসল। তখন কাদের ফকির তাকে তালই হিসেবে বলে ভিক্ষা চাইছিল। সে আবার সায়েম ফকিরের চাচাতো ভাই হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। এটা শুনে তো লোকটা আরো বেশি ক্ষেপে গেল। কারণ সে তার ফকির জামাইকে একদমই দেখতে পারে না। পরবর্তীতে তাদের সাথে তর্ক করে তাড়িয়ে দিল। অন্যদিকে আবার ছোট ছোট দুইটা ছেলে মেয়ে তারাও ভিক্ষা করছিল একজনের কাছে। লোকটা বলল ভিক্ষা কেন করছ কাজ দিলে করবে। কিন্তু তারা উল্টো তার সাথে তর্ক করতে শুরু করল।
আর বলছিল আমাদেরকে যদি এসব কিছু বলো তাহলে তোমাদের কেউ অভিশাপ দিব। মেম্বারের ছেলেকে আমাদের ফকির অভিশাপ দিয়েছে। সে এখন গর্ভবতী । এই কথাটা শুনে লোকটা অবাক হয়ে গেল। ওদেরকে বলছিল তাহলে দেখতে যেতে হবে। তখন ছেলে-মেয়ে দুইটা বলল তাদেরকে ভিক্ষা না দিয়ে গেলে অভিশাপ দিবে। তখন লোকটা ওই দুজনকে নিয়ে চিপস কিনে দিল। অন্যদিকে চান্দু তাড়া খেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে একেবারে হাপিয়ে গেল। এবার ভিক্ষে করতে করতে একটা লোক আসলো। কার কাছ থেকে টাকা চাইছিল। কিন্তু টাকা না দিতে চাইলে আবারো তাকে অভিশাপের ভয় দেখালো।
এদিকে আবার সায়েম আর তার বউ এসে পড়লো তার সামনে। তারাও টাকা চাইছিল আর অভিশাপের ভয় দেখাচ্ছিল। পরবর্তীতে লোকটার কাছে যা টাকা ছিল তাই নিয়ে নিল। অন্যদিকে মেম্বারের ছেলের এই খবরটা শুনে ওই লোকটা মেম্বারের বাড়িতে গেল দেখতে। কিন্তু সেখানে তার মা ছিল । সে বলল মেম্বারের বাড়িতে বিচারে গিয়েছে। তখন লোকটা বলতে লাগলো তাহলে তো সত্যি শুনলাম। কি শুনেছে এটা বলতেই মেম্বারের বউ একেবারে অবাক হয়ে গেল। আর এই লোকটাকে তাড়াতে শুরু করলো। পরবর্তীতে লোকটা বলতে লাগলো তার ছেলেকে সে দেখেই যাবে। এইসব কথা বলে দুজনে ঝগড়া করতে শুরু করল।
এরপরে সুন্দরী ফকির আবার গেল চম্মনের বাড়িতে ভিক্ষা করতে। চম্মন ওকে চলে যেতে বললো। বলল তার বাবা ফকিরদের কে একদম দেখতে পারে না। যাতে সে ঐখান থেকে তাড়াতাড়ি চলে যায়। পরবর্তীতে সে বলল তাকে কিছুই বলবেনা। ওর বাবাকে যেন দেখে দেয়। সত্যি ওর বাবা এসে সুন্দরী ফকিরকে বিয়ান বলে ডাকা শুরু করল। আর মেয়েকে বলল তার জন্য ঘর থেকে চাল নিয়ে আসতে। আর যাতে একটু বেশি করে নিয়ে আসে। এটা দেখে তো সব চম্মন একেবারে অবাক হয়ে গেল। পরবর্তীতে সে সেখান থেকে চাল নিয়ে এসে দিল। আর এদিকে মহিলাটা বলতে লাগলো কাদের ফকির মেম্বারের ছেলেকে অভিশাপ দিয়েছে।
ঘটনাটা তিনি খুলে বলেছিল। এটা বলেই সেখান থেকে চলে গেল। আর এই বিষয়টা শুনে লোকটা নিজেই ভয় পেয়ে গেল। আর বলতে লাগলো নিজের মেয়েকে বাড়িতে কোন ফকির এসেছে কিনা। কাদের ফকিরের কথা বলল। তখন লোকটা আরো বেশি ভয় পেয়ে গেল। অন্যদিকে মানিক আর রতন দুইজন কথা বলতে বলতে দেখল , মেম্বারের ছেলে আচার খেতে যেতে আসছিল। তখন ওরা দুজন আবারও তার সাথে এই বিষয়টা নিয়ে দুষ্টামি করা শুরু করল। সে রেগে সেখান থেকে চলে আসল। অন্যদিকে মেম্বারের বউয়ের সাথে ওই লোকটা ঝগড়া করতে লাগলো। তখনই মেম্বারের ছেলে আর মেম্বার এসে উপস্থিত হল। আর ওই লোকটার কথা শুনে তাদের মেজাজ গরম হয়ে গেল। ফালতু একটা বিষয় আসলে গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে গেল। আর এই কথাটা ছড়িয়ে দিয়ে উল্টো চেয়ারম্যানের মেয়ে চাঁদনী খুশি হয়ে গেল। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকের এই পর্বটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এই পর্বে দেখতে পেলাম মেম্বারের ছেলের গর্ভবতী হওয়ার মিথ্যা ঘটনাটা পুরো গ্রামে একজনের কাছ থেকে আরেকজনের ছড়িয়ে পড়েছে। আসলে গ্রামে কিন্তু এরকমই হয় একটা কথা শোনার আগেই পাঁচ কান হয়ে যায়। এই বিষয়টাই মূলত এই পর্বে তুলে ধরা হয়েছে। আসলে এই সব গুজব কথাগুলোই কান দেওয়া উচিত নয়। আবার এই পর্বে এটাও বোঝানো হয়েছে এটা মূলত একজন ফকিরের অভিশাপে হয়েছে। সত্যি বলতে মানুষের অভিশাপ এরকম সত্যি হয়ে গেলেতো পৃথিবীটাই থাকতো না। আর এই বিষয়টা নিয়ে প্রচুর পরিমাণে ঝগড়াঝাঁটি শুরু হয়েছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। আসলে নাটকটা প্রতিটা পর্বই আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আশা করি রিভিউটা আপনাদেরও ভালো লাগবে।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1737438612529263080?s=20
আপু আমিও মাঝে মধ্যে ঈগল টিমের নাটক দেখি। ফকির গ্রাম এই নাটকটি দেখলে ভীষণ হাসি পায়। সবাই এই নাটকটিতে চমৎকার অভিনয় করেছেন। আপনার রিভিউ দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সবাইকে আপু।
আপনিও মাঝে মধ্যে ঈগল টিমের নাটক দেখেন জেনে ভালো লাগলো।
ফকির গ্রাম নাটকের শেয়ার করা আপনার গত পর্ব গুলো আমি দেখেছি। আজকের পর্বও দুর্দান্ত হয়েছে । ফকির গ্রাম নাটক বেশ দারুণ ছিলে। নাটকে সমাজের বাস্তবিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। গ্ৰামে কারো বিরুদ্ধে একটি খারাপ কথা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সবার কানে কানে চলে যায়। এত সুন্দর নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনি গত পর্ব গুলো দেখেছেন জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর একটি মন্তব্য পেয়ে ভালো লেগেছে।