সাবধানতা অবলম্বন করেও, শেষ রক্ষা হলো না।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গত দুই দিন ধরে অনেকটাই অসুস্থ রয়েছি। যদিও আজকেও এখনো পুরোপুরি সুস্থ হইনি, আগের চেয়ে একটু ভালো আছি। সবাই যেন সুস্থ থাকে এটাই কামনা। আজকে একদম ভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে আসলাম। আসলে মোবাইল ফোন আমাদের সবারই এখন একদম প্রয়োজনীয় জিনিস।

IMG_20221105_151437.jpg

আর আমরা সবসময় চেষ্টা করি নিজেদের মোবাইলটাকে একটু যত্নে রাখার। এমনকি যে কোন জায়গায় রাখলে সাবধানতা অবলম্বন করে রাখি। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখন দেখা যায় যে, ঘরে ছোট কেউ থাকলে তাদের হাত থেকে মোবাইল রক্ষা করাটা খুবই কঠিন। কারণ এখন বেশিরভাগ সময় দেখছি, মোবাইল পেলেই সব থেকে ছুড়ে মারে। যেটা আমি আমার মেয়েকে দেখে আরো বেশি বুঝতে পেরেছি। যদিও ওকে মোবাইল একদমই ধরতে দিই না। ওর চাচ্চু মাঝেমধ্যে ওকে চুরি করে মোবাইল দেখায়।

এইজন্য অনেক সময় ওকে বকি যাতে মোবাইল ফোন না দেখায়। এমনিতে আমার ফোনটা ভুলেও কখনো ধরে না দেখার জন্য। কিন্তু মাঝে মধ্যে হাতের কাছে পেলেই ছুড়ে মারে। শুধু মোবাইল ফোন বললে ভুল হবে ওর একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, যে কোন কিছু ছুড়ে মারার। কিছুদিন আগে আমি আমাদের বাড়িতে এসেছিলাম। বিশেষ করে আমার আব্বু হাসপাতাল থেকে আসার পর প্রায় কয়েকজন আমাদের মেহমান এসেছিল আব্বুকে দেখার জন্য। এজন্য আমরাও এসেছিলাম। সেদিন আমার অনেক বেশি খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

আসলে রোগীকে দেখতে আসলেও কিন্তু, একটা অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। এজন্য সবার ফোনগুলো আমার মেয়ের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য একেবারে উঁচু জায়গায় রেখে দিয়েছে। বিশেষ করে যে যার মত করে রেখেছে। এজন্য আমার আব্বুর ফোনটাও আমার ছোট বোন আমাদের একটা আলমারির উপরে রেখে দিয়েছে। যাতে নাশিয়া কিছুতেই হাতে না পায়। কিন্তু আমি বিষয়টা একেবারেই জানতাম না। আলমারির উপরে একটা জিনিস রাখা ছিল যেটা তখন প্রয়োজন হয়েছিল। এজন্য আমি ওই জিনিসটা টানতেই আব্বুর মোবাইলটা পড়ে একেবারে সাথে সাথে ডিসপ্লে চলে যায়।

আসলে যাতে মোবাইলটা রক্ষা করা যায় এই জন্য এত কিছু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষাটা হলো না। মেয়ের হাতে না হলেও আমার হাতেই মোবাইলটা শেষ হয়ে গেল। এমনিতে কিছুদিন আগে এই মোবাইলটা আব্বুর জন্য আমার মামা আফ্রিকা থেকে এনেছে। তো আর কি করার। এত সাবধানতা অবলম্বন করেও রক্ষা করতে পারলাম না। শুধুমাত্র মেয়ের জন্য ভয় পেলাম, আর নিজের হাতেই শেষ করে ফেললাম। যদিও আমি জেনে শুনে কিছুই করিনি। কিন্তু তখন সবাই বলতে লাগলো রক্ষা করার জন্য রেখেছিল কিন্তু কিছুই হলো না। আসলে যেটা হওয়ার সেটা হবেই।

আমার ভীষণ খারাপ লাগছিল যে, ইচ্ছাকৃতভাবে না হলেও মোবাইলটা তো আমার হাতেই নষ্ট হল। তখন আমি সবার সামনে বললাম যে আমার হাতে যখন মোবাইলটা নষ্ট হয়েছে আমি আব্বুকে মোবাইলটা ঠিক করে এনে দিব। যদিও এটা আব্বু শোনেনি। আব্বু তখন আগের আরেকটা মোবাইল ছিল সেটা নিয়ে দোকানে চলে গেল। যদিও আমরা বিকেল বেলায় বাড়িতে চলে এসেছিলাম। সঙ্গে করে মোবাইল ফোনটা নিয়ে এসেছি ঠিক করার জন্য।

পরে আম্মুর কাছে শুনেছিলাম আব্বু নাকি রাতে এসে মোবাইলটা খুজতেছিল ঠিক করার জন্য। যখন বললো আমরা নিয়ে গেছি তখন আব্বু বলল, কেন নিল, আমি নিজেই ঠিক করে নিতাম। আসলে কি বলেন তো অসাবধানতা হলেও নিজের হাতে হয়েছে এটা ভেবেই আমার খারাপ লাগছিল। আসলে আমরা যদি কোন কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে যাই, তাহলে সেটা আরো বেশি করে হয়। অবশেষে ফোনটা আবারও ডিসপ্লে ঠিক করে আব্বুর হাতে এনে দিলাম। অবশেষে নিজেও একটু স্বস্তি পেলাম। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আমারও আসবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।

আমার পরিচয়

1635518106012.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

আসলেই আপু বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে গেলে আরও বেশি ক্ষতি হয়।আমিও এটা বেশ কয়েকবার ফেস করেছি।যাইহোক অবশেষে আপনি ডিসপ্লে ঠিক করে আপনার বাবা কে মোবাইল টা দিয়ে স্বস্তি পেয়েছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি লেখা শেয়ার করেছেন আপনি।

 2 years ago 

ঠিক করে দিতে পেরেছি বলেই একটু বেশ ভালো লেগেছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপনার কথা ঠিক আছে যত যত্ন করে রাখেন নাই কেন শেষ পর্যন্ত আপনার হাতেই মোবাইলটি শেষ হয়ে গেল।এখনকার বাচ্চাদের মোবাইলের প্রতি আকর্ষণ বেশি।সুস্থ থাকার চেষ্টা করবেন আপু।ইদানিং সবাই বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে ঘন ঘন।

 2 years ago 

জ্বী আপু চেষ্টা করছি সুস্থ থাকার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ‌‌।

 2 years ago 

এটা কেমন হলো মেয়ের জন্য এত সাবধানে উপরে রাখলেন ,শেষমেষ নিজের হাতেই ভেঙ্গে গেল। আসলে ঠিকই বলেছেন যা হবার তা হবে। শত যত্ন করে রাখলেও লাভ নেই। তাছাড়া নিজের হাতে কোন জিনিস নষ্ট হলে কেউ কিছু না বললেও নিজের ভিতর একটি খারাপ ফিল হয়। আপনি সেই অনুভূতি থেকে মোবাইলটা নিয়ে এসেছেন সারানোর জন্য। আশা করি মোবাইলটা দ্রুত সারিয়া আপনার আব্বুকে ফেরত দিতে পারবেন।

 2 years ago 

জ্বী আপু মোবাইলটা সারিয়ে আবার ফেরত দিয়েছি।

 2 years ago 
আপনার আব্বুর ফোন আপনার দ্বারা নষ্ট হয়েছে জেনে খারাপ লাগছে। আপনি ঠিক করে দিবেন বলে নিয়ে এসেছেন জেনে ভালো লাগছে। আসলে কেউ ইচ্ছা করে কোন জিনিস ভাংগে না, অজান্তেই ভেঙ্গে যায়। গত সপ্তাহে আমার মোবাইল হাত থেকে পরে ডিসপ্লে ভেঙ্গে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপু ।
 2 years ago 

আসলে আমরা একটু বেশি সাবধান হতে গেলেও সমস্যা হয়ে যায়।

 2 years ago 

কোন জিনিস বেশি সর্তক রাখতে গেলেই বেশি বিপদ হয়। আপনার আব্বুর ফোনটা ভেঙে গিয়েছে জেনে আমার ও খারাপ লাগলো। কয়েক দিন আগে আমার বাসায় ফোনটা আমার ভাগ্নি ভেঙে ফেলেছে রাগ করে। ছোট বাচ্চারা হাতের কাছে যা পায় তা নিয়েই ছুড়ে মারে। শেষমেশ ফোন ঠিক করে দিয়েছেন জেনে খুশি হলাম।

 2 years ago 

ফোনটা ঠিক না করে দিলে আমি নিজেই স্বস্তি পেতাম না।

 2 years ago 

শুরুতেই আপনার সুস্থতা কামনা করি আপু। আর ছোট বাচ্চারা হাতের কাছে যেটাই পায় সেটাই ছুড়ে মারে , এটা নিয়ে আসলে বলার কিছুই নেই। কিছুদিন এমনটা করবেই। আমার ভাগ্নেও এই কাজটা করতো। আমার দিদির দুইটা মোবাইল শেষ করে ফেলেছে। তবে এখন আগের থেকে অনেকটা শান্ত। আপনার বাবুটাও আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। আর সত্যি বলতে ব্যাপারটা পুরোটাই অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি জানি নিজেকে একটু হলেও দোষী মনে হবে। কিন্তু তারপরেও বলবো ব্যাপারটা ইজি ভাবে নিতে। কারণ আপনি তো আর ইচ্ছা করে কাজটি করেননি। এটা একটা অ্যাকসিডেন্ট মাত্র।

 2 years ago 

আসলে নিজের হাতে হয়েছে তাই একটু লেগে ছিল আর কি।

 2 years ago 

আহারে,এমন ঘটনায় সত্যি আপু খারাপ লাগে।বেশি সতর্ক হতে গিয়ে, বড় বেশি ক্ষতি হয়ে যায় আসলে।কারন আমারও এমন হয়। ছেলের হাত থেকে বাঁচাতে সেরে রাখা জিনিস, শেষে নষ্টই হয়ে যায়। যাক,শেষ পর্যন্ত মোবাইল সেরে দিলেন, ভাল হল।ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন বেশি সতর্ক হতে গিয়ে আরও বেশি ক্ষতি হয়ে যায়।

 2 years ago 

আর বলেন না আপু আমার বাবুর এক বছর বয়সে তিনটা ফোন নষ্ট করছে। আমার একটা আপনার ভাইয়ার একটা আমার মায়ের একটা। ওকে আমরা ফোন দেইনা। কিন্তু যদি কোনো সময় একবার হাতে পায় তাহলে আর রক্ষা নাই।

 2 years ago 

জ্বী আপু ওরা ছোট থেকে একেবারে এক্সপার্ট।

 2 years ago 

আসলে আপু কি কোন ছোট জিনিস হোক না কেন নিজের হাতে যখন নষ্ট হয় তখন নিজের মনকে বোঝানো যায় না। ইস মোবাইলটা ভাঙ্গা দেখি তো আমারও খারাপ লাগছে। অবশ্য এটা হয়তো এভাবেই ভাঙবে এমনটাই ভাগ্যে লেখা ছিল আপনি তো আর ইচ্ছে করে করেননি। তাই মন খারাপ না করে থাকাই ভালো।

 2 years ago 

জ্বী আপু এটাই তো নিজের হাতে নষ্ট হয়েছে বলেই বেশি খারাপ লেগেছিল।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 68014.74
ETH 3533.72
USDT 1.00
SBD 2.81