ভ্রমণ :- ছোট ফেনী নদীর কাঠের ব্রিজ ভ্রমণ (পর্ব ১)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের এলাকা থেকে কিছুটা দূরে একটা কাঠের ব্রিজ হয়েছে নতুন। অনেকদিন ধরেই শুনছিলাম। আমার হাজব্যান্ড বাইক নিয়ে সেখানে কয়েকবার ঘুরতে গিয়েছিল। তখন সেখান থেকে এসেই আমাকে একদিন নিয়ে যাবে এটা বলেছে। তো কয়েকদিন আগে আমি বলছিলাম তাহলে আমরা কোথাও ঘুরতে যাই। তখন ও বলল ঠিক আছে তাহলে কাঠের ব্রিজ দেখতে যাব। আসলে আমাদের এদিকে ঘোরাফেরার জায়গা একদমই কম।

1678720941757.jpg

device : Redme note 9

লোকেশন

তখন আমি বললাম ঠিক আছে। পরবর্তীতে একদিন বিকেল তিনটার সময় আমি আমার মেয়ে এবং হাজবেন্ড তিনজনে মিলে বাইকে করে কাঠের ব্রিজ ভ্রমণে যাওয়ার জন্য বের হলাম। মেয়ে তো কোথাও যাওয়ার নাম শুনলেই ভীষণ খুশি। যদিও প্রায় অনেকটা দূরে ছিল। তারপরও আস্তে আস্তে আমরা চলে গেলাম সেই জায়গায়। যখন সেই জায়গায় গিয়ে পৌছালাম। ব্রিজের একটু আগমুহূর্তে দেখি রাস্তায় শুধু ধুল আর ধুল। মানে বুঝলেন সেখানে অনেকটা মাটির রাস্তা ছিল। আর মাটির রাস্তায় গাড়ি চলাচল করলে এরকম ধুলে পরিণত হয়। যদিও আমরা বাইকে ছিলাম কিন্তু তারপরেও একদম জামা কাপড় ধুলে ভরে গেল।

1678720941829.jpg

1678720941793.jpg

আমি প্রথমে ভেবেছিলাম জায়গাটা অনেকটা দূরে হয়তো বা কেউ থাকবেই না। পরবর্তীতে দেখি প্রায় অনেক মানুষজন আসছিল। কেউ সিএনজি করে কেউ বাইকে করে। আমি আসলে এখানে প্রথমবার এসেছি। তারপর সেখানে বাইক থেকে নেমে। বাবা মেয়ের একটা ফটোগ্রাফি করলাম। সেখানে আবার এই ব্রিজ নির্মাণের সাইনবোর্ড ছিল। সেটার ও ফটোগ্রাফি করলাম। পরবর্তীতে দেখলাম ব্রিজটা প্রায় অনেক বড়। আসলে নদীটাও অনেকটা বড় ছিল। আসলে কাঠের ব্রিজ বলে আমার একটু ভয় লাগছিল। যদিও আমি প্রথমেই কয়েকটা ফটোগ্রাফি করতে শুরু করি। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে কাঠের ব্রিজের উপরে উঠলাম।

1678720941599.jpg

সেখান থেকে আবার কয়েকটা ফটোগ্রাফি করলাম। দেখি কয়েক জনে আবার ব্রিজের উপর দিয়ে বাইক চালিয়ে আসছে। তবে আমি মনে করি যেহেতু এটা কাঠের তৈরি। সে ক্ষেত্রে বাইক না উঠানোটাই ভালো। কারণ বাইক চালালে এটা অনেকটাই নড় বড়ে হয়ে যাবে। মানে যদি গাড়ি না ওঠে তাহলে অনেকদিন পর্যন্ত এই ব্রিজটা টেকসই হতো। তবে আমি এপারে থেকে ওই পারে যেতে যেতে কেমন যেন ভয় পাচ্ছিলাম। আসলে কাঠের নিচের অংশটা খুবই শক্ত ছিল। কিন্তু দুই পাশে ধরার জন্য তেমন কোন শক্ত কিছু দেয় নাই। পরবর্তীতে আমরা ব্রিজের উপরে একটু উঠে কিছুক্ষণ উপভোগ করলাম।

1678720941684.jpg

1678720941645.jpg

দেখলাম আস্তে আস্তে প্রায় অনেক মানুষজন আসছে। আসলে দেখতেছি যে এখানে একটা দর্শনীয় স্থানের মত হয়ে গেল। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে ব্রিজ এর উপর দিয়ে নদীর ওপারে চলে গেলাম। অবশ্য দেখতে পেলাম নদীর ওপারের জায়গাটা আরো বেশি সুন্দর। আর নদীর ওপার থেকে কয়েকজন মানুষজন আসছিল। বিভিন্ন ধরনের মানুষরা আসছে এটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে আমাদের এদিকে খুব একটা ঘুরার জায়গা না থাকায় এইটুকুতেই মানুষ খুবই খুশি। এমনকি অনেক দূর থেকে পর্যন্ত মানুষজন এখানে আসছিল। আর মানুষজনকে দেখে ভীষণ ভালো লাগতেছিল।

IMG-20230313-WA0011.jpg

IMG-20230313-WA0012.jpg

তাছাড়া নদীর পাড়ে ঘুরতে আসলে এমনিতেই ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া খুবই সুন্দর অনুভূতি হচ্ছিল। সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে থাকতে থাকতে এরকম জায়গায় ঘুরতে আসলে ভীষণ ভালোই লাগে। আমি মনে করি অনেকটা ক্লান্তি দূর হয়। তাছাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে ভীষণ ভালো লাগে। এরপরে নদীর ওপারে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে আরো ভিন্ন ধরনের কিছু অনুভূতি হয়েছে। সেই অনুভূতিগুলো পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আসলে আমি আরো অনেকগুলো ফটোগ্রাফিও করেছি। সবগুলো একসাথে দিলে পোস্ট ভাল লাগবে না। (চলবে)

আমার পরিচয়

1635518106012.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  
 2 years ago 

এ ধরনের কাঠের ব্রিজ গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। আমার শ্বশুরবাড়ি যেহেতু নদী এলাকাতে ওখানে এরকম একটা ব্রিজ আছে। যেটা কাঠের এবং বাঁশের তৈরি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্। বেশ ভালো লাগলো আর সময়টা বেশ ভালো উপভোগ করেছেন দেখছি।

 2 years ago 

তাহলে তো ভালো আপনারাও এই রকমের ব্রিজ দেখেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতে অজানাকে জানতে অদেখা কে দেখতে প্রতিনিয়তই আমার অনেক ভালো লাগে এবং মনের ভেতর অনেক কৌতুহল জন্মায়।।
আপনি ফেনী নদির উপরে কাঠের ব্রিজ ভ্রমণ করে অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন ভাইয়া এবং বাবুর সাথে।।
ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন অনেক সুন্দর সময় পার করেছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

গ্রামীন পরিবেশের এইসব জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে আমার খুব ভালো লাগে। যদিও এখনো পর্যন্ত কাঠের ব্রিজের উপর উঠেছি কিনা কোনোদিন ঠিক মনে করতে পারছি না। তবে আপনার শেয়ার করা ফটো দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর হবে। পরিবারের সাথে এভাবে মাঝে মাঝে ঘুরাঘুরি করলে মনের ভিতরে আলাদা শান্তি কাজ করে। আর আপনার মেয়েটা দেখতে অনেক কিউট।😊

 2 years ago 

জি ভাইয়া কাঠের ব্রিজ অনেক সুন্দর। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপনি ঠিক বলছেন আপনাদের ওদিকে ঘোরাফেরার জায়গা বিনোদনের ব্যবস্থা খুবই কম। তবে কাঠের ব্রিজটা দেখতে অনেক সুন্দর মানুষের যাতায়াত বেশি দেখা যাচ্ছে। এই ধরনের কাঠের ব্রিজ আজকাল তেমন একটা দেখা যায় না। মেয়ে তো অনেক খুশি দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনাদের সাথে বের হতে পেরে। বিকেল বেলায় এমন সুন্দর জায়গায় ঘোরাফেরা করতে অনেক ভালো লাগে সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন মেয়ে অনেক বেশি খুশি ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আমরা তিনজন একসাথে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা করব তোমাকে। এক কাজে অনেকগুলো কাজ হয়ে যাবে। পরবর্তী সপ্তাহে কোথায় যাব তা ভাবতেছি। ওদিন মেয়েটির দুষ্টামির কথা বারবার মনে পড়তেছে।

 2 years ago 

তাহলে তো ভালো কথা। অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ফেনীতে এতো সুন্দর কাঠের ব্রিজ নির্মিত হয়েছে কখনো দেখা হয়নি। তবে জনসাধারণের জন্য খুব ভালো হয়েছে।।একে তো অনেকেই কাঠের ব্রিজ নির্মিত হয়েছে দেখে ঘুরতে আসবে আবার মানুষদের চলাচলের রাস্তাও হলো। তনে বাইক চালানোটা রিস্ক ব্রিজের উপর দিয়ে। সবাই মিলে দারুণ একটা সময় কাটিয়েছেন নদীর পাড়ে 🍃🍀

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন অনেকেই এখানে ঘুরতে আসে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

কাঠের ব্রিজ দেখতে খুব ভাল লাগে।অনেক লোক জনের চলাফেরা হয় এখানে।আপনারা ঘুরতে গেলেন মেয়েকে নিয়ে।খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো। ব্রিজ দিয়ে নদীর ওপারে গেলেন।আশাকরি তা পরবর্তী পর্বে জানতে ও দেখতে পাবো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ফেনী ছোট নদীর কাঠের ব্রিজ শুনেছিলাম অনেক সুন্দর। তবে আমি এখনো কাঠের ব্রিজ দেখতে যেতে পারিনি। আপনি এবং আপনার হাজব্যান্ড ও আপনার মেয়ে তিনজন মিলে কাঠের ব্রিজ দেখতে গিয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। আর আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে জায়গাটি অনেক সুন্দর। তবে কাঠের ব্রিজ দেখতে গেলে অনেকখানি মাটির রাস্তা এই কারণে ওখানে ধুলো মাটি বেশি। অনেক সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আশা করি পরের পর্বে আরো সুন্দর সুন্দর কিছু আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করবেন।

 2 years ago 

আসলেই মাটির রাস্তার কারণে অনেক বেশি ধুলোবালি ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.17
JST 0.030
BTC 82470.22
ETH 3177.63
USDT 1.00
SBD 2.82