কিছু ছোটখাটো মুহূর্ত, জীবনে সুখ বয়ে আনে।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমরা সব সময় ব্যস্ত থাকি। আসলে বলতে গেলে কেউ তো আর এমনি এমনি বসে থাকে না। সবারই কিছু না কিছু কাজ কিংবা ব্যস্ততা রয়েছে। বিশেষ করে আমি তো যেকোনো কাজ করলে সেটা পরিশ্রম এবং দক্ষতা দিয়ে করার চেষ্টা করি। আসলে আমি মনে করি, কোন কাজ যদি ভালোভাবে পরিশ্রম দিয়ে না করা হয়, তাহলে তো তাতে সফলতা আসবে না। কিন্তু এত কাজের ফাঁকেও আমাদের পরিবার-পরিজন এবং সন্তান রয়েছে।
আমরা সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকি বলে, এই নয় যে নিজের সন্তানকে সময় দেওয়া থেকে বঞ্চিত রাখবো। আসলে পৃথিবীতে সন্তান পাওয়াটা হচ্ছে অনেক বড় একটা নেয়ামত। আমরা যত কাজই করি না কেন, সবকিছু তো ওদের জন্য। কিন্তু যদি ওদেরকে সুন্দরভাবে নিজেরা সময় দিয়ে, খুশি না রাখতে পারি তাহলে তা দিয়ে কি হবে। এজন্য আমি মনে করি আমাদের শত কাজের ফাঁকেও নিজের সন্তানকে যথেষ্ট সময় দেওয়া এবং তার সাথে আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত কাটানো।
আমিও সারাক্ষণ কাজের মধ্যে দিয়ে থাকি। কিন্তু তারপরে ও চেষ্টা করি সবকিছুর মাঝেও নিজের মেয়ের সাথে কিছুটা সময় কাটাতে। কিছুদিন আগে আমাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তো দুপুরের পরে বিকেল বেলায় একটু বাহিরে বসে ছিলাম। সময়টা বেশ ভালই লাগছিল। আমার মেয়ে ঘর থেকে কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এল বাহিরে। এরপর ও ওই গুলা দিয়ে খেলতে লাগলো। আমাদের ঘরের সামনে নিচের দিকে অনেক বড় করে টাইলস দিয়ে ডিজাইন করা। এজন্য এখানে বসতে কিংবা ছোটরা খেলার জন্য খুবই সুবিধা হয়। মেয়েটা যখন খেলছিল আমিও ওর সাথে বসে ছিলাম।
আসলে আমার মেয়েটা খুব একটা কোলে উঠতে চায় না। কিন্তু ও নিজে নিজে খেলবে, তার সাথে আমাকে বসে থাকতে হবে। তাহলেই ও নিজের মতো করে খেলতে পারে। আমিও ওর সাথে বসে ছিলাম। মোবাইলটা ছিল হাতে কিন্তু কোন কাজ করছিলাম না। তারপর মেয়েকে ডাকি আমার কাছে। ওকে ডেকে বলি আসো আমরা ছবি তুলব। আসলে মেয়ের সাথে ছবি তুলেছি অনেকদিন হয়েছে। তাছাড়া ও এখন একটু একটু করে বুঝতে শিখেছে, ছবি তোলা কাকে বলে। ডাকার পর ও আসলো আমার কাছে। এরপর দুজন মিলে কয়েকটা সেলফি তোলার চেষ্টা করি। সেলফি তোলার সময় নাশিয়াকে বললাম, আম্মু একটু হাসো তো। তারপর ও বুঝতে পেরে খুব সুন্দর ভাবে একটু হাসলো।
আসলে আমি বুঝতে পারছিলাম, ওর এমনিতে হাসি আসছিল না। কিন্তু যেহেতু আমি বলেছি হাসার জন্য এই জন্য হাসছিল। আর তার সাথে সাথে আমি কয়েকটা ক্লিক করে নিলাম। ছবিগুলো তুলার সাথে সাথে ও আবারও খেলতে চলে গেল। খেলতে চলে গেল বলতে আমার সামনেই খেলছিল। অনেকদিন পরে মেয়ের সাথে সেলফি তুলতে ভালোই লেগেছিল। ওই মুহূর্তটা বেশ আনন্দে উপভোগ করলাম। যেন এরকম ছোট ছোট মুহূর্তগুলো আমাদের জন্য সেরা হয়ে ওঠে।
আমিও চেষ্টা করি, এই মুহূর্তগুলোকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে। আসলে আমাদের জীবনে অনেক কিছু রয়েছে যা আমরা টাকা পয়সা দিয়ে হয়তো আনতে পারব না। বিশেষ করে জীবনের সুখের মুহূর্ত কখনোই ঐশ্বর্য, প্রাচুর্য দিয়ে আনা সম্ভব না। আমাদের জীবনে এরকম সুন্দর কিছু মুহূর্তই আমাদের জন্য সুখ বয়ে আনে। আর নিজেদের ছেলে মেয়ের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো সব থেকে সেরা হয়ে ওঠে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের পরিবার। এইজন্য ভাবলাম সুন্দর মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারো আসবো নতুন কিছু নিয়ে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আপনার মেয়েটা খুব মিষ্টি দেখতে আপু।😊 তবে জোর করে হাসলেও তাকে কিন্তু দেখতে খুব ভালো লাগছে। পোস্টের উপরের দিকটাতে কিছু ভালো লাগার মত কথা বলেছেন, যেগুলো আসলে আমি এখনো বুঝতে পারবো না, কারণ বিয়ে করিনি তো।😁😁 তবে এইটুকু বুঝি পৃথিবীতে সন্তান পাওয়াটা হচ্ছে মা বাবার সব থেকে বড় প্রাপ্তি।
জ্বী ভাইয়া, বিয়ে করলে বুঝতে পারবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন নিজের সন্তানকে তো সময় দিতেই হবে। আসলে সন্তানের সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তই হয়তো অনেক আনন্দের। এছাড়া মামনি ধীরে ধীরে অনেক বড় হয়ে গেছে। এইতো সেদিন দেখলাম ছোট্ট মামনিকে। এখন আগের থেকে বেশ বড় হয়েছে। অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো মামনির জন্য।
জি আপু, একটু একটু করে বড় হচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার মেয়ের মত আমার মেয়েও খুব একটা কোলে উঠতে চায় না ।সারাদিন খেলে বেড়াবে ,কিন্তু আমাকে ওর সাথে সাথে থাকতে হবে। মাঝে মাঝে কাজের চাপে খুব বিরক্ত হয়ে মারধর করলেও, মাঝে মাঝে বেশ খারাপ লাগলে আমি অবসরে ওর সাথে বসে বসে খেলি। ওকে একটু সময় দিই। আপনার মেয়েকে দেখতে বেশ কিউট লাগছে আপু। বেঁচে থাকুক দোয়া রইল ছোট্ট আম্মু টার জন্য।
ভালোই লেগেছে অবসর সময় ওর সাথে খেলা করেন শুনে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকাল বাবা মা দুজন চাকুরি করার কারনে বাচ্চাকে তেমন সময় দিতে পারে না। কিন্তু আমাদের সব ব্যস্ততাতো তাদের নিয়ে । তাই বাচ্চাকে সময় দেয়া জরুরি। আপনার ও আপনার মেয়ের জন্য আনেক শুভ কামনা।
আসলে ঠিক বলেছেন, আমাদের সব ব্যস্ততা তো ওদের নিয়ে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মামনি তো দেখছি ধীরে ধীরে অনেক বড় হয়ে গেছে। অনেক মিষ্টি দেখতে লাগছে। আসলে প্রতিটি বাবা মায়ের উচিৎ নিয়মিত ছেলে মেয়েদের কে সময় দেওয়া।যে যতোই ব্যস্ত থাকুক না কেন। প্রিয় সন্তান দের সাথে মূহূর্ত গুলো মনে হয় অনেক মধুর হয়।মামনির জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
আসলে একটু একটু করে বড় হচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ভাল লাগলো আপু। সন্তান মা-বাবার জন্য আল্লাহর দেয়া নেয়ামত।আমি ও আপু অনেক ব্যস্ত থাকি,তারপরে ও আমার ছেলেকে সময় দিতে হয়।ওকে খাওয়ানো,পড়তে বসানো সবকিছুই।।কারন সন্তানের জন্য ই তো সবকিছু।আপনার মেয়েটি খুব মিষ্টি দেখতে।ওর জন্য অনেক আদর। অনেক শুভকামনা রইল আপনার পরিবারের জন্য।
আসলেই আমাদের সবকিছু ওদের জন্য। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।