গল্প :- চিচকে চোর। (পর্ব ১ )
ক্যানভা দিয়ে তৈরি
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি একটা নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আসলে এই গল্পটা হচ্ছে বাস্তবিক এবং চোখের সামনে দেখা। আসলে বাস্তবিক এরকম ঘটনা গুলো যে কোন জায়গায় অহরহ ঘটে যাচ্ছে। আমি আজকে একটা চোরের গল্প নিয়ে লিখব। আসলে চোর তো সব জায়গায় দেখা যায় এখন অনেক রকমের চোর রয়েছে। চোরের সাথে তো আমরা সবাই অনেক পরিচিত। আমি আজকে যে গল্পটি লিখব আসলে সেই চুরির গল্পটি ঘটেছিল আমাদের বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে। আসলে এরকম বাস্তবিক একটা ঘটনা সামনা-সামনি দেখে আমি লিখতে বসে পড়লাম। চোরেরা অনেক জিনিসই চুরি করে। আজকে আমি আমাদের বাড়ির পাশে চুরি হওয়ার গল্পটা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনাদের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে।
ঘটনাটা বেশ কয়েকদিন আগের। গ্রাম অঞ্চলে এবং শহরাঞ্চল বলা হোক না কেন সব জায়গায় চুরির ঘটনা দেখা যায়। কয়েকদিন আগে সন্ধ্যাবেলায় হঠাৎ করে অনেক মানুষের কথার আওয়াজ শুনে আমরা সবাই ঘর থেকে বের হলাম। হঠাৎ করে সবাই বলতে লাগলো চোর ধরেছে। তখন আমরা বেশ অবাক হলাম! কোথায় চোর চুরি করল? কিভাবে ধরল? এসব নিয়ে কথা বলতে লাগলাম। তখন হঠাৎ করে একটা আপু আমাকে বলল আমার ভাবিদের ঘরে চোর ঢুকেছে। আসলে ওই ঘরটাতে চোর ঢোকারই কথা। কারণ ওখানে কেউই থাকে না। উনি থাকেন উনার বাবার বাড়িতে তখন আমরা সবকিছু বুঝলাম।
আসলে চোর এসেছিল সন্ধ্যার একটু পরে। তখনও ভালো করে অন্ধকার হয়নি। যাদের বাড়িতে চুরি করার জন্য গিয়েছিল তাদের বাড়ি ছিল সবার শেষে এবং ওখানে অনেক অন্ধকার ছিল। বাড়ির পেছনের অংশটিতে তারা পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকেছিল টিন কেটে ঢুকেছিল এবং তারা ভ্যান গাড়ি নিয়ে এসেছিল চুরি করার জন্য। চোরের সংখ্যা ছিল দুইজন। একজন ছিল একটু ছোট। তার বয়স ১৪ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে হবে। অন্যজন তার থেকে কিছুটা বড় ছিল। তার বয়স ছিল ১৯ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। তাদের দুইজনকে কয়েকজন মানুষ আরো কিছুদিন আগে বাড়ির আশেপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছিল এমনিতে। কিন্তু তখন কোন চুরি করেনি। আসলে তারা তখন এসেছিল বাড়িঘর দেখে যেতে। কোন দিকে মানুষ নেই তা দেখার জন্য চুরি করার জন্য তখন সুযোগ খুঁজছিল তারা।
হঠাৎ করে কয়েকদিন আগে সন্ধ্যাবেলায় তাদের আগমন হল। তারা দুজন ভ্যান গাড়ি নিয়ে এসে টিন কেটে ঘরের ভেতরে ঢুকে ঘরের আসবাবপত্র বস্তার মধ্যে ঢুকাতে লাগলো। ঘরের পাখা, ফ্রিজের স্টাবলাইজার, ইলেকট্রনিক কাজের সরঞ্জাম, হাড়ি-পাতিল, এবং কি করে বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র প্রথমেই নিয়ে গিয়েছিল বস্তায় করে ভ্যান গাড়িতে উঠিয়ে। তারপরে এই জিনিস-পত্র গুলো রেখে আবার এসেছিল অন্যান্য জিনিসপত্র গুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য। তারপরে তারা আরো কয়েক বস্তা জিনিসপত্র নেয়। একজন ছিল ঘরের ভেতরে। আরেকজন ছিল বাহিরে। একজন ভেতর থেকে সব জিনিসপত্র অবস্থায় করে দিচ্ছে এবং আরেকজন সেই বস্তা গুলো বাহিরে বের করে এক জায়গায় রাখছে।
সেই ঘরটার পেছনের অংশটির কিছুটা দূরে একটা মসজিদ রয়েছে। মাগরিবের আজান শেষে একটা লোক মসজিদ থেকে বের হয়ে বাড়ির পথে আসছিল। তখন তিনি দেখলেন যাদের ঘরে চুরি হচ্ছে তাদের ঘরের আশেপাশে দুইটা লোক দেখা যাচ্ছে এবং তারা কয়েকটা বস্তা টেনে নিয়ে আসছে। প্রথমে তো তিনি কিছুই মনে করলেন না। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো তারা অন্য কারণে এসেছিল। তারপরে তিনি দেখলেন ওই ঘরটির পেছনের অংশের কিছুটা টিন কাটা রয়েছে। তারপরে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এরা দুজন চুরি করতে এসেছিল এখানে। তিনি যেহেতু একা ছিলেন তাই প্রথমে কয়েকটা মানুষ ডেকে আনার জন্য গিয়েছিলেন। আসলে বাড়ির আশেপাশে কোন মানুষ ছিল না তারপরে তিনি চিৎকার করতে লাগলেন চোর বলে।
এরপর আশেপাশের ঘরের সব মানুষ বাহিরে বের হয়ে বলল কি হয়েছে? কোথায় চোর? তারপরে তিনি বললেন, এই ভাবিদের ঘরে চোর ঢুকেছে। তারপরে সবাই বুঝতে পারল যেহেতু ওনাদের ঘরে কেই থাকে না তাই উনাদের ঘরের জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যাওয়ার জন্য এরা এসেছে। তারপরে সবাই একজোট হয়ে চোর ধরার জন্য গেল। ততক্ষণে বাহিরে যে চোরটা ছিল অর্থাৎ যার বয়স ছিল ১৯ থেকে ২০ বছরের মধ্যে সে পালিয়ে গিয়েছিল। ঘরের মধ্যে ছোট ছেলেটা ছিল সে বাইরে বের হওয়ার সুযোগ পায়নি। তার আগে মানুষগুলো তাকে ধরে ফেলেছিল। তারপরে তারা তার সঙ্গীকে খুঁজতে লাগলো। কিন্তু তাকে পায়নি। ছোট ছেলেটাকে শুধু ধরতে পেরেছিল। তারপর সেই ছোট ছেলেটাকে...............
( চলবে )....
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://twitter.com/TASonya5/status/1661606673914667008?t=sNZhlVTGUhkwnwj9r-fXIw&s=19
এ তো দেখছি সাংঘাতিক চোর এটা চুরি বলা হয় না এটাকে ডাকাতি বললে ভুল হবে না। আসলে চোরের কাজ কিভাবে চুরি করা যায় সেই পরিকল্পনা করা। সেই অনুযায়ী যে ঘরে মানুষ থাকে না তারা সেখানেই সুযোগ-সন্ধান নিয়ে চুরি করে। যাই হোক নামাজ পড়া ব্যক্তি আল্লাহতালা তার মাধ্যমেই তাদেরকে ধরিয়ে দিলেন।
এটা কিন্তু ঠিক ডাকাতি বললে ভুল হবে না। ঠিকই বলেছেন নামাজ পড়া ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা তার মাধ্যমেই তাদেরকে ধরিয়ে দিয়েছে
আসলে এ ধরনের চোর গুলোকে সিঁচকে চোর বলে । কিন্তু এ তো দেখছি দিনে দুপুরে ডাকাতি করছে । খুবই ভয়ঙ্কর চোর । আবার সঙ্গে করে ভ্যান গাড়ি নিয়ে এসেছে খুবই অবাক কান্ড ।আসলে বাড়িতে লোকজন না থাকলে এরকমই চোররা সুযোগ খোঁজে । তবুও তো একটা চোর ধরতে পেরেছেন ।হারিয়ে যাওয়া জিনিস উদ্ধার পাওয়ার সুযোগ আছে ।ধন্যবাদ ।
একটা চোর ধরতে পেরে সবাই এমনিতে অনেক নিশ্চিন্ত হয়েছিল। সুন্দর একটা মন্তব্য করলেন
বাপরে বাপ এত দেখি পুকুর চুরি। একে কি চোর বলে? একে বলে ডাকাত। আর একজন ছাড়া বাকী চোর তো পালালো তাদের বিষয়ে অবশ্যই জানাবেন। কিন্তু কি জানেন আপু এরা সুযোগ সন্ধানী। এরা খালি ঘর গুলোতে বেশীর ভাগ চুরি করতে ঢুকে। যাক একজন তো ধরা খেলো বাকী গুলোর কি অবস্থা তাই জানার অপেক্ষায় রইলাম।
হ্যাঁ আপু অবশ্যই জানাবো অন্যদের কি হয়েছিল তা। ধন্যবাদ।
আসলে ওই চোরটার কথা আমি যখন জানতে পারি তখন আমার কাছেও অনেক বেশি অবাক লেগেছিল। অন্য চোরটিকে অনেক খুঁজেছিলাম কিন্তু পাইনি। ওই দুজন চোর তো দিনে দুপুরে ডাকাতি করতে চলে এসেছিল তাদেরকে চোর বললেও ভুল হবে। তুমি আজকে এই গল্পটার প্রথম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ দেখে অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার কাছে। সম্পূর্ণটা খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছো। পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য এখন অপেক্ষায় থাকলাম।
খুবই শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব শেয়ার করব। তোমার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ছিচকে চোর গল্পটি ভাল হয়েছে আপু! আসলেই এরা ছিচকে চোর- এত কম বয়স ওদের! ওদের স্কুল- কলেজ যাওয়ার বষস!! আর ওরা করছে চুরি। কি একটা অবস্থা বলেন! সমাজের এই অবক্ষয়টি গল্পের আকারে নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আসলেই তাদের এখন স্কুল কলেজে যাওয়ার কথা কিন্তু তারা চুরি করছে।
বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে গল্প চিচকে চোর খুবই সুন্দরভাবে আপনি গল্পটি উপস্থাপন করেছেন, পড়ে বেশ ভালই লাগলো। চোর হলে ও তারা কত বুদ্ধিমান যে ঘরে মানুষ থাকে না তারা খুঁজে খুঁজে সেটা বের করে সেখানে গিয়ে চুরি করা শুরু করল। তবে দুর্ভাগ্যবশত তাদের মধ্যে একজন ধরা খেয়ে গেল মসজিদে নামাজ পড়া ব্যক্তির সহযোগিতায়। এজন্য আমি ওই লোকটিকে ধন্যবাদ জানাই সেই সাথে আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
চেষ্টা করব খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্বে শেয়ার করার। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আপু এগুলো সেঁচরা চোর তা না হলে সন্ধ্যা বেলা কেউ চুরি করতে আসে।আবার দেখছি ভ্যান গাড়ি নিয়ে এসেছে। কোথায় আছে না সুযোগের সদ ব্যবহার বাড়িতে লোক ছিল না তাই এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে চোর। ধন্যবাদ আপু একটা চোর ধরার জন্য।