ককশীটের উপরে একটি জ্বলন্ত মোমবাতির পেইন্টিং।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পেইন্টিং নিয়ে। আজকে আমি অনেক সুন্দর ককশীটের উপরে একটি জ্বলন্ত মোমবাতির পেইন্টিং করলাম।
প্রায় অনেকদিন পর জল রঙের পেইন্টিং করতে বসলাম। আঁকতে করতে বসে দেখি প্রায় অনেক কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না। বিশেষ করে কয়েকটা কালারের রং, এমন কি তুলি সবকিছুই যেন ওলট-পালট হয়ে গেছে। আসলে কোন কিছু যদি ব্যবহার করা না হয় তাহলে তাতে যেমন জং ধরে যায়, এইরকম অবস্থা। কিন্তু আমার কাছে দেখে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে রং তুলি দিয়ে আঁকা ছবি কিংবা আঁকতে আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আর যেগুলো কিনা এখন সময় সুযোগের জন্য আঁকতে পারি না। কিন্তু এখন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সপ্তাহে অন্তত একটি করে হলেও আঁকার চেষ্টা করব। আশা করি, আবারও আমার হাতের আঁকা দেখে আপনাদের ভালই লাগবে।
যে ভাবনা সেইভাবে কাজ শুরু করলাম। আজকের এই পেইন্টিংয়ে আমি পোস্টার কালার ব্যবহার করেছি। পোস্টার কালার ছাড়াও পেইন্টিং করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং কিভাবে আমি এই পেইন্টিংটা করলাম তার ধাপে ধাপে বর্ণনা করে আপনাদের সাথে এই সম্প্রদায়ে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের পেইন্টিং আপনাদের ভালো লাগবে।
আঁকার উপকরণ
• আঁকার বই
• পোস্টার কালার
• রং করার তুলি
• রংয়ের প্লেট
• পানি
• ককশীট বোর্ড
আঁকার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি ককশীট বোর্ড নিলাম। এরপর আমি হলুদ কালার দিয়ে মাঝখানের অংশটা গোল করে একটু রং করে নিলাম। মাঝখানের অংশটা সাদা রাখলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে হলুদ রঙের পাশে কমলা রং দিয়ে একটু রং করে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর কালো রং দিয়ে বাহিরের সম্পূর্ণ অংশটা রং করা শুরু করি। প্রায় অর্ধেকটা অংশ কালো রং করে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর সামনের অংশে মোমবাতির জন্য খালি রেখে এরপর, বাহিরের পুরো অংশটা কালো রং করে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপরে কমলা রঙের বাহিরের অংশে লাল রঙ দিয়ে দিলাম। এরপর মোমবাতির নিচের অংশে কিছুটা লাল রং দিয়ে রং করে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপরে একটা ব্রাশ নিয়ে এর মধ্যে সাদা রং লাগিয়ে নিলাম। এরপর হাত দিয়ে কালো রঙের উপরে ছড়িয়ে দিলাম। এতে দেখতে কিছুটা আকর্ষণীয় লাগে।
ধাপ - ৭ :
এরপর মোমবাতির নিচের অংশে গাড়ো লাল রং দিয়ে পুরোটা লাল রং করে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপরে লাল এবং কমলা রং উপরের অংশটা ভালোভাবে মিক্স করে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
এরপর মাঝখানের সাদা রংয়ের উপরের দিকে একটু আগুনের মতো উঠিয়ে দিলাম। এরপর কালো রং দিয়ে চিকন করে একটা মোমবাতির দাগ দিয়ে দিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবে আমি পুরো পেইন্টিং করা শেষ করি। আশা করি আমার আজকের পেইন্টিং আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | পেইন্টিং |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
বাহ খুব সুন্দর একটি জ্বলন্ত মোমবাতির পেইন্টিং প্রস্তুত করেছেন তো। সত্যি অসাধারণ দেখাচ্ছে ।আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে ।প্রথমে তো দেখে ভেবেছিলাম কোন লাইটিং হবে।
অংকন পদ্ধতির সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন শুভকামনা রইল।।
আমার নিজের কাছেও লাইটিং এর কালার লেগেছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জানলে হাজার উপায় থাকে না জানলে কিচ্ছুই থাকেনা।আপনার কাজগুলো নিয়মিতই দেখি।মাল্টি-ট্যালেন্টেড বলতেই পারি।
পুরাই কিলিং একটা কাজ দেখলাম।এতো সুন্দর লাগছিলো যা বলার মতো না।
মাল্টি ট্যালেন্টেড কথাটা শুনে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জলরং ব্যবহার করে খুবই চমৎকার একটি জ্বলন্ত মোমবাতির পেইন্টিং অংকন করে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে অনেকদিন পরে আপনি জল রং নিয়ে অঙ্কন করতে বসেছিলেন। প্রতিনিয়ত এরকম সুন্দর অংকন আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরবেন এটা জেনে আরো বেশি ভালো লাগলো আপনার মাধ্যমে সুন্দর সুন্দর অংকন দেখতে পারবো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বী ভাইয়া, প্রায় অনেকদিন পরে আঁকতে বসলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ককশীট এর মধ্যে জলন্ত মোমবাতির পেইন্টিং টি বেশ চমৎকার ছিল এবং খুব চমৎকার ভাবে আপনি সেই কার্যক্রমটি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
আপনার কাছে চমৎকার লেগেছে শুনে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার আইডিয়াটা তো খুবই দারুণ। সুন্দরভাবে জলন্ত মোমবাতি অংকন করে ছবি তুলেছেন। মনে হচ্ছে সত্যিই একটি মোমবাতি জ্বলছে। ককশিট বোর্ডের মাঝে এত সুন্দর প্রদীপ চলছে। আমার অনেক ভালো লেগেছে আপনার পেইন্টিং টি। অদ্ভুত সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করেছেন।
ককশীট বোর্ডে আঁকতে বেশি ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ককশিটের উপর একটি জ্বলন্ত মোমবাতির পেইন্টিংটি দেখে একদম অবাক হয়ে গেলাম আপু। মোমবাতির জ্বলন্ত শিখাটি দেখে মনে হচ্ছে, এখনো যেন জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। একদম নিখুৎ পেইন্টিং করেছেন, যা দেখতে খুব বেশি ভালো লাগছে। যেকোনো কাজের চর্চা না থাকলে তা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। আর তাই আপনার চিন্তাভাবনাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এবার থেকে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি করে পেইন্টিং তুলে ধরার চেষ্টা করবেন। আর আপনার পেন্টিং গুলো দেখে আমরা মুগ্ধ হয়ে যাব। ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুলো ব্যবহার না করলে একটু নষ্ট হয়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কাছে এতটা ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। পরবর্তীতে আরো দেখতে পাবেন।
আপু আমি তো ভেবেছিলাম এ যেন জ্বলন্ত অগ্নীশিখা! বুঝায় উপায় নেই এটা যে পেইন্টিং! খুবই সুন্দর হয়েছে আপু। ককশিটের উপরে পেইন্ট করেছেন এজন্য একদম বাস্তব মনে হচ্ছে। অনেকদিন পর বসেও কিন্তু পেইন্টিং সুন্দর হয়েছে 🌼🦋
জ্বী ভাইয়া প্রায় অনেকদিন পরে পেইন্টিং করলাম।
আপনার ককশীটের উপরে জ্বলন্ত মোমবাতিটি আসলে অরজিনাল মনে হচ্ছে। দেখে বোঝাই যাচ্ছে না যে এটি পেইন্টিং করা। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দারুন একটি কাজ উপহার দেওয়ার জন্য।
ককশিটের উপরে আঁকতে বেশ ভালোই লেগেছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শুনে ভালো লাগলো ককশিটের উপরে মজা করে এই চিত্র পেইন্টিং করেছেন।