লাইফ স্টাইল : ১ টু ৯৯ প্লাস মার্কেটে একদিন।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে ছোটখাটো কিংবা হালকা প্রয়োজনীয় কিছু দরকার হলে আমি ৯৯ মার্কেটে চলে যাই। আমাদের এখানে ওয়ান টু নাইনটি নাইন প্লাস একটা মার্কেট রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় অনেক কিছুই পাওয়া যায়। বিশেষ করে নিজেদের ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিন্তু পাওয়া যায়। আবারো ঘর সাজানোর জন্য অনেক কিছু পাওয়া যায়। বলতে পারেন কম দামি থেকে আবার বেশি দামি জিনিসও রয়েছে।
device : Redme note 9
লোকেশনহয়তোবা আপনাদের এলাকাতেও এইরকম দোকান রয়েছে। আসলে আমার ঘরের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার ছিল। তাই জন্য আমি আর অন্য কোথাও না গিয়ে ওইখানে গিয়েছি। বিশেষ করে সিঙ্গেল পিচ এস এর কিছু কিনতে হলেও সেখান থেকে কিনলে ভালো হয়। এজন্য আমি সরাসরি এই মার্কেটে চলে আসলাম। তারপর আমি আমার প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো দেখা শুরু করি। আমি কিন্তু প্রায় বেশ কয়েকটা জিনিসপত্র কিনেছি। আসলে আমার একটা চপিং বোর্ডের প্রয়োজন ছিল। বিশেষ করে কোন ফল কাটতে এই বোর্ড হলে সুবিধা হয়। তাই জন্য আমি প্রথমে গিয়ে একটা চপিং বোর্ড কিনে নিলাম।
তারপর আরো জিনিসপত্র দেখতেই দেখলাম খুব সুন্দর কালো রঙের কাঁচের প্লেট। আমার আবার কালো রংটা যে কোন কিছুতেই পছন্দ। তাই কালো প্লেট গুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছিল। তাই জন্য আমি কালো প্লেট কিনে নিয়েছিলাম। আমার আবার জুস এর গ্লাস দরকার ছিল। আসলে এখানে বিভিন্ন ডিজাইন এর গ্লাস ছিল খুব সুন্দর। সেখান থেকেই আমি পছন্দ করে নিয়েছি। পরবর্তীতে আমি আবার হেটে হেঁটে দেখছিলাম আসলে কিছু পছন্দ হয় কিনা। কারণ এখানে যেহেতু অনেক জিনিসপত্র রয়েছে চোখের মধ্যে পড়লে কোন কিছু ভালো লেগে যেতে পারে। আমি ফুলের দিকটা একটু দেখছিলাম।
বিশেষ করে এখানে বিভিন্ন ধরনের আর্টিফিশিয়াল ফুল পাওয়া যায়। আমার একটা ফুলের টব খুবই পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু আসলে ওই টব টার নাম অনেক বেশি ছিল। যদিও আমি এখন ফুল কেনার জন্য আসিনি। কিন্তু এমনিতেই দেখছিলাম আর কি। যেহেতু এখন বিশেষ কোন প্রয়োজন নেই তাই জন্য আর কিনলাম না। কারন আমার আরও জিনিসপত্র কেনাকাটা রয়েছে। শুধু শুধু বেশি টাকা দিয়ে ফুল কিনে লাভ কি হবে। পরবর্তীতে আমি আইসক্রিম তৈরি করার জন্য একটা বক্স কিনলাম। আসলে মাঝেমধ্যে আমার মেয়ে আইসক্রিম খাওয়ার জন্য বায়না করে। ওতো ছোট তাই জন্য বাইরে থেকে কোন কিছু খাওয়ানোটা ঠিক নয়। তাই জন্য ভাবছি বাড়িতেই তৈরি করে দিব।
পরবর্তীতে সেখান থেকে আবার একটা ওয়াটার পট কিনলাম। কারণ আমরা যদি বাড়ি থেকে বের হই তখন কিন্তু নাশিয়ার জন্য পানি খাওয়ার প্রয়োজন হয়। সেজন্যই মূলত ওয়াটার পট কিনলাম। আসলে আস্তে আস্তে টুকিটাকি অনেক জিনিসপত্রই কেনা হয়ে গিয়েছিল। সবগুলো জিনিসপত্র একসাথে করে এরপর বিল তৈরি করতে বললাম। পরবর্তীতে বিল তৈরি করার পর আমি টাকা দিয়ে দিয়েছি। এরপর আমাদেরকে জিনিসপত্রগুলো খুব সুন্দর করে প্যাকিং করে দিয়েছে।
তারপর জিনিসপত্র গুলো নিয়ে বেরিয়ে পড়েছি। তারপর সবকিছু নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো কিনতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছিল। পরবর্তীতে বাড়িতে এসে সবগুলো জিনিসপত্র গুছিয়ে নিলাম। আশা করি আজকের কেনাকাটা করার মুহূর্ত আপনাদের ভালই লাগবে। পরবর্তীতে আবারো আপনাদের সাথে অন্য কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
একদম ঠিক বলছেন আপু এই মার্কেট গুলোতে গেলে অনেক সুবিধা হয়। কারণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস সব গুলো জিনিস ৯৯ মার্কেটে পাওয়া যায়। সুন্দর কেনাকাটা করলেন প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো এবং আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ব্লগটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার কোন শেষ নেই। একটা জিনিস কিনলে আবার নতুন একটি চাহিদার সৃষ্টি হয়।
আপনাদের সাথে শেয়ার করা ব্লগটি আপনার কাছে পড়ে খুব ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
আমাদের এখানেও ওয়ান টু নাইনটি নাইন প্লাস এর অনেক বড় একটা দোকান রয়েছে। তবে সেখানে ৯৯ টাকার জিনিসপত্র খুবই কম। দামি জিনিসপত্র গুলোই বেশি দেখা যায়। তবে এসব দোকানের প্রোডাক্ট গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। প্রায় সব ধরনের জিনিসই পাওয়া যায়। বিশেষ করে এসব দোকানের ইউনিক ডিজাইনের শোপিস গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। টুকিটাকি বেশ কিছু জিনিসপত্র কিনেছেন। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
দারুন একটি মুহূর্ত আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। যেখানে লক্ষ্য করলাম ভিন্ন প্রকার জিনিস বিক্রয় করা হয় এই সমস্ত দোকানগুলোতে। আর সে সমস্ত জিনিসের মধ্যে থেকে কিছুটা কেনার চেষ্টা করছেন আপনি আর দারুণ একটা আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন যা আপনার পোস্টের মধ্যে বুঝতে পারলাম।