ডাই : কাপড় দিয়ে হেডব্যান্ড তৈরি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি অনেক সুন্দর একটি হেডব্যান্ড তৈরি করলাম।
এ ধরনের কাজ করতে আমার বাড়াবাড়ির পছন্দ। কিছুদিন আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম নতুন ইলেকট্রিক সেলাই মেশিন কেনার অনুভূতি। সেই সেলাই মেশিনে আমি এই হেডব্যান্ড তৈরি করলাম। এটা মূলত আমার মেয়ে নাশিয়ার জন্য তৈরি করলাম। আসলে ওর জন্য একটা জামা সেলাই করেছি। পরবর্তীতে জামাটা কি রকম ভাবে সেলাই করলাম তা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। জামাটার সাথে ম্যাচিং করেই এই হেডব্যান্ড তৈরি করলাম। ছোট বাচ্চাদেরকে এরকম হেডব্যান্ড পড়ালে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর বিশেষ করে নিজের হাতে তৈরি করতে বেশি ভালো লাগে। যদিও এ ধরনের কাজগুলো করতে বেশ সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু তারপরেও আমি সময় বের করে তৈরি করি।
যে ভাবনা সেইভাবে কাজ শুরু করলাম। আজকের এই হেড ব্যান্ড তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং কিভাবে আমি এই হেড ব্যান্ড তৈরি করলাম তার ধাপে ধাপে বর্ণনা করে আপনাদের সাথে এই সম্প্রদায়ে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের ডাই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
• কাপড়
• কাঁচি
• কলম
• সেলাই মেশিন
• সুঁই
• সুতা
• রাবার
প্রয়োজনীয় বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি কাপড় নিলাম। এরপর ৪২১৪ সেমি এবং ২০৭ সেমি করে দুইটা কাপড় কেটে নিলাম। এরপর ২৮১৬ সেমি, ২২১৬ সেমি এবং ১২*৬ সেমি করে আরো তিনটা কাপড় কেটে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর আমি কাপড়টাকে ভাঁজ করে এর একপাশে চিকন করে সেলাই করে নিলাম। এইভাবে দুইটা অংশে সেলাই করে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর দুইটা অংশকে উল্টা ফিট করে নিলাম। এরপর এটাকে সমানভাবে করে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপরে আমি একটি রাবার কেটে নিলাম। রাবারটাকে ছোট অংশের মধ্যে একটা সেফটিপিন দিয়ে ঢুকিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপরে রাবার লাগানো অংশটার দুই পাশে সেলাই করে নিলাম। এরপরে বড় অংশটার দুই পাশে রাবারের অংশটা সেলাই করে জোড়া লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর রাবারের অংশটা দুই পাশে সেলাই করে নেওয়ার পর এরকম দেখতে দেখাবে।
ধাপ - ৭ :
এরপরে আরো যে তিনটা অংশ কেটে ছিলাম ওই তিনটা অংশ চিকন করে সেলাই করে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপর আবারও অংশ দুইটা উপর ফিট করে, এরপর ভাঁজ করে আবারো একটা সেলাই করে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
এরপরে একটার উপরে আরেকটা রেখে মাঝখানের অংশে হাতের সুঁই দিয়ে চিকন চিকন করে আটকে নিব।
ধাপ - ১০ :
মাঝখানের অংশটা কে সুতা দিয়ে একটু পেচিয়ে নিব। এরপর বেল্টের মাঝখানের উপরে ধরবো।
ধাপ - ১১ :
এরপরে ছোট অংশটা দিয়ে পেঁচিয়ে ভালোভাবে সেলাই করে নিব।
শেষ ধাপ :
এভাবে আমি পুরো পোস্ট করা শেষ করি। আশা করি আমার আজকের ডাই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ডাই |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
বাহ্ আপু কাপড় দিয়ে হেড ব্যান্ড টা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।আপনার মেয়ের জন্য খুবই সুন্দর একটি ব্যান্ড তৈরি করেছেন আপু।মেয়ে নিশ্চয় অনেক খুশি হয়েছিল এতো সুন্দর একটি ব্যান্ড পেয়ে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর ব্যান্ড এর ডাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কাপড় দিয়ে খুব সুন্দর করে হেডব্যান্ড বানিয়েছেন যেটি খুবই চমৎকার হয়েছে। আর এটি নাশিয়ার জামার সাথে একদমই মিলে গেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য ভালো থাকবেন।
জ্বী ভাইয়া জামার সাথে ম্যাচিং করে তৈরি করেছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নাশিয়ার জন্য নতুন সেলাই মেশিনে নতুন জামা আর ম্যাচিং হেডব্যান্ড তৈরি করতে দেখে আমার তো বেশ ভাল লাগলো। নতুন সেলাই মেশিনে তৈরি করা নতুন জামা আর ম্যাচিং হেডব্যান্ড পড়ে মনে হয় নাশিয়া বেশ আনন্দই পেয়েছে। নাশিয়াও কিন্তু অনেক মিষ্টি।
সত্যিই অনেক বেশি আনন্দ পেয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ আপু আপনি কাপড় দিয়ে খুব সুন্দর করে হেড ব্যান্ড বানিয়েছেন।আপনি কোন কাজ করলে বড় বড় অনেক সুন্দর এবং গুরুত্ব দেরি করে থাকেন। মাশাআল্লাহ ছোট বাবুকে এটা মাথায় পরার পরে খুবই সুন্দর লাগছে। খুবই চমৎকার একটি হেড ব্যান্ড বানিয়েছেন এবং সেটা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কাপড় দিয়ে হেড ব্যান্ড তৈরি করার দারুণ একটা পদ্ধতি আসবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার মেয়ের জন্য দেখছি দারুন একটা জিনিস বানিয়েছেন। জিনিসটি জামার সাথে একদম ম্যাচিং হয়ে গিয়েছে।
জামার সাথে ম্যাচিং করেই তৈরি করলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কাপড় দিয়ে এত সুন্দর একটি হেডব্যান্ড তৈরি করেছেন দেখে তো আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর বাবুর মাথায় লাগিয়ে দেওয়ার পরে তো দেখতে বেশ কিউট মনে হচ্ছে। এমনি বাবুকে দেখতে ভালো লাগে তারপরেও মাথায় লাগিয়ে দেওয়াই বেশ সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
এটা তৈরি করতে আমার কাছেও ভালো লেগেছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার মেয়েটি দেখতে কিন্তু ভারী মিষ্টি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মামনির জন্য ব্যান্ড তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। কাপড় দিয়ে তৈরি করা হেডব্যান্ড খুবই সুন্দর হয়েছে। জামার সাথে মিল রেখে ব্যান্ড তৈরি করাতে দেখতে আরো বেশি ভালো লাগছে। মামনির হাসি মাখা মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে অনেক খুশি হয়েছে।
সত্যি ও অনেক বেশি খুশি হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন আপু ছোট বাচ্চাদের যদি হেড ব্যান্ড পোড়ানো হয় তাহলে দেখতে খুবই কিউট দেখায় আপনার মেয়ে কেউ দেখতে খুবই কিউট দেখাচ্ছে। আসলে আপনি বরাবরই আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর সুন্দর ডাই প্রজেক্ট শেয়ার করে থাকেন যেগুলো সব সময় অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি হেডব্যান্ড তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
আসলে সুন্দর কিছু তৈরি করার চেষ্টা করি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর হয়েছে আপু একটা হেডব্যান্ড তৈরি করেছেন মেয়ের জন্য।এই ধরনের হেডব্যান্ড কাপড়ের সাথে ম্যাচিং করে ছোট বাচ্চাদেরকে পরালে বেশ ভালো লাগে।নতুন মেশিনে বেশ সুন্দর করে হেডব্যান্ডটি তৈরি করেছেন আপনার কাজগুলো সব সময় আমার ভালো লাগে কারণ কাজ গুলো সব সময় ক্রিয়েটিভ হয়।ধন্যবাদ আপু ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন।
ক্রিয়েটিভ আর্ট করতে আমারও ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নাশিয়া মামনীকে হেড ব্যান্ড পরে খুব সুন্দর লাগছে, মাশাআল্লাহ🌼। আপনার কাজগুলো বরাবরই অন্যরকম হয়। সেলই মেশিন দিয়ে খুব সুন্দর করে হেডব্যান্ড তৈরি করেছেন। যারা সেলাই কাজ করে আশা করি আপনার পোস্ট পড়ে হয়তো অনেকেই এমন ব্যান্ড বানাতে পারবে।
অন্য কেউ এমন তৈরি করতে পারলে ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।