ভ্রমণ :- ফেনীতে বিজয় সিংহ দিঘী ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
আজ আমি আপনাদের মাঝে খুবই চমৎকার একটি ঘুরাঘুরির মুহূর্ত শেয়ার করব। আসলে আমি প্রতি সপ্তাহে কোথাও না কোথাও যাওয়ার চেষ্টা করি। আমরা দুজন প্রত্যেক সপ্তাহের শনিবার কোথাও না কোথাও যাওয়ার চেষ্টা করে ঘুরার জন্য। গত কিছুদিন আগে আমরা গিয়েছিলাম ফে নী ঐতিহাসিক বিজয় সিংহ দিঘী ঘুরতে। আমি আমার হাজব্যান্ড এবং আমার একমাত্র মেয়ে নাশিয়াকে নিয়ে গিয়েছিলাম।
ফেনীতে অনেক সুন্দর একটি ঘুরাঘুরির জায়গার নাম হল বিজয় সিংহ দিঘী। কেউ যদি ফেনীতে আসে আর বিজয় সিংহ দিগে ঘুরতে যায় না এমন মানুষ খুব কম রয়েছে। এই বিজয় সিংহ দিঘী ফেনী শহরের মধ্যে অবস্থিত। ফেনী মহিপাল থেকে অল্প একটু দূরে এইদিকে অবস্থিত। এই দিঘির সম্পর্কে আমার তেমন জ্ঞান নেই এজন্য দিঘী সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে পারলাম না। কিন্তু এই দিঘি অনেক ঐতিহাসিক এই বিষয়টা জানতে পারি।
আমি এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলাম এই দিঘি দেখার জন্য। গতবার যখন গিয়েছিলাম তখন এই দিঘির চারিপাশে হেঁটে দেখেছিলাম। কিন্তু এবার যখন গিয়েছি তখন পুরো দীঘিটা দেখার সময় পেলাম না। এবার যাওয়ার পর দেখলাম ঢুকার সময় এখানে অনেক সুন্দর একটি জায়গা করেছে। অর্থাৎ দিঘীরপাড়ে অনেক মানুষ বসে আড্ডা দেওয়ার মত জায়গা করেছে।
মেয়েটাকে নিয়ে আমরা অনেকক্ষণ পর্যন্ত সেখানে কাটিয়েছিলাম। নদীর পাড়ে মেয়েটি অনেক দৌড়াদৌড়ি এবং খুশি ছিল। অনেকক্ষণ পর্যন্ত খেলা করেছিল মেয়েটি। তার খেলাধুলা করার মুহূর্তটা দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। দূরে কোথাও গেলে মেয়েটি অনেক বেশি খুশি হয় এ বিষয়টা আমাদের দুজনের কাছেই অনেক বেশি ভালো লাগে। এজন্য দূরে কোথাও গেলে তাকে নিয়ে যায়।
তাকে নিয়ে গেলে আমাদের কাছেও অনেক বেশি ভালো লাগে। কারণ সে অনেক বেশি খুশি থাকে এজন্য। বাচ্চাদেরকে ঘুরতে নিয়ে যাবার অভ্যাস করাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা সারাক্ষণ একটি ঘরের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকি। মাঝে মাঝে মনে হয় চিড়িয়াখানার মধ্যে খাঁচায় বন্দি আছি। কারণ ঘরের মধ্যেই সব কিছু রয়েছে এজন্য 24 ঘন্টায় ঘরের মধ্যে কাটাতে হয়।
এজন্যই আমরা সব সময় নিজেরা নিজেরা হলেও ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করি । এবং প্রায় সময় পরিবারের সবাইকে ও নিয়ে যাই। পরিবারের সবাইকে নিয়ে গেলেও অনেক বেশি ভালো লাগে সবাই অনেক খুশি থাকে। কিছুদিন পরে আমরা পরিবারের সবাই মিলে দূরে কোথাও থেকে ঘুরতে আসার কথা রয়েছে। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা প্রতি মাসেও দূরে দূরে কোথাও ঘুরে আসবো।
সবচেয়ে একটি বিষয় ভালো লেগেছিল যখন বিজয় সিংহ দিঘি দেখতে গিয়েছিলাম। দেখলাম সেখানে খুব সুন্দর একটি শুটিং চলতেছে। সম্ভবত এটি নৃত্যের শুটিং ছিল। অনেকজন একসাথে সেখানে নাচানাচি করতেছিল। কিন্তু শুটিংয়ের আশেপাশে মানুষ না থাকার কারণে আমরা ছবি তোলার সাহস করি নাই। ছবি তুললে যদি তারা কিছু বলে এটা চিন্তা করে আমরা ছবি তুললাম না। কিন্তু আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চেষ্টা করেছি বিনোদন নেওয়ার জন্য।
তারা অনেকক্ষণ পর্যন্ত নাচানাচি করেছে এবং ভিডিও করেছে এ বিষয়টা অনেক বেশি আনন্দ লেগেছিল। আসলে আনন্দের মুহূর্তগুলো যেমন আমার কাছে ভালো লাগে তেমনি সবার কাছে ভালো লাগে। আমি এর আগে এভাবে কখনো শুটিং দেখি নাই কিন্তু দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ এই মজার নাচটা দেখেছিলাম। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন দিঘিরপাড়ে এত বেশি মানুষ ছিল না।
বিজয় সিংহ দিঘি পারে সবচেয়ে মানুষ বেশি থাকে বিকেলবেলা। বিকালে সময়টা অনেক বেশি সুন্দর দেখায়। এবং শীতকালীন সময় এই দীঘিতে অনেক বেশি অতিথি পাখি আসে। কিন্তু আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন অতিথি পাখি দেখি নাই। কিন্তু প্রায় সময় অনেকের ফটোগ্রাফি দেখে বুঝেছিলাম। আমি আশা করি আজকের এই সুন্দর মুহূর্তটা আপনাদের সবার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে। পরবর্তীতে অন্য কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন আনন্দে এবং নিরাপদে থাকেন ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://twitter.com/TASonya5/status/1747592440436097382?t=bfxsMRG-RMsyEB53ARIPlw&s=19
আপনার ঘোরাঘুরি পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু আপনি ঠিক বলেছেন বাচ্চাদের দূরে কোথাও নিয়ে গেলে বাচ্চারা অনেক খুশি হয়। তবে দীঘির জায়গাটা কিন্তু অনেক সুন্দর। সত্যি আপু মাঝে মাঝে এভাবে ঘুরতে পারলে নিজের ও বাচ্চাদের সবারই কাছে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপু অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুন একটি ট্রাভেল পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই সুন্দর পোস্ট দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। চমৎকার ভাবে সাজিয়ে গুজিয়ে উপস্থাপন করেছেন ফটোগ্রাফির পাশাপাশি। আর এই সাথে অজানা অনেক বিষয় সম্পর্কে ধারণাও পেয়ে গেলাম খুব সহজে। মাঝেমধ্যে এভাবে আমাদের বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া প্রয়োজন এতে মন মানসিকতা ভালো থাকে ও নতুন কোন কিছু সম্মুখীন হওয়া যায়।
ঠিক বলেছেন মাঝেমধ্যে বাইরে ঘুরতে গেলে ভালই লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ফেনীর বিজয় সিংহ দিঘী তো দেখছি অনেক বড় এবং খুব সুন্দর। এমন জায়গায় ঘুরতে গেলে আসলেই মন ভালো হয়ে যাওয়ার কথা। নাশিয়াকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে কতোটা খুশি হয়েছে। অবশ্যই মাঝেমধ্যে বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাহিরে ঘুরতে যাওয়া উচিত। এতে করে বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ ঘটে খুব সুন্দরভাবে। শুটিং দেখতে আমারও খুব ভালো লাগে। আমি বেশ কয়েকবার সামনাসামনি দেখেছিলাম। যাইহোক পোস্টটি দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন বাচ্চারা আসলে ঘুরতে গেলে সব থেকে বেশি খুশি হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বিজয় সিংহ দীঘিতে ফেনী থাকতে একবার গিয়েছিলাম আপু বন্ধুদের সাথে। বিকালবেলা অনেক মানুষই আসে এখানে ঘুরতে। বসে আড্ডা দেয়ার মতো সুন্দর জায়গা। নাশিয়াকে দেখে মনে হচ্ছে সে অনেক খুশি হয়েছিল। আপনারাও উপভোগ করেছেন 🌼
সত্যি অনেক বেশি খুশি হয়েছিল নাশিয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঘোরাঘুরি করলে এমনিতেই মন অনেক ভালো থেকে। আপনারা ফেনিতে বিজয় সিংহ দিঘীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বেশ ভালোই মজা করেছেন। দিঘীটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপু আপনাদের আনন্দের কিছু মুহূর্ত আমাদের শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন জায়গাটা সত্যিই খুব সুন্দর। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।