অরিগ্যামি : ভিন্ন পাঁচ কালারের পাঁচটা মাছ তৈরি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি অনেক সুন্দর একটি ভিন্ন পাঁচ কালারের পাঁচটা মাছ তৈরি।
আচ্ছা আপনারা কখনো বড়শি দিয়ে মাছ ধরেছেন? ধরলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। তবে আমি বরশি দিয়ে সত্যি কারের মাছ না ধরলেও কিন্তু, বরশি দিয়ে কাগজের মাছ ধরেছি । নিশ্চয়ই কথাগুলো পরে আপনারা সবাই হাসবেন। আসলে আমি কাগজ দিয়ে মাছ তৈরি করতে বসলাম। তবে মাছগুলো এমন হবে যেগুলোকে একটু দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে। আবার সেগুলো কিনা বড়শি দিয়ে ধরা যাবে। তো আমি এরকম মাছগুলো তৈরি করলাম। আমি একটা একটা করে এখানে পাঁচটা মাছ তৈরি করলাম। আমার মাছের সাথে একটা বড়শি ও তৈরি করলাম। যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আবার বরশি দিয়ে মাছ ধরে ছবি তুললাম। সত্যি বলতে এই মাছগুলো তৈরি করে অনেক বেশি এনজয় করেছি। আর তার সাথে সাথে আমার মেয়ে অনেক বেশি এনজয় করেছে। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
যে ভাবনা সেইভাবে কাজ শুরু করলাম। আজকের এই অরিগ্যামি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং কিভাবে আমি এই ডাই তৈরি করলাম তার ধাপে ধাপে বর্ণনা করে আপনাদের সাথে এই সম্প্রদায়ে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের ডাই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
• রঙিন কাগজ
• মার্কার কলম
• কাঁচি
• গাম
• পেন্সিল
• স্কেল
প্রয়োজনীয় বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটা কাগজ সমান করে কেটে নিলাম। এরপর এই কাগজটাকে কোনা করে ভাঁজ করে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এই ভাঁজটা ভেতরের দিকে দিয়ে আবারো উপরের অংশটা সমান করে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর উপরের কোনা থেকে দুই দিক থেকে ভাঁজ করে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপরে আবারো অপর অংশটা সমান করে উপরের অংশে কোনা করে ভাঁজ করে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
আমি উল্টো পিঠে আবারো একই রকম ভাবে কোন করে ভাঁজ করে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর আমি সমান অংশটার উপরে কলম দিয়ে মাছের মত এঁকে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপর নিচের অংশটা একটু বাঁকা করে লেজ তৈরি করে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবে আমি পুরো পোস্ট করা শেষ করি। আশা করি আমার আজকের অরিগ্যামি পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | অরিগ্যামি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
বাহ!! দারুন একটা অরিগামি তৈরি করেছেন আপু। বরশি দিয়ে মাছ ধরার ব্যাপারটা সত্যি অসাধারণ। বাচ্চারা এই জিনিসগুলো পেলে খুবই আনন্দিত হবে। মাছগুলো খুব কিউট লাগছে দেখতে। খুব সুন্দর ভাবে প্রত্যেকটা ধাপ গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চারা এরকম জিনিস গুলো পেলে অনেক বেশি আনন্দিত হবে। আমার মেয়ে তো অনেক মজা করে খেলেছিল।
https://x.com/TASonya5/status/1809439258639512041?t=_kUjnvnOoPpa6faGSJ8GZw&s=19
বড়শির সাথে মাছটি ঝুলছে দেখতে ভীষণ ভালো লাগছে। বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে ভীষণ ভালো লাগে আমি অনেকবার ধরেছি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ভিন্ন কালারের পাঁচটি মাছ তৈরি করেছেন। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার তৈরি করা মাছের অরিগ্যামি আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
সত্যি বলতে আপু আপনার কাজের দক্ষতার প্রশংসা করতে হয়। কাগজ দিয়ে সুন্দর মাছের অরিগ্যামি তৈরি করেছেন দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে তারপর ভিন্ন ভিন্ন কালারে ফুটিয়ে তুলেছেন যার কারণে বেশি ভালো লেগেছে।
আমার অরিগ্যামি তৈরি দেখে প্রশংসা মুলক মন্তব্য করলেন দেখে ভালো লাগলো।
অসাধারণ আপু অসাধারণ সত্যিই আপনার কাজের প্রতিভা দেখে আমি অনেক মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। আপনি অনেক সুন্দর করে রঙিন কাগজ দিয়ে বিভিন্ন কালারের মাছ তৈরি করেছেন। সাথে সাথে বরশি দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্যটাও ফুটিয়ে তুলেছেন। তবে সত্যি সত্যি বরশিতে মাছ ধরতে কিন্তু অনেক ভালো লাগে আপু। আমি ছোটবেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে বরশি দিয়ে মাছ ধরেছিলাম। তাছাড়া আপনার রঙিন কাগজ দিয়ে মাছ তৈরির ধাপগুলো ছিল অনেক সুন্দর। যাইহোক সবশেষে এত সুন্দর সুন্দর ভিন্ন ভিন্ন রংয়ের কিছু মাছ তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
চেষ্টা করেছি মাছগুলো তৈরি করার ধাপগুলো সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য। যেন কেউ চাইলে তৈরি করতে পারে।
পাঁচটি ভিন্ন ধরনের কালারের রঙিন কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর পাঁচটি মাছের অরিগামি তৈরি করে। আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
পাঁচটা ভিন্ন কালারের মাছ তৈরি করার পর আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল।
৫ কালারের ৫ টা মাছের অরিগামি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।খুব গুছিয়ে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন । ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
চেষ্টা করেছি ভাইয়া মাছগুলো সুন্দর করে তৈরি করার জন্য।
কি দারুণ মাছ বানিয়েছেন আপু এক ঝাক কালারফুল মাছ। ভীষণ চমৎকার সুন্দর লাগছে আপনার মাছগুলো এরকম মাছ একুরিয়ামে শোভা পায়। রঙ্গিন কাগজ দিয়ে চমৎকার সুন্দর মাছ তৈরি পদ্ধতি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এক ঝাঁক মাছ তৈরি পদ্ধতি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
এরকম সুন্দর মাছ তৈরি করতে পেরে অনেক ভালো লাগতেছে।
আমি আমার শশুর বাড়িতে গিয়ে বড়শি দিয়ে মাছ ধরেছি। খুব মজা লাগে বড়শিতে মাছ উঠলে। আপনার আজকের আইডিয়াটি কিন্তু খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। এমন মাছ তৈরি করেছেন যে বড়শি দিয়ে ধরা যাবে। বাচ্চাদের খুব সুন্দর খেলনা হয়েছে। আর বিভিন্ন কালারের মাছ তৈরি করেছেন দেখে আরো বেশি ভালো লাগছে দেখতে।
হ্যাঁ আপু বড়শি দিয়ে ধরা যাবে ওরকম ভাবেই তৈরি করার জন্য চেষ্টা করেছি।
বাহ্ ভিন্ন পাঁচ কালারের পাঁচটি মাছ কিউট লাগছে অনেক দেখতে আপু।আপনার হাতের কাজ আসলেই খুব দারুন।ডাই তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থাপনা সুন্দর ছিল।আপনি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ডাই তৈরির প্রক্রিয়া।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে এই ধরনের অরিগ্যামি গুলো তৈরি করতে ভালো লাগে। আর মাছগুলো তৈরি করার পর আমার নিজের কাছেও খুব কিউট লেগেছিল।