নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ২ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতেই দেখলাম রবি আর তার মা দুজনে মিলে ভিক্ষা করতে বেরিয়েছে। তখনই রবির মা তাকে বোঝাতে শুরু করলো যেন মানুষের সাথে খারাপ কিছু না করে এমনকি ভালোভাবে ব্যবহার করে। এগুলো বলতে বলতেই দেখা গেল মেম্বারের লোক একজন লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আসলে সে মেম্বারের ছেলেকে কোন ফকির বিরক্ত করেছে তাকে মারার জন্য এসেছে। যখনি রবি আর তার মা তার কাছ থেকে ভিক্ষা চাইলো সে তখনই বলল মেম্বারের ছেলেকে কে বিরক্ত করেছে। এটা বলতেই রবি মেজাজ গরম করে তার থেকে লাঠি নিয়ে তাকে একটা বাড়ি দিল। তখন মেম্বারের লোকটা পড়ে গেল।
আর তার মা তাকে পালিয়ে যেতে বললো এবং মা ছেলে দুজনেই সেখান থেকে পালিয়ে গেল। অন্যদিকে আসার পথে ফকিরদের থেকে বিরক্ত হয়ে দৌড়ে বাড়িতে ফিরলো মেম্বারের ছেলে প্রিন্স। তখনই তার মা-বাবা বুঝতে পারল আসলে নিশ্চয়ই ফকিরেরা বিরক্ত করেছে। তখন প্রিন্স বলল অনেক বিরক্ত করেছে টাকা না দিলে একদম জামা কাপড় খুলে নেওয়ার মতো। মেম্বার তখন বলল ফকিরদের একটা বিচার করতে হবে। তখনই জহির এসে হাজির হলো যাকে রবি মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। ফকিরেরা উল্টো তাকে মেরেছে এটা দেখে মেম্বার খুবই রেগে গেল। আর তখনই সে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিতে গেল।
এখন আবার মর্জিনা আর তার বাবা মিলে ভিক্ষা করতে বেরিয়েছে। তখনই মানিকা রতনের সাথে দেখা। রতন মর্জিনার বাবাকে জিজ্ঞেস করছিল আজকে কত টাকা পেয়েছে। সে বলল ভালোই পেয়েছিল কিন্তু চান্দু ৫০০ টাকা নিয়ে গেছে। তখন ওরা বলল মেম্বারের ছেলেকে টুপি পরিয়ে এতগুলো টাকা নিয়েছে। মর্জিনা ওদের সাথে কথা বললেই ওর বাবা রেগে যায়। অন্যদিকে চেয়ারম্যানের মেয়ে বাড়িতে যাওয়ার সাথে সাথে শুরু করলো। চেয়ারম্যান বাড়ির কাজের মেয়ে পুলিকে ডাকতে লাগলো। আসলে আসার সময় সেও একেবারে প্রকৃতির কাছ থেকে বিরক্তি বোধ করল।
এই কথাটা বললে ফুলি বলল ফকিরদের মাঝে যদি রত্না ফকির থাকে তাহলে তাকে মাফ করে দিতে। কারন তাকে সে বিয়ে করবে। আসলে চাঁদনী ভেবেছিল রত্না মেয়ে। তখন ফুলি বলল আসলে সে ছেলে রত্না সে নিজেই ডাকে। চেয়ারম্যান আসার সাথে সাথেই মেয়েকে দেখে খুবই খুশি হল। কিন্তু মেয়ে মন খারাপ হতে জিজ্ঞেস করলে ফকিরদের কথা জানতে পারলো। আর তখনই ফকিরদের নিয়ে বিচার বসানোর সিদ্ধান্ত করল। অন্যদিকে কাদের ফকির ফকিরদের সরদার এর কাছে চান্দুর নামে বিচার দিল। তখন ফকিরদের সরদার বলল মর্জিনাকে তো রবি ও বিয়ে করতে চাই।
তখন কাদের ফকির বলল ওদের দুজনকে যেন সাবধান করে দেয় তারা যেন ওর মেয়ের পেছনে না আসে। দেখে দেখা গেল দুইজন ছোট ছোট ছেলে মেয়ে সর্দারকে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছে। এদিকে আবার মানিক ফকির মেয়েদের বোরকা পড়ে চম্মনের বাড়িতে গিয়েছে ভিক্ষা করার জন্য। আসলে ওর সাথে দেখা করার জন্যই দিয়েছি। ওর বাবা বাড়িতে না থাকায় তখন চম্মনকে নিজের মুখটা দেখায়। তখনই ওর বাবা বাড়িতে এসে দেখে ফেলে। আর মানিককে দৌড়াতে শুরু করে। অন্যদিকে আবার গ্রাম ঘুরতে বেরিয়ে চেয়ারম্যানের মেয়ে এবং মেম্বারের ছেলের ঝগড়া। দুজন তো তুমুল ঝগড়ায় ব্যস্ত।
বলছে একজন আরেকজনকে দেখে নিবে। এদিকে আবার মানিক ফকির দৌড়াতে দৌড়াতে সুতো ফকিরের পেছনে গিয়ে লুকোলো। আসলে সুতো ফকির ভেবেছিল বোরকা পরা একটি মেয়ে। তখন মেয়েটাকে তাড়ানোর দোষে চম্মনের বাবাকে বিভিন্ন কথা বলে তাড়িয়ে দিল। আর যখনই মানিক ফকিরের মুখটা দেখল সুতা ফকির একেবারে অজ্ঞান হয়ে পরলো। আবারো যখন কাদের ফকির তার মেয়ে ভিক্ষে করতে বের যাবে তখন চান্দু এসে হাজির। আর সে কাদের কাকার ৫০০ টাকাটাও ফিরিয়ে দিল। আবার বলছে নাকি আর কখনো ভিক্ষা করবে না। কাদের ফকির তাকে অনেক কথা বলে তাড়িয়ে দিল।
অন্যদিকে চেয়ারম্যানের মেয়ে আর ফুলি দুজনে মিলে কথা বলছিল। ফুলি বলছিল যেন রতনকে কোনভাবেই কিছু না করে। ওদের কথার মাঝখানে মেম্বার এসে হাজির হলো চেয়ারম্যান বাড়িতে। তখন মেম্বার চেয়ারম্যান কে ফকিরদের বিরুদ্ধে বিচার বসাতে বলল। দুজনেই বলছে দুইজনের ছেলে মেয়েকে ফকিরেরা বিরক্ত করেছে। অন্যদিকে আবার ফকিরদের সরদারের বাড়িতে সব ফকিরদের কে ডাকা হয়েছে। মূলত কাদের ফকির চান্দুর জন্য বিচার বসিয়েছে। কারণ চান্দু তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিয়েছিল। আর এই দোষের কারণে বিচারে চান্দুকে মারা হয়। বিচার শেষে চন্দ্র একাই বসেছিল।
আর তখন মর্জিনা এসে বলল সে খুবই কষ্ট পেয়েছে। টাকা নেওয়াতে সেজন্য সেই টাকা ফিরিয়ে দিতে বলেছিল। আর তাই চান্দু মূলত টাকাটা ফিরিয়ে দিয়েছিল। অন্যদিকে আবার রতন সরদারের কাছে এসে বলল মেম্বার এবং চেয়ারম্যান ফকিরদের সবাইকে ডেকেছে। তাদের ছেলে মেয়ের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কারণেই তারা মূলত এই বিচার বসিয়েছে। আর তখন সায়েম ফকির যেতে চাইলো না । কারণ তারাও মূলত টাকা নিয়েছিল। তখন সরদার বলল ডেকেছে যখন সবাইকে যেতে হবে না হলে ফকিরদের থেকে নাম কেটে দিবে। আর এই ভয়ে সবাই যেতে রাজি হল। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়।
ব্যক্তিগত মতামত
আসলে এই নাটকের মধ্যে প্রায় ভিন্ন ভিন্ন ভাবে অনেকগুলো ফকিরদের কে দেখা গেছে। আর সেটা আমরা কত পর্বেই দেখেছিলাম। এ পর্বে দেখা গেল চেয়ারম্যান মেম্বারের ছেলে মেয়েরা তাদের বাড়িতে এসে চেয়ারম্যান মেম্বারকে বলাতে, তারা একদমই রেগে গেলেও ফকিরদের উপরে। এমনকি চেয়ারম্যান মেম্বার দুইজনে কথা বলে ফকিরদের বিরুদ্ধে বিচার বসাতে চাইল। অন্যদিকে আবার কাদের ফকিরের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অপরাধে কাদের ফকির ফকিরদের মাঝে সরদারের কাছে বিচার বসালো। তারা আবার চান্দু কে মেরেছে টাকা নেওয়ার অপরাধে। এবার চেয়ারম্যান মেম্বার এর বিচারে যাওয়ার পালা। এই বিষয়টা কি হয় সেটাই বুঝতে পারছি না। কয়েকজন ফকির আবার যেতে চাইছে না। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। এই পর্বটাও আমার কাছে ভালোই লেগেছে। নিশ্চয়ই পরবর্তী গুলো আরো সুন্দর হবে
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
এইরকম বাংলা নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।আপনার পুরো নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। তবে এখনো নাটকটি দেখি নাই।আপনার পরের পাঠ দেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।আপনি সুন্দর ভাবে নাটকটির রিভিউ শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অবশ্যই আপু পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসবো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আগে অনেক নাটক দেখতাম। এখন ব্যস্ততার জন্য তেমন নাটক দেখা হয় না। আজ আপনি খুব চমৎকার একটি নাটক রিভিউ করেছেন। আপনার নাটক রিভিউ পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো মনে হয় নাটক চরিত্র এবং দৃশ্যপট বেশ অসাধারণ। ফকির গ্রাম নাটক রিভিউ বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। এত সুন্দর নাটক রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে এই নাটকটি বেশ অসাধারণ। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
https://x.com/TASonya5/status/1729469887213617289?s=20
ঈগল টিমের নাটক গুলো আমি মাঝে মধ্যে দেখি। ফকির গ্রাম নাটক দেখলে ভীষণ হাঁসি পায়। আপনার নাটক রিভিউ দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ঈগল টিমের নাটক গুলো একটু বেশি ভালো লাগে। সবাই বেশ সুন্দর অভিনয় করে।
ঠিক বলেছেন নাটকটি সত্যি অনেক হাসির নাটক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি খুব সুন্দর নাটক রিভিউ করেছেন। আপনার নাটক রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আমি সময় পেলেই নাটক দেখা শুরু করি। আমার কাছে বাংলা নাটক দেখতে অনেক ভালো লাগে। এই নাটক দেখা হয়নি তবে সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। ধন্যবাদ এত সুন্দর নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
অবশ্যই সময় পেলে নাটকটি দেখার চেষ্টা করবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।